Tag: Bengali news

Bengali news

  • Karachi Violence: করাচিতে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান

    Karachi Violence: করাচিতে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিস্তার নেই পাকিস্তানের। বালুচদের পর এবার দাবি স্বাধীন সিন্ধুদেশের (Sindhudesh Demand)। পাকিস্তানেরই করাচি শহরের বুকে শোনা গেল ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগানও (Karachi Violence)। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার স্বাধীনতাকামী মানুষ। যার জেরে ছড়াল হিংসা। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। এদিন ‘সিন্ধি কালচার ডে’ উপলক্ষে রাস্তায় নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি। পাথর ছোড়ার পাশাপাশি এলাকায় চলে ভাঙচুর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের। জিয়ে সিন্ধ মুতাহিদা মহাজ (JSSM)-এর ব্যানারে বিপুলসংখ্যক সিন্ধি বিক্ষোভকারী ‘আজাদি’ এবং ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগান দেন। তাঁরা সিন্ধের মুক্তির দাবি জানান, যা সিন্ধি জাতীয়তাবাদী দলগুলির দীর্ঘদিনের আবেগকে উসকে দেয়। সিন্ধু নদের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলই হল সিন্ধ প্রদেশ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় এই প্রদেশ। মহাভারতে সিন্ধুদেশের উল্লেখ রয়েছে। এটিই ছিল বর্তমান সিন্ধ এলাকার প্রাচীন জনপদের নাম। বর্তমানে এটি পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম প্রদেশ।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি (Karachi Violence)

    রবিবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন প্রশাসন আন্দোলনকারীদের মিছিলের পথ বদলে দেয়। এতেই বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সিন্ধদের সংগঠন জেএসএসএমের ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। করাচির জনবহুল রাস্তায় পাক সরকার ও প্রশাসনের মুণ্ডুপাত করা হয়। দাবি ওঠে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পদত্যাগেরও। এর পরেই আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও সেনা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আন্দোলনকারীরাও। তাঁদের একাংশ নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। শুরু হয় ভাঙচুর। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

    জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে অন্তত ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। যারা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি ও পুলিশ এবং যানবাহন ভাঙচুরে জড়িত, অবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সিন্ধ প্রদেশের দাবিটি ফের জোরালো হয়ে উঠেছে, কারণ সিন্ধ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত সপ্তাহে এক পাক নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত আলোচনায় এক সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) প্রধান আলতাফ হুসেইন এক সময় সিন্ধের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার মিরজাকে বলেছিলেন যে ১৮তম সংশোধনী পাস হওয়ার পর সিন্ধুদেশ কার্ড এখন আমাদের হাতে এসেছে (Karachi Violence)।

    রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য

    ভারতেও বিষয়টি আলোচনায় আসে, যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “একদিন সিন্ধ প্রদেশ আবারও ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে। গত মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সিন্ধি সমাজ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ বলেছিলেন, আমার প্রজন্মের বহু সিন্ধি হিন্দু ১৯৪৭ সালের সেই সিদ্ধান্তকে কখনওই সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে পারেননি। তা সত্ত্বেও সিন্ধ পাকিস্তানের অংশ হয়ে গিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সিন্ধ বরাবরই সাংস্কৃতিকভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত। আজ সিন্ধ ভারতের অংশ না হলেও, সভ্যতার দৃষ্টিতে সিন্ধ (Sindhudesh Demand) সর্বদা ভারতের অংশ হয়েই থাকবে। জমির ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত বদলাতে পারে। কে জানে, ভবিষ্যতে হয়তো সিন্ধ আবারও ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।”

    পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    রাজনাথের এহেন মন্তব্যে বিরক্ত হয় পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মন্তব্যটিকে গভীর উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে ভারতকে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। তবে সিন্ধ প্রদেশের ভেতরে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে তেমন কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন নেই। এসব সংগঠনের দাবি মূলত পাকিস্তানের ভেতরেই স্বায়ত্তশাসন, অথবা একটি স্বাধীন ‘সিন্ধুদেশ’ গঠনের (Karachi Violence)। ঔপনিবেশিক আমলে সিন্ধ প্রদেশ ব্রিটিশ ভারতের একটি পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চল ছিল। পরে তাকে যুক্ত করা হয়। দেশভাগের পর এটি পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়।

    পৃথক সিন্ধুদেশের প্রথম দাবি

    পৃথক সিন্ধুদেশের প্রথম দাবি ওঠে ১৯৬৭ সালে জিএম সঈদ, যিনি দেশভাগেরও প্রথমদিকের সমর্থকদের একজন এবং পীর আলি মহম্মদ রাশদির নেতৃত্বে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর এই দাবি আরও গতি পায়। বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে সেই সম্প্রদায় অনুপ্রাণিত হয়েছিল এবং সিন্ধুর স্বতন্ত্র জাতিগত, ভাষাগত ও ঐতিহাসিক পরিচয়, যা সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত, তাকে গুরুত্ব দিয়েছিল (Sindhudesh Demand)। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান প্রদেশে এমনিতেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে পৃথক দেশ গড়তে চেয়ে আন্দোলন করছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই সিন্ধ প্রদেশ নিয়েও বাড়ছে অশান্তি। তাই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার (Karachi Violence)।

