Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 298: “সবুজ গিরগিটি দেখে এলুম, জানোয়ারটি কখন লাল, সবুজ, কখন হলদে, আবার কখন কোন রঙ থাকে না ”

    Ramakrishna 298: “সবুজ গিরগিটি দেখে এলুম, জানোয়ারটি কখন লাল, সবুজ, কখন হলদে, আবার কখন কোন রঙ থাকে না ”

    সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে শ্রীরামকৃষ্ণ— দুর্গাপূজা দিবসে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজমন্দিরে

    মাস্টার, হাজরা, বিজয়, শিবনাথ, কেদার 

    সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ও সাইনর্বোড সাকার-নিরাকার—সমন্বয় 

    শ্রীরামকৃষ্ণে (বিজয়কে, সহাস্যে)—শুনলাম, এখানে নাকি সাইনবোর্ড আছে। অন্য মতের লোক নাকি এখানে আসবার জো নাই! নরেন্দ্র বললে, সমাজে গিয়ে কাজ নাই, শিবনাথের (Ramakrishna) বাড়িতে যেও।

    “আমি বলি সকলেই তাঁকে ডাকছে। দ্বেষাদ্বেষীর দরকার নাই। কেউ বলছে সাকার, কেউ বলছে নিরাকার। আমি বলি, যার সাকারে বিশ্বাস, সে সাকারই চিন্তা করুক। যার নিরাকারে বিশ্বাস, সে নিরাকারেই চিন্তা করুক। তবে এই লা যে, মতুয়ার বুদ্ধি (Dogmatism) ভাল নয়, অর্থাৎ আমার ধর্ম ঠিক আর সকলের ভুল। আমার ধর্ম ঠিক; আর ওদের ধর্ম ঠিক কি ভুল, সত্য কি মিথ্যা; এ আমি বুঝতে পাচ্ছিনে—এ-সব ভাল। কেননা ঈশ্বরের (Ramakrishna)  সাক্ষাৎকার না করলে তাঁর স্বরূপ বুঝা যায় না। কবীর বলত, ‘সাকার আমার মা, নিরাকার আমার বাপ। কাকো নিন্দো, কাকো বন্দো, দোনো পাল্লা ভারী।’

    “হিন্দু, মুসলামান, খ্রীষ্টান, শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, ঋষিদের কালের ব্রহ্মজ্ঞানী ও ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানী তোমরা—সকলেই এক বস্তুকে চাহিছো। তবে যার যা পেটে সয়, মা সেইরূপ ব্যবস্থা করেছেন। মা যদি বাড়িতে মাছ আনেন, আর পাঁচটি ছেলে থাকে, সকলকেই পোলাও কালিয়া করে দেন না। সকলের পেট সমান নয়। কারু জন্য মাছের ঝোলের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু মা সকলকেই সমান ভালবাসেন (Kathamrita)।

    “আমার ভাব কি জানো? আমি মাছ সবরকম খেতে ভালবাসি। আমার মেয়েলি স্বভাব! (সকলের হাস্য) আমি মাছ ভাজা, হলুদ দিয়ে মাছ, টকের মাছ, বাটি-চচ্চড়ি—এ-সব তাতেই আছি। আবার মুড়িঘন্টোতেও আছে, কালিয়া পোলোয়াতেও আছি। (সকলের হাস্য)

    “কি জানো? দেশ-কাল-পাত্র ভেদে ঈশ্বর নানা ধর্ম করেছেন। কিন্তু সব মতই পথ, মত কিছু ঈশ্বর নয়। তবে আন্তরিক ভক্তি করে একটা মত আশ্রয় কল্লে তাঁর কাছে পোঁছানো যায়। যদি কোন মত আশ্রয় করে তাতে ভুল থাকে আন্তরিক হলে তিনি সে ভুল শুধরিয়ে দেন। যদি কেউ আন্তরিক জগন্নাথদর্শনে বেরোয়, আর ভুলে দক্ষিণদিকে না গিয়ে উত্তরদিকে যায়, তাহলে অবশ্য পথে কেউ বলে দেয় ওহে, ওদিকে যেও না—দক্ষিণদিকে যাও। সে ব্যক্তি কখনও না কখনও জগন্নাথদর্শন করবে।

    “তবে অন্যের মত ভুল হয়েছে, এ-কথা আমাদের দরকার নাই। যাঁর জগৎ, তিনি ভাবছেন। আমাদের কর্তব্য, কিসে জো সো করে জগন্নাথদর্শন হয়। তা তোমাদের মতটি বেশ তো। তাঁকে নিরাকার বলছ (Kathamrita), এ তো বেশ। মিছরির রুটি সিধে করে খাও, আর আড় করে খাই, মিষ্টি লাগবে।

