Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 302: “হে ঈশ্বর তুমি আশীর্বাদ কর, যেন আমরা ভক্তি-নদীতে একেবারে ডুবে যাই”

    Ramakrishna 302: “হে ঈশ্বর তুমি আশীর্বাদ কর, যেন আমরা ভক্তি-নদীতে একেবারে ডুবে যাই”

    রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর

    মহাষ্টমীদিবসে রামের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    বিজয়, কেদার, রাম, সুরেন্দ্র, চুনি, নরেন্দ্র, নিরঞ্জন, বাবুরাম, মাস্টার

    কথাগুলি বলিতে বলিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) প্রকৃতিস্থ হইলেন। এখন ভক্তদের সহিত কথা কহিতে পারিবেন।

    কেদারকে গান করিতে বলিলেন। কেদার গাইতেছেন:

        (১)   —   মনের কথা কইব কি সই কইতে মানা।
    দরদী নইলে প্রাণ বাঁচে না ॥
    মনের মানুষ হয় যে-জনা,
    ও তার নয়নেতে যায় গো চেনা, সে দুই-এক জনা,
    ভাবে ভাসে রসে ডোবে, ও সে উজান পথে করে আনাগোনা ॥
    (ভাবের মানুষ উজান পথে করে আনাগোনা।)

        (২)   —   গৌর প্রেমের ঢেউ লেগেছে গায়।
    তার হিল্লোলে পাষণ্ড-দলন এ-ব্রহ্মাণ্ড তলিয়ে যায় ॥
    মনে করি ডুবে তলিয়ে রই,
    গৌরচাঁদের প্রেম-কুমিরে গিলেছে গো সই।
    এমন ব্যথার ব্যথী কে আর আছে
    হাত ধরে টেনে তোলায় ॥

        (৩) —যে-জন প্রেমের ঘাট চেনে না।

    গানের পর আবার ঠাকুর ভক্তদের সহিত কথা কহিতেছেন। শ্রীযুক্ত কেশব সেনের ভাইপো নন্দলাল উপস্থিত ছিলেন। তিনি ও তাঁর দুই-একটি ব্রাহ্মবন্ধু ঠাকুরের কাছেই বসিয়াছিলেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়াদি ভক্তদের প্রতি)—কারণের বোতল একজন এনেছিল, আমি ছুঁতে গিয়ে আর পারলুম না।

    বিজয়—আহা!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সহজানন্দ হলে অমনি নেশা হয়ে যায়! মদ খেতে হয় না। মার চরণামৃত দেখে আমার নেশা হয়ে যায়। ঠিক যেন পাঁচ বোতল মদ খেলে হয়!

    জ্ঞানী ও ভক্তদের অবস্থা—জ্ঞানী ও ভক্তদের আহারের নিয়ম 

    “এ অবস্থায় সব সময় সবরকম খাওয়া চলে না।”

    নরেন্দ্র—খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধে যদৃচ্ছালাভই ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Kathamrita)—অবস্থা বিশেষে উটি হয়। জ্ঞানীর পক্ষে কিছুতেই দোষ নাই। গীতার মতে জ্ঞানী আপনি খায় না, কুণ্ডলিনীকে আহুতি দেয়।

    “ভক্তের পক্ষে উটি নয়। আমার এখনকার অবস্থা,—বামুনের দেওয়া ভোগ না হলে খেতে পারি না! আগে এমন অবস্থা ছিল, দক্ষিণেশ্বরের ওপার থেকে মড়াপোড়ার যে গন্ধ আসতো, সেই গন্ধ নাক দিয়ে টেনে নিতাম এত মিষ্ট লাগতো। এখন সব্বাইয়ের খেতে পারি না।

    “পারি না বটে, আবার এক-একবার হয়ও। কেশব সেনের ওখানে (নববৃন্দাবন) থিয়েটারে আমায় নিয়ে গিয়েছিল। লুচি, ছক্কা আনলে। তা ধোবা কি নাপিত আনলে, জানি না (Kathamrita)। (সকলের হাস্য) বেশ খেলুম। রাখাল বললে, একটু খাও।

    নরেন্দ্রের (Ramakrishna) প্রতি—“তোমার এখন হবে। তুমি এতেও আছ, আবার ওতেও আছ! তুমি এখন সব খেতে পারবে।

