Tag: Bengali news

Bengali news

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

  • Ramakrishna 368: পারার মধ্যে সীসা অনেকদিন থাকলে সেটাও পারা হয়ে যায়

    Ramakrishna 368: পারার মধ্যে সীসা অনেকদিন থাকলে সেটাও পারা হয়ে যায়

    শ্রী রামকৃষ্ণ- সমাধির পরে অবতারাদির আমি আবার ফিরে আসে। বিদ্যার আমি, ভক্তের আমি, এই বিদ্যার আমি দিয়ে লোকশিক্ষা হয়। শংকরাচার্য বিদ্যার আমি রেখেছিল।

    চৈতন্যদেব এই আমি দিয়ে ভক্তি আস্বাদন করতেন। ভক্তি ভক্ত নিয়ে থাকতেন। ঈশ্বরীয় কথা কইতেন। নাম সংকীর্তন করতেন।

    আমি তো সহজে যায় না। তাই ভক্ত জাগ্রত স্বপ্ন- প্রভৃতি অবস্থা উড়িয়ে দেয় না। ভক্ত সব অবস্থায় লয়। সত্ত্ব রজ তমো- তিন গুণও লয়। ভক্ত দেখে তিনি চতুরবিংশতি তত্ত্ব হয়ে রয়েছেন। জীবজগৎ হয়ে রয়েছেন। আবার দেখে সাক্ষাৎ চিন্ময় রূপে তিনি দর্শন নেন।

    ভক্ত বিদ্যা, মায়া আশ্রয় করে থাকে। সাধু সংঘ, তীর্থ, জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য এইসব আশ্রয় করে থাকে। সে বলে যদি ‘আমি’ সহজে চলে না যায় তবে থাক শালা দাস হয়ে ভক্ত হয়ে।

    ভক্তেরও একাকার জ্ঞান হয়। সেটা কি ঈশ্বর ছাড়া আর কিছুই নাই। স্বপ্নবৎ বলে না। তবে বলে তিনি এইসব হয়েছেন। মোমের বাগানে সবই মোম তবে নানা রূপ।

    তবে পাকা ভক্তি হলে এরূপ বোধ হয়। অনেক পিত্ত জমলে নেবা লাগে। তখন দেখে যে সবই হলদে। শ্রীমতি শ্যামকে ভেবে ভেবে সমস্ত শ্যামময় দেখলে। আর নিজেকে শ্যামবোধ হল। পারার মধ্যে সীসা অনেকদিন থাকলে সেটাও পারা হয়ে যায়। কুকুরে পোকা ভেবে ভেবে আরশোলা নিশ্চল হয়ে যায়। নড়ে না শেষে কুকুরে পোকাই হয়ে যায়। ভক্ত তাকে ভেবে ভেবে অহমশূন্য হয়ে যায়। আবার দেখে তিনিই আমি। আমিই তিনি। আরশোলা যখন কুকুরে পোকা হয়ে যায়, তখন সব হয়ে গেল। তখনই মুক্তি।

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

  • Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় (Kolkata Police)। দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। তার আগেই অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি (Bengal govt)। ডিলিট করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টও। তার পরেও কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনা হয় আইনের এক ছাত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে শর্মিষ্ঠা নামের ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলে অভিহিত করেন।

    দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার (Kolkata Police)

    সেই তিনিই একটি পাকিস্তানি ট্রোলকে উদ্দেশ করে ভিডিও বানানো এক দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করলেন। শর্মিষ্ঠার একমাত্র ‘অপরাধ’, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যা জেহাদিদের সমর্থন করে। তারা অমুসলিম ‘কাফের’দের হত্যা করে — এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। যদিও তার ভিডিওতে গালিগালাজ ও উত্তেজিত ভাষা ছিল, তা ছিল মূলত পাকিস্তানি ট্রোলদের বিরুদ্ধে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল এবং পহেলগাঁও হামলার ধর্মীয় উদ্দেশ্য অস্বীকার করছিল। শর্মিষ্ঠা ওই পাকিস্তানি ট্রোলকে কটাক্ষ করেন এবং ইসলামিক ৭২ হুর ও তাদের নবীকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামপন্থীদের একটা বড় অংশ।

    শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া ছিল তারই স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি এক ট্রোলের প্রতি এই প্রতিক্রিয়াই ভারতে অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ আশ্চর্যজনক নয় (Kolkata Police)। কারণ মমতা সরকার ইসলামপন্থীদের খুশি করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকে। বর্তমান ঘটনাটি মমতা সরকারের স্পষ্ট দ্বিচারিতার আর একটি উদাহরণ, যেখানে তারা নিজেদের রাজ্যেই ইসলামপন্থী দাঙ্গাবাজদের দ্বারা নিপীড়িত হিন্দুদের দুরবস্থার প্রতি চোখ বুজে থাকে। তাঁদের মতে, গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের অধীনে মুর্শিদাবাদ ও সন্দেশখালিতে হিন্দুদের ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অত্যাচার একেবারে সরকারের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে। মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১ই এপ্রিল ‘ওয়াক্‌ফ (সংশোধন) আইন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে ব্যাপক হিংসা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

    জলের ট্যাংকে বিষ

    বহু হিন্দু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়েছে। তাদের জলের ট্যাংকে বিষ মেশানো হয়েছে, এবং ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বলা হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে স্বামী-সন্তানের জীবন রক্ষা করে (Bengal govt)। ইসলামপন্থীরা হিন্দু নারীদের বলেছিল, নিজেদের ধর্ষিত হতে দাও, তবেই পরিবার বাঁচবে। তাদের সিঁদুর মুছে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। গত বছর সন্দেশখালিতেও হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন মূলত নারীরা। এই মহিলারা তৃণমূল নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মী — শিব প্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারের গ্রেফতারের দাবি জানান।

    নিপীড়নের প্রতিবাদ

    সেদিন সন্দেশখালির শত শত মহিলা ঝাঁটা, লাঠি ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হাতে পথে নামেন। অবরোধ করেন সড়ক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলের বিবাহিত হিন্দু নারীদের বয়স ও সৌন্দর্যের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া হত। রাতে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এই মহিলাদের স্বামীদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, তাদের স্ত্রীর ওপর তাদের কোনও ‘অধিকার’ নেই। যদি তারা মহিলাদের ওপর হওয়া এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের (Bengal govt) নির্মমভাবে মারধর করা হয় (Kolkata Police)।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে দ্রুততায় শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, সেই তৎপরতা একেবারেই দেখা যায়নি যখন রাজ্যের হিন্দু জনগণ ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাতে নির্মম নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছিল। মুসলিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেও একজন মহিলা, হিন্দু নারীদের ওপর হওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা দেখে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে (Bengal govt) তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (Kolkata Police)।

     

  • Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    গিরিশ মন্দিরে জ্ঞান ভক্তি সমন্বয় কথা প্রসঙ্গ (Ramakrishna )

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ গিরিশ ঘোষের বসুপাড়ার বাটিতে ভক্ত সঙ্গে বসিয়া ঈশ্বরীয় কথা কবিতেছেন। বেলা তিনটা বাজে। মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। আজ বুধবার ১৫ ফাল্গুন শুক্লা একাদশী, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ। গত রবিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম মহোৎসব হইয়া গিয়াছে। আজ ঠাকুর গিরিশের বাড়ি হইয়া স্টার থিয়েটারে বিষকেতুর অভিনয়ে দর্শন করিতে যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)- জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা। যারা জ্ঞান বিচার করে তারা তিন অবস্থাই উড়িয়ে দেয়। তারা বলে যে ব্রহ্ম তিন অবস্থারই পার। সত্ত্ব রজ তম তিন গুণের পার। সমস্তই মায়া। যেমন আয়নাতে প্রতিবিম্ব পড়েছে। প্রতিবিম্ব কিন্তু বস্তু নয়।
    ব্রহ্ম জ্ঞানীরা আরও বলে দেহাত্মবোধ থাকলেই দুটো দেখায়। প্রতিবিম্ব টাও সত্য বলে বোধ হয়। ওই বুদ্ধি চলে গেলে সোহম। আমিই সেই ব্রহ্ম। এই অনুভূতি হয়।