    এখন দেখার, কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয় পাক সরকার।

     

  • Ramakrishna 530: “যে যেমন কর্ম করবে সেরূপ ফল পাবে’…ঈশ্বরের শরণাগত হলে কর্ম ক্ষয় হয়”

    Ramakrishna 530: “যে যেমন কর্ম করবে সেরূপ ফল পাবে’…ঈশ্বরের শরণাগত হলে কর্ম ক্ষয় হয়”

    ৫০ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা নগরে ভক্তমন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২৮শে জুলাই
    শ্রীযুক্ত নন্দ বসুর বাটীতে শুভাগমন

    ঘরের দেওয়ালের উপর শ্রীযুক্ত কেশব সেনের (Ramakrishna) নববিধানের ছবি টাঙ্গানো ছিল। শ্রীযুক্ত সুরেশ মিত্র ওই ছবি করাইয়াছিলেন! তিনি ঠাকুরের একজন প্রিয় ভক্ত। ওই ছবিতে পরমহংসদেব কেশবকে দেখাইয়া দিতেছেন, ভিন্ন পথ দিয়া সব ধর্মাবলম্বীরা ঈশ্বরের দিকে যাইতেছেন। গন্তব্য স্থান এক, শুধু পথ আলাদা (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণন(Ramakrishna)—ও যে সুরেন্দ্রের পট!

    প্রসন্নের পিতা (সহাস্যে)—আপনিও ওর ভিতরে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—ওই একরকম, ওর ভিতর সবই আছে।—ইদানিং ভাব!

    এই কথা বলিতে বলিতে হঠাৎ ঠাকুর ভাবে বিভোর হইতেছেন। ঠাকুর জগন্মাতার সঙ্গে কথা কহিতেছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে মাতালের ন্যায় বলিতেছেন, “আমি বেহুঁশ হই নাই।” বাড়ির দিকে দৃষ্টি করিয়া বলিতেছেন, “বড় বাড়ি! এতে কি আছে? ইট, কাঠ, মাটি!”

    কিয়ৎক্ষণ পরে বলিতেছেন, “ঈশ্বরীয় মূর্তিসকল দেখে বড় আনন্দ হল।” আবার বলিতেছেন, “উগ্রমূর্তি, কালী, তারা (শব শিবা মধ্যে শ্মশানবাসিনী) রাখা ভাল নয়, রাখলে পূজা দিতে হয়।”

    পশুপতি (সহাস্যে)—তা তিনি যতদিন চালাবেন, ততদিন চলবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা বটে, কিন্তু ঈশ্বরেতে মন রাখা ভাল; তাঁকে ভুলে থাকা ভাল নয়।

    নন্দ বসু—তাঁতে মতি কই হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—তাঁর কৃপা কই হয়? তাঁর কি কৃপা করবার শক্তি আছে?

    ঈশ্বর কর্তা—না কর্মই ঈশ্বর 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সহাস্যে—বুঝেছি, তোমার পণ্ডিতের মত, ‘যে যেমন কর্ম করবে সেরূপ ফল পাবে’; ওগুলো ছেড়ে দাও! ঈশ্বরের শরণাগত হলে কর্ম ক্ষয় হয়। আমি মার কছে ফুল হাতে করে বলেছিলাম, ‘মা! এই লও তোমার পাপ, এই লও তোমার পুণ্য; আমি কিছুই চাই না, তুমি আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও। এই লও তোমার ভাল, এই লও তোমার মন্দ; আমি ভালমন্দ কিছুই চাই না, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও। এই লও তোমার ধর্ম, এই লও তোমার অধর্ম; আমি ধর্মাধর্ম কিছুই চাই না, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও। এই লও তোমার জ্ঞান, এই লও তোমার অজ্ঞান; আমি জ্ঞান-অজ্ঞান কিছুই চাই না, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও। এই লও তোমার শুচি, এই লও তোমার অশুচি, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও।’

    নন্দ বসু—আইন তিনি ছাড়াতে পারেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে কি! তিনি ঈশ্বর, তিনি সব পারেন; যিনি আইন করেছেন, তিনি আইন বদলাতে (Kathamrita) পারেন।

  • Pokhara Airport: পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    Pokhara Airport: পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের দুর্নীতি তদন্ত কমিশন চিনের অর্থে নির্মিত পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করল দুর্নীতির মামলা (China Nepal)। অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন প্রাক্তন মন্ত্রীও রয়েছেন। রবিবার বিশেষ আদালতে দায়ের করা এই মামলা নেপালের পদস্থ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তম দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (Pokhara Airport)।

    দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের বক্তব্য (Pokhara Airport)

    দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের সহকারি মুখপাত্র গণেশ বহাদুর অধিকারীর মতে, অভিযুক্তরা বিমানবন্দর তৈরির সময় চিনের দেওয়া সফট লোনের আওতায় প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা ৮.৩৬ বিলিয়ন নেপালি রুপি আত্মসাৎ করেছেন। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ব্যয়, চুক্তি-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (BRI) অধীনে চিনা প্রতিষ্ঠানের ঋণনির্ভর পরিকাঠামো চাপিয়ে দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    কাঠগড়ায় যাঁরা

    যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁরা হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাম শরণ মহাত, ভীম প্রসাদ আচার্য, প্রয়াত পোস্ট বহাদুর বোগাটী, রাম কুমার শ্রেষ্ঠা এবং দীপক চন্দ্র আমাত্য। এছাড়াও নেপাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির ১০ জন প্রাক্তন সচিব ও পদস্থ কর্তা, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল ত্রিরত্ন মহারজন, রতীশ চন্দ্র লাল সুমন এবং বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল প্রদীপ অধিকারী, এঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    চিনা ঠিকাদারি সংস্থা চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং এর নেপালে নিযুক্ত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি সরকারি পরিকাঠামো প্রকল্পে বিদেশি কোম্পানিগুলির ভূমিকা নিয়ে সিআইএএর নজরদারি আরও (Pokhara Airport) বিস্তৃত হয়েছে বলেই ইঙ্গিত দেয়।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্নপূর্ণা সার্কিটের দ্বার। নেপালের পর্যটন খাতে বড় ধরনের অগ্রগতির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ভাবা হয়েছিল একে। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিমানবন্দরটি কোনও নির্ধারিত আন্তর্জাতিক (China Nepal) যাত্রিবাহী উড়ান পায়নি। এতেই ওঠে নানা প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া দুর্নীতির অভিযোগ চিন-সমর্থিত নেপালের প্রকল্পগুলির ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যেসব প্রকল্পের সমালোচনা করা হয়েছে অস্বচ্ছ চুক্তি এবং সন্দেহজনক আর্থিক মডেলের জন্য (Pokhara Airport)।

  • Amazon: ৫ বছরে ভারতে ৩৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যামাজন, আরও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    Amazon: ৫ বছরে ভারতে ৩৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যামাজন, আরও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের সব ব্যবসায় ৩৫ বিলিয়ন (৩৫০০ কোটি) মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা করল অ্যামাজন (Amazon)। মঙ্গলবার এর মাধ্যমে ভারতীয় ডিজিটাল অর্থনীতি, এআই-নির্ভর রূপান্তর এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি আরও গভীর হবে। এই নয়া বিনিয়োগ গত ১৫ বছরে ভারতে (India) ইতিমধ্যেই করা প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ১০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত অ্যামাজন সম্ভব সামিটের ষষ্ঠতম অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে পরামর্শক সংস্থা ‘কিস্টোন স্ট্র্যাটেজি’ প্রণীত একটি অর্থনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।

    পরিকাঠামোর উন্নয়ন (Amazon)

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মী পারিশ্রমিক-সহ অ্যামাজনের মোট বিনিয়োগ তাকে ভারতের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী, ই-কমার্স রফতানির সব চেয়ে বড় সহায়ক এবং দেশের অন্যতম প্রধান কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ তিনটি কৌশলগত স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে, এআই-চালিত ডিজিটাইজেশন, রফতানি বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ। এটি ভারতের বৃহত্তর ডিজিটাল ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারগুলির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। অ্যামাজন বলেছে, তারা সারা ভারতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল – উভয় ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফুলফিলমেন্ট সেন্টার, পরিবহণ নেটওয়ার্ক, ডেটা সেন্টার, ডিজিটাল পেমেন্ট পরিকাঠামো ও প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম (Amazon)।

    একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি

    কিস্টোন রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যামাজন এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসাকে ডিজিটাইজ করেছে, ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমষ্টিগত ই-কমার্স রফতানি সক্ষম করেছে এবং ২০২৪ সালে বিভিন্ন শিল্পে প্রায় ২৮ লক্ষ সরাসরি, পরোক্ষ, প্রভাবিত এবং অস্থায়ী কর্মসংস্থানকে সাহায্য করেছে (India)। এই চাকরিগুলি প্রযুক্তি, অপারেশনস, লজিস্টিকস এবং কাস্টমার সাপোর্ট-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত, যেখানে প্রতিযোগিতামূলক বেতন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ-সহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়। আমাজনের অর্থনৈতিক প্রভাব তাদের প্রত্যক্ষ কর্মীপরিসীমার অনেক বাইরে পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যাকেজিং, লজিস্টিকস, উৎপাদন এবং প্রযুক্তি-সংক্রান্ত সেবাখাতে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাদের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে হাজার হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছে (Amazon)।

    অ্যামাজনের বক্তব্য

    ২০৩০ সালের মধ্যে অ্যামাজন ভারতে অতিরিক্ত ১০ লাখ প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ, প্রভাবিত এবং অস্থায়ী চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে। যে সব ব্যবসা চলছে, তার সম্প্রসারণ, ফুলফিলমেন্ট এবং ডেলিভারি নেটওয়ার্কের বিস্তার, এবং প্যাকেজিং, উৎপাদন ও পরিবহণ-সহ সংশ্লিষ্ট খাতে বাড়তি চাহিদা – এসব মিলিয়েই এই নয়া কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এ ব্যাপারে অ্যামাজনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইমার্জিং মার্কেটস) অমিত আগরওয়াল বলেন, “ভারতে কোম্পানির বৃদ্ধি দেশের ডিজিটাল লক্ষ্যগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