    (ভক্তদের প্রতি)—“শূকর মাংস খেয়ে যদি ঈশ্বরে টান থাকে, সে লোক ধন্য! আর হবিষ্য করে যদি কামিনী-কাঞ্চনে মন তাকে তাহলে সে ধিক্‌।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 301: “বেদে আছে, হোমাপাখির কথা…যখন মাটির কাছে এসে পড়ে, তখন তার চৈতন্য হয়”

    Ramakrishna 301: “বেদে আছে, হোমাপাখির কথা…যখন মাটির কাছে এসে পড়ে, তখন তার চৈতন্য হয়”

    রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর

    মহাষ্টমীদিবসে রামের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    বিজয়, কেদার, রাম, সুরেন্দ্র, চুনি, নরেন্দ্র, নিরঞ্জন, বাবুরাম, মাস্টার 

    “স্থূল, সূক্ষ্ম, কারণ, মহাকারণ! মহাকারণে গেলে চুপ। সেখানে কথা চলে না!

    “ঈশ্বরকোটি (Ramakrishna) মহাকারণে গিয়ে ফিরে আসতে পারে। অবতারাদি ঈশ্বরকোটি। তারা উপরে উঠে, আবার নিচেও আসতে পারে। ছাদের উপরে উঠে, আবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে নিচে আনাগোনা করতে পারে। অনুলোম, বিলোম। সাততোলা বাড়ি, কেউ বারবাড়ি পর্যন্ত যেতে পারে। রাজার ছেলে, আপনার বাড়ি সাততোলায় যাওয়া আসা করতে পারে।

    “এক একরকম তুবড়ি আছে, একবার একরকম ফুল কেটে গেল, তারপর খানিকক্ষণ আর-একরকম ফুল কাটছে তারপর আবার আর-একরকম। তার নানারকম ফুলকাটা ফুরোয় (Kathamrita) না।

    “আর একরকম তুবড়ি আছে, আগুন দেওয়ার একটু পরেই ভস্‌ করে উঠে ভেঙে যায়! যদি সাধ্য-সাধনা করে উপরে যায়, তো আর এসে খপর দেয় না। জীবকোটির সাধ্য-সাধনা করে সমাধি হতে পারে। কিন্তু সমাধির পর নিচে আসতে বা এসে খপর দিতে পারে না।

    “একটি আছে, নিত্যসিদ্ধের থাক্‌। তারা জন্মাবধি ঈশ্বরকে (Ramakrishna) চায়, সংসারে কোন জিনিস তাদের ভাল লাগে না। বেদে আছে, হোমাপাখির কথা। এই পাখি খুব উঁচু আকাশে থাকে। ওই আকাশেই ডিম পাড়ে। এত উঁচুতে থাকে যে ডিম অনেকদিন ধরে পড়তে থাকে। পড়তে পড়তে ডিম ফুটে যায়। তখন ছানাটি পড়তে থাকে। অনেকদিন ধরে পড়ে। পড়তে পড়তে চোখ ফুটে যায়। যখন মাটির কাছে এসে পড়ে, তখন তার চৈতন্য হয়। তখন বুঝতে পারে যে, মাটি গায়ে ঠেকলেই মৃত্যু। পাখি চিৎকার করে মার দিকে চোঁচা দৌড়। মাটিতে মৃত্যু, মাটি দেখে ভয় হয়েছে! এখন মাকে চায়! মা সেই উঁচু আকাশে আছে। সেই দিকে চোঁচা দৌড়! আর কোন দিকে দৃষ্টি নাই (Kathamrita)।

    “অবতারে সঙ্গে যারা আসে, তারা নিত্যসিদ্ধ, কারু বা শেষ জন্ম।

    (বিজয়ের প্রতি)—“তোমাদের দুই-ই আছে। যোগ ও ভোগ। জনক রাজার যোগও ছিল, ভোগও ছিল। তাই জনক রাজর্ষি (Ramakrishna), রাজা ঋষি, দুই-ই। নারদ দেবর্ষি। শুকদেব ব্রহ্মর্ষি।

