Tag: bjp

bjp

  • BJP: দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেপথ্যে শহুরে নকশালরা!

    BJP: দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেপথ্যে শহুরে নকশালরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ইন্ডিয়া গেট সি-হেক্সাগনে রাজধানী নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদের ঘটনায় দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে (BJP) পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়েছে দু’টি পৃথক থানায় (Urban Naxals)। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম এফআইআরটি দায়ের হয়েছে কর্তব্য পথ থানায়।  ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জন পুরুষ প্রতিবাদকারীকে। দ্বিতীয় এফআইআরটি দায়ের হয়েছে সাংসদ মার্গ থানায়। যেখানে বাকি প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে আগেই জানিয়েছিল যে গতকাল একদল লোক দিল্লি-ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের বায়ুদূষণ নিয়ে ইন্ডিয়া গেটে প্রতিবাদ করেছিল। তারা মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিদমার পোস্টার নিয়ে ঘুরছিল। মাওবাদী এই নেতা সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে।

    পুলিশের দাবি (BJP)

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারা যখন পথ অবরোধ করার চেষ্টা করছিল, তখন পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা পুলিশ কর্মীদের ওপর পেপার স্প্রে ছোড়ে। পুলিশকে আক্রমণও করার চেষ্টা করে। এখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”  যে ২২ জন প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছেন। যদিও তাঁরা গ্রেফতার করা হয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল যে বিক্ষোভকারীদের বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা সরে যায়নি। জনতাকে আটকাতে যে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল, সেগুলিও পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল প্রতিবাদীরা।

    নকশাল নেতার পোস্টার কেন

    রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নকশাল নেতা মদভি হিদমার পোস্টার কেন নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপি নেতা সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেনের দাবি (BJP), প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভকারীরা আসলে (Urban Naxals) নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিশানা করার ছুতো খুঁজছিল। তিনি বলেন, “দিল্লিতে গতকাল যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার জন্য দূষণ ছিল কেবল একটি অজুহাত। তাদের আসল লক্ষ্য ছিল হিদমার এনকাউন্টার নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করা। এরা ‘আরবান নকশাল’, ছদ্মবেশে আসে, এরা ‘প্রটেস্ট জীবী’, যেভাবে হিদমার সমর্থনে স্লোগান উঠেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই দেশে যারা নকশাল ও সন্ত্রাসীদের সমর্থনে আওয়াজ তোলে, তাদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

    “বিশুদ্ধ বাতাস বিক্ষোভ”

    রবিবারের এই ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই, ৯ নভেম্বর ইন্ডিয়া গেটে হয়েছিল “বিশুদ্ধ বাতাস বিক্ষোভ”। তখনও অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছিল। তারা রাজধানীতে “বায়ু জরুরি অবস্থা” মোকাবিলায় অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপ ও কড়া নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিলেন (BJP)। ফি বার শীতকালে ঘন বিষাক্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে দিল্লির আকাশ। যার জেরে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। দিল্লির বেশির ভাগ এলাকার একিউআই ৩০০ থেকে ৪০০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কয়েকটি এলাকায় তো আবার ৪০০–র সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Urban Naxals) একিউআই। সেই কারণে ওই এলাকাগুলি ‘গুরুতর’ শ্রেণিতে পৌঁছে গিয়েছে।

    অমিত মালব্যর দাবি

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর দাবি, প্রতিবাদীদের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “গত এক দশক ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এক আরবান নকশাল, এবং শহরটি বছর বছর দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে থাকলেও বিশুদ্ধ বাতাসের দাবিতে বড় কোনও আন্দোলন দেখা যায়নি।” তিনি আরও লেখেন, “কিন্তু বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ করে ‘অ্যাক্টিভিস্টরা’ দূষণের নামে প্রতিবাদ শুরু করেছে। স্পষ্টতই এসব প্রতিবাদ পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের জন্য নয়, বরং একটি প্রতিক্রিয়াশীল কমিউনিস্ট অ্যাজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত।” একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘও। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা (Urban Naxals) সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু আরবান নকশাল এবং বামপন্থী, ভারত-বিরোধী শক্তিগুলি বিদেশি টুলকিটের মাধ্যমে দেশে ঘৃণা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। নকশাল, মাওবাদী বা সন্ত্রাসবাদী, তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাদের নিরপরাধ মানুষ হত্যা-নির্ভর মতাদর্শ নির্মূল করতেই হবে (BJP)।”

    বিপদের নাম শহুরে নকশাল

    প্রসঙ্গত, শহুরে নকশালরা যে উন্নয়ন বিরোধী, তা ঢের আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, এঁদের পেছনে থাকে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সমর্থনও। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, গুজরাটে নর্মদা নদীর ওপর নির্মিত সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প দীর্ঘকাল ধরে আটকে রেখেছিলেন শহুরে নকশালরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উন্নয়ন বিরোধী কিছু মানুষও। তাঁর তোপ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ (Urban Naxals) থেকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের উন্নয়নে বাধা দেন শহুরে নকশালরা (BJP)।

  • Rajnath Singh: “সিন্ধু অঞ্চল একদিন ফের ভারতের ঘরে ফিরে আসতে পারে”, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “সিন্ধু অঞ্চল একদিন ফের ভারতের ঘরে ফিরে আসতে পারে”, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিন্ধু (Sindh) অঞ্চল আজ ভারতের সঙ্গে নেই, কিন্তু সীমান্ত বদলাতে পারে এবং একদিন এই অঞ্চল ফের ভারতের ঘরে ফিরে আসতে পারে।” রবিবার নয়াদিল্লতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অন্তত এমনই বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সিন্ধুপ্রদেশ (Rajnath Singh) অর্থাৎ সিন্ধু নদের আশপাশের অঞ্চল ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। ওই অঞ্চলে বসবাসকারী সিন্ধি জনগণের একটা বড় অংশই ভারতে চলে আসেন। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আডবাণীর মতো নেতাদের প্রজন্মের মানুষ, সিন্ধু অঞ্চলের ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা কখনওই মেনে নেননি।”