    ডিজিটাল রূপান্তর

    তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা সম্মানিত। ভারতে অ্যামাজনের বৃদ্ধি ‘আত্মনির্ভর’ এবং ‘বিকশিত ভারতে’র স্বপ্নের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা ভারতের ছোট ব্যবসার জন্য ভৌত ও ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিরাট পরিমাণে বিনিয়োগ করেছি, লাখো চাকরি সৃষ্টি করেছি এবং মেইড-ইন-ইন্ডিয়াকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিয়েছি (Amazon)।” দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা সমগ্র ভারতে এআই প্রবেশাধিকারকে গণতান্ত্রিক করতে চায়, যাতে ব্যবসা, ভোক্তা এবং শিক্ষার্থীরা সহজেই এআই টুলস ব্যবহার করতে পারে (India)।

    বহু-ভাষিক ইন্টারফেস

    ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ১.৫ কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে এআইয়ের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। বর্তমানে অ্যামাজন.ইনের বিক্রেতারাই সেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং পরবর্তী প্রজন্মের সেলিং সলিউশন-সহ বিভিন্ন এআই-চালিত টুল ব্যবহার করছেন। একই সঙ্গে, শত শত মিলিয়ন গ্রাহকের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কোম্পানি এআই-ভিত্তিক উদ্ভাবন, যেমন, লেন্স এআইয়ের মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল ডিসকভারি, রুফুসের মাধ্যমে কথোপকথনভিত্তিক শপিং, এবং সাক্ষরতার বাধা দূর করতে বহু-ভাষিক ইন্টারফেস আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে (Amazon)।

    স্কুল শিক্ষার্থীকে এআই শিক্ষা

    অ্যামাজন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা ৪০ লাখ সরকারি স্কুল শিক্ষার্থীকে এআই শিক্ষা ও কেরিয়ার অনুসন্ধানের সুযোগ করে দেবে। এর মধ্যে থাকছে কাঠামোগত পাঠ্যক্রম সহায়তা, প্রযুক্তি কেরিয়ার ভ্রমণ, হাতে-কলমে এআই স্যান্ডবক্স অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ। এই কর্মসূচি ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০–এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও বেসরকারি সংস্থার অংশীদারিত্বের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে বলেই সংস্থা সূত্রে খবর।

    রফতানির ক্ষেত্রে অ্যামাজন

    রফতানির ক্ষেত্রে অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা ভারত থেকে ই-কমার্স রফতানির মোট পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়—যা বর্তমানে ২০ বিলিয়ন ডলার। আগরওয়াল বলেন, “আগামী দিনের দিকে তাকিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত যে আমরা ভারতের প্রবৃদ্ধির একটি অনুঘটক হিসেবে (India) কাজ চালিয়ে যেতে পারব, এআই–এর সুবিধা লাখো ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে দিতে, ১০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং দশকের শেষ নাগাদ ই-কমার্স রফতানি ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে (Amazon)।”

  • Trump’s Group: ভারতের ওপর খড়্গহস্ত ট্রাম্প, অথচ তাঁরই সংস্থা ভারতে ১ লাখ কোটি টাকা লগ্নি করবে!

    Trump’s Group: ভারতের ওপর খড়্গহস্ত ট্রাম্প, অথচ তাঁরই সংস্থা ভারতে ১ লাখ কোটি টাকা লগ্নি করবে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক্কা ব্যবসায়ীর মতোই আচরণ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trumps Group)! ভারতে অন্যদের বিনিয়োগ করতে নিষেধ করছেন তিনি। মুখে দিচ্ছেন চড়া শুল্ক চাপানোর হুমকি। অথচ সেই ট্রাম্পেরই ব্যবসায়িক গ্রুপ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ভারতে ১ লাখ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করবে। সোমবার, এই ঘোষণা করেন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশনের পরিচালক এরিক সুইডার। তিনি জানান, তেলঙ্গানার ফিউচার সিটি (Telanganas Future City) প্রকল্প-সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে আগামী ১০ বছরে এই বিনিয়োগ হবে।

    এরিক সুইডারের বক্তব্য (Trumps Group)

    ট্রুথ সোশ্যালের সিইও ছিলেন সুইডার। তিনি বলেন, “ভারত এখন উত্থানের পথে এবং প্রযুক্তিখাতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। আপনি যদি ২০ বছর আগের কথা ভাবেন একজন বাইরের পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বিশ্বের অপর প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রে বসে। তখন প্রযুক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যদি ভারতের কথা বলা হত, মানুষ বলত, ওহ, ওটাই সেই দেশ যেখানে কল সেন্টারগুলি আছে।” তিনি বলেন, “আর সময়ের সঙ্গে যখন সামনে এগিয়ে যাবেন এবং দেখবেন কারা এই প্রযুক্তি তৈরি করছে, কারা বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজ করছে, তখন আর আপনার চোখ এড়িয়ে যাবে না যে এই প্রতিভার বড় অংশই ভারত থেকে আসছে।” তেলঙ্গানা রাইজিং গ্লোবাল সামিট ২০২৫-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগাড়ে কথাগুলি বললেন সুইডার। তিনি বলেন, “আজকের দিনে এসে আপনি অন্ধ না হলে দেখবেন যে বিশ্বের প্রযুক্তিখাতের বহু প্রধান পুঁজিপতি ভারত থেকেই উঠে আসছেন। ভারত উত্থানশীল, এবং আমার মনে হয় না ভারতের এই অগ্রগতি থামবে। ভারত আরও এগিয়ে যাবে এবং প্রযুক্তিতে তামাম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের এক সঙ্গে বিনিয়োগ করার, এক সঙ্গে কাজ করার পথ খুঁজে বের করা জরুরি।”

