Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলে পুলিশের বাধা। কিন্তু নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকে বিজেপি। সড়কে বসে প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ জানায় বিজেপি। সেই সঙ্গে চলে ব্যারিকেডকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে হিরণ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু মমতার গুন্ডাদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে এখানে পাঠিয়ে অশান্তির চেষ্টা করেছে। সন্দেশখালিতে পুলিশ নেই আর এখানে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কোথায় মিছিল চলছিল (Sukanta Majumdar)?

    আজ রবিবার হুগলির ডানকুনি থেকে ১২ কিমি পর্যন্ত হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজপির বাইক মিছিলের মাধ্যমে সংকল্প যাত্রা চলছিল। এই যাত্রা আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে। এই যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উল্লেখ্য এই বাইকের মিছিল পুলিশ আটকাবে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে যাত্রা করা হয়েছিল। আর তার ফলেই বাধে গোলমাল। প্রথমে এস এন মুখার্জি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। এরপর বিজেপির কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। তারপর আবার ডানকুনি হাউজিং মোড়ে পুলিশ আটকালে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এরপর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তুলে নেয়। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। পুলিশের দুই কর্মী আমার মাথায় আঘাত করেছে। কার্যত পুলিশ এখন তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। আমরা কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে চাইনি। কিন্তু পুলিশদের আজ অহেতুক অত্যাচারে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমাদের যে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, পুলিশ সেই বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করলে এরপর আমরা এবার থানা ঘেরাও করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    Sandeshkhali Incident: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর ‘হামলা’র ঘটনায় তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করেছেন বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার সকালে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ইডির অফিসাররাই। একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলা।  এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হননি। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শুক্রবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনের ছবি ও নাম নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিহ্নিত করা তিন জনের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর এবং শেখ সিরাজুদ্দিন। বাকি এক জনের পরিচয় জানিয়েছেন শুভেন্দুই। তাঁর নাম জিয়াউদ্দিন। নামের সঙ্গে শুভেন্দু তাঁর পরিচয় দিয়ে লেখেন, “ইনি নাম করা অস্ত্র পাচারকারী, খুনি এবং বর্তমানে সরবেড়িয়া-অগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।” তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস এবং উৎসাহে ভর করে শেখ শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা রোহিঙ্গাদের একজোট করে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    এনআইএ তদন্তের আর্জি

    উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এদিন ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনায় কারা কারা জড়িত ছিল, নাম উল্লেখ করে এনআইএ-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘দেশবিরোধী শক্তি’র বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে ট্যাগ করেন শুভেন্দু। সেই এক্স বার্তায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের আর্জি জানানোর পাশাপাশি তিনি জুড়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ইডির অধিকর্তা এবং সিআরপিএফকেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের শাসক দলের নেতা। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও। এহেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    শুভেন্দুর আবেদন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন, নৈরাজ্য ধ্বংস করতে ব্যবস্থা নিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান এই মন্ত্রীরই ঘনিষ্ঠ বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতেই শুক্রবার সাত সকালে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই তাণ্ডব শুরু করেন তাঁর অনুগামী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

    কী লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোনে বিষয়টি জানানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর, পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে টিএমসি নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর নৃশংস হামলা। আমার সন্দেহ যে, দেশবিরোধী হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে।”

    পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল, ইডির ডিরেক্টর ও সিআরপিএফকে ট্যাগ করে এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিষয়টি এনআইএ-র তদন্ত করা উচিত বলেও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক লিখেছেন, “এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলার নৈরাজ্য দমনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির অভিযানে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি

    কেন হঠাৎ ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ করে বসলেন শাহজাহানের অনুগামীরা? রাজনৈতিক মহলের মতে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে গারদে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। লোকসভা নির্বাচনের মুখে যা নিয়ে স্বস্তিতে নেই তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নির্বাচনের আগে তিনি যে ছাড়া পাচ্ছেন না, তা হয়তো আঁচ করে ফেলেছেন ঘাসফুল শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা। এমতাবস্থায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালালে যদি কোনও নথি মেলে এবং তার জেরে যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কেঁদে কূল পাবেন না তাঁরা। কারণ মাইনাস জ্যোতিপ্রিয়-শাহজাহান, এই এলাকার ভোট তৃণমূল বিরোধী শিবিরে ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সেক্ষেত্রে মুসলিম অধ্যুষিত এই এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়বে তৃণমূল। সেই কারণেই হামলা ইডির আধিকারিকদের ওপর। তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, ইডির ওপর হামলার বড়সড় মাশুল গুণতে হতে (Suvendu Adhikari) পারে ‘শাহজাহান অ্যান্ড কোং’-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঠেকাতে পারল না পুলিশ, শুভেন্দুর নেতাই যাওয়াতেও অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ঠেকাতে পারল না পুলিশ, শুভেন্দুর নেতাই যাওয়াতেও অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভাকে আটকাতে পারলো না তৃণমূল সরকার। আগামী ৭ জানুয়ারি শুভেন্দুকে নেতাইয়ে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি নেতাই যাওয়ার সময় তাঁকে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকী গত বছর পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। এই বছর তাই সভা করতে যাতে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন না হতে যদি হয়, তাই আগে থেকেই হাইকোর্ট স্মরণ সভা করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। অবশেষে কোর্টের অনুমতি মিলেছে আজ বৃহস্পতি বার। ফলে পুলিশ চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারল না শুভেন্দুকে।