    কী বললেন রাজনাথ (Rajnath Singh)

    তিনি বলেন, “লালকৃষ্ণ আডবাণী তাঁর বইগুলির একটিতে লিখেছিলেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষত তাঁর প্রজন্মের মানুষ, এখনও পর্যন্ত সিন্ধুর ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “শুধু সিন্ধুতেই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা সিন্ধু নদকে পবিত্র বলে মনে করেন। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করেন যে সিন্ধ নদের জল মক্কার জমজম জলের মতোই পবিত্র। এটি আডবাণীজির উদ্ধৃতি।” রাজনাথ বলেন, “আজ সিন্ধুর ভূমি ভারতের অংশ না হলেও, সভ্যতার দৃষ্টিতে সিন্ধু চিরকালই ভারতের অংশ থাকবে। আর ভূমির ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত বদলাতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধু আবার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে কি না। আমাদের সিন্ধুর মানুষ, যাঁরা সিন্ধু নদকে পবিত্র মনে করেন, তাঁরা সর্বদাই আমাদের আপনজন। তাঁরা যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁরা আমাদেরই থাকবেন।”

    প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতা

    প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর মরোক্কোয় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় রাজনাথ বলেন, “আমি আশাবাদী যে ভারতের কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ না নিয়ে পিওকে ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে। কারণ সেখানকার বাসিন্দারা দখলদারদের হাত থেকে মুক্তি দাবি করছেন।” তিনি বলেন, “পিওকে নিজেই আমাদের হবে। পিওকে দাবির সূচনা শুরু হয়ে গেছে, নিশ্চয়ই স্লোগান দিতেও শুনেছেন (Sindh)।” প্রসঙ্গত, বহুবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতে ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নানা সময় একই দাবি জানিয়েছেন, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এবার এবার পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ ভারতে ফেরানোর দাবি জানালেন রাজনাথ। এদিন সিন্ধি সম্প্রদায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “২০১৭ সালে তৎকালীন দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেই সময় দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, সিন্ধু ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ (Rajnath Singh)।”

    “আমার জন্মস্থান আর ভারতের অংশ নয়”

    উল্লেখ্য, ১৯২৭ সারের ৮ নভেম্বর সিন্ধুপ্রদেশের (বর্তমানে পাকিস্তানে) রাজধানী করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আডবাণী। পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “আমার জন্মস্থান আর ভারতের অংশ নয়।” এদিন সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে রাজনাথ বলেন, “দেশভাগের পর সিন্ধু নদের একটি বড় অংশ পাকিস্তানে চলে যায় (Sindh)। সমগ্র সিন্ধুপ্রদেশ পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমাদের কাছে সিন্ধু নদ, সিন্ধু অঞ্চল এবং সিন্ধিদের গুরুত্ব কমে গিয়েছে। এটি এখনও হাজার হাজার বছর আগের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সিন্ধু শব্দটি ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং সিন্ধি সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত।” জাতীয় সঙ্গীতের কথা উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আজও মানুষ গর্বের সঙ্গে পঞ্জাব, গুজরাট, মারাঠা গান গায়। তারা এই গান গাইতে থাকবে এবং চিরকাল গাইবে। যতক্ষণ আমরা বেঁচে আছি, ততক্ষণ গাইব (Rajnath Singh)।”

    পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘এই ধরনের মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী মানসিকতার প্রকাশ এবং তা প্রতিষ্ঠিত বাস্তবকে চ্যালেঞ্জ করে। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইন, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরোধী।’ এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে ভারতকে অনুরোধ করেছে পাকিস্তান (Sindh)। রাজনাথের এহেন মন্তব্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। বলেছে, যে সিন্ধু ১৯৪৭ সাল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য প্রদেশ। এটি পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম প্রদেশ এবং এর রাজধানী করাচি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র। পাকিস্তানের মতে, সিন্ধুর ভারতে যোগদানের কথা বলা কেবল এই অঞ্চলে উত্তেজনা উসকে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা এবং যে কোনও মূল্যে এটি এড়ানো উচিত (Rajnath Singh)।

  • PM Modi: এবার লক্ষ্য বঙ্গ, ডিসেম্বরেই নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: এবার লক্ষ্য বঙ্গ, ডিসেম্বরেই নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অঙ্গ জয় হয়ে গিয়েছিল। জয় হয়ে গিয়েছে কলিঙ্গও। এবার বিজেপির শ্যেনদৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। সেই কারণেই শুরু হয়ে গিয়েছে জমি তৈরির কাজ। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (PM Modi)। তবে কবে ভোট ঘোষণা হবে, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। তার ঢের আগেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার-অভিযান শুরু করে দিচ্ছেন দলের কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ডিসেম্বর মাস থেকেই বস্তুত বাংলা চষে বেড়াবেন প্রধানমন্ত্রী। এই মাসেই কয়েকটি জনসভা করবেন তিনি। তবে কেবল প্রধানমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো হেভিওয়েটদের দিয়ে জনসভাই নয়, জনসংযোগের জন্য দলের পরম্পরাগত কর্মসূচি রথযাত্রাও করতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের পাঁচটি প্রান্ত থেকে সূচনা হবে পাঁচটি রথযাত্রার।

    ১৪ থেকে ১৫টি জনসভা (PM Modi)

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে ১ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ওই মাসেরই ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এই অধিবেশন চলাকালীনই কোনও শনিবার কিংবা রবিবার বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ রাজ্যে ১৪ থেকে ১৫টি জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। পদ্মশিবির সূত্রে খবর, সম্ভাবনাময় এলাকা বেছে বেছে সভার আয়োজন করা হবে। বিজেপির এক নেতা বলেন, “সম্ভাবনাময় আসন মানে আমাদের জেতা এলাকাগুলির কথা বলা হচ্ছে, এমন নয়। যেসব এলাকায় আমরা পাশাপাশি একাধিক আসনে অল্প ভোটে হেরেছি বা পিছিয়ে থেকেছি, যেসব এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে পারলে ভোটের ফল ঘুরে যাবে, সেগুলিকেই সম্ভাবনাময় হিসেবে ধরা হচ্ছে। সেই সব এলাকা বেছে বেছে পাঁচ বা তার চেয়েও বেশি বিধানসভা আসনের জন্য এক একটি জনসভা বরাদ্দ করা হতে পারে (West Bengal)।”