    বিনিয়োগ করতে খুবই উৎসাহিত

    গত দু’দিন ধরে ভারত সফর করছেন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশনের পরিচালক সুইডার। তিনি এখানে বিভিন্ন প্রযুক্তি দেখেছেন এবং বিনিয়োগ করতে খুবই উৎসাহিত। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চাই যে আগামী ১০ বছরে আমাদের সংস্থাগুলির মাধ্যমে আমি ভবিষ্যৎ শহর প্রকল্প এবং এখানকার উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রগুলিতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চাই।” ট্রাম্পের (Trumps Group) কোম্পানির এই শীর্ষ কর্তা জানান, তিনি (Telangana’s Future City) তেলঙ্গানায় বিনিয়োগ করছেন কারণ মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁর মূলধন রাজ্যে সাদরে গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, “গত দু’দিনে আমি যা দেখেছি, যদিও আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বহু মাস ধরে আমায় এখানে আসার অনুরোধ করছিলেন কিন্তু আমি বারবার পিছিয়ে গিয়েছিলাম, আর এখন আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে অবশেষে এখানে এসেছি, তা হল সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে আমাদের মূলধন এখানে স্বাগত এবং তিনি ব্যবসার জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছেন। এটি এমন একটি জায়গা, যা দ্রুত অগ্রগতির পথে রয়েছে।”

    তেলঙ্গানা সরকারের অনন্য উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদকে একটি আন্তর্জাতিক শহরে উন্নীত করার লক্ষ্যে তেলঙ্গানা সরকার একটি অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডি ঘোষণা করেছেন, শহরের কিছু প্রধান ও বিশিষ্ট রাস্তার নতুন নামকরণ করা হবে। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও কোম্পানির নামে (Telangana’s Future City) এই রাস্তাগুলির নাম দেওয়া হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল, বিশ্ব মঞ্চে হায়দরাবাদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রয়াত রতন টাটাকে সম্মান জানাতে সরকার নেহরু আউটার রিং রোডের কাছে রাভিরালা থেকে শুরু করে প্রস্তাবিত (Trumps Group) ফিউচার সিটির সঙ্গে সংযোগকারী ১০০ মিটার প্রশস্ত গ্রিনফিল্ড রেডিয়াল রাস্তার নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, রাভিরালা ইন্টারচেঞ্জের নামকরণ ইতিমধ্যেই টাটা ইন্টারচেঞ্জ করা হয়েছে।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাভিনিউ

    তবে সব চেয়ে বেশি আলোচিত প্রস্তাবগুলির মধ্যে একটি হল মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের সামনের প্রধান রাস্তার নামকরণ হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাভিনিউ। এটিই হবে প্রথম ভারতীয় কোনও একটি শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে রাস্তা। জানা গিয়েছে, এজন্য সরকার শীঘ্রই বিদেশমন্ত্রক এবং মার্কিন দূতাবাসকে এই প্রস্তাবে অগ্রগতির জন্য একটি চিঠি পাঠাবে। মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির মতে, এটি হায়দরাবাদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ভ্যালুকে (Trumps Group) আরও উন্নত করবে (Telangana’s Future City) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে। এহেন আবহে ট্রাম্পের কোম্পানির ভারতে বিনিয়োগ করার ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

  • Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

    Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন হিন্দি সিনেমার দৃশ্য! সাক্ষীকে মারতে জেলে বসেই কি প্ল্যান করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের কুখ্যাত নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)? রেশন দুর্নীতি এবং সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন মামলার সাক্ষীকে হত্যার ছক করে ছিলেন। বিজেপি অবশ্য বারবার রাজ্যের জেল প্রশাসনকে তোপ দেগে অভিযোগ করে জানিয়েছে, জেলে বসেই শাহজাহান সন্দেশখালির মামলাকে প্রভাবিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। অভিযুক্ত নেতা জেলে থাকলেও তাঁর বিচরণ যে সর্বত্র তা আরও একবার প্রমাণিত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময় গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে ভোলা প্রাণে বাঁচলেও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি অবশ্য গোটা দুর্ঘটনার পিছনে শাহজাহানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে বলে মনে করছে।

    আগে থেকে পরিকল্পিত হামলা (Sandeshkhali)

    বুধবার, আদালতে ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) একটি মামলা। এই মামার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলা ঘোষ। আজ আদালতে যাচ্ছিলেন মামলার সাক্ষী দিতে। রাস্তায় যাওয়ার সময় ন্যাজাটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষের। একই ভাবে মৃত্যু হয় চালক শাহানুরের। কিন্তু বেঁচে যান ভোলা। তবে নিজে এখনও জানেন না ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাক চালক ধাক্কা মারার পর বাইকে করে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা যে আগে থেকেই পরিকল্পিত তাও দাবি করেছে বিজেপি।

