Tag: bjp

bjp

  • Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইন নিষিদ্ধ (Saline Controversy) করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি। এই আবহের মাঝে এবার স্যালাইন বিভ্রাটে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়, স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Saline Controversy)

    মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের (Saline Controversy) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি (Sankar Ghosh) বলেন, ‘‘এর আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল-সহ কিছু মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদিত স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করল। মৃত্যুও হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। তারপরেও এই সংস্থার স্যালাইন কীভাবে সব মেডিক্যাল সাপ্লাই দিল রাজ্য?’’ এ নিয়ে এদিন তিনি আরও  বলেন, ‘‘এই স্যালাইনের ব্যবহারেই অতীতের মৃত্যু হয়েছিল কিনা দেখা হোক। স্বতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারও করতে হবে।” তিনি বলেন, ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা।’’ এই সংস্থার একটি অফিস শিলিগুড়িতে, সংস্থার আরেক ডিরেক্টর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর বহরমপুরের মুকুল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে। ডিসিজিআই-কে দিয়েও তদন্তের অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।”

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন (Saline Controversy) প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিসিজিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। এসএসকেএমে লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বস্তুত ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। তারপরও কীকরে হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বহুদিন ধরেই খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনায় কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, এর আগেও আমিনকে ২-৩ বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশে সাড়া দেননি আমিন। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতারির পর প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে বলেন, ঘটনায় যে তৃণমূলের হাত রয়েছে এটা অন্তত স্পষ্ট হল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    গত ২৮ অগাস্ট বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের সকালে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি লক্ষ্য করে ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে আহত হন গাড়ির চালক। সেই ঘটনার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কু। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর তদন্তে নেমে ভিডিও ফুটেজ দেখে আততায়ীদের শনাক্ত করে এনআইএ। এর পরই মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছিল তারা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এর আগেও তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আমিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

    আরও পড়ুন: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    কীভাবে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    এর আগেও আমিনকে ধরতে বাড়ি ঘিরে ফেলেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। কিন্তু, আমিন বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার ভোর রাতে আবারও তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। আমিনের বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধিকারিকরা। তাঁর পালানোর আর কোনও অবকাশই ছিল না। বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আমিনকে গ্রেফতার করলেই বড় মাথার হদিশ পেতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে কারা রয়েছেন, কারা ছক করেছিলেন প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেকে খুন করার, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ নীতি কেলেঙ্কারির জেরে আপ সরকারের আমলে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ২ হাজার ২৭ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক এক অডিট রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে (BJP)। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংক্ষেপে ক্যাগ (CAG Report)। রিপোর্টে আবগারি দফতরের শাসন ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলিরও সমালোচনা করা হয়েছে।

    ক্ষতির পরিমাণ (CAG Report)

    বলা হয়েছে, আবগারি দফতরের কাজের ধরন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন হয় যে তারা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অডিটের ফল থেকে আর্থিক প্রভাবের মোট পরিমাণ প্রায় ২.০২৬.৯১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

    আপকে নিশানা বিজেপির

    ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির জাতীয় সভাপতি আক্রমণ শানিয়েছেন আপ এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অপশাসনের ওপরে। আপ দা (‘AAP’DA) মডেল লুটের সম্পূর্ণ প্রদর্শনে এবং তাও মদের মতো কিছুতে। আপ সরকারকে ভোট দেওয়া ও তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দেওয়া মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার।”

    পদ্ম সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ কেলেঙ্কারির ‘মূল হোতা’ বলে অভিহিত করেছেন (CAG Report)। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের প্রবীণ নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেন, “কেজরিওয়াল ভুল করেছেন। তিনি বলেন, সিএজি বলেছে যে মদের নীতিতে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। এখন এটা পরিষ্কার যে তিনি (কেজরিওয়াল) ভুল করেছেন। তিনি সরকারি কোষাগার খালি করেছেন। যদি মদ নীতির কারণে ছ’মাসে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, আর যদি সেই স্কিমটি এখনও চালু থাকত, তাহলে আমাদের ক্ষতি হত (BJP) ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা (CAG Report)।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নদী ভাঙন, জলপথ এবং সেতু নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা।” এদিন গঙ্গাসাগর (Gangasagar mela) পরিদর্শন করে এইভাবেই মন্তব্য করেন তিনি।

    গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজ হয়েছে (Dilip Ghosh)?