    প্রথম জনসভা কোথায়

    প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে নদিয়া জেলার কোনও অংশে হতে পারে এই দফার প্রথম জনসভাটি। মে এবং অগাস্ট মাসে এ রাজ্যে তিনটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমটি উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে, দ্বিতীয়টি রাঢ়বঙ্গের দুর্গাপুরে। আর তৃতীয়টি দমদমে। তখনই একপ্রকার স্থির হয়ে গিয়েছিল, পরের সভাটি হবে রানাঘাট বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। যদিও, বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সভার তারিখ এবং জায়গা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ডিসেম্বরের শেষ থেকে বঙ্গ সফর শুরু করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (PM Modi)।

    অকাল রথযাত্রা

    যেমন চূড়ান্ত হয়নি বঙ্গে রথযাত্রার কর্মসূচির নির্ঘণ্টও। তবে আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে দিল্লিতে সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের। সেই বৈঠকেই রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে কথা হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের প্রতিটি থেকে একটি করে রথযাত্রা হবে (West Bengal)। রথাযাত্রার সূচনা হবে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, নবদ্বীপ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর – এই পাঁচটি অঞ্চল থেকে। প্রতিটি যাত্রার সূচনায়ই থাকতে পারেন একজন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় এর আগেও ভোটের মুখে রথাযাত্রা বের করেছিল বিজেপি। এবার যে পাঁচটি অঞ্চল থেকে রথ বের করার কথা ভাবা হচ্ছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ওই এলাকাগুলি থেকেই বের হয়েছিল রথ। সেই মতোই এবারও পথে নামবে পদ্ম-রথ (PM Modi)। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আগামী মাসের ১৩ বা ১৪ তারিখ হবে শনি ও রবিবার। তাই এই দু’টি দিনের কোনও একটিতে বঙ্গ সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আরামবাগে হতে পারে প্রথম জনসভাটি। এজন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর নিশ্চিত করলে তবেই ওই দু’দিনের মধ্যে একদিন বাংলায় জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (West Bengal)।

    আগামী মাসেই নয়া রাজ্য কমিটি

    এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের ঢের আগেই নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আগামী মাসেই তা ঘোষণা হতে পারে বলে বিজেপির একটি সূত্রের খবর। ১৯ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার পর কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতেই নয়া রাজ্য কমিটির সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠকেই বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে পরামর্শ দিতে পারেন শাহ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে তুলনায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। পদ্ম চিহ্নে জয়ী হয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন ৭৭ জন। পরে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জনাদেশ অবজ্ঞা করে জার্সি বদলে ভিড়ে যান তৃণমূলের শিবিরে। বিরোধীদের একাংশের দাবি, শাসক দলে থাকলে ‘কামানো’র সুযোগ থাকে। তাই এক দলের (West Bengal) টিকিটে জিতে অন্য দলে যোগ দিয়েছে হাওয়া মোরগের দল (PM Modi)!

  • Mission Trishul: বিহারে এনডিএর বিপুল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএসএস!

    Mission Trishul: বিহারে এনডিএর বিপুল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএসএস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএর বিপুল জয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএসএস (RSS)। নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি(আরভি) এবং অন্যান্য জোটসঙ্গীরা, সেখানে আরএসএস এবং বিজেপির বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, জটিল সামাজিক সমীকরণযুক্ত জেলাগুলিতে বিশেষভাবে সংঘের মাঠপর্যায়ের কাজ জোটকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে (Mission Trishul)। তারা মূলত জোর দিয়েছে সুশাসন ও উন্নয়নের ওপর।

    স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন (Mission Trishul)

    সংবাদ মাধ্যমের খবর, আরএসএস বিহারের ৩৮টি জেলার প্রতিটিতে অন্তত ১০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করেছিল, যারা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করেছে। এর পাশাপাশি প্রায় ৫ হাজার এবিভিপি সদস্যকে পাঁচজনের ছোট দলগুলিতে ভাগ করে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়েছিল। এই দলগুলি নীরবে কাজ করেছে। আরএসএসের এই চেষ্টা এনডিএর ভোটশেয়ার ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় অধিকাংশ আসনেই বাড়াতে সাহায্য করেছে। ২০২০ সালে এনডিএর কিছু শরিক, যেমন তৎকালীন অবিভক্ত লোক জনশক্তি পার্টি এবং জাতীয় লোক মোর্চা আলাদাভাবে নির্বাচন লড়েছিল। কিন্তু এবার সবাই একজোট হওয়ায় আরএসএস জোটের সব প্রার্থীকেই সমানভাবে সমর্থন করেছে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    আরএসএস সূত্রে খবর, যে যে আসনে এনডিএর যেসব শরিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেগুলির ভোটশেয়ারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিজেপির ৪২.৫৬ ভোট থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮.৪৪ শতাংশ, জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর ভোট ৩২.৮৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬.২ শতাংশ। এলজেপি(আরভি)-এর ভোট ১০.২৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩.১৮ শতাংশ, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার)-এর ভোট ৩২.২৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮.৩৯ শতাংশ, এবং আরএলএমের ৪.৪১ ভোটের হার থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১.০৯ শতাংশ (RSS)। এনডিএর সংখ্যাগরিষ্ঠতার গেরো পার করার আরও একটি কারণ হল মানুষের ভোট দেওয়ার ধরন বদলানো। আরএসএস কর্মীরা ভোটারদের (Mission Trishul) বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে কর্মক্ষমতা ও জাতীয় স্বার্থ—এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে, প্রচলিত জাতিভিত্তিক ভোটের বদলে। বস্তুত, এই প্রথার জন্য বিহার বহুদিন ধরে পরিচিত। স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই সংঘের বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিহারে বাস করতেন। ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি ছাত্ররা সময় বের করতে পারলেই যোগ দিতেন নানা কর্মসূচিতে। আরএসএসের এক পদাধিকারী জানান, তাদের বাড়ি–বাড়ি প্রচার ভোটারদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে কেবলমাত্র জাতিভিত্তিক রাজনৈতিক পছন্দ বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থকে দুর্বল করে।

    মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নজরকাড়া ফল

    সবচেয়ে (RSS) নজরকাড়া ফল এসেছে সীমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এটি এমন কিছু জেলার সমষ্টি যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য। সমাজসেবা, কমিউনিটি কাজ এবং স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে গত দশকে আরএসএস এখানে ধীরে ধীরে তাদের পায়ের নীচের মাটি শক্তি করেছে। সংঘ কর্তাদের মতে, এই দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির কারণেই তারা এই অঞ্চলের ২৮–৩২টি আসনে জাতিভেদের বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করে হিন্দু ভোট একত্রিত করতে পেরেছেন। ৩২টি আসনের মধ্যে যেখানে মুসলিম ভোটাররা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে এবারের নির্বাচনে এনডিএ জিতেছে ২১টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি ১০টি, জেডিইউ ৮টি, এলজেপি (আরভি) ২টি এবং আরএলএম ১টি আসন জিতেছে। ২০২০ সালের তুলনায় এটি ভালো ফল। কারণ, সেবার এনডিএ এই আসনগুলির মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল (Mission Trishul)।

    সংখ্যালঘু মোর্চার অবদান

    বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চাও জুলাই থেকে একটি নীরব কিন্তু লক্ষ্যভিত্তিক প্রচার চালিয়েছে, বিশেষভাবে মুসলিম পরিবারগুলির ওপর গুরুত্ব দিয়ে। তারা কেন্দ্রের বিভিন্ন কল্যাণ প্রকল্প, যেমন উজ্জ্বলা ও আবাস যোজনার উদাহরণ তুলে ধরে জানিয়েছে, এসব প্রকল্প ধর্মনিরপেক্ষভাবে সবারই উপকার করেছে। সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান জামাল সিদ্দিকি বলেন, “অনেক মুসলিম পরিবার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, কারণ তারা স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন চাইছিল।” তাঁর দাবি, নীতীশ কুমারের টেকসই সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন প্রচেষ্টা—এই দুটোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    মিশন ত্রিশূল

    পরম্পরাগত নির্বাচনী ব্যবস্থার পাশাপাশি, আরএসএস এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মিশন ত্রিশূল নামে একটি বিশেষ প্রচারও করে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত নিজেও এতে যুক্ত ছিলেন। প্রশ্ন হল, মিশন ত্রিশূল কী (RSS)মিশন ত্রিশূল হল তিন ধাপের একটি কাঠামো, যার লক্ষ্য হল এনডিএর জয়ের সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করা এবং গ্রামীণ অঞ্চলে বিরোধী মনোভাবের প্রভাব কমানো। মিশনের প্রথম ধাপে বুথ স্তরে ভোটার মানসিকতার বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করা হয়। আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রাম ও ছোট শহরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, বেকারত্ব, রাস্তার অভাব, কল্যাণমূলক সুবিধা বিলম্বে পাওয়া, বা স্থানীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ এসব বিভিন্ন অসন্তোষের কারণ জানতে।
    দ্বিতীয় ধাপটি হল যোগাযোগ কৌশল। যেসব এলাকায় অসন্তোষ পাওয়া গেল, সেখানে আরএসএস স্থানীয় সমস্যাগুলিকে বিজেপির বৃহত্তর জাতীয় প্রচারের সঙ্গে যুক্ত করতে কাজ করে, উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক পরিচয়, জাতীয়তাবাদ এবং স্থিতিশীলতা (Mission Trishul)।
    স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারি প্রকল্প, কর্মসংস্থান প্রচেষ্টা, কৃষি সংস্কার, এবং সংরক্ষণ নীতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এগুলিকে সুশাসন ও উন্নয়নের বড় গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দেন (RSS)। মিশন ত্রিশূলের শেষ ধাপটি হল হিন্দু ভোটারদের একত্রিত করা। এবিভিপি, বাজরং দল, ভিএইচপি, মজদুর সংঘের মতো সংগঠনগুলি এই কাজে সাহায্য করে। তারা কোন বুথ বিজেপির শক্তিশালী, কোনটি দুর্বল – এগুলি চিহ্নিত করে এবং নিশ্চিত করে যে বিজেপি-সমর্থক ভোটাররা ভোটদানে সক্রিয় হয় (Mission Trishul)।

  • Nitish Kumar: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাশ ছাড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, দায়িত্ব বর্তাল বিজেপির হাতে

    Nitish Kumar: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাশ ছাড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, দায়িত্ব বর্তাল বিজেপির হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাশ এবার ছাড়তেই হল বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar)। প্রায় দু’দশক ধরে এই দফতরটি নিজের হাতে রেখেছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ। এবার সেটাই তাঁকে ছেড়ে দিতে হল বিজেপিকে। এই দফতরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর হাতে।

    মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ (Nitish Kumar)

    সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে নীতীশের দল জিতেছে ৮৫টিতে। জোট রাজনীতির ধর্ম মেনে তারা প্রার্থী দিয়েছিল ১০১টি আসনে। এনডিএর আর এক শরিক বিজেপিও প্রার্থী দিয়েছিল সম সংখ্যক কেন্দ্রে। তবে পদ্মঝুলিতে পড়ে ৮৯টি আসন। এর পরেই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় নীতীশকে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির সম্রাট এবং বিজয় সিনহা। বিজয়কে দেওয়া হয়েছে রাজস্ব ও খনি মন্ত্রকের দায়িত্ব। বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষি (রাম কৃপাল যাদব), অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ (রামা নিশাদ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (নারায়ণ প্রসাদ), শিল্প (দিলীপ জয়সওয়াল) এবং শ্রম (সঞ্জয় সিং টাইগার) দফতর। বিহারের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডেকে একই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রকের দায়িত্ব – স্বাস্থ্য ও আইন।