    “তবে মতুয়ার বুদ্ধি ভাল নয়। তুমি বহুরূপির গল্প শুনেছ। একজন বাহ্যে কত্তে গিয়ে গাছের উপর বহুরূপী দেখেছিল, বন্ধুদের কাছে এসে বললে, আমি একটি লাল গিরগিটি দেখে এলুম। তার বিশ্বাস, একবারে পাকা লাল। আর-একজন সেই গাছতলা থেকে এসে বললে যে আমি একটি সবুজ গিরগিটি দেখে এলুম। তার বিশ্বাস একেবারে পাকা সবুজ। কিন্তু যে গাছতলায় বাস কত্তো, সে এসে বললে, তোমরা যা বলছো (Kathamrita) সব ঠিক তবে জানোয়ারটি কখন লাল কখন সবুজ, কখন হলদে, আবার কখন কোন রঙ থাকে না।

    “বেদে তাঁকে (Ramakrishna) সগুণ নির্গুণ দুই বলা হয়েছে। তোমরা নিরাকার বলছো। একঘেয়ে। তা হোক। একটা ঠিক জানলে, অন্যটাও জানা যায়। তিনিই জানিয়ে দেন। তোমাদের এখানে যে আসে, সে এঁকেও জানে ওঁকেও জানে। ” (দুই-একজন ব্রাহ্মভক্তের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় অশোকনগরে ওএনজিসির প্রকল্প থেকে তেল-গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারছে না বলে গত নভেম্বরে অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্র। ওই মাসের (BJP) শেষের দিকে সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী দাবি করেছিলেন, রাজ্য উত্তোলনের জন্য জমি লিজ মঞ্জুরে গড়িমসি করায়ই দেরি হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে একাধিকবার লিজ মঞ্জুরের জন্য আবেদন করা হয়েছে (Mamata Banerjee)। কিন্তু এখনও তা পাওয়া যায়নি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর সেই অভিযোগের পর কেটে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। শেষমেশ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ওই ছাড়পত্র দিয়েছে। সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা (BJP)

    ২০২০ সালে তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অশোকনগরে বাণিজ্যিক তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় তাঁর সেই চেষ্টা আর এগোয়নি। সরকারি ছাড়পত্র মেলায় এবার কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরপনার চারটি জায়গায় তেল খননের প্রস্তুতি ও জমি লিজ সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষের পথে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লক ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চপতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। ওএনজিসি উত্তর ২৪ পরগনার ১৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩টি, নদিয়া জেলার একটি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৫টি জায়গা তেল উত্তোলনের জন্য নির্বাচন করেছে।

    মমতাকে নিশানা বিজেপির

    পাঁচ বছর পরে তেল উত্তোলনের ছাড়পত্র মেলায় মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর মন্তব্য (BJP), “২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুমোদিত এই লিজটি নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্সিং নীতির অধীনে ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা কভার করে। এটি বহু বছর আগেই (Mamata Banerjee) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের কারণে বাংলা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় রয়েছে অপার জ্বালানি সম্ভাবনা। কিন্তু আমরা কি আবার এমন বিলম্ব সহ্য করতে পারি?” তিনি বলেন, “বাংলার সম্পদ যেন তার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে তা নিশ্চিত করতে কার্যকর সরকারের সময় এসেছে। এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানোর সময়।”

    রাজ্য সরকারের গড়িমসি

    পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে যে তেল-গ্যাসের বিপুল মজুত রয়েছে, তা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওএনজিসি খনন কার্য চালাতে ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জমি লিজে নেওয়ার জন্য আবেদন করে রাজ্যের কাছে। ওএনজিসিকে পিএমএল দেওয়ার জন্য যে কেন্দ্র সুপারিশ করেছিল, সেই তথ্যও ওই বছরই ২১ অক্টোবর রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেয় ওএনজিসি। পুরীর দাবি, তার পর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং গত জানুয়ারিতে ফের রাজ্যের কাছে পিএমএল মঞ্জুরের জন্য দরবার করে ওএনজিসি। ওই বছরের আবেদনটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে পেশ করেন ডিরেক্টর জেনারেল (হাইড্রোকার্বন)। পিএমএল মঞ্জুরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পূর্বাঞ্চলের কাউন্সিলের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

    বিজেপির দাবি

    গত নভেম্বরেই (BJP) সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, “অশোকনগরে উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই ওএনজিসি ১০৪৫.৫৪ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। জমি লিজ পেতে সংস্থা ১৪ বার ও কেন্দ্রীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক চার বার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। তেল-গ্যাসের ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় রাজ্য বিপুল রয়্যালটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (Mamata Banerjee)।”

    অশোকনগর

    প্রসঙ্গত, অশোকনগর ক্ষেত্রটি (BJP) মহানদী-বাংলা-আন্দামান অববাহিকার অন্তর্গত। পশ্চিমবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে তেল ও গ্যাসের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যদিও ওএনজিসি বহু বছর ধরে এই রাজ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। তবে নমুনার অর্থনৈতিক লাভজনকতা সবসময়ই একটি সমস্যা ছিল। আশোকনগর তৈল ক্ষেত্র থেকে ২০ কিলোলিটার অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পর, ওএনজিসি নমুনাটি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের হলদিয়া শোধনাগারে পাঠায়। পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, উৎপাদিত তেলের গুণমান খুবই ভালো।