    “শুকদেব ব্রহ্মর্ষি, শুকদেব জ্ঞানী নন, জ্ঞানের ঘনমূর্তি। জ্ঞানী কাকে বলে? জ্ঞান হয়েছে যার— সাধ্য-সাধনা করে জ্ঞান হয়েছে। শুকদেব জ্ঞানের মূর্তি অর্থাৎ জ্ঞানের জমাটবাঁধা। এমনি হয়েছে সাধ্য-সাধনা করে নয়।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 300: “আন্তরিক হলে সংসারেও ঈশ্বরলাভ করা যায়, ‘আমি-আমার’—এইটি অজ্ঞান, হে ঈশ্বর, ‘তুমি-তোমার’—এইটি জ্ঞান”

    Ramakrishna 300: “আন্তরিক হলে সংসারেও ঈশ্বরলাভ করা যায়, ‘আমি-আমার’—এইটি অজ্ঞান, হে ঈশ্বর, ‘তুমি-তোমার’—এইটি জ্ঞান”

    সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে শ্রীরামকৃষ্ণ—দুর্গাপূজা দিবসে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে সেপ্টেম্বর

    বিজয় গোস্বামীর প্রতি উপদেশ

    বিজয় (কৃতাঞ্জলি হইয়া)—আপনি একটু আশীর্বাদ করুন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ও-সব অজ্ঞানের কথা। আশীর্বাদ ঈশ্বর করবেন।

    গৃহস্থ ব্রহ্মজ্ঞানীকে উপদেশ—গৃহস্থাশ্রম ও সন্ন্যাস 

    বিজয়—আজ্ঞা, আপনি কিছু উপদেশ দিন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সমাজগৃহের চতুর্দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া, সহাস্যে)—এ এরকম বেশ! সারে মাতে সারও আছে, মাতও আছে। (সকলের হাস্য) আমি বেশ কাটিয়ে জ্বলে গেছি। (সকলের হাস্য) নক্স খেলা জান? সতের ফোঁটার বেশি হলে জ্বলে যায়। একরকম তাস খেলা। যারা সতের ফোঁটার কমে থাকে, যারা পাঁচে থাকে, সাত থাকে, দশে থাকে, তারা সেয়ানা। আমি বেশি কাটিয়ে জ্বলে গেছি (Kathamrita)।

    “কেশব সেন বাড়িতে লেকচার দিলে। আমি শুনেছিলুম। অনেক লোক বসে ছিল। চিকের ভিতরে মেয়েরা ছিল। কেশব বললে, ‘হে ঈশ্বর (Kathamrita), তুমি আশীর্বাদ কর, যেন আমরা ভক্তি-নদীতে একেবারে ডুবে যাই।’ আমি হেসে কেশবকে বললুম, ভক্তি-নদীতে যদি একেবারে ডুবে যাবে তাহলে চিকের ভিতর যাঁরা রয়েছেন, ওঁদের দশা কি হবে? তবে এক কর্ম করো, ডুব দেবে, আর মাঝে মাঝে আড়ায় উঠবে। একেবারে ডুবে তলিয়ে যেও না। এই কথা শুনে কেশব আর সকলে হো-হো করে হাসতে লাগল।

    “তা হোক। আন্তরিক হলে সংসারেও ঈশ্বরলাভ করা যায়। ‘আমি ও আমার’—এইটি অজ্ঞান। হে ঈশ্বর, তুমি ও তোমার—এইটি জ্ঞান।

    “সংসারে থাকো, যেমন বড়মানুষের বাড়ির ঝি। সব কাজ করে, ছেলে মানুষ করে, বাবুর ছেলেকে বলে আমার হরি কিন্তু তার মন দেশে পড়ে থাকে। তেমনি সংসারে সব কর্ম কর কিন্তু ঈশ্বরের (Kathamrita) দিকে মন রেখো। আর জেনো যে, গৃহ, পরিবার পুত্র—এ-সব আমার নয়, এ-সব তাঁর। আমি কেবল তাঁর দাস।

    “আমি মনে ত্যাগ করতে বলি। সংসারত্যাগ বলি না। অনাসক্ত হয়ে সংসারে থেকে, আন্তরিক চাইলে, তাঁকে পাওয়া যায়।”