    যেসব দফতর বিজেপির হাতে

    বিজেপিকে যে আরও কয়েকটি দফতর দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, সড়ক ও আবাসন (নিতিন নবীন), এসসি ও এসটি কল্যাণ (লখেন্দ্র রৌশন), পর্যটন (অরুণ শঙ্কর প্রসাদ), আইটি ও ক্রীড়া (শ্রেয়সী সিং), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ (সুরেন্দ্র মেহতা) এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন (প্রমোদ কুমার)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক দল জেডিইউ পেয়েছে সামাজিক কল্যাণ (মদন সাহনি), গ্রামীণ কর্ম (অশোক চৌধুরি), খাদ্য ও ভোক্তা সুরক্ষা (লেশি সিং), গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবহণ (শ্রবণ কুমার), জলসম্পদ (ভিকে চৌধুরি), জ্বালানি (বিজেন্দ্র যাদব) এবং শিক্ষা (সুনীল কুমার) বিভাগ। ছোট শরিকদলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ইক্ষু শিল্প ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ (লোক জনশক্তি পার্টির হাতে), মাইনর ওয়াটার রিসোর্সেস (হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার হাতে), এবং পঞ্চায়ত রাজ (রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চের হাতে) (Bihar)।

    বিজেপিই ‘দাদা’

    প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) প্রথমবার বিহারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নেন ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে। এর পর থেকে প্রায় সব সময়ই এই গুরুত্বপূর্ণ দফতরটি তিনি রেখেছেন নিজের হাতে। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের ভরাডুবির পর পদত্যাগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার জিতন মাঝি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই স্বরাষ্ট্র দফতর এবার বিজেপিকে দিয়ে দেওয়াটা একটি বড় বার্তা। এই বার্তায় স্পষ্ট, যে এই দল দু’টির মধ্যে আপাতত বিজেপিই ‘দাদা’। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি এবং নীতীশের দল একসঙ্গে লড়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল পেয়েছিল ৭৪টি আসন, আরজেডির চেয়ে মাত্র একটি কম। আর ২৮টি আসন খুইয়ে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছিল জেডিইউ। তখনই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, বিজেপি কি এই সুযোগে মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নীতীশের হাত থেকে কেড়ে নেবে? তা হয়নি। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং স্বরাষ্ট্র দফতর দু’টিই রাখেন নিজের হাতে। তবে দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয় বিজেপিকে (Bihar)। পাঁচ বছর পর এখন জেডিইউ ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হয়েছে নীতীশকে (Nitish Kumar)।

    শুরু হয়ে গেল সলতে পাকানোর কাজ!

    বিহারে এনডিএ জোটের বৃহত্তর দল হল বিজেপি। তাই নীতীশের মন্ত্রিসভার প্রথম পদ্ম-প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। আর জেডিইউয়ের আছে মাত্র ন’জন। বিহারের রাজনীতি সম্পর্কে যাঁরা সম্যক অবগত, তাঁরা জানেন, নীতীশ-উত্তর বিহার রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রস্তুত করছে সম্রাটকে। বছর সাতান্নর এই বিজেপি নেতা বর্তমানে উপমুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে প্রস্তুত করতেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের রাশ। বর্তমানে নীতীশের বয়স কমবেশি ৭৪। তাই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণেই শুরু হয়েছে সলতে পাকানোর কাজ, যার জেরে সম্রাটের হাতে তুলে দেওয়া হল স্বরাষ্ট্র দফতরের রাশ।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। তিনি যদি তাঁর এই () মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন, তাহলে আরও একটি রেকর্ড গড়বেন জেডিইউ সুপ্রিমো। তখন তিনিই হবেন ভারতের দীর্ঘতম-মেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী, ভেঙে ফেলবেন সিকিমের পবন চামলিংয়ের রেকর্ডও (Nitish Kumar)।

  • Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো, অবৈধ ভোটার দিয়ে তালিকা ভরিয়ে রাখার স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে বিকৃত করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখেছেন। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বিকেলে জ্ঞানেশকে মমতার পাল্টা চিঠি লিখলেন শুভেন্দু। চিঠিতে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতা। দীর্ঘ চিঠিতে একাধিক উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু লিখলেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এসআইআর সঠিক ভাবে সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। ভারতের গণতন্ত্র রক্ষার জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিঠি লিখেছেন, তা আদতে কোনও গঠনমূলক কারণে নয়, অবৈধ ভোটব্যাঙ্ককে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। এমন বার্তাই কমিশনে পৌঁছে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। কর্তব্যরত আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে চিঠি লিখেছেন মমতা। পাল্টা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, আদতে রাজ্যের শাসক দল ভোটের স্বার্থে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এতদিন ধরে সুরক্ষা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, জায়গায় জায়গায় বাংলাদেশিদের ঘর ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে। হাকিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় বাড়ছে, এমন ছবিও সামনে এসেছে। শুভেন্দুর চিঠিতে সেই ঘটনারও উল্লেখ আছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতার চিঠি আদতে নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের যে আস্থা, তাতে আঘাত হানছে। সঙ্গে শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বিএলও দের হুমকি দিয়েছেন।

    মুকুল রায়ের মামলার কথা

    মমতার চিঠি ছিল তিন পাতার। শুভেন্দু পাল্টা চিঠিটি লিখেছেন চার পাতার। সেই চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, শুধু ভোট চুরি করা নয়। মমতার রাজনৈতিক ধরন হল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকেও চুরি করা। সে কারণেই হাইকোর্ট মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছে। এসআইআরের চাপ সইতে না-পেরে দুই বিএলও-র মৃত্যু, মানুষের হেনস্থা, আলু তোলার মরসুমে এই প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ করেছেন মমতা। শুভেন্দু তাঁর চিঠিতে পাল্টা যুক্তির জাল বুনতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএলওদের অর্থবৃদ্ধির ফাইল এখনও রাজ্যের অর্থ দফতর এখনও ফেলে রেখেছে।