    ভারত সরকারের (BJP) প্রাথমিক-মুদ্রাকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশোকনগর-১ এখন একটি তেল উৎপাদক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর অর্থ হল, ওএনজিসি ভারতে তার আটটি অববাহিকার মধ্যে সাতটি আবিষ্কার ও উন্নয়ন করেছে। এটি দেশের মোট পরিচিত তেল ও গ্যাস মজুতের ৮৩%। কোম্পানিটি ভারতের মোট হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের ৭২% জোগান দেয়।

  • Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ৬৭টি জঙ্গি সংগঠন (Terrorist Organisations) ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। এই সংগঠনগুলি হয় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নয়তো ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ। সেই কারণে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-র আওতায় ওই জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    ইউএপিএ-র ধারা ৩৫ (Terrorist Organisations)

    জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় ৪৫টি সংগঠনকে ইউএপিএ-র ধারা ৩৫-এর অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এদের এই আইনটির প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ২২টি সংগঠনকে ইউএপিএর ধারা ৩(১) অনুযায়ী বেআইনি সংস্থা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেসব সংগঠন ও সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির অনেকগুলিই ভারতে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং সহিংস কার্যকলাপে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে। সেই তালিকায় হল প্রকাশিত। এই প্রক্রিয়া ভারতের জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থা দমনের চেষ্টার একটি অঙ্গ। ইউএপিএ-র আওতায় যে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত সদস্যদের গ্রেফতার করাও অন্তর্ভুক্ত।

    জঙ্গি সংগঠনের তালিকা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সংগঠনগুলিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলি হল – বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল, খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স, ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন, লস্কর-ই-তৈবা বা পাসবান-এ-আহলে হাদিস বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ বা তাহরিক-ই-ফুরকান বা পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF) এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, হরকত-উল-মুজাহিদিন বা হরকত-উল-আনসার বা হরকত-উল-জেহাদ-ই-ইসলামি বা আনসার-উল-উম্মাহ, হিজবুল মুজাহিদিন বা হিজবুল মুজাহিদিন পীর পাঞ্জাল রেজিমেন্ট, আল-উমর-মুজাহিদিন, জম্মু ও কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্ট, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (ULFA), অসমের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বডোল্যান্ড (NDFB), পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF), পিপলস রেভল্যুশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক (PREPAK), কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP), কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), মণিপুর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (MPLF), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI), দিনদার আনজুমান, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-পিপলস ওয়ার এবং এর সমস্ত শাখা, মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (MCC), এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি। তালিকায় (Terrorist Organisations) রয়েছে আল বদর, জামিয়াত-উল-মুজাহিদিন, আল-কায়েদা বা ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দা (AQIS) এবং এর সমস্ত রূপ, দুখতারান-ই-মিলাত (DEM); তামিলনাড়ু মুক্তি বাহিনী (TNLA); তামিল ন্যাশনাল (MHA) রিট্রিভাল ট্রুপস (TNRT); অখিল ভারতীয় নেপালি একতা সমাজ (ABNES); এবং ২০০৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও দমন (নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন) নির্দেশের তফসিলে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি, যা ১৯৪৭ সালের রাষ্ট্রসংঘ (নিরাপত্তা পরিষদ) আইন অনুসারে তৈরি এবং সময়ে সময়ে সংশোধিত হয়েছে; তেমনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) এবং এর সমস্ত সংগঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (GNLA) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; ইসলামিক স্টেট বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও লেভান্ত বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও সিরিয়া বা দাইশ এবং এর সমস্ত রূপ; ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স এবং এর সমস্ত রূপ; তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (TuM); জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জামাত-উল-মুজাহিদিন ভারত বা জামাত-উল-মুজাহিদিন হিন্দুস্তান এবং এর সমস্ত রূপ; জম্মু ও কাশ্মীর গজনবি ফোর্স (JKGF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি;
    এবং হিজব-উত-তাহরির (HuT) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি।

    অবৈধ সংগঠন

    অবৈধ সংগঠন হিসেবে ঘোষিত গোষ্ঠীগুলি হল, শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলন, ভারত (SIMI), ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (ULFA), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (NLFT), হ্নিউত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (HNLC), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) (Terrorist Organisations), ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (IRF), জম্মু ও কাশ্মীর জামাত-এ-ইসলামি, জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক গোষ্ঠী), শিখস ফর জাস্টিস (SFJ), জম্মু ও কাশ্মীর ডেমোক্রেটিক ফ্রিডম পার্টি, মুসলিম লিগ জম্মু ও কাশ্মীর (মাসরাত আলম গোষ্ঠী), তেহরিক-ই-হুরিয়ত, জম্মু ও কাশ্মীর, মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (ভাট গোষ্ঠী), মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (সুমজি গোষ্ঠী), জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ফ্রিডম লিগ।