    ব্রাহ্মসমাজ ও ধ্যানযোগ—Subjective and Objective

    (বিজয়ের প্রতি)—“আমিও চক্ষু বুজে ধ্যান কত্তুম। তারপর ভাবলুম। এমন কল্‌লে (চক্ষু বুজলে) ঈশ্বর (Ramakrishna) আছেন, আর এমন কল্‌ লে (চক্ষু খুললে) কি ঈশ্বর নাই, চক্ষু খুলেও দেখছি, ঈশ্বর সর্বভূতে রয়েছেন। মানুষ, জীবজন্তু, গা ছপালা, চন্দ্রসূর্যমধ্যে, জলে, স্থলে—সর্বভূতে তিনি আছেন।”

    শিবনাথ—শ্রীযুক্ত কেদার চাটুজ্যে 

    “কেন শিবনাথকে চাই? যে অনেকদিন ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করে, তার ভিতর সার আছে। তার ভিতর ঈশ্বরের শক্তি আছে। আবার যে ভাল গায়, ভাল বাজায়, কোন একটা বিদ্যা খুব ভালরকম জানে, তার ভিতরেও সার আছে (Kathamrita)। ঈশ্বরের শক্তি আছে। এটি গীতার মত। চন্ডীতে আছে, যে খুব সুন্দর, তার ভিতরও সার আছে, ঈশ্বরের শক্তি আছে। (বিজয়ের প্রতি) আহা! কেদারের কি স্বভাব হয়েছে! এসেই কাঁদে! চোখ দুটি সর্বদাই যেন ছানাবড়া হয়ে আছে।”

    “বিজয়—সেখানে কেবল আপনার কথা, আর তিনি আপনার কাছে আসবার জন্য ব্যাকুল!

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর গাত্রোত্থান করিলেন। ব্রাহ্মভক্তেরা নমস্কার করিলেন। তিনিও তাঁহাদিগকে নমস্কার করিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) গাড়িতে উঠিলেন। অধরের বাড়িতে প্রতিমাদর্শন করিতে যাইতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস), ২০২৫ সালের ২১ থেকে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সংঘের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংস্থা এবং এটি প্রতি বছর আয়োজিত হয়। এবারের এবিপিএস বেঙ্গালুরু শহরের কাছে চান্নেনাহল্লিতে অবস্থিত জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।

    সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (RSS)

    গত বছর সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (কার্যবৃত্ত) এই বৈঠকে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হবে। এর বিশ্লেষণের পাশাপাশি, সংঘের বিভিন্ন প্রান্ত ও শাখার দ্বারা গত বছরের বিশেষ উদ্যোগগুলির প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হবে। ১৯ মার্চ, বেঙ্গালুরুতে জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে, আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানান, বৈঠকটি ২১ মার্চ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, “আরএসএসের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে গত বছরের কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন, যেখানে শাখা কার্যক্রম, বিশেষ কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলির বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরা তাদের নানা প্রান্তে হয়ে যাওয়া কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন, যার মধ্যে উদ্যোগ, বিশেষ কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ের কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে (Bengaluru)।”

    কী বললেন সুনীল অম্বেকার?

    সুনীল আম্বেকার বলেন, “২০২৫ সালে বিজয়া দশমীতে আরএসএসের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শাখা সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যগুলির পর্যালোচনা করা হবে। ২০২৫-২০২৬ সালটি আরএসএসের (RSS) শতবার্ষিকী বছর হিসেবে পালিত হবে। এই সভায় সেই সময়কালে আয়োজিত কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বছর, সংঘ চিন্তা ও কাজের প্রসার এবং এতে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালানো হবে।” তিনি বলেন, “পঞ্চ পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তনের পাঁচটি মূল বিষয়, যথা সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন, পরিবেশ সচেতনতা, ‘স্ব’ এর ওপর জোর এবং নাগরিকদের দায়িত্বগুলিও আলোচনা করা হবে।”

    দুটি প্রস্তাব

    সুনীল আম্বেকর জানান, বিভিন্ন প্রান্তের কার্যকর্তারা জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা, অন্তর্দৃষ্টি এবং চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন। তিনি বলেন, এই সভায় দুটি প্রস্তাব গৃহীত হবে- প্রথম প্রস্তাবটি বাংলাদেশে ঘটে চলা উদ্বেগজনক ঘটনাবলী, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হবে আরএসএসের গত ১০০ বছরের যাত্রা, শতবর্ষ উদযাপনকালীন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। প্রতিনিধি সভায় রানি আবাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অবদান নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