    ‘‘বাংলায় কায়েম জঙ্গলরাজ’’

    শুভেন্দুর বক্তব্য, গত তিন মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বিএলওদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, ভোটের পরে রাজ্য সরকারের চাকরিই তাঁদের করতে হবে। যা কমিশনের নির্দেশ পালনের বদলে রাজনৈতিক দাসত্ব পালনে প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী মনোজ আগারওয়ালের বিরুদ্ধেও মমতা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মমতা যে ভাবে চিঠি লিখেছেন, তা নিয়ে কমিশনের কঠোর মনোভাব নেওয়া উচিত বলে জ্ঞানেশকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর আরও বক্তব্য, এই চিঠিই প্রমাণ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা উল্লেখ করছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কমিশনই এ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সারা বাংলা জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কোনও কাজই করেনি। তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন হল কীভাবে প্রশ্ন শুভেন্দুর।

    সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ

    এসআইআর বন্ধের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ করেছেন, বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,  এসআইআর কোনো নতুন প্রক্রিয়া নয়, দেশে এটা নবমবারের মতো হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই উনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, সিইসি-কে গালিগালাজ করছেন।

    ‘‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’’

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর) অধীনে ৫০.৪০ কোটিরও বেশি ভোটার, যা প্রায় ৯৯ শতাংশ, গণনার ফর্ম পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৫০.৯৭ কোটি ভোটার রয়েছেন। এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরি।

    ‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না’’

    বিজেপি নেতা আরও যোগ করেন,‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা না এলে এপ্রিলে নির্বাচন হবে না। মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে হট্টগোল করছেন… যখন ১ কোটিরও বেশি ভোটার বাদ যাবে, যারা হয় মৃত, ভুয়ো অথবা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তখন উনি কীভাবে জিতবেন… বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের পার্থক্য মাত্র ২২ লক্ষ…’’

  • Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumars Oath Ceremony)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিশিষ্ট নেতা। বিহার বিধানসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হবে ১৯ নভেম্বর। তার পরের দিনই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে হবে নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

    উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী (Nitish Kumar Oath Ceremony)

    নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই কারণে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ওই ময়দানে। জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও। সোমবার থেকেই ওই ময়দানে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাই-প্রোফাইল এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ময়দান। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি শপথ গ্রহণের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ স্তরের নেতা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জেপি নাড্ডা। তাঁদের উপস্থিতি বিহারে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থানই স্পষ্ট করে। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৮৯ কেন্দ্রের রাশ। তার পরেই রয়েছে নীতীশের দল। তারা পেয়েছে ৮৫টি আসন। যদিও বিজেপি এবং নীতীশের দল জেডিইউ প্রার্থী দিয়েছিল ১০১টি করে আসনে।

    আর কারা থাকবেন

    এর আগে ন’বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। টানা ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। এবার তিনি শপথ নিতে চলেছেন দশমবারের জন্য। এটি হবে বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল ও নজিরবিহীন মাইলফলক (Nitish Kumar Oath Ceremony)। ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি এবং এনডিএ পরিচালিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে (PM Modi) পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও।

    বম্ব স্কোয়াডের লোকজন

    সোমবার গান্ধী ময়দান ঘুরে দেখেন বম্ব স্কোয়াডের লোকজন। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি মাঠে বিছানো হয়েছে সবুজ কার্পেট। অতিথিদের বসার জন্য ১ হাজার ৫০০টি সোফার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মাঠ সাজানোর জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে লরি লরি ফুল (Nitish Kumar Oath Ceremony)। এদিকে, মঙ্গলবারই বিদায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন নীতীশ। বৈঠক শেষে তাঁরা চলে যান রাজভবনে। সেখানেই ১৯ নভেম্বর বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পেশ

    এদিন নীতীশের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরিও। রাজ্যের বিদায়ী জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৯ নভেম্বর থেকে বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে সেই প্রস্তাব অনুযায়ী সুপারিশও করেছেন।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী এদিন পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগ করবেন ১৯ নভেম্বর। সেদিনই রাজ্যপালের কাছে নয়া সরকার গঠনের দাবিও জানাবেন (Nitish Kumar Oath Ceremony)।

    জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন

    অতীতে বহু রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পাটনার এই গান্ধী ময়দান। তবে এনডিএ শিবিরের দাবি, অতীতের সেই সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে যাবে নীতীশের এবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ময়দানে প্রস্তুত করা হচ্ছে একটি জার্মান হ্যাঙ্গার। এই বিশাল হ্যাঙ্গারে এক সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন। হাজার তিরিশেক চেয়ারও রাখা হচ্ছে। পাটনার জেলাশাসক এসএম ত্যাগরাজন বলেন, “এটা স্পষ্ট যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এখানেই হবে। সেজন্য নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিক করে তোলার জন্য প্রস্তুতি প্রায় সারা (PM Modi)।”

    কী বলছে নীতীশের দল

    সরকার গড়ার লক্ষ্যে জেডিইউয়ের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঝা প্রথমে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে। রবিবার তিনি দেখা করেছিলেন নীতীশের সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই নয়া সরকার গঠন করা হবে। এনডিএর ইস্তেহারে আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Nitish Kumar Oath Ceremony)।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীতীশের দলের এক নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এটি একটি জমকালো অনুষ্ঠান হবে। সমাগম হতে পারে (PM Modi) বিপুল দর্শকের। আমাদের দল নয়া মন্ত্রিসভায় আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের প্রত্যাশা করছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় আমাদের দলের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র ১২ জন।”