    মামলার সাক্ষীকে খতম করাই উদ্দেশ্য

    বিজেপির অবশ্য দাবি, “শাহজাহানের মামলায় (Sandeshkhali) যেহেতু ভোলা সাক্ষী, তাই তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কোর্টে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত ভাবে হামলা করা হয়। আগে থেকে প্রিপ্ল্যান্ড্ ছিল। ছেলে এবং তাঁর গাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন সেই গাড়ির কাগজপত্র ঠিক ছিল না। আজকেই ইএমআই-এর তারিখ ছিল।”

    ভোলানাথ ঘোষ একসময়ে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) সঙ্গী ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ২০২১ সালে শাহজাহানের লোকজন ভোলার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছিল। তারপর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। কিন্তু শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরেই বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। ভোলা নিজে বলেন, “বয়ারমারি পার হয়েছি ওই লরিটা সামনে যাচ্ছিল আমাদের গাড়ি এগোচ্ছিল। ডাইরেক্ট এসে আমার গাড়িতে মারল। তারপর আমার গাড়ি জলে চলে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেলাম।”

    ‘‘এটা একশ শতাংশ খুন’’

    ভোলার বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে ভাবে খুন করা হয়েছে। এটা একশ শতাংশ খুন। আমি যা শুনেছি ট্রাকের ড্রাইভারের নাম আলিম। গারিটা ছিল লাউখালির। আগে থেকে বাবার গাড়ি ফলো করছিল। পাশ থেকে দুবার ধাক্কা দেওয়া হয়। এখানে শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) রাজ চলে, জেলে বসেই নিজের বৌয়ের সঙ্গে গল্প করেন তিনি। শাহজাহানের হয়ে ন্যাজাটের (Sandeshkhali) সবিতা রায় এবং মোসলেম শেখ দাপট চালাচ্ছে। ওদের ষড়যন্ত্রেই এই খুন হয়েছে।”

  • Motivated Campaign: রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যে বাদানুবাদ, কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতিরা?

    Motivated Campaign: রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যে বাদানুবাদ, কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলার শুনানি চলাকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya Remarks) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (Motivated Campaign) বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত দু’দল বিচারপতি। এক পক্ষের বক্তব্য, প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ‘অবিবেচনাপ্রসূত’। অন্য পক্ষের দাবি, তাঁর মন্তব্যকে নিয়ে প্রধান বিচারপতির যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    সুর্য কান্তকে খোলা চিঠি (Motivated Campaign)

    ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রবীণ আইনজীবী ও আইনবিদদের একটি দল সুর্য কান্তকে খোলা চিঠি লিখে তাঁর বেঞ্চ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে করা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। এই মন্তব্যগুলি উঠে এসেছিল ভারতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন সদস্যের হেফাজতে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির প্রেক্ষিতে। ২ ডিসেম্বরের সেই শুনানিতে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, প্রধান বিচারপতি   কান্ত মৌখিকভাবে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জানতে চেয়েছিলেন, “অনধিকারপ্রবেশকারীদের কি লাল গালিচা বিছিয়ে স্বাগত জানানো উচিত? যারা দেশে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে, তাদের জন্য বিচারসভা দারুণ কোনও রক্ষাকবচ দেবে, এটাই কি আবেদনকারীরা চান?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “উত্তর ভারতে আমাদের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল সীমান্ত রয়েছে। যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী প্রবেশও করে, তবে তাদের এখানে রাখার জন্য আমাদের কি বাধ্যবাধকতা আছে?”

    অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বক্তব্য

    এই ঘটনার পর (Motivated Campaign) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ওই দল চিঠিতে বলেন, হিংসা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের যখন এমন বক্তব্যের মুখোমুখি হতে হয় যা তাদের মর্যাদাকে অস্বীকার করে, তখন তা সংবিধানের মূল মূল্যবোধকে বিপন্ন করে এবং আদালতকে দুর্বল মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে জনগণের আস্থা নষ্ট করে। তাঁরা প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান, আদালতে মন্তব্যের মাধ্যমে মানব মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দাঁড়ানো সংবিধানিক নৈতিকতার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে (Rohingya Remarks)।

    পাল্টা জবাব

    এরই জবাবে অবসরপ্রাপ্ত আর একদল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, আদালতের কাজকর্ম ন্যায্য ও যুক্তিনিষ্ঠ সমালোচনার জন্য সবসময়ই উন্মুক্ত, কিন্তু বর্তমান আলোচনা নীতিনিষ্ঠ মতভেদের অনেক দূরে। চিঠিতে বলা হয়, “এই আলোচনার উদ্দেশ্য সাধারণ আদালতের প্রশ্নোত্তরকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যা দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে অযথা অগ্রাহ্য করা। প্রধান বিচারপতিকে শুধু একটি মৌলিক আইনি প্রশ্ন তোলার জন্যই নিশানা করা হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সেই মর্যাদা দিয়েছেন যেটি আদালতে দাবি করা হচ্ছে?” চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে বেঞ্চ খুব স্পষ্টভাবে বলেছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা কোনও মানুষ, সে তিনি (Motivated Campaign) নাগরিকই হোন বা বিদেশি, তাঁকে কখনওই নির্যাতন, নিখোঁজ বা অমানবিক আচরণের শিকার হতে দেওয়া যাবে না, এবং সবার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। অথচ সমালোচকরা এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন।