    পৌষ সংক্রান্তিতেই সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar mela) বসে। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা স্নান করতে আসেন। সূর্যের উত্তরায়ণ যাত্রা শুরু হয় এই সময় থেকেই। বাংলার এই গঙ্গার সমুদ্র সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। অথচ এইরকম একটি তীর্থ ক্ষেত্রের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক শাসকের বদল ঘটলেও কপিলমুনির আশ্রম, মেলা এবং পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন হয়নি। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এই নদীভাঙন নিয়ে বলেন, “আয়লার সময় ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্যের পক্ষ থেকে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও আর তা পরে করা হয়নি। কাজ করতে না পারায় টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে বলবেন বঞ্চনা করছে। আবার টাকা দিলে আপনারা চুরিও করবেন। আপনারা নিজেরা কাজ করে দেখান। সকলে সহযোগিতা করবে। গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজটা হয়েছে? আপনারা বলুন, কোনও কাজ করলে কি আদৌ টিকছে? এই ভাবে কাজ না করে বন্ধ করে দিন। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতির মর্যাদা দিতে সঠিক ভাবে আবেদন জানান। তাহলেই কাজ হবে।”

    আরও পড়ুনঃ সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন

    একইভাবে মমতাকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, “মমতা একবার বলছেন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে শঙ্করপুরে জেটি নির্মাণ করবেন, আবার কখনও বলছেন নিজেরাই করব। অপর দিকে আদানির সঙ্গেও কথা বলছেন। কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যে তীর্থযাত্রীরা মেলায় আগমন শুরু করে দিয়েছেন। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ এবং গঙ্গাসাগর মেলা একই তিথিতে পড়ে ভক্তদের ভিড় কিছুটা কম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো এবং পরিষেবার বিষয়ে আরও গুরুত্বদিয়ে ভাবতে হবে।” উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে (Gangasagar mela) এসে বলেছিলেন, “রাজ্যের টাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে।” ফলে বছর বছর প্রতশ্রুতি দিলেও পূরণ হয় না কিছুই, একথা এলাকার মানুষরাও এখন মনে করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BSF: কাঁটাতার দিতে বাধা বিজিবি-র! সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক ২ বিজেপি বিধায়কের

    BSF: কাঁটাতার দিতে বাধা বিজিবি-র! সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক ২ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে শুরু করে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ কিংবা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সংক্ষেপে বিজিবির বিরুদ্ধে বারবার সীমা কাঁটাতার বসাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এবার, সীমান্ত পরিদর্শনে গেলেন দুই বিজেপি বিধায়ক। মালদার হবিবপুরে সীমান্ত পরিদর্শনে যান বিজেপি (BJP) বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। চৌকিতে গিয়ে বিএসএফ (BSF) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অন্যদিকে, বালুরঘাটে সীমান্ত এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি।

    বৈঠকের পর কী বললেন বিজেপি বিধায়করা? (BJP)

    হবিবপুরের কেদারিপাড়া সীমান্ত চৌকিতে গিয়ে বিএসএফ (BSF) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে হবিবপুরের বিধায়ক বলেন, “এখানে কোনও ফেন্সিং নেই। কেদারিপাড়া থেকে বেলডাঙা এখানে ২৫ কিমি ফেন্সিং নেই। এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা। রাজ্য যদি আগে ব্যবস্থা নিত, বিএসএফ-কে বা কেন্দ্রকে জায়গা দিত, তাহলে অনেক দিন আগে ফেন্সিং হয়ে যেত।” অন্যদিকে, গত বুধবার কাঁটাতার ইস্যুতেই উত্তপ্ত হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানা এলাকার শিবরামপুর গ্রাম। এখানে প্রায় ৬০০ মিটার এলাকা কাঁটাতার হীন। সেখানে ফেন্সিংয়ের কাজ চলাকালীন, বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ (BSF)। অশান্তির জেরে বন্ধ হয়ে যায় ফেন্সিংয়ের কাজ। রবিবার, সীমান্ত এলাকায় যান বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক। কথা বলেন বিএসএফের সঙ্গে। বিধায়ককে সমস্যার কথা জানান স্থানীয় মানুষরা। বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি বলেন, “গ্রামটাকে যদি কাঁটাতারের মধ্যে নিতে হয় তাহলে ওর দূরত্ব বেড়ে যায় ৯০০ মিটার। ইন্টারন্যাশনাল বর্ডারের ১৫০ মিটারের মধ্যে কোনও কন্সট্রাকশন করা যায় না। আমি কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বললাম। বিএসএফ (BSF) আশা করি সুরাহা করবে।”

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    সরব শুভেন্দুও

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “যদি ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে, গোটা ৫-৭ ড্রোন পাঠিয়ে দিলেই ওদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। ওসামা বিন লাদেনের থেকেও খারাপ অবস্থা হবে।” অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বাধা ঘিরে গন্ডগোলের পর থেকে, মালদার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুরে অরক্ষিত সীমান্তে এখনও কাঁটাতার দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। বিএসএফ-বিজিবি (BSF-BGB) ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পরেও মেলেনি সুরাহা।

    ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে বাংলাদেশিরা

    বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুরে সীমান্তের (BSF) ওপারে দেড়শো গজ এলাকা বরাবর প্রায় হাজার বিঘা চাষের জমি রয়েছে এদেশের কৃষকদের। নিরাপত্তার কারণে কয়েকদিন কৃষকদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। শনিবার ভারতীয় কৃষকরা জমিতে গিয়ে দেখেন ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “এখানে কাঁটাতার লাগাতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। ওরা করতে দিচ্ছে না। জঙ্গি, জাল টাকা সব ভারতে প্রবেশ করাবে, ওই জন্য ওরা বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা আতঙ্কে আছি। কাঁটাতার থেকে ১৫০ গজ ভিতরে জমি আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু।” স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬৩তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর পৈত্রিক ভিটে শিমলা স্ট্রিটে গিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি এখানে প্রায় ৩০ বছর আসছি। গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন করেন। এদিন যখন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি, তখন আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে জীব সেবা করার মাধ্যমে আমরা শিবের সেবা করি। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার সেবা করার শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন স্বামীজি।” স্বামীজির পৈত্রিক ভিটেয় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে ভারত এগিয়ে চলেছে (Suvendu Adhikari)।”

    ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে স্বামীজির আদর্শ

    এদিন সকালে মিছিল করে শিমলা স্ট্রিটে যান শুভেন্দু, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মী। শুভেন্দু প্রথমে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকে আমি এখানে এসেছি। কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হিসেবে এখানে এসেছি। বাড়িটির (স্বামীজির পৈত্রিক ভিটের) অন্দরের সংস্কারের কাজে ও কিছু নির্মাণের কাজে আমি কিছু অনুদানও দিয়েছি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, স্বামীজিরা তাঁকে এই অনুমতি দেওয়ায় তিনি খুশি। শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে হিন্দু ও স্বামীজির আদর্শবাদ।” তিনি বলেন, “আমার শিমলা স্ট্রিটে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। ফলে এটি নিয়ে রাজনৈতিক খোঁচা দেওয়ার কারণ নেই।”

    আরও পড়ুন: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    এদিকে, এদিন স্বামীজিকে ‘ক্যাশ’ করার সুযোগ ছাড়েনি তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মিছিলে ভিড় জমাতে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় দলীয় স্তরে বার্তা পাঠিয়েছিল তৃণমূল। ওই বার্তায় বলা হয়েছিল, ১২ জানুয়ারির মিছিলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক (Suvendu Adhikari)। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের গায়ে লেগেছে মুসলমান তোষণের অভিযোগের কালি। সেই কলঙ্ক মুছতেই যাবতীয় আয়োজন তৃণমূল নেতৃত্বের (Swami Vivekananda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Expired Saline: স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুরে মৃত প্রসূতি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    Expired Saline: স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুরে মৃত প্রসূতি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় (Expired Saline) মৃত্যু প্রসূতির, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও চারজন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একের পর এক রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠন। মমতা জমানার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে তোপ দেগেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। চিকিৎসা পরিকাঠামোয় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তারা।

    তোপ বিজেপির

    দলের এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেখানে লেখা হয়েছে- ‘‘মমতা জমানার লজ্জাজনক বেহাল অবস্থা সামনে এসেছে। একজন গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে (Expired Saline)। আরও কয়েকজন তাঁদের জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। মায়েদের জীবনের বিনিময়ে এটাকেই কি উন্নয়ন বলে? এমন গাফিলতির কারণে হাসপাতালগুলিই মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।’’

    মৃত মামনি রুইদাস (Expired Saline)

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিম্নমানের স‌্যালাইন ও ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে রোগীদের। স‌্যালাইনের বোতলে ছত্রাকও (Expired Saline) মজুত ছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। গত শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুইদাস(২০) নামে এক প্রসূতি (Pregnant Woman Dies)। জানা গিয়েছে, বুধবারই এক সন্তানের জন্ম দেন মামনিদেবী। তারপরেই তাঁর অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। শুক্রবারই মারা যান তিনি। জানা যাচ্ছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের কারণে অসুস্থ হয়েছেন আরও চারজন, তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি না বদল করতে পারলে ২০৩১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে হিন্দুদের। তখন আবাস যোজনায় তৈরি বাড়িগুলি দখল করে নেবে ‘ওরা’। বৃহস্পতিবার হাওড়ার রামরাজাতলায় মন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে একথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে একই পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।’’