    আরএসএসের (RSS) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে স্বয়ংসেবকদের জন্য ৯৫টি প্রথম বর্গ ও দ্বিতীয় বর্গ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭২টি বর্গ ৪০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এবং ২৩টি বর্গ ৪০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য হবে। প্রতিনিধি সভায় সর সংঘচালক মোহন ভাগবতজির জাতীয় পর্যায়ের প্রবাস পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন এবং প্রতিনিধি সভায় আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করবেন (Bengaluru)।

    শতবর্ষ উদযাপন

    গত কয়েক বছরের কাজ সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর বলেন, “গত চার বছর ধরে, আমাদের শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষিতে, আমাদের স্বয়ংসেবকরা দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছেছেন, শাখার সংখ্যা বাড়িয়েছেন এবং আরএসএসের কার্যক্রম প্রসারিত করেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ‘Join RSS’ লিংকের মাধ্যমে প্রতি বছর ১.২ লক্ষ ব্যক্তি আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।” হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশে নয়, আরএসএস বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গর্ব ও নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষত যেখানে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হয়।”

    হিংসার নিন্দা

    সুনীল আম্বেকর নাগপুরের হিংসারও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “যে কোনও ধরনের হিংসা সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আমি মনে করি পুলিশ এই ঘটনাটি লক্ষ্য করেছে এবং বিস্তারিত তদন্ত করবে।” ঔরঙ্গজেবের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (ঔরঙ্গজেব) আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক নন।” জানা গিয়েছে, আরএসএসের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সহ বাকি ছয় সহ-সরকার্যবাহ এবং নির্বাহী সমিতির সকল সদস্য এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মোট ১,৫০০ কর্মী, মূলত প্রান্ত ও ক্ষেত্র পর্যায় থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন। ৩২টি আরএসএস প্রভাবিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠন সম্পাদকও উপস্থিত থাকবেন (Bengaluru)।

  • Electoral Fraud: ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে আধার-এপিক কার্ড লিংকের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের

    Electoral Fraud: ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে আধার-এপিক কার্ড লিংকের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটারদের (Electoral Fraud) নির্মূল করতে বড়সড় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল (AADHAAR Voter Cards Link) কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অবাঞ্ছিত ভোটারদের ভোট-প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার (Electoral Fraud)

    এই উদ্যোগ নিতে হলে প্রযুক্তিগত ও আইনি পরিকাঠামো কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক, ইউআইডিএআই এবং অন্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও আরও দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু ও বিবেক জোশিম। সেখানে নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংবিধানের ৩২৬ নম্বর ধারার অধীনে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকলেও, আধার কার্ড কেবল পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এই দুইয়ের সংযোগ সাংবিধানিক বিধান ও আইনি নির্দেশিকা অনুসরণ করবে। এই সিদ্ধান্তের পর শীঘ্রই ইউআইডিএআই এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

    আধার-ভোটার কার্ড সংযোগ

    জানা গিয়েছে, আধার-ভোটার কার্ডের এই সংযোগ ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ২৩(৪), ২৩(৫), এবং ২৩(৬)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং ডাব্লুপি (সিভিল) নং ১৭৭/২০২৩-এ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ২৩(৬) নিশ্চিত করে যে, কোনও নির্বাচক যদি পর্যাপ্ত কারণ দেখাতে পারেন, তাহলে আধার নম্বর দেওয়া বা শেয়ার করতে না পারার কারণে তাঁকে নির্বাচনী তালিকা থেকে সরানো হবে না। এটি নিশ্চিত করে যে আধার সংযোগ শুধুমাত্র তখনই হবে যখন নির্বাচক স্বেচ্ছায় তাঁর আধার নম্বর জমা দেবেন। যাঁরা আধার বিবরণ প্রদানে বৈধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন, তাঁদের অধিকার রক্ষা করা হবে (AADHAAR Voter Cards Link)।

    স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি

    নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ১ অগাস্ট থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি চালু করেছে, যার মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ভোটারদের থেকে আধার নম্বর সংগ্রহ করা হবে। আধার প্রমাণীকরণের (Electoral Fraud) জন্য সম্মতি ফর্ম ৬বি-র মাধ্যমে নেওয়া হয়, এবং একবার সম্মতি দেওয়া হলে, তা প্রত্যাহারের কোনও ব্যবস্থা নেই।