    ভারতীয় আইনে শরণার্থী

    ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, “রোহিঙ্গারা ভারতীয় আইনে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করেনি। তাদের কোনও আইনি শরণার্থী-সুরক্ষা কাঠামোর মাধ্যমে দেশে ঢোকানো হয়নি। অনেকেই অনিয়মিত বা অবৈধভাবে দেশে এসেছে, এবং শুধু দাবি করলেই সেই অবস্থাকে আইনি স্বীকৃত ‘শরণার্থী’ মর্যাদায় রূপান্তর করা যায় না।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত ১৯৫১ সালের রাষ্ট্রসংঘ শরণার্থী কনভেনশন বা তার ১৯৬৭ প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। তাই যে কোনও ব্যক্তির প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা আসে সংবিধান, অভ্যন্তরীণ অভিবাসন আইন এবং সাধারণ মানবাধিকার নীতিমালা থেকে কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে, যা ভারত গ্রহণ করেনি (Rohingya Remarks)।”

    রোহিঙ্গারা কীভাবে আধার কার্ড পেল

    অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী কিছু রোহিঙ্গা কীভাবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড-সহ ভারতীয় নথিপত্র পেয়ে গিয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, “এসব নথি শুধু নাগরিক বা বৈধ বাসিন্দাদের জন্য। এদের অপব্যবহার দেশের পরিচয় ও কল্যাণব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সম্ভাব্য যোগসাজশ, জালিয়াতি ও সংগঠিত চক্র সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে (Motivated Campaign)।”

    চিঠির আরও বক্তব্য

    চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। দীর্ঘকাল ধরে তারা সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তাদের নাগরিকত্ব নিয়েও বিরোধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সংবিধানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিকে অমানবিক বলে উপস্থাপন করা প্রধান বিচারপতির প্রতি অবিচার, এবং বিচারব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। জাতীয়তা, অভিবাসন, নথিপত্র বা সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কে যে কোনও প্রশ্ন তোলা যদি পক্ষপাতের অভিযোগে রূপান্তর করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিপদের মুখে পড়বে (Rohingya Remarks)। শেষে অবশ্য চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতির প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করা হয়েছে এবং আদালতের বক্তব্যকে বিকৃত করা বা মতভেদকে ব্যক্তিগত আক্রমণে পরিণত করার চেষ্টার নিন্দাও জানানো হয় (Motivated Campaign)।

  • Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উদ্ধার বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

    Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উদ্ধার বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারে নদিয়ায় (Nadia) সভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যে এসআইআর আবহেই ফের রাশি রাশি ভোটার কার্ড (Voter Cards) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। জানা গিয়েছে, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তা ভর্তি প্রচুর ভোটার কার্ড। বেশিরভাগ ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ঠিকানা। রাস্তার ধারে প্রথমে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জনতা। এরপর লোকমুখে খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে জমায়েত হয় প্রচুর জনতা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। অবশেষে পুলিশ এসে উদ্ধার করে কার্ডগুলিকে নিয়ে যায়।

    ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটার কার্ড (Nadia)

    এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “ফাটা বস্তা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়, এরপর পা দিয়ে নাড়া দিতেই ভিতর থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটার কার্ড (Voter Cards) বেরিয়ে আসে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এখানে ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটার কার্ড হবে। কার্ডের সঙ্গে বেশকিছু কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছে।” উদ্ধার হওয়া এই ভোটার কার্ড কাদের? এখানে কীভাবে এল? এগুলি কি জাল বা ভুয়ো। এই নিয়ে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তীব্র তর্জা শুরু হয়েছে। বুধবার কৃষ্ণনগর গর্ভমেণ্ট কলেজের ময়দানে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই এইভাবে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসন এবং শাসক দল ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।

    সক্রিয় জাল ভোটার চক্র

    বিজেপির তরফে রানাঘাট (Nadia) সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সোমনাথ কর বলেছেন, “যে এলাকা থেকেই ওই বস্তাবন্দি কার্ড উদ্ধার হয়েছে সেখানকার পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। ভোটের সময় এই সব কার্ড নিয়ে ছাপ্পা দেওয়া হতো। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জাল ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনা তারই প্রমাণ।” অপর দিকে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাবেন তাই ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করা হয়েছে।” উল্লেখ্য আগেও শান্তিপুর থেকে রাশি রাশি বস্তাবন্দি জাল ভোটার (Voter Cards), আধারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনাই প্রমাণ করে জেলায় জেলায় জাল ভোটার নির্মাতারা কতটা সক্রিয়।

  • SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরে (SIR) জাল নথি দিলে সাত বছরের জেল হতে পারে। ভুয়ো ভোটারদের আটকাতে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন মিশন। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর দফতর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে এসআইআরে কেউ নথি জাল করলে জমা করলে আইন মেনে সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হতে পারে। কমিশন এসআইআর-এর কাজে বিএলও-দের সঠিক তথ্য দিয়ে ডিজিটাইজেশনের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে। মৃত, অবৈধ ভোটার বা স্থানান্তরিত হয়েছে এমন নাম যদি নিবিড় তালিকায় থাকে তাহলে কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভুল কাজ করলে কমিশন (Election Commission) কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ

    নির্বাচন কমিশনের (SIR) তরফে বলা হয়েছে, “ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি ভোটার কার্ড, জন্ম, বিবাহ, মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রদত্ত শংসাপত্র, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে জাল প্রমাণপত্র জমা করে থাকেন তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেলা এবং জরিমানা হতে পারে। এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার থাকবে।”