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্ষমতায় এলে বিজেপি (BJP) শুধু লক্ষ্মীদের কথাই ভাববে না, নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করবে।” মালদায় এমন মন্তব্যই করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিহার নির্বাচনে সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট গিয়েছে বিজেপির দিকে। এই রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম হবে না।”

    অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে মিলবে বেশি টাকা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “বাংলার মা-বোনেদের আমরা আশ্বস্ত করছি, বিজেপির ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অর্থ সচিবকে বলেছেন, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা করে বাড়াতে চান। আমার কাছে খবর, রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো নয়। ২০২৫ সালে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা ঋণ হয়ে যাবে। যার মানে হল, প্রত্যেকের মাথার ওপর এখন ৭০ হাজার টাকার করে দেনা রয়েছে। এত ঋণ নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অত টাকা বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে কিছু টাকা বাড়ানো হবে।” তিনি বলেন, “বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আমি রাজ্যের মহিলাদের আশ্বস্ত করছি যে তৃণমূল যা ঘোষণা করবে, আমরা তার থেকে অন্তত ৫০ টাকা বেশি দেব অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীর সঙ্গে আমরা নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করব। তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে। লক্ষ্মী এখন গ্রামে, আর নারায়ণদের কেউ গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বেঙ্গালুরুতে।” সুকান্ত বলেন, “বিহারে যেভাবে জীবিকা দিদি করা হয়েছে, মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানেও সেটা করা হবে। যাতে তাঁর পরিবারকে তাঁকে ছেড়ে যেতে না হয়।”

    উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূল!

    এদিন পুরাতন মালদার একটি হোটেলে চারটি সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা সুনীল বনসল। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ দলীয় বিধায়করা। অংশ নিয়েছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দলীয় নেতৃত্বও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই বৈঠকের আগেই সাংবাদিক সম্মেলন (BJP) করেন সুকান্ত। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারই (বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন) বলে দিয়েছেন, যেভাবে মা গঙ্গা বিহার হয়ে বাংলায় এসেছেন, ঠিক সেভাবেই বিজেপির জয়যাত্রাও বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকে ময়দানে নেমে পড়ছেন। উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে তৈরি হয়ে রয়েছেন তাঁরা।”

    ওরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “রাজ্যের দিকে দিকে বিজেপির ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবারের মতো জায়গায় বিজেপির লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত, এরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের মতো লোকসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চুরি করে ৭ লাখ ভোটে জিতেছিলেন, সেখানে যদি বিজেপি কর্মীদের মারতে হয়, তাহলে বোঝাই যায় বিজেপির দম আছে (Sukanta Majumdar)।” তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি রক্তবিন্দুর হিসেব নিয়ে নেব। বাংলায় ইতিমধ্যেই হিন্দুরা এককাট্টা হয়ে গিয়েছে। গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। হিন্দুরা বুঝতে পেরেছে, যদি বিজেপি ক্ষমতায় না আসে, তবে তাদের জন্য এই বঙ্গভূমি আগামীতে বধ্যভূমিতে পরিণত হবে।”

    সর্বধর্ম সমভাবের নীতি

    সুকান্ত (BJP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমাদের চোখে প্রত্যেকে বাঙালি। প্রত্যেকে ভারতবর্ষের নাগরিক, ভারত মায়ের সন্তান। আমরা সর্বধর্ম সমভাবে নীতি নিয়ে চলি। এটা আমাদের পঞ্চনিষ্ঠা।” তিনি বলেন, “বিজেপি উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বিহারে সংখ্যালঘু মহিলারাও বিজেপি এবং এনডিএ জোটকে ভোট দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, আগামীতে মুসলিম সমাজও বুঝতে পারবে, তাদের কেন বছরের পর বছর কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেন তাঁদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়র আতশকাচ দিয়ে খুঁজতে হয়? তাঁরাও তো বাঙালি! আমাদের যা বুদ্ধিমত্তা, তাঁদেরও তো তাই। শিক্ষার কেন অভাব? স্বাস্থ্যের কেন অভাব? কেন মেয়েদের ওপর অত্যাচার হয়, হিংসার ঘটনা ঘটে (Sukanta Majumdar)? এর মূল কারণ স্বাধীনতার পর থেকে তাঁদের প্রত্যেকে মুসলমান হিসেবেই দেখে এসেছে, কেউ মানুষ হিসেবে দেখেনি। বিজেপি তাঁদের মানুষ হিসেবে দেখতে চায়।”

    উগ্রপন্থীদের আখড়া

    দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক চিকিৎসককে। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কিছু অংশ এবং বীরভূম এখন উগ্রপন্থীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখনই পাড়ায় পাড়ায় উগ্রপন্থী তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যে এখন দুয়ারে উগ্রপন্থী প্রকল্প চালু হয়েছে (BJP)। এখন দিল্লিতে ফাটাচ্ছে, দু’দিন পরে রাজ্যবাসীর বাড়ির সামনে বোমা ফাটবে (Sukanta Majumdar)।”

  • Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন শনিবারই বিজেপি (Bihar Poll Victory) থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংকে (BJP)। বরখাস্ত করা হয়েছে বিজেপিরই এমএলসি অশোক আগরওয়ালকেও। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ৮৯টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। তার পর শনিবারই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দলের দুই নেতার ওপর।

    সাসপেনশান লেটার (Bihar Poll Victory)

    আরকে সিংকে সম্বোধন করে সাসপেনশান লেটারে লেখা হয়েছে, “আপনার কার্যকলাপ দলের বিরুদ্ধে। এটি দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এটি দলের ক্ষতি করেছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “অতএব, নির্দেশ অনুসারে আপনাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন (Bihar Poll Victory)।