    নির্বাচনী জালিয়াতি

    এই উদ্যোগটি ভারতের নির্বাচনী জালিয়াতি ও কারচুপি মোকাবিলার প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য মোড় হিসাবে চিহ্নিত। আধার সিস্টেমের সুবিধা নিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি আরও নির্ভুল এবং বিশ্বস্ত ভোটার ডেটাবেস তৈরি করতে চায়। আধার-ইপিআইসি সংযোগ নকল ভোটারদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা নিশ্চিত করবে যে শুধুমাত্র যোগ্য ভোটাররাই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা শক্তিশালী হবে।

    ভুতুড়ে ভোটার

    কয়েক বছর আগে কারও মৃত্যু হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় দিব্যি রয়েছেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড কিংবা রেশন কার্ড জমা দিয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন অন্য কেউ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নাম রয়ে যাচ্ছে ভোটার তালিকায়। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা জীবিত থাকলেও, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গিয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের খাতায় তিনি মৃত। নানা সময় এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের শাসক কিংবা বিরোধীরাও এনিয়ে সরব হয়েছেন। ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে মঙ্গলবার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দুপক্ষই নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ জানিয়েছিল (Electoral Fraud)। বিজেপির অভিযোগ, বাংলায় ১৩ লাখের বেশি ভুয়ো ভোটার রয়েছে তালিকায়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে সরব হয় পদ্ম শিবির। এনিয়ে উত্তপ্ত হয় সংসদের উভয় কক্ষই। ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ হতেই বিক্ষোভে শামিল হন দেশের বিভিন্ন দলের সাংসদরা (AADHAAR Voter Cards Link)।

    ভুতুড়ে ভোটারমুক্ত তালিকা

    এর পরেই ভোটার তালিকা ভুতুড়ে ভোটারমুক্ত করতে তৎপর হয় নির্বাচন কমিশন। ডাকা হয় বৈঠক। বর্তমানে ভোটার আইডির সঙ্গে আধার লিংক করা কারও ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে এবং নাগরিকদের আইনত আধারের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া জোরদার করতে ইসিআই রাজনৈতিক দলগুলিকে এর সঙ্গে জুড়ছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব (AADHAAR Voter Cards Link) জাতীয় ও রাজ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ইআরও, ডিইও এবং সিইওদের কাছে এ সংক্রান্ত অমীমাংসিত সমস্যার কথা জানানোর কথা বলেছে (Electoral Fraud)।

  • PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ ২০২৫-এর (Maha kumbh 2025) ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই মহাকুম্ভের সাফল্যের জয়গান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় চেতনার প্রমাণ (PM Modi)

    তিনি একে ভারতের আধ্যাত্মিক ও জাতীয় চেতনার প্রমাণ বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিশাল সমাবেশের সুন্দর ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেন, যা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু ও মানুষকে আকর্ষণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভকে বিভিন্ন “অমৃত”-এর উৎস বলে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে “ঐক্য” হল সবচেয়ে পবিত্র। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ হল সেই বিশেষ মুহূর্ত যখন মানুষ সারা দেশ থেকে একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের জাত, ভাষা, অঞ্চল, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পক্ষপাত ভুলে গিয়ে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছিলেন। এই ভাবনা প্রচার করেছিলেন যে এটি কখনও “আমি” এর জন্য নয়, বরং সর্বদা “আমরা” এর জন্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা মহাকুম্ভের পরিমাণ ও প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা তাঁদের উত্তর পেয়েছে দেশজুড়ে দেখা গেছে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে।”

    রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহ

    মহাকুম্ভে রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫-এ জাতীয় সচেতনতার একটি অসাধারণ প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রয়াগরাজে একত্রিত হয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্ম গভীর আবেগ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে মহাকুম্ভ আঞ্চলিক, ভাষাগত এবং সামাজিক সীমা অতিক্রম করে একটি সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের মহিমা হল ভারতের ঐক্যের ক্ষমতার প্রতিফলন, যা বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সাধারণ লক্ষ্যের দিকে কাজ করে।”

    প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর মরিশাস সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি যখন ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জল গঙ্গা তালাবে উৎসর্গ করেছিলাম, তখন তা প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এক গভীর ভক্তির অনুভূতি জাগিয়েছিল।” তিনি বলেন, “ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, এবং এই একত্রিত হওয়ার চেতনাকে আরও লালন করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