    কী বললেন বিচারপতি (Suvendu Adhikari)?

    আদালতে শুভেন্দুর আবেদনের সাপেক্ষে আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) এক ঘণ্টার মধ্যে যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। প্রত্যেকের যে কোনও স্মরণ সভায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই জটিলতার বৃদ্ধি যাতে না হয় সেই জন্য কাজ করুন।” এই কথার উত্তরে রাজ্যের এজি বলেন, “আগামী ৬ এবং ৭ জানুয়ায়রি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্য একটি দল নেতাইয়ে অনুষ্ঠান করবে বলে আগে থেকেই অনুমতি নিয়েছে।” পালটা বিচারপতি আবার বলেন, “দুই দিনের মধ্যে অন্যদের অন্তত এক ঘণ্টার জন্য সময় দেওয়া উচিত। কোনও কর্মকাণ্ড নয়। স্মরণে শুভেন্দুকে মালা দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক।” বিজপির দাবি রাজ্য সরকারের অগণতান্ত্রিকের আচরণ করলে বিচার বিভাগ গণতন্ত্র রক্ষার কাজ করে।

    নেতাই হত্যাকাণ্ড

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৯ জন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরপর থেকে এই দিনটিকে নেতাই গণহত্যার দিবস হিসাবে স্মরণ করা হয়। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলে থাকার সময়ও এই দিনে নেতাইয়ে যেতেন। গত বছরে পুলিশ প্রশাসন ইচ্ছাকৃত গোলমাল করার করার জন্য এই বছর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হতে না হন তাই আগাম হাইকোর্টে আবেদন করেছিল নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad:  লোকসভার আগে ধাক্কা, তৃণমূলের প্রাক্তন পুর-চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদান

    Murshidabad: লোকসভার আগে ধাক্কা, তৃণমূলের প্রাক্তন পুর-চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল বহরমপুর আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগের দিন আজ বৃহস্পতিবার বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে বেলডাঙার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দাপুটে নেতা ভরত ঝাওর এবং তাঁর অনুগামীর দলবল বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের হাত থেকে দলের পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ধাক্কা খেল তৃণমূল এবং বিজেপি আরও শক্তিশালী বলে দাবি করল জেলা বিজেপি।

    ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে (Murshidabad)

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বেলডাঙা (Murshidabad) পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ভরত ঝাওর ভেবেছিলেন যে তৃণমূলের টিকিট বিধানসভায় পাবেন। কিন্তু কার্যত তাঁকে টিকিট না দিয়ে কালীগঞ্জের বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখকে সেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ভরত ঝাওর নির্বাচন নিয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করলেন। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রত্যেক ওয়ার্ডেও প্রার্থী দেয় তৃণমূল। পুরসভার টিকিট না পেয়ে সেবারও রুষ্ট হন ভরত ঝাওর। এমনকী তাঁর ভাই সন্তোষ ঝাওরের নাম তালিকাতে থাকলেও সেই নাম পরবর্তীকালে পরিবর্তন করা হয়। এরপরই ভরত ঝাওরের নেতৃত্বে বেলডাঙায় পাঁচটি ওয়ার্ডে মই চিহ্নে ভরতপন্থীরা নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে চারটিতে জয়লাভ করে ভরত অনুগামীরা। অনেক ডামাডোলের পর আজ বহরমপুর বিজেপি অফিসে শাখারভ সরকারের হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন তিনি।

    যোগদানের পর কী বলেন?

    বেলডাঙার (Murshidabad) তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা ভরত ঝাওর বলেন, “আমি তৃণমূলের হয়ে একবারের চেয়ারম্যান ছিলাম এবং চার বারের কাউন্সিলর ছিলাম। তৃণমূলে বারবার অপমানিত হয়েছি। এই দল দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। আগামী দিনে আরও অনেক তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলর যোগদান করবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির যোগদান পর্ব শেষ হওয়ার পর দলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “আমি এর আগেও বলেছিলাম যে তৃণমূলের কাউন্সিলর যোগদান করবে, আজ সেটা আপনারা দেখলেন। কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূলের দুজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করবে। এতে জেলায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির দর্শনে ৩০ লক্ষ মানুষ! লোকসভার আগে ‘মেগা প্ল্যান’ বিজেপির

    Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির দর্শনে ৩০ লক্ষ মানুষ! লোকসভার আগে ‘মেগা প্ল্যান’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দেশব্যাপী ৩০ লক্ষ মানুষকে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করাবে। এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৫০০ বছর ধরে রাম মন্দির আন্দোলনের সফল বাস্তবায়ন হতে চলেছে। দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ রাম ভক্তদের মধ্যে। মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। লোকসভার আগে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযানকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা লোকসভা ভোটের বিশেষ প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন।

    কবে থেকে মন্দির দর্শনের অভিযান চলবে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দুই মাস ধরে সকল রাজ্য থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করাবে বিজেপি। দৈনিক ৫০ হাজার করে মানুষ যাতে মন্দির পরিদর্শন করতে পারেন সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।’ ইতিমধ্যে সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাম মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার সময় বিজেপির পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। আসন্ন লোকসভাকে ঘিরে ‘তিসরি বার মোদি সরকার’ এবং ‘আব কি বার ৪০০ পার’- দুটি স্লোগানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিশেষ ট্রেন থাকবে ব্যবস্থায়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে গত মঙ্গলবার দলের মধ্যে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন জেপি নাড্ডা। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে,  প্রত্যেক জেলার প্রত্যেক ব্লক স্তর থেকে কর্মী, সমর্থক, সাধারণ মানুষ এবং রামভক্তদের ধাপে ধাপে এনে মন্দির দর্শন করানো হবে। এই কাজের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। এই মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শনের জন্য করা হবে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা।

    ভোটের আগে বিরাট প্রস্তুতি

    সামনেই লোকসভার ভোট তাই দেশে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরাট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উৎসাহী করতে দলের তরফ থেকে ব্যাপক অভিযান নেওয়া হয়েছে। দেশের ৪৩০টি জায়গা থেকে অযোধ্যার দিকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির দর্শনের জন্য যাতে প্রত্যকে দিন ৩৫টি করে ট্রেন চালানো হয় তার জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিজপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় যাতায়াত করার জন্য ভাড়া নিজেদের বহন করতে হবে। বিজেপি কর্মীরা শুধুমাত্র দেখাশোনার কাজ করবেন। মন্দির দর্শনের কর্মসূচিকে বিজেপির ‘মেগা প্ল্যান’ বলেছে রাজনৈতিক মহল। এই রাজ্যের তরফ থেকে বিজেপি অবশ্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ‘অক্ষত চাল’ নিয়ে গিয়ে রাম মন্দির দর্শনের আমন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বেনোজল রুখতে বিজেপি গড়েছে স্ক্রিনিং কমিটি, প্রথম বৈঠক শনিবার

    BJP: বেনোজল রুখতে বিজেপি গড়েছে স্ক্রিনিং কমিটি, প্রথম বৈঠক শনিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) তৃতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফেরা একপ্রকার নিশ্চিত। এবার প্রয়োজন অন্তত ৪০০ আসন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই লক্ষ্যমাত্রা। সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে জানপ্রাণ বাজি রেখে লড়ছে পদ্ম শিবির। দেশে উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি। সেই কাজ শেষ করতে হলে প্রয়োজন বিপুল জনসমর্থন। যাতে উন্নয়নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে না পারেন বিরোধীরা।

    স্ক্রিনিং কমিটি

    প্রতিবার নির্বাচনের আগে দলবদলের ঘটনাও ঘটে। যেহেতু বিভিন্ন সমীক্ষায় বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে, তাই নির্বাচনের আগে আগে পদ্ম শিবিরে ভিড়বে হাওয়া মোরগের দল। এই দলের সঙ্গেই যাতে বেনোজলও ঢুকে না পড়ে, সেজন্য স্ক্রিনিং কমিটি গড়েছে বিজেপি। এই কমিটিরই প্রথম বৈঠক হবে ৬ জানুয়ারি, শনিবার। যাঁরা অন্য দল ছেড়ে পদ্ম-খাতায় নাম লেখাতে চান, তাঁদের প্রথমে বাছাই করবে স্ক্রিনিং কমিটি। যাঁদের ছাড়পত্র দেবে এই কমিটি, তাঁদের নাম পাঠানো হবে ওপরতলার নেতাদের কাছে। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল মিললে তবেই গেরুয়া ঝান্ডা ধরতে পারবেন বিজেপিতে যোগদানেচ্ছু নেতা-কর্মীরা।