    একজন ভক্ত- তাহলে কি আমরা সব বিচার করব (Ramakrishna )

    শ্রীরামকৃষ্ণ- বিচার পথ আছে (Ramakrishna )। বেদান্তবাদীদের পথ। আরেকটি পথ আছে ভক্তি পথ। ভক্ত যদি ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, ব্রহ্মজ্ঞানের জন্য সে তাও পায়। জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ- দুই পথ দিয়েই ব্রহ্ম জ্ঞান হতে পারে। কেউ কেউ ব্রহ্ম জ্ঞানের পরেও ভক্তি নিয়ে থাকে। লোক শিক্ষার জন্য। যেমন অবতারাদি। দেহাত্মবুদ্ধি কিন্তু সহজে যায় না, তাঁর কৃপায় সমাধিস্থলে সমাধিস্থ হলে যায়। নির্বিকল্প সমাধি, জড় সমাধি।

  • Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে আপত্তি করেছিলেন আইনের এক ছাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা পোস্ট একটি মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। তার জেরে শুক্রবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে  গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ (Law Student Arrest)।

    অবমাননাকর মন্তব্য! (Kolkata Police)

    পুলিশ সূত্রে খবর, শর্মিষ্ঠা ইনস্টাগ্রামে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে তিনি বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশানা করে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ভিডিওটি প্রচুর ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও দেখে কলকাতার একটি থানায় শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কলকাতা পুলিশও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। জানা গিয়েছে, গত ১৪ মে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। ওই ভিডিওতে ইসলাম ও মহানবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই পানোলিকে প্রাণনাশ এবং ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। এক্স হ্যান্ডেলে অ্যারেস্ট শর্মিষ্ঠা হ্যাসট্যাগটি ট্রেন্ড হতে শুরু করে। মুসলমান ইউজাররা পানোলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।

    ক্ষমা প্রার্থনা করে পোস্ট

    পরের দিনই দুঃখ প্রকাশ করে পানোলি বলেন, “আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি যা কিছু বলেছিলাম, তা ছিল আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি, এবং আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। যদি কেউ এতে আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আগামীতে আমি আমার প্রকাশ্য পোস্টে আরও সতর্ক থাকব। আবারও অনুগ্রহ করে আমার এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করুন।” ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি বিতর্কিত ভিডিওটি মুছে ফেলেন। একটি আলাদা পোস্টে দেশপ্রেমের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, মেরে লিয়ে মেরা দেশ পহলে আতা হ্যায়” (আমার জন্য আমার দেশই সবার আগে)।

    কলকাতা পুলিশের তৎপরতা

    ক্ষমা (Kolkata Police) চাওয়ার পরেও ২০ মে মহারাষ্ট্র পুলিশ পানোলির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করে। এই মামলা আরও গুরুত্ব পায় যখন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর নেতা ওয়ারিস পাঠান প্রকাশ্যে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানান এবং বলেন, “আমাদের নবীর সম্পর্কে অপমানজনক বক্তব্য কোনও মুসলমানই সহ্য করবে না (Law Student Arrest)।” ওই পোস্ট দেখেই গত ৩০ মে দিল্লিতে পানোলির বাসভবনে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতারির সময় বা তার আগে ওই ছাত্রীকে কোনও আইনি নোটিশ কিংবা পরোয়ানা জারি করা হয়নি। এই গ্রেফতারির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অনেকে একে অবৈধ বলছেন। নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, একজন ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গির সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমন করে। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া আইনি প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। দিল্লি হাইকোর্ট গত নভেম্বরে একটি রায়ে বলেছিল, কাউকে গ্রেফতারের আগে তাঁকে লিখিত কারণ প্রদর্শন করতে হবে, যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি সহায়তার সুযোগ পেতে পারে।