    আরও অবৈধ সংগঠন

    এছাড়াও, সাতটি মৈতেই চরমপন্থী সংগঠনকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল, পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) এবং এর রাজনৈতিক শাখা, রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট (RPF), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক (PREPAK) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP) এবং এর সশস্ত্র শাখা, যা ‘রেড আর্মি’ নামে পরিচিত, কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), কোঅর্ডিনেশন কমিটি (CorCom), অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক (ASUK)। এছাড়াও, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং এর সহযোগী, অধিভুক্ত বা শাখাগুলিকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল: রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরালা। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস লিগের চারটি গোষ্ঠী, যথা জেকেপিএল (মুখতার আহমদ ওয়াজা), জেকেপিএল (বশির আহমেদ টোটা), জেকেপিএল (গুলাম মোহাম্মদ খান (MHA) ওরফে সোপোরি) এবং জেকেপিএল (আজিজ শেখ), যা ইয়াকুব শেখের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ ১৯৬৭ ভারতের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী আইন, যা সরকারকে বিভিন্ন সংগঠন জঙ্গি গোষ্ঠী বা অবৈধ সংস্থা (Terrorist Organisations) হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষমতা দেয়, যাতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই আইনটি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর এটি আরও কঠোর করা হয়েছে।

    একটি সংগঠনকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার অর্থ হল ভারতের অভ্যন্তরে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, তাদের আর্থিক সম্পদ ফ্রিজ করা, সদস্যদের তহবিল সংগ্রহ বা নিয়োগ প্রতিরোধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। ভারত সরকার নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে সক্রিয় জঙ্গি, বিদ্রোহী এবং চরমপন্থী (MHA) গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মোকাবিলা করা যায় (Terrorist Organisations)।

  • PM Modi: “ভারত শান্তি চাইলেও, পাকিস্তান চিরকাল ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারত শান্তি চাইলেও, পাকিস্তান চিরকাল ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান (Pakistan) তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে।” এক মার্কিন পডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালানোর অভিযোগেও পাকিস্তানকে দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি প্রচেষ্টা সম্মুখীন হয়েছে তার প্রতিবেশীর শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার। যার জন্য দেশটি পুরো বিশ্বের জন্য অশান্তির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময়ই। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লেক্স ফ্রিডম্যান। ঘণ্টা তিনেকের ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় রবিবার। সেখানে তিনি জানান, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। ইসলামাবাদের সঙ্গে যাতে নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করা যায়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে মিলেছে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা।

    শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতা

    লাহোর সফরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি। তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে প্রতিহত হয়েছে।” ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ না বেছে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্তও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশভাগ একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক পর্ব ছিল। তবে ভারত দেশভাগকে মেনে নিয়ে এগোতে শুরু করে।” কিন্তু পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বেছে নেয়নি বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, তারা (পাকিস্তান) নিজেদের মতো করে থাকবে, আমাদেরও আমাদের মতো করে থাকতে দেবে। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে এগোয়নি। বার বার তারা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে (Pakistan)।”

    প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস

    প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে মোদির (PM Modi) এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে যখন কোয়েটা-পেশোয়ার ট্রেনে বালোচ বিদ্রোহীরা প্রাণঘাতী হামলা ও পণবন্দি প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য আরও জোরদার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চান। কারণ তাঁরাও এই বিবাদ ও অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, এমন কী নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ করতে বার বার চেষ্টা করেছেন তিনি।

    প্রশ্ন যখন সন্ত্রাসবাদ

    সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নেও পাকিস্তানকে বেঁধেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, এর জন্য শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিশ্বের যেখানেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, কোনও না কোনওভাবে তার যোগসূত্র মেলে পাকিস্তানে। ৯/১১ হামলার ঘটনাই দেখুন না, ওই হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেন। তিনি কোথা থেকে এলেন? তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা পাকিস্তানের গভীরে গেঁথে রয়েছে এবং গোটা বিশ্ব আজ বুঝতে পারছে (Pakistan)।” ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে (PM Modi) ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের সামান্য যোগসূত্রটুকুও ছিঁড়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ হয় ওই মাসে। তার পরেই পাক সরকার ভারতের হাই কমিশনারকে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। পাকিস্তানও তার নবনিযুক্ত হাই কমিশনারকে নয়াদিল্লিতে পাঠায়নি।

    ভারত-চিন সম্পর্ক

    পডকাস্টে, ভারত-চিন সম্পর্ক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে চলা সীমান্ত বিরোধের কথা স্বীকার করে নেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তবে, প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকের পর সীমান্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে। আমরা এখন ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছি।” তাঁর বিশ্বাস, আস্থা গঠনের প্রচেষ্টা অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে।

    প্রসঙ্গত, মোদির (PM Modi) এই সাক্ষাৎকার যখন সম্প্রচারিত হচ্ছে, তখন ভারতের বার্ষিক বহুপাক্ষিক সম্মেলন রাইসিনা ডায়লগে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে হাজির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীও। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং উভয় পক্ষ আলোচনার (Pakistan) টেবিলে এলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে (PM Modi)।”

  • Bharatmala Pariyojana: ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ, বাস্তবায়নের পথে ভারতকে মহাসড়কের মালায় জোড়ার স্বপ্ন?