    মহাকুম্ভে অমৃত স্নান

    চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভে অমৃত স্নান। শেষ হয়েছিল ৪৫ দিন পরে, ২৬ ফেব্রুয়ারি। তিন পক্ষের এই মহাকুম্ভ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও ৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানের প্রভাব ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডকে মহাকুম্ভের গঙ্গাজল উপহার দেন। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছিলেন ৭৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, এটি এই গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক সমাবেশের বৈশ্বিক সচেতনতা প্রদর্শন করে।

    ভারতের ঐক্যের শক্তি

    বিশ্বজুড়ে চলা সংঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যের শক্তিকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বের অনেক অংশ বিভক্ত থাকলেও, ভারত ঐক্য ও সম্মিলিত ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই ঐক্যই আমাদের আশীর্বাদ ও আমাদের শক্তি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের সময় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক প্রথাগুলি ঐক্যবদ্ধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। মহাকুম্ভ, যা বিশ্বাসীদের এক বিশাল সমাবেশ, এটি লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ঐক্য ও বিশ্বাসের অনুভূতি পুনরায় জাগ্রত করে।” তিনি বলেন, “এই ধরনের বৃহৎ অনুষ্ঠানগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এবং ঐতিহ্য রক্ষার পথে দেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।”

    পরিবেশগত গুরুত্বে জোর

    প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভের পরিবেশগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তিনি একটি বৃহত্তর নদী সংরক্ষণ আন্দোলনের আহ্বানও জানান। জল সংরক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ‘নদী উৎসব’ প্রসারিত করার অনুরোধও জানান। তিনি (PM Modi) বলেন, “কুম্ভমেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম টেকসই উন্নয়নে জন আন্দোলনের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।” নদী দূষিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি জোর দিয়েছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলাশয় সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো প্রয়োজনের ওপর। তাঁর মতে, নদী উৎসবের প্রসার ভারতের বিশাল নদী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত ও সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (Maha kumbh 2025)।

    ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড়

    এদিন তিনি ফের বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড় বুঝতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহাকুম্ভের মতো ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” একটি ক্রমবর্ধমান আধুনিক বিশ্বে, যেখানে অনলাইন শক্তি জীবনকে রূপান্তরিত করছে, সেখানে তিনি আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গর্বিত হয়েছেন এই ভেবে যে যখন দেখলেন তরুণরা তাদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহাকুম্ভের মতো উৎসবগুলি কেবল ধর্মীয় সমাবেশই নয়, বরং ভারতের ঐতিহাসিক সহনশীলতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরনের উৎসবগুলি যেন অক্ষুণ্ন রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

  • Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচগুলি রফতানি করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। বগি পাঠানো হচ্ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং সৌদি আরবে। এই সব ঘটনা বিশ্বব্যাপী দেশের রেলওয়ের (Indian Railways) ক্রমবর্ধমান উন্নতির প্রতিফলন ঘটায়।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মন্ত্রীর দাবি (Indian Railways)

    সোমবার রাজ্যসভায় তিনি (Metro Coaches) জানান, ভারত ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও ইতালির মতো একাধিক ইউরোপীয় দেশকে প্রপালশন সিস্টেম এবং বগি বা আন্ডারফ্রেমের মতো অন্যান্য রেল সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। রেলওয়ে বাজেটের ওপর আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, “আজ, আমাদের দেশ থেকে মেট্রো কোচ অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ এবং কোচের নীচের যান্ত্রিক কাঠামো, যাকে বগি বা আন্ডারফ্রেম বলা হয়, ব্রিটেন, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, প্রোপালশন সিস্টেম এখন ফ্রান্স, মেক্সিকো, রোমানিয়া, স্পেন, জার্মানি এবং ইতালিতে রফতানি করা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

    চাহিদা লোকোমোটিভেরও!