    দল বিরোধী কাজের অভিযোগ

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় চলতি মাসের ৬ এবং ১১ তারিখে। এর আগে অক্টোবর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে ভোটারদের অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা নেতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে জেডিইউয়ের অনন্ত সিং এবং বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন এনডিএ প্রার্থীও ছিলেন। সম্রাট বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।আরকে সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলবিরোধী মন্তব্য ও আচরণের জেরে বারবার ক্ষতি হয়েছে দলের। কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালকেও এই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিহার বিজেপির প্রধান অরবিন্দ শর্মা এদিন সকালে ওই তিন নেতার কাছে শোকজ-সহ বরখাস্তের নোটিশ পাঠান। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে (BJP) তাঁদের আচরণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সংগঠনের ভাবমূর্তিরও (Bihar Poll Victory)।

  • Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসনের জেরে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে (Bihar Election) চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্নাতীত সাংগঠনিক দক্ষতা এবং এনডিএর সুশাসন বিহারে বিজেপির বিপুল জয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে আগের সব নির্বাচনী ফলের চেয়ে ঢের বেশি। শতাংশের বিচারে এই হার ৯০ এর ওপর। যে কোনও মানদণ্ডেই এটি একটি চমকপ্রদ সাফল্য। তবে বিহারের এই নির্বাচন মোটেই ছিল না নিছক কেক-ওয়াক। নীতীশ কুমার প্রায় দু’দশক ক্ষমতায় থাকার পর আরও একটি মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই রাজ্যজুড়ে ছিল প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হাওয়া। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী লড়াইয়ে এনডিএকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    চাণক্যের প্রস্তুতি (Bihar Election)

    বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার চার–পাঁচ মাস আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ। তিনি শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, এনডিএর জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। জোট সঙ্গীদের বিশ্বাস এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভিত মজবুত করে তুলতেই ওই বৈঠক করেছিলেন শাহ। তাঁর পদ্ধতিগত সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি এনডিএকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আরভি), উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির দলের সঙ্গে। নির্বাচনের ঢের আগেই এই জোট ঠিক করে ফেলেছিল আসনভিত্তিক জাতিগত সমীকরণের কাজ (Amit Shah)।

    ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক

    নির্বাচনের আগে শাহ জেলা পর্যায়ে অন্তত পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক করেছিলেন আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তিনি বিহারে জনসভা করেছিলেন ৩৫টি, করেছিলেন একটি রোড-শো-ও। প্রতিটি সফরেই তিনি কোর গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছিলেন, যাতে সার্বিক সমন্বয় ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে (Bihar Election)। শাহ বুথ-স্তরের শক্তিশালী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেন, বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই ভোট সর্বাধিক করার মূল চাবিকাঠি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি জোটকে জেডিইউ এবং চিরাগ পাসওয়ানের দলের মধ্যে থাকা প্রাথমিক বিরোধ কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করেছে (Amit Shah)। যদিও শাহ আর বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদে নেই, তবুও দল এখনও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর পরামর্শের ওপর নির্ভর করে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কিংমেকারও আসলে তিনিই।

    এবার মিশন বেঙ্গল!

    এতদসত্ত্বেও এখনও মিশন সম্পূর্ণ হয়নি শাহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কেরল ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে আক্রমণাত্মক প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন শাহ নিয়ে ফেলেছেন আরও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেটি হল তৃণমূলের কবল থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত করা। শাহ যখন দলীয় সভাপতি ছিলেন, তখন ২০১৯ সালে বিজেপি এ রাজ্যে বিজেপি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ১৮টিতে। ২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়েছিল পাঁচ গুণ। প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলার জঙ্গলরাজ খতম করার অঙ্গীকার করেছেন, তখন আসন্ন লড়াই আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Bihar Election)।

    শাহি ভূমিকা

    বিহারে এনডিএকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই শাহ টানা ১৯ দিন ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন এ রাজ্যে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তৃণমূলস্তরে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নও করেন তিনি। যার জেরে বিহারে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে (Amit Shah)। বিহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ভাবনা ছিল, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে শাহ নির্বাচনের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক খতিয়ে দেখেন। গ্রহণযোগ্য আসন-বণ্টন নির্ধারণ থেকে শুরু করে নারী শক্তি ও যুব শক্তির মাধ্যমে প্রো-ইনকামবেন্সি ওয়েভ তৈরি করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহ।

    বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা

    শাহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান, পাটনায় টানা তিনদিন থাকার সময় তিনি তাঁর পুরো সময়সূচি খালি রেখে এমন সব বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁরা দলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে আস্তিন গুটোচ্ছিলেন। তাঁর হস্তক্ষেপের জেরেই মাথা তুলতে পারেননি বিদ্রোহীরা। বরং যেসব আসনে বিদ্রোহীরা পথের কাঁটা হতে পারতেন, সেখানে বিজেপি আরও বেশি করে আসন জেতে (Bihar Election)। সেই সময় প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিদ্রোহ করে দলবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করেন। শাহ স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সঙ্গে কৌশল ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন, এবং শেষমেশ সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। এর পুরো ক্রেডিটই প্রাপ্য শাহের (Amit Shah)। বিহারে শাহের টিমের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “শাহ প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিদ্রোহীরা রাজি হন। এবং এটাই ছিল সেই বড় কারণগুলির একটি, যা বিজেপি এবং জেডিইউ প্রার্থীদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল (Bihar Election)।”

    রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “শাহের পদ্ধতির সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং উজ্জ্বল দিক হল, তিনি যেভাবে জেডি(ইউ) এবং এলজেপি(আরভি)-র মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ করেছেন এবং উভয় দলের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ইউনিটের পক্ষ থেকে শাহই ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি বিভাগীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণে।

    বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিহার বিজয়ের পর, এবং তার আগে যেভাবে তিনি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনও সামলেছেন, তা বিবেচনা করলে আবারও প্রমাণিত হয় (Amit Shah), শাহই বিহার এনডিএ এবং বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’। প্রতিটি নির্বাচনী কাজ তিনি যেভাবে মিশন মোডে পরিচালনা করেছেন, তা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বিরোধীদের বার্তা–প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে আঘাত হেনেছে। তাই পর্যুদস্ত হয়েছে মহাগঠবন্ধন (Bihar Election)।

LinkedIn
Share