    Bharatmala Pariyojana: ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ, বাস্তবায়নের পথে ভারতকে মহাসড়কের মালায় জোড়ার স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতমালা পরিযোজনা (Bharatmala Pariyojana) হল আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রাজপথ নির্মাণের কর্মসূচি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একেবারে ধারাবাহিকভাবে, নিজের গতিতে এগিয়ে চলেছে মোদি সরকার। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ২০১ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয় মোদি সরকার। প্রকল্পের নাম রাখা হয় ‘ভারতমালা পরিযোজনা’। এর মাধ্যমে লক্ষ্য রাখা হয়, দেশজুড়ে ৩৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটারেরও বেশি মহাসড়কের (Highway) নেটওয়ার্ক তৈরি করার। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরবরাহ ব্যবস্থার মূল্য হ্রাস, এর পাশাপাশি মহা সড়কের আশপাশের অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্য রাখা হয়।

    ২৬ হাজার ৪২৫ কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে

    ইতিমধ্যে মোদি সরকারের সড়ক (Bharatmala Pariyojana) পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে, এই প্রকল্পের (Highway) আওতায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৪২৫ কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি করতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, প্রকল্পগুলির আওতায় অর্থনৈতিক করিডর, আন্তঃকরিডর রুট, ফিডার রুট, জাতীয় করিডর, এক্সপ্রেসওয়ে, সীমান্ত সড়ক, বন্দর সংযোগ সড়কের মতো- একাধিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থনৈতিক করিডরগুলি ৮,৭৩৭ কিলোমিটার জুড়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এক্সপ্রেসওয়েগুলি নির্মিত হবে ২,৪২২ কিলোমিটার। এর পাশাপাশি সীমান্ত সড়ক এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ সড়কের মোট পরিমাণ ধরা হয়েছে ১,৬১৯ কিলোমিটার।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Bharatmala Pariyojana)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এবিষয়ে বলেন, ‘‘ভারতমালা পরিযোজনার বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে বেঙ্গালুরুর আইআইএম। এমন গবেষণা প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাবের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশেষত অর্থনৈতিকভাবে। পারিবারিক আয় এবং ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে পণ্য সরবরাহের খরচ হ্রাস পেয়েছে। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বেড়েছে সরবরাহ দক্ষতা। রাজপথের ধারে বাজার এবং কারখানাগুলিও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে। একসঙ্গে সামাজিকভাবে, স্কুল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাক্ষেত্রে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমেছে। সামগ্রিকভাবে, বেঙ্গালুরুর এই গবেষণা সামনে এনেছে ভারতমালা পরিযোজনার (Bharatmala Pariyojana) সাফল্য।’’

  • PM Modi: ‘‘আরএসএসের কাছে থেকেই পেয়েছি জীবনের উদ্দেশ্য ও মূল্যবোধ’’, ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘আরএসএসের কাছে থেকেই পেয়েছি জীবনের উদ্দেশ্য ও মূল্যবোধ’’, ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার নয়াদিল্লিতে বিখ্যাত মার্কিন পডকাস্টার ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁর জীবন, দর্শন, রাজনৈতিক যাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হওয়ার ঘটনা। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর জীবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গভীর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, সাক্ষাৎকারের পরে ফ্রিডম্যান (Fridman Podcast) জানান, এটা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী কথোপকথন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জীবনে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয়বার পডকাস্টের সাক্ষাৎকার। প্রথমবার তিনি এই ধরনের পডকাস্টে অংশগ্রহণ করেন চলতি বছরেই নিখিল কামাথের সঙ্গে। রবিবারের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাঁর জীবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গভীর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।

    জনসেবাই হল ভগবানের সেবা, শেখায় আরএসএস, পডকাস্টে বললেন মোদি

    তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমার জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল আরএসএস।’’ তাঁর মতে, ‘‘আরএসএস-এ যোগ দিয়ে আমি জীবনের নতুন উদ্দেশ্য খুঁজে পাই। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ছিলাম যে এই সময়টা আমি সন্ত-মহাত্মাদের সঙ্গে কাটাতে পারতাম। যেটা আমার জীবনে একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিকতার দিক রচনা করতে পেরেছিল। আমি এখান থেকেই জীবনের শৃঙ্খলা বুঝতে পেরেছিলাম এবং উদ্দেশ্যও বুঝতে পেরেছিলাম।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে বুঝতে হলে এর কর্মপদ্ধতিকে জানতে হবে। দেশই আমাদের কাছে সবকিছু, জনসেবাই হল ভগবানের সেবা। এটাই শেখায় সংঘ।’’