    তিনি বলেন, “ভারতে তৈরি লোকোমোটিভ এবং যাত্রিবাহী কোচগুলি মোজাম্বিক, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় রফতানি করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই বিহারের মারহাওড়া কারখানা ১০০টিরও বেশি লোকোমোটিভ রফতানি করবে। এছাড়াও, তামিলনাড়ু থেকে (Indian Railways) চাকা রফতানি করা হবে।” অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে যে কারখানার কথা ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটা গতি লাভ করে। তিনি বলেন, “ভারতীয় রেল কেবল সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিষেবা দিচ্ছে না, বরং বিশ্বব্যাপী একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ও তৈরি করছে।”

    ভারত রেল যাত্রীদের আরও বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, ট্রেনে প্রতি কিলোমিটার ভ্রমণের খরচ পড়ে ১.৩৮ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মাত্র ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ভর্তুকি দেওয়া হয় ৪৭ শতাংশ। তিনি জানান (Metro Coaches), ভারতীয় রেল ২০২০ সাল থেকে ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধি করেনি (Indian Railways)।

  • Recruitment Case: দিলেন গোপন জবানবন্দি, এবার রাজসাক্ষী হতে চান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য

    Recruitment Case: দিলেন গোপন জবানবন্দি, এবার রাজসাক্ষী হতে চান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিপদ বাড়াতে চলেছেন তাঁরই জামাই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) তিনি আগেই জবানবন্দি দিয়েছেন। এবার রাজসাক্ষী হচ্ছেন পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় তিনিও ছিলেন। তবে রাজসাক্ষী হলে তিনি আর অভিযুক্ত থাকবেন না।

    অতিরিক্ত চার্জশিট (Recruitment Case)

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। কীভাবে, কোন সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ হয়েছে, ওই চার্জশিটে তা উল্লেখ করা হয়। এই অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় কল্যাণময়কেও। আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় বর্তমানে কলকাতায়। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর জামাইকে একাধিকবার জেরা করে জানা গিয়েছে, নানা সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে নগদে টাকা দিতেন পার্থ। সেই টাকাই ফিরে আসত পার্থর স্ত্রী বাবলির নামে তৈরি বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-এ। এভাবেই ওই ট্রাস্ট হয়ে উঠেছিল দুর্নীতির আখড়া। অন্তত নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতেই এমন দাবি করা হয়েছে।

    কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে (Recruitment Case) তৈরি ট্রাস্ট এবং কল্যাণময়ের নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল। কল্যাণময় ও তাঁর সংস্থার নামে অভিযোগও দায়ের হয়। সম্প্রতি আইনজীবী মারফত পার্থর জামাই আবেদন করেছিলেন, গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে চান। বিচারক তাঁর ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। এর পরেই তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতকে দ্রুত কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

    কিছুদিন আগেই পার্থর জামাই আবেদন করেছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে। পরবর্তীতে তা মঞ্জুর হয় ব্যাংকশালে ইডির বিশেষ আদালতে। জানা যায়, নিজের অপরাধ মার্জনা করার আবেদনও জানান কল্যাণময়। এর পরেই ইডির বিশেষ আদালতে বিচারক জানান, কল্যাণময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। তাঁর আবেদন অনুযায়ী, আদালত নির্দেশ দেয়, তিনি নগর ও দায়রা আদালতে ২০ নম্বর জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন (Partha Chatterjee)। সেই নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দি দেন কল্যাণময় (Recruitment Case)।

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, বরং পড়ুন, চিনের (China) মুখে ভারতের নাম! এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের শি জিনপিং সরকার। আমেরিকা সফরে গিয়ে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সাক্ষাৎকারে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন।

    হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক (China)

    এনিয়ে ফের একবার ‘হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্যে’র প্রসঙ্গ তুলে আনল বেজিং। রাখঢাক না করেই চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির বয়ান বাস্তববাদী। ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমার দেশ মোদির এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে।”

    ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক

    এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকেও বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়।” এই আবহে মাও বলেন, “অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যের সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিক নির্দেশনা দিয়েছে।”

    চিনের প্রশস্তি

    ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি ভারতের অপর প্রতিবেশী চিনকে (China) নিয়ে তাঁর সুর ছিল নরম। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিবারে’র উদাহরণ টেনেছিলেন। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের যে বিবাদ রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে যে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা মেনে নিয়েছেন মোদি। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে চিন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।

    ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদি জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।” ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে সীমান্তে (China) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি (PM Modi)।”

LinkedIn
Share