    ছাত্রী গ্রেফতারে ব্যাপক বিতর্ক

    পানোলির গ্রেফতারিতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। ভিজিল্যান্ট হিন্দুত্ব এবং দেবদেবাঙ্কসের যুক্তি, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় দেশপ্রেমমূলক অনুভূতি প্রকাশ করায় তাঁকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, তাঁর ক্ষমা চাওয়া ও ভিডিওটি মুছে ফেলাই যথেষ্ট ছিল। দেবদেবাঙ্কসের অভিযোগ, এই গ্রেফতার একটি চক্রান্ত, যার উদ্দেশ্য জাতীয়তাবাদী কণ্ঠরোধ করা। এদিকে, ইন্ড-স্পিকমুসলিম এবং ইএলিটমেলের মতো ব্যবহারকারীরা পানোলির গ্রেফতারিকে ন্যায়ের বিজয় আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, ধর্মের অবমাননা এবং ঘৃণাভাষণ কোনওভাবেই সহ্য করা যায় না (Law Student Arrest)।

    কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত

    পানোলির পরিবার আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশের পাশে দাঁড়ানোর মূল্য দিচ্ছেন পালোনি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রমাণ হয় যে গ্রেফতারের সময় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, বিশেষ করে আগে থেকে কোনও নোটিশ না দেওয়া এবং তাড়াতাড়ি করে ট্রানজিট রিমান্ডের কারণে, তাহলে এটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। মামলাটি বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক ছড়ানোর ভূমিকা নিয়ে বৃহত্তর টানাপড়েনকে সামনে এনেছে। পানোলির সমর্থকদের মতে, তাঁর মন্তব্যগুলি আপত্তিকর হলেও, তা উসকানির প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছিল এবং তিনি ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত (Kolkata Police)।

  • DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই ভারতকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ একের পর এক ধাপ এগিয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে (DIGIPIN)। এবার ভারতীয় ডাক বিভাগও চালু করে দিল দুটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। একটি হল ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ এবং অন্যটি হল ‘নো ইয়োর পিনকোড’ (Postal Department)। যোগাযোগ মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ দেশের ঠিকানা ব্যবস্থাপনা এবং ভূ-স্থানিক অবস্থান ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ২০২২ সালের জাতীয় ভূস্থানিক নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল ভারতকে ভূ-স্থানিক খাতে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

    ডিজিপিন কী? (DIGIPIN)

    প্রশ্ন হল ডিজিপিন কী? ডিজিপিন হল ডাক বিভাগের একটি প্রকল্প, যা তাদের ‘অ্যাড্রেস অ্যাজ এ সার্ভিস’ দৃষ্টিভঙ্গীর অংশ। এই পরিষেবার লক্ষ্য হল ঠিকানা সংক্রান্ত ডেটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যবহারকারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে নিরাপদ ও কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করে। জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগ দেশের জন্য একটি উপযুক্ত এবং জিওকোডেড ঠিকানা কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, ঠিকানা শনাক্তকরণ সহজ করা এবং নগর-কেন্দ্রিক সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার কার্যকর ডেলিভারি করা। এই প্ল্যাটফর্মটি ভারতীয় ডাক বিভাগ, আইআইটি হায়দরাবাদ, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন করা হয়েছে।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২ এর অধীনে ঠিকানা সংক্রান্ত থিম্যাটিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচিত ও গৃহীত ডিজিপিন এখন সমস্ত মন্ত্রক, রাজ্য সরকার, প্রতিষ্ঠান সমূহের কাজকর্মে সংযুক্তির জন্য ও ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ। ডিজিপিন হল একটি ওপেন সোর্স, ইন্টার অপারেবল, জিও-কোডেড, গ্রিড-ভিত্তিক ডিজিটাল ঠিকানা ব্যবস্থা। এটি একটি জায়গার অবস্থান নির্ণয়কে অনায়াস করে তোলে (Postal Department)। কারণ এটি ভারত-ভূখণ্ডকে ৪×৪ মিটার আকারের নির্দিষ্ট ইউনিটে ভাগ করে এবং প্রতিটি গ্রিডের জন্য একটি অনন্য ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড নির্ধারণ করে, যা দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি একটি স্থায়ী ডিজিটাল ঠিকানা, যা রাস্তাঘাট, পাড়া বা স্থানের নাম পরিবর্তিত হলেও পরিবর্তন হবে না (DIGIPIN)। এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষভাবে উপকারী হবে এমন জায়গাগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থান নির্ধারণে, যেগুলো অগঠিত, বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে বা যেখানে কোনও আনুষ্ঠানিক ঠিকানা নেই—যেমন গ্রামীণ এলাকা, বনাঞ্চল ও মহাসাগর।