    তরুণ বয়সে আমার হিমালয় যাত্রা জীবনকে নতুন গতি দিয়েছিল

    রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তাঁর জীবনের বিভিন্ন বিষয়গুলিকে আলোচনা করেন। তিনি জানান, উপবাসের তাৎপর্য সম্পর্কে। এই উপবাসের ব্রত কীভাবে জীবনে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাপরায়ণতা শেখায় তাও তিনি বলেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘তরুণ বয়সে আমার হিমালয় যাত্রা জীবনকে নতুন গতি দিয়েছিল এবং ব্যক্তিত্বেরও পরিবর্তন ঘটিয়েছিল।’’ একইসঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক ও আদর্শের কর্মকাণ্ডেরও কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, হিন্দু জাতীয়তাবাদ, দেশের বিবিধতা, মহাত্মা গান্ধী এবং নানা আন্তর্জাতিক বিষয়ের ওপরেও তিনি কথা বলেন।

    কীভাবে জুড়লেন আরএসএস-র সঙ্গে?

    শৈশবে তিনি কীভাবে আরএসএস-র সঙ্গে জুড়লেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে একটা শাখা চলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের। যেখানে আমরা প্রতিদিন নিয়মিত খেলা করতাম এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতাম। এই গানগুলি আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এগুলি আমার ভিতরে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটায়। সবচেয়ে বড় কথা আরএসএস আমার মধ্যে একটি কর্তব্যবোধকে জাগিয়ে তুলেছিল। তুমি যাই করো তার জন্য একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকতে হবে। যদি তুমি পড়াশোনা করো তাহলে সেই ভাবেই পড়াশোনা করো। যাতে তুমি যথেষ্ট শিখতে পারো এবং দেশকে কিছু দিতে পারো। যখন তুমি শারীরিক অনুশীলন করবে তখন তুমি সেটা এমন ভাবে করো যেন তোমার শরীর শক্তিশালী হয় এবং তা দেশের কাজে লাগে। এটাই আমাদের শেখানো হত। আজকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ একটি মহীরূহে পরিণত হয়েছে। এই সংগঠন ১০০ বছরে পা দিতে চলেছে। এমন বৃহৎ সংগঠন পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। কোটি কোটি মানুষ এই সংগঠনের সঙ্গে জুড়েছেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে বোঝা অত সহজ নয়।’’

    আরএসএস-এর সেবা কাজ

    তিনি আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতো সংগঠনের কাছ থেকে জীবনের মূল্যবোধ শিখতে পেরে আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে গিয়েও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সমাজসেবা করে। একজন সত্যিকারের স্বয়ংসেবককে শুধুমাত্র তাঁর পোশাক বিধি দেখে অথবা তাকে সংঘের বৈঠকগুলিতে দেখে বোঝা যায় না। তাঁদেরকে আমরা বুঝতে পারি সমাজের প্রতি তাঁদের অবদান দেখেই।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন সেবা ভারতীর উদাহরণ। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একটি শাখা হল সেবা ভারতী। এই সেবা ভারতী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং বস্তি এলাকাগুলিতে কীভাবে সেবা কাজ চালাচ্ছে, তাও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সেবা ভারতী বর্তমানে ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি প্রকল্প চালাচ্ছে এবং এই সমস্ত প্রকল্পগুলি দেশজুড়ে চলছে। কোনও রকম সরকারি সহায়তা ছাড়াই। স্থানীয় মানুষজনদের সহায়তায় এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জীবনের কর্তব্যবোধ, প্রভৃতি নানা বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’

    শিক্ষাক্ষেত্রে আরএসএস

    শিক্ষা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকা সম্পর্কে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস সব সময় মূল্যবোধ ভিত্তিক শিক্ষায় জোর দেয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ অনুসরণ করে আমাদের বৈদিক ঋষিরা এবং স্বামী বিবেকানন্দ ঠিক যেভাবে শিক্ষাদান করতে বলেছিলেন সেই পদ্ধতিকে। সংঘের স্বয়ংসেবকরা তৈরি করেছেন বিদ্যা ভারতী, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে এবং বর্তমানে সারা দেশে ৭০ হাজারেরও বেশি স্কুল চালাচ্ছে এই সংগঠন। এর মাধ্যমে ৩০ লাখেরও বেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং সন্তদের জীবনের সঙ্গে মিশতে পেরে আমি জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমাকে খুব সাহায্য করেছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ।’’ নিজের জীবনে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন ও স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকাও তুলে ধরেন।