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্ক্যান হবে

    এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল শাসকের দিকে অভিযোগ তুলে বিজেপি বার বার বলেছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন করার ঝাড়াই-বাছাই-এর কাজে সুযোগ বুঝে অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারদের নাম তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যে বাংলাদেশিরা জাল নথি দিয়ে নিজেদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করছেন। এরপর দিব্যি নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যকে নিজের বাবা-মায়ের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ ব্যবহার করছেন। আবার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের ব্লক স্তরে সরকারি দফতর থেকে টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, ওবিসি-র মতো সার্টিফিকেটও নাকি দেওয়া হচ্ছে। তবে ভুয়ো কাগজ নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে ভোটারদের নাম, ছবি যুক্ত যাবতীয় তথ্য নিখুঁত ভাবে স্ক্যান করা হবে, ফলে জাল তথ্য দেওয়া ভোটারদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিনতে সুবিধা হবে।

    প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে হেয়ারিংয়ে ডাকা হবে

    ১৪ ডিসেম্বর হল এসআইআর-এর (SIR) এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার শেষ সময়। এই তালিকায় যদি ভোটারদের নাম ভুল থাকে, কোনও অভিযোগ থেকে বা সংশোধন থাকে তাহলে তা কারেকশন করার শেষ সময় আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা, বিতর্কের সমাধান করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা এবং আলোচনা করে তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাকে দূর করার নানা কাজও করবে কমিশন। তার সময় সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কাজ করা হবে।

    কত নাম বাদ?

    কমিশনের আগে বিএলওদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, কোনও যোগ্য ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কোনও অযোগ্য ভোটার যেন তালিকায় না ঢুকে থাকে। আর যদি এ দু’টি কাজ করতে গিয়ে ফাঁক থাকে তার দায় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলওকেই। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা কাজের প্রশংসা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু অবহেলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।

    এসআইআরে (SIR) শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে মৃত ভোটারের নাম রয়েছে ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি সংখ্যা খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং ঠিকানা বদল করেছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বাতিলের তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নামও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য এবং নিবিড় সংশোধনের তালিকা যাতে আরও নির্ভুল হয়, সেই কথা বলে কমিশন (Election Commission) কড়া বার্তা দিয়েছে। রাজ্যে এই কাজকে আরও ভালো ভাবে করার জন্য কমিশন ৫ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

  • Calcutta High Court: কলকাতার জলাভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কলকাতার জলাভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব কলকাতার জলাভূমির যে কোনও দাগ নম্বর-সহ জায়গা-জমিতে আর কোনও নির্মাণ করা যাবে না। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে এই মর্মে জানাতে হবে বলে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য কলকাতা এবং শহরতলী সংলগ্ন বহু পুকুর, জলাশয় ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ (Illegal Constructions) গজিয়ে উঠেছে। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, টাকা নিয়ে প্রমোটার রাজ কায়েম করেছে তৃণমূল সরকার। অধিকাংশ জায়গায় তৃণমূল কাউন্সিলরাই এই অবৈধ নির্মাণের পিছনে রয়েছে।

    অমৃতা সিনহার নির্দেশ (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন‍্‍হার বিশেষ বেঞ্চ নির্দেশে বলেছে, “এই দাগ নম্বরে নির্মিত সকল নির্মাণ অবৈধ (Illegal Constructions)। অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলতে হবে। রাজ্য, পুরসভা, এবং পূর্ব কলকাতার জলাভূমি কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। কোনও বেআইনি নির্মাণের নথিভুক্তিকরণ (রেজিস্ট্রেশন) হবে না। একই ভাবে জলাভূমির উপর নির্মিত বেআইনি নির্মাণের উপর কোনও যেন বিদ্যুৎ পরিষেবা না দেওয়া হয়। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকে সুনিশ্চিত করতে হবে বেআইনি কাজকে যেন কোনও রকম সুবিধা যেন না দেওয়া হয়। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে। কেন আপনারা অবিলম্বে এই সমস্ত জমিতে তৈরি নির্মাণ বন্ধ করছেন না? পাশাপাশি, এর আগে যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে সেগুলির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হল এতদিনে ? এর আগে আদালতের কাছেই তথ্য এসেছে ৫০০-র বেশি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে। সেই সমস্ত বেআইনি নির্মাণের কোনও দেওয়াল বা বারান্দা আপনারা ভেঙেছেন? তাই দ্রুত পদক্ষেপ করুন।”

    কত অবৈধ নির্মাণ?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ যে আসতে চলছে তা বুঝে আগেই রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছিল। সরকারের তরফ থেকে যেখানে যেখানে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে সেগুলি নিয়ে তথ্য দিয়ে আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কত সংখ্যক বেআইনি নির্মাণ (Illegal Constructions) হয়েছে তা নিয়ে পুরসভা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। জলাজমি, পুকুর এবং মাছের ভেরি বাঁচাতে পরিবেশ কর্মীরা আদালতে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছিল। পরিবেশের ভারসাম্য এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে আদালতের রায়ে এলাকাবাসীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

LinkedIn
Share