    লাস্ট-মাইল ডেলিভারি

    এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সঠিকভাবে লাস্ট-মাইল ডেলিভারি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যেসব এলাকা সাধারণভাবে ঠিকানা ছাড়াই থাকে এবং খুঁজে পাওয়া কঠিন। ডিজিপিন একটি ফিজিক্যাল লোকেশনের জন্য একটি ডিজিটাল উপস্থাপন দেয় এবং সেই সঙ্গে একটি স্থিতিশীল অবস্থান শনাক্তকরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়। এটি বর্তমান ব্যবস্থাকে আরও নির্ভুল এবং স্থায়িত্ব দেয়। কোনও জায়গার জন্য ডিজিপিন জানতে হলে ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ পোর্টালে যেতে হয়, যা একটি নির্দিষ্ট স্থানাঙ্ক ব্যবহার করে একটি ১০-অক্ষরের পিন তৈরি করে। এই পোর্টালটি কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে না (Postal Department)। ফলে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে। ডিজিপিন বিভিন্ন খাতে সঠিক পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে এবং জরুরি পরিষেবা দেওয়ার সময় কমিয়ে দেবে। যেহেতু এটি একটি ওপেন-সোর্স প্রযুক্তি, তাই ডিজিপিনের সমস্ত কারিগরি ডকুমেন্টেশন ও সোর্স কোড জিটহাবে পাওয়া যায় (DIGIPIN)।

    আপনার পিনকোড জানুন

    ১৯৭২ সাল থেকে ব্যবহৃত ৬ সংখ্যার পিনকোড ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে, ডাক বিভাগ সারা দেশে একটি জাতীয় জিও-ফেন্সিং কাজকর্ম পরিচালনা করে। যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত পিনকোড সীমানা ভৌগোলিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই কারণেই ‘নো ইওর পিন কোড’ নামক একটি পোর্টাল চালু করে, যা গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-ভিত্তিক অবস্থান নির্ধারণ প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট অবস্থানের সঠিক পিনকোড শনাক্ত করতে পারে। এই পোর্টালে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামতও দিতে পারেন, যাতে ডেটাসেটটি নিয়মিতভাবে উন্নত করা যায়। দেশের সমস্ত জিও-ফেন্স করা পিনকোড সীমানার (Postal Department) ডেটা ওপেন গভর্নমেন্ট ডেটা প্ল্যাটফর্মে ‘অল ইন্ডিয়া পিন কোড বাউন্ডারি জিও-ইসন’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে (DIGIPIN)।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২

    এই নীতিটি ভারত সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু করে। এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হল ভূ-স্থানিক তথ্যের প্রবেশাধিকার উদার ও গণতান্ত্রিক করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং প্রশাসন, ব্যবসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যাপক (Postal Department) ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া। এই নীতির উদ্দেশ্য হল, সরকারি অর্থে প্রস্তুত করা ভূ-স্থানিক তথ্যভান্ডার সকলের জন্য সহজলভ্য করা (DIGIPIN)।

     

  • Ramakrishna 367: পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য

    Ramakrishna 367: পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য

    (শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার- পরমহংস অবস্থা)