    ভাষণে উঠে আসে নিজের মায়ের কথাও বলেন বিরোধী দলনেতা 

    এদিনের বক্তব্যে নিজের মায়ের প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জীবন বাঁচাতে তাঁকেও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা গায়ত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা মাখনলাল ভট্টাচার্যের হাত ধরে বরিশাল থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল হিন্দু হওয়ার কারণে। আর এখানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, ২০৩১ সালের পরে আমাদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে। জায়গা খুঁজতে হবে। ভাতা আসবে যাবে। আবাস হবে, আবাস ভাঙবে-গড়বে। কিন্তু এই যে বাড়িগুলি তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন না, সব দখল করবে ওরা।’’

    বাংলাদেশে চলছে হিন্দু শূন্য করার কাজ (Suvendu Adhikari) 

    এর পরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দখল করেছে আফগানিস্তানে। সেখানে হিন্দু, শিখ ও জৈন পার্শিদের হাতে সব থেকে বেশি সম্পদ ছিল। একদম শূন্য করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ১ শতাংশেরও কমে নামিয়ে দিয়েছে। লাহোর, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে সব বড় শহরে শিক্ষা, ব্যবসা, সম্পদ, অর্থ সব ছিল হিন্দু, শিখ, পার্শিদের হাতে। সেই একই ভাবে বাংলাদেশে শূন্য করার কাজ চলছে।’’

    মমতা (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ

    হাওড়ার সভা থেকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে সীমাহীন তোষণ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে এবং ডেমোগ্রাফি বদলে দিচ্ছে। সীমান্ত খোলা, রোহিঙ্গা মুসলমান ছেয়ে যাচ্ছে।’’ এরপরেই বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘একদিকে যখন বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন বাংলায় তাদের অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা’’ এদিনের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন।” ঠিক এই ভাষায়ই আপকে (AAP) আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে মোতায়েন থাকা দিল্লি পুলিশের কর্মীদের সঙ্গে আপ নেতাদের সংঘাত হয়। সেই সংঘাতকেই নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন আখ্যা দিয়েছে বিজেপি।

    পদ্ম সাংসদের বাক্য-বাণ (BJP)

    পদ্ম সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “দুর্নীতির স্মৃতিস্তম্ভের বাস্তবতা মানুষের সামনে আসছে। আজ যা ঘটছে এবং আপ সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ যেভাবে নিজেদের চরিত্র প্রদর্শন করছেন, তাঁরা যতই চেষ্টা করুন না কেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতির জাদুঘর, ‘শিশমহল’, বাঁচাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “আজ তাঁরা যা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অরাজকতার প্রকাশ।”

    ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা

    দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বিজেপির ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা করতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের দিকে মিছিল করেছিলেন এদিন। পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেন। ভরদ্বাজ বলেন, “আমরা এখানে এসেছি ‘তোমার বাড়ি, আমার বাড়ি’ বিতর্কে যবনিকা টানতে। আমরা বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন উভয়ই মানুষকে দেখানো উচিত। তাই, আমরা এখানে এসেছি।” পুলিশ প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন ভরদ্বাজরা। পরে তাঁরা বাগানবাড়ির বাইরে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ত্রিবেদী বলেন, “আজ আপ যা করেছে তা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন, উন্মাদ এবং অরাজক আচরণের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা সঞ্জয় ও সৌরভকে নিশানা করে বলেন, “আপ নেতারা নাটক করছেন। শিসমহল নির্মাণে হওয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কেন তাঁরা আগেই শিসমহল দেখানোর কথা ভাবেননি? এখন প্রশাসন যখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু করেছে, তখন সেখানে যাওয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন?” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার সময় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি সংস্কার করিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাকে শিসমহল বলে কটাক্ষ করেছেন (AAP) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট কিছু শর্তও আরোপ করেছে।

    প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি 

    চিড়িয়াখানার জমি বেআইনিভাবে বেসরকারি কাজে ব্যবহার করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল তারা। তবে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, রবীন্দ্র সদন থেকে পিটিএস, আলিপুর চিড়িয়াখানা হয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শালীনতা বজায় রাখতে হবে। হাজার সমর্থক মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বেলা ১২টা থেকে শুরু করে বিকেল তিনটের মধ্যে শেষ করতে হবে মিছিল ৷ সব রকম নিয়মশৃঙ্খলা মেনে মিছিল করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: অপরাধ, তিনি হিন্দু! বাংলাদেশে যুবককে কুপিয়ে খুন, চুপ শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস

    কেন প্রতিবাদ মিছিল 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে চিড়িয়াখানার জমিতে পিপিপি মডেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বরাত দেওয়া হচ্ছে, যেখানে বহুতল নির্মাণ করে একটা ফ্লোরে থাকবে সরকারি জিনিসপত্র বিক্রির স্টল আর অন্যগুলোতে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা করতে পারবেন। এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবার এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share