  • PM Modi: ‘‘স্বামীজির শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে’’, মার্কিন পডকাস্টারকে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘স্বামীজির শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে’’, মার্কিন পডকাস্টারকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে! মার্কিন জনপ্রিয় পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আলোচনায় এমনটাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। রবিবারই মোদির (PM Modi) সঙ্গে ফ্রিডম্যানের পডকাস্ট শো-কে ব্রডকাস্ট হয়। সেখানেই তাঁর জীবনে স্বামীজির প্রভাবের কথা তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলায় গ্রামের পাঠাগারে নিয়মিত যেতাম আমি। সেখানে স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে পড়াশোনা করতাম। স্বামীজির শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘স্বামীজির লেখা এবং স্বামীজির জীবনী পড়ে উপলব্ধি করি, জীবনে সত্যিকারের পরিপূর্ণতা ব্যক্তিগত সাফল্যে নয়, অন্যের প্রতি স্বার্থহীন সেবার মাধ্যমে।’’

    বড় হয়েছি প্রচুর কষ্টের মধ্যে!

    মুখোমুখি আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন বললেন নিজের শৈশবের ছোট গল্পগুলোকে। জানালেন কীভাবে দারিদ্রতার মধ্য়ে দিয়ে বড় হতে হয়েছে তাঁকে। তবে তাঁর জীবনের অভাব কখনও তাঁর কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি বলেই দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচুর কষ্টের মধ্য়ে বড় হতে হলেও, কখনও বঞ্চনা শিকার হতে হয়নি আমাকে। মানুষের স্নেহেই কেটে গিয়েছিল জীবনের অর্থাভাব।’’

    সাদা চক দিয়ে জুতো পরিষ্কার করতাম!

    এরপর তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ছেলেবেলায় আমার কাকা আমাকে একটা সাদা রঙের জুতো দিয়েছিল। অন্যদের কাছে জুতো পরিষ্কারের সামগ্রী থাকলেও, আমার কাছে তা ছিল না। তাই স্কুলের ফেলে দেওয়া চকগুলোকে দিয়ে সেই সাদা জুতো ঝাঁ চকচকে রাখার চেষ্টা করতাম। অর্থাভাবকে কখনওই আমি সংগ্রাম হিসাবে দেখিনি।’’ রবিবারের সন্ধ্যায় মার্কিন পডকাস্টারের সঙ্গে আলোচনায় একের পর বড় চমক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুনিয়া খ্যাত মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্য়ানের সঙ্গে মুখোমুখি বসলেন ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন আর্টিফিশিয়াল রিসার্চার ফ্রিডম্য়ানের সঙ্গে আলোচনা বসে নিজের শৈশব থেকে রাজনীতি, সব পর্বই তুলে ধরলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গুজরাটের ভাটনগরে জন্ম হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির। তাঁর শৈশব কেটেছে অত্যন্ত দারিদ্রতার সঙ্গেই। এই আবহে জারি থেকেছে পড়াশোনা। এরপর কিশোর বয়স থেকেই জুড়েছে আরএসএস-র কাজে। এদিন মার্কিন পডকাস্টারের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় ছেলেবেলার সেই দিনগুলির কথাই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Baloch Insurgents: পাক সেনার কনভয়ে ‘আত্মঘাতী’ হামলার দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের, নিহত ৯০

    Baloch Insurgents: পাক সেনার কনভয়ে ‘আত্মঘাতী’ হামলার দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের, নিহত ৯০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনার ওপরে ফের হামলা চালাল বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (Baloch Insurgents)। রবিবার কোয়েটা থেকে তাফতান যাচ্ছিল সেনাবাহিনীর একটি কনভয়। সেখানেই হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তাদের দাবি, ৯০ জন পাকিস্তানি সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন এই ঘটনায়। যদিও পাকিস্তানি সেনার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রবিবারের হামলায় অন্তত সাত জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ জন।

    কী জানাল পাক সেনা?

    পাকিস্তানি সেনার তরফে রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কোয়েটা থেকে তাফতান যাওয়ার পথে হামলা হয়েছে তাদের কনভয়ে। কনভয়ে সাতটি বাস এবং দু’টি গাড়ি ছিল বলে জানিয়েছে পাক সেনা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘একটি বাসে ধাক্কা দেয় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি (Baloch Insurgents)। সম্ভবত আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। আর একটিকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে।’’ অন্যদিকে, সেনার হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে এনেছে বলে খবর। আহতদের ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

    কী জানাল বালোচ বিদ্রোহীরা?

    হামলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা(Baloch Insurgents)। বিবৃতিতে বালোচ বিদ্রোহীরা বলেছে, ‘‘কিছু ক্ষণ আগেই নোশকির আরসিডি জাতীয় সড়কে রাখশান কারখানার কাছে পাকিস্তানি সেনার কনভয় লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ফিদায়েঁ বিভাগ মজিদ ব্রিগেড। কনভয়ে আটটি বাস ছিল। একটি বাস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’’ বালোচ বিদ্রোহীদের আরও দাবি, হামলার পরে আর একটি বাসকে ঘিরে ফেলেন তাঁরা। তার পরেই তাঁরা নিকেশ করেন বাসে সওয়ার সকল জওয়ানকে। এই ঘটনায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে (Baloch Insurgents)।

    বালোচিস্তান লুট করছে চিন!