    ভক্তিই সার। সকাম ভক্তি আছে, আবার নিষ্কাম ভক্তি, শ্রদ্ধা ভক্তি, অহেতুক ভক্তি এও আছে। কেশব সেন ওরা অহেতুক ভক্তি জানত না। কোনও কামনা নেই। কেবল ঈশ্বরের পাদপদ্মে ভক্তি।

    আবার আছে ঊর্জিতা ভক্তি। ভক্তি যেন উথলে পড়ছে। ভাবে হাসে কাঁদে নাচে গায়। যেমন চৈতন্যদেবের। রাম বললেন লক্ষণকে, ভাই যেখানে দেখবে ঊর্জিতা ভক্তি, সেইখানে জানবে আমি স্বয়ং বর্তমান।

    ঠাকুর কি ইঙ্গিত করিতেছেন? নিজের অবস্থা, ঠাকুর কি চৈতন্যদেবের ন্যায় অবতার জীবকে ভক্তি শিখাইতে অবতীর্ণ হইয়াছেন?

    গিরিশ- আপনার কৃপা হলে এই সব হয়। আমি কি ছিলাম কি হয়েছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- ওগো তোমার সংস্কার ছিল তাই হচ্ছে। সময় না হলে হয়না। যখন রোগ ভালো হয়ে এল তখন কবিরাজ বললে এই পাতাটি মরিচ দিয়ে বেটে খেও। তারপর রোগ ভালো হল। তা রোগ মরিচ দিয়ে ঔষধ খেয়ে ভালো হলো না আপনা আপনি ভালো হলো কে বলবে?

    লক্ষণ লব কুশকে বললেন, তোরা ছেলে মানুষ। তোরা রামচন্দ্রকে জানিস না তাঁর পাদস্পর্শে অহল্যা পাষাণী মানবী হয়ে গেল। লব কুশ বললে, ঠাকুর সব জানি সব শুনেছি। পাষাণী যে মানবী হল সে মুনিবাক্য ছিল। গৌতম মুনি বলেছিলেন যে ত্রেতা যুগের রামচন্দ্র, ওই আশ্রমের কাছ দিয়ে যাবেন তার পাদস্পর্শে তুমি আবার মানবী হবে। তা এখন রামের গুনে না মুনিবাক্যে কে বলবে বল!

    সবই ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে। এখানে যদি তোমার চৈতন্য হয়, আমাকে জানবে হেতুমাত্র। চাঁদ মামা সকলের মামা। ঈশ্বর ইচ্ছায় সব হচ্ছে।

    গিরিশ- ঈশ্বরের ইচ্ছায় তো। আমিও তো তাই বলছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সরল হলে শীঘ্রই ঈশ্বর লাভ হয়। কয়জনের জ্ঞান হয় না। প্রথম যার বাঁকা মন, সরল নয়। দ্বিতীয়, যার শুচিবাই, তৃতীয় যারা সংশয় আত্মা।

    ঠাকুর নিত্য গোপালের ভাবাবস্থার প্রশংসা করিতেছেন

    এখনো ৩-৪ জন ভক্ত ওই দক্ষিণ পূর্ব লম্বা বারান্দায় ঠাকুরের কাছে দাঁড়াইয়া আছেন ও সমস্ত শুনিতেছেন। পরমহংসের অবস্থা ঠাকুর বর্ণনা করিতেছেন। বলিতেছেন, পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য। হাঁসেরই শক্তি আছে দুধকে জল থেকে তফাৎ করার। দুধে জল যদি মিশিয়ে থাকে, তাদের জিহ্বাতে একরকম টক রস আছে, সেই রসের দ্বারা দুধ আলাদা জল আলাদা হয়ে যায়। পরমহংসের মুখেও সেই টক রস আছে। প্রেম ভক্তি, থাকলেই নিত্য অনিত্য বিবেক হয়। ঈশ্বরের অনুভূতি হয় ঈশ্বর দর্শন হয়।

  • Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপেক্ষাই করে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর (Russia) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করেই এই মে মাসে ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি (Indian Refiners) রাশিয়া থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই পরিমাণ মোট মাসিক আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

    কী বলছে কেপলার? (Russia)

    বৈশ্বিক বাণিজ্য ডেটা বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছিল প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলের চেয়ে বেশি তেল। আর ২৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা সরবরাহ করেছে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বাজারে সব চেয়ে সস্তা তেল আমদানির নীতিই অনুসরণ করেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই আগের তুলনায় কমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং কুয়েত থেকে তেল আমদানি। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ তেলের চাহিদাই আমদানির ওপর নির্ভর করে। তাই এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশগুলির একটি।

    তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে ভারত

    রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে মূলত কমদামের জন্য, বিশেষ করে সাওয়ার গ্রেডের উরাল অঞ্চলের অপরিশোধিত তেলে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সম্মত না হওয়ায় গত ২৬ মে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাগল আখ্যা দেন। তিনি মস্কোর (Russia) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান তেলের ওপর ইতিমধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম নেফট এবং সুরগুতনেফতেগাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর পাশাপাশি মস্কো থেকে তেল পরিবহণকারী প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, জি-৭ দেশগুলি রফতানি করা রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধার্য করেছে ৬০ মার্কিন ডলার (Indian Refiners)।

    কী বলছেন সুমিত রিতোলিয়া

    কেপলারের প্রধান তথ্য বিশ্লেষক সুমিত রিতোলিয়া বলেন, “এটি (রাশিয়ান তেল আমদানির উচ্চ হার) ভারতের রাশিয়ান ব্যারেলের ওপর স্থায়ী নির্ভরশীলতা প্রতিফলিত করে, যার পেছনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মূল্যছাড় এবং লজিস্টিক সুবিধা। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ ছিল উরাল গ্রেড, যা সবচেয়ে পছন্দের তেলের তালিকায় শীর্ষে। এরপরেই ছিল সিপিসি এবং ইএসপিও (মিষ্টি গ্রেডের তেল)।” তিনি জানান, মে মাসে উরালের গড় ফ্রি অন বোর্ড মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল প্রায় ৫০ ডলার, যা পশ্চিমি মিত্রদের নির্ধারিত ৬০ ডলারের মূল্যমানের অনেক নীচে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেগুলির প্রয়োগ এখনও দুর্বল। তাই ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের নিয়মিত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারছে (Russia)।”

    অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যেমন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রোসনেফ্ট-সমর্থিত নয়ারা এনার্জি (Indian Refiners)। রিতোলিয়া বলেন, “মে মাসে ভারতে তৈল পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত বন্ধের হার এপ্রিলের তুলনায় কম ছিল। তাই অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি এপ্রিলের শেষ নাগাদ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করেছে। যার ফলে মে মাসে তেলের গ্রহণক্ষমতা বেড়েছে। এটি ভারতের স্বাভাবিক রিফাইনারি রক্ষণাবেক্ষণ চক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণ কাজকর্ম এপ্রিল বা মে মাসের শুরুতেই শেষ হয় (Russia)।”

    আমদানির পরিমাণ মধ্য প্রাচ্য থেকে

    জানা গিয়েছে, মে মাসে ভারত প্রতিদিন ১০.৯ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ইরাক থেকে, সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছে ৫.৬৮ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি করেছে ৪.৯৫ লাখ ব্যারেল এবং ২.২৮ লাখ ব্যারেল আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অথচ, এপ্রিল মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ইরাক থেকে ৮.৩৫ লাখ ব্যারেল, সৌদি আরব থেকে ৫.৩৯ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২.৬৮ লাখ ব্যারেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৩৭ লাখ ব্যারেল (Indian Refiners)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ান তেলের পাশাপাশি ভারত এখন মধ্যপ্রাচ্য মায় আমেরিকা থেকেও আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে আদতে আসছে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগত বৈচিত্র্য। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকটিও রয়েছে (Russia)।

LinkedIn
Share