    জানা গিয়েছে, বালোচ বিদ্রোহীরা আসলে পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর এবং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্প থেকে চিনকে দূরে সরানোর দাবি তুলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিন বালোচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে চিন, এমনটাই অভিযোগ বিদ্রোহীদের। সেই নিয়ে পাক সেনার সঙ্গে তাদের সংঘাত ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পৌঁছল স্পেসএক্সের যান, ফিরছেন বুধবার

    Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পৌঁছল স্পেসএক্সের যান, ফিরছেন বুধবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতারা (Sunita Williams)। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) পৌঁছে গিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান। সুনীতাদের আনতে ক্রিউ-১০-এর চার মহাকাশচারী সেখানে নেমেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নভশ্চর সুনীতা উইলিয়াম এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরের সঙ্গে তাঁদের দেখাও হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই মুহূর্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত করা হয়েছে। এত দিন পরে সহকর্মীদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সুনীতারা। তাঁদের উচ্ছ্বাসের বিভিন্ন মুহূর্ত ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।

    নাসার তরফে সমাজমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ (Sunita Williams)

    নাসার তরফে সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও প্রকাশও করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মহাকাশযানের দরজা খুলে একে একে বেরিয়ে আসছেন চার মহাকাশচারী। মহাকাশে ভাসতে ভাসতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন তাঁরা। কেউ কেউ উচ্ছ্বাসে হাততালিও দিয়ে উঠছেন। সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরেই সুনীতা (Sunita Williams) জানান, তাঁদের আসতে দেখে তিনি ভীষণ খুশি। এটি ‘একটি অসাধারণ দিন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। নাসা ইতিমধ্যে জানিয়েছে, স্পেসএক্সের ড্র্যাগন মহাকাশযানের দরজা খুলেছে রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে। এদিন ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই মহাকাশযানটি মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছয়।

    আগামী বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফেরার কথা

    নাসা সূত্রে খবর, আগামী বুধবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর দেড়টা নাগাদ সুনীতা (Sunita Williams)-সহ চার জনকে নিয়ে আবার পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে স্পেসএক্সের মহাকাশযান। সুনীতাদের সঙ্গে ফিরবেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ।মাত্র আট দিন পরেই তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যে মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাতে সুনীতাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এরপরে নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ওই মহাকাশযানে সুনীতারা ফিরবেন না। ফলে মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা এবং বুচ। তাঁদের আট দিনের মহাকাশ সফর দীর্ঘায়িত হয়ে গেল ন’মাসে।

  • Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের (Indian Origin Ministers)। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পতনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন মার্ক কার্ন। তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বছর চল্লিশের অনিতা আনন্দ ও বছর ছত্রিশের কমল খেরা। কমল হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনিতা হয়েছেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন এই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুত।

    নয়া মন্ত্রিসভায় দিল্লির কমল (Canada)

    কমলের জন্ম দিল্লিতে। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি চলে যান কানাডায়। টরেন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন বিজ্ঞানে। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রাম্পটন ওয়েস্ট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন কমলা। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে কমলের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে কমল লিখেছেন, “নার্স হিসেবে আমি সব সময় রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও তা-ই করে যাব। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য মার্ক কার্নেকে ধন্যবাদ।”

    রাজনীতিতে আসার আগে টরেন্টোর সেন্ট জোসেফ হেল্থ সেন্টারের অঙ্কোলজি বিভাগের নার্স ছিলেন কমল। অতিমারির সময় তিনি ফের তুলে নেন স্বাস্থ্য সেবাদানের দায়িত্ব (Canada)। ব্রাম্পটনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। ট্রুডো মন্ত্রিসভায় কানাডার অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও জাতীয় রাজস্ব মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি সচিব ছিলেন কমল। এবার তিনি স্বাধীনভাবে সামলাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব।

    অনিতার জন্মই কানাডায়

    কার্নের মন্ত্রিসভার আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিতার জন্মই কানাডায়। ১৯৮৫ সালে তাঁর পরিবার চলে যান কানাডায়। নোভা স্কটিয়ায় জন্মেছিলেন অনিতা। ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিই। পেশায় আইনজীবী অনিতা নয়া মন্ত্রিসভায় সামলাবেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে অনিতা লিখেছেন, “নয়া মন্ত্রক পেয়ে আমি গর্বিত। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কিছু ভালো করা যাবে না।” বরং (Indian Origin Ministers) ঐক্যবদ্ধ হয়ে কানাডা ও কানাডার অর্থনীতিকে মজবুত করার ডাক দিয়েছেন তিনি (Canada)।

LinkedIn
Share