    পরিশ্রুত হওয়ার পরেই যোগ ‘শাহি’ দলে

    নির্বাচনের আগে স্বদলে প্রতীক না পেয়ে অনেকেই ভিড় করেন যে দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা বেশি, সেই দলে। যেহেতু এবারও বিজেপির (BJP) জয় একপ্রকার নিশ্চিত, তাই ক্ষমতালোভীরা ভিড় করবেন বিজেপিতে। স্ক্রিনিং কমিটির ফিল্টারে পরিশ্রুত হওয়ার পরেই তাঁরা যোগ দিতে পারবেন ‘শাহি’ দলে। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এঁদের মধ্যে যেমন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছিলেন, তেমনি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবও। ছিলেন মনসুখ মাণ্ডব্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারাও। এই বৈঠকেই স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে কমিটির প্রথম বৈঠকটি হবে ৬ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুুন: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    ইতিমধ্যেই জনসভা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতাদের। প্রচারের অভিমুখ হবে দুটি। একটি মুখে ফিরিস্তি দেওয়া হবে গত দশ বছরে বিজেপি সরকার কী কী জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে। আর অন্য মুখে বলা হবে কী কী কাজের শিলান্যাস করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়ঃ-তত্ত্বকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরমে তৃণমূলে। রবিবার পার্টির জন্মদিন থেকেই চলছে গৃহযুদ্ধ। সন্ধিস্থাপনে বৈঠকে বসেছিলেন বুয়া-ভাতিজা। তার পরেও যে দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি, বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তাপস রায়ের মমতা-বৃত্তের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁদমারি করাই তার প্রমাণ।

    শুভেন্দুর চিত্র-তত্ত্ব

    তবে তৃণমূলে কারা নবীন, প্রবীণই বা কারা এক্স হ্যান্ডেলে একটি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তা তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিত্রে দেখা যাচ্ছে, নবীন-বৃত্তে রয়েছেন কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া নেতারা। আর প্রবীণ-বলয়ে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য এবং জ্যোতিপ্রিয়র মতো গ্রেফতার হওয়া নেতারা। ওপরে লেখা, “তোলামূলের দুই ভাগ, তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, তোলামূলের আপাদমস্তক সবাই চোর।”

    গা বাঁচানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতাদের!

    তৃণমূলের এই নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাতে গর্দান না যায়, তারও চেষ্টা করছেন অনেকে। এই (Suvendu Adhikari) যেমন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া উদয়ন গুহু। কোচবিহারের এই নেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলে অভিষেকের ধারেকাছে কেউ নেই। নতুন প্রজন্মকে মানতেই হবে। আর যাঁরা নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে পারেন না, তাঁদের চেয়ে ব্যর্থ আর কেউ নেই।” অনেকে আবার ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’র মতো আচরণ করছেন। দলের এই অংশটি অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা স্বীকারই করছেন না। কেউ কেউ আবার মমতা না অভিষেক কোন ফ্যান ক্লাবে ঢুকবেন, তা বুঝতে না পেরে আপাতত জল মাপছেন। তবে দলে অভিষেকের উত্থান যে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভালোভাবে নেননি, তার প্রমাণ মিলেছে আগেই।

    ঘনিষ্ঠ মহলে অভিষেক বলেছিলেন, তিনি শুধু তাঁর কেন্দ্রটি (ডায়মন্ড হারবার লোকসভা) নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন, অন্য কেন্দ্রগুলি নিয়ে নয়। নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্বের জল যে অনেক দূর গড়াতে চলেছে, তা আঁচ করে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ, তাপস রায় সহ তাঁর ফ্যান ক্লাবের কয়েকজন। তার পরের দিনই হয় বুয়া-ভাতিজা বৈঠক। তার পরেও অবশ্য নেভেনি তৃণমূলের গৃহযুদ্ধের আগুন (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুুন: বুধেও জারি তৃণমূলের অন্তর্কলহ, সুদীপকে ফের নিশানা তাপসের, এবার কী বললেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024:  ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    Lok Sabha Elections 2024:  ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় যে নিশ্চিত, তা ধরে নিচ্ছেন পদ্ম নেতারা। তবে আরও বেশি জনসমর্থন নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর (Lok Sabha Elections 2024) দফতরে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের তাঁর সেই ইচ্ছের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং।

    নয়া স্লোগান বিজেপির

    প্রধানমন্ত্রীর সেই আশা পূরণে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে পদ্ম-বাহিনী। বাঁধা হয়েছে নয়া স্লোগানও, ‘তিসরি বার মোদি সরকার, অব কি বার চারশো পার’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘তৃতীয়বার মোদি সরকার, এবার চারশো পার’। এপ্রিলের মাঝামাঝি লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, ভূপেন্দ্র যাদব, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারা।

    কী নির্দেশ দিলেন নাড্ডা?

    বৈঠকে চারশো আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনোর নির্দেশ দেন নাড্ডা। এই বৈঠকেই বেঁধে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচারের সুর। নির্বাচনের আগে দলে যাতে বেনোজল ঢুকে না পড়ে, তাই স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটিই স্থির করবে, নির্বাচনের আগে অন্য দল থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দেওয়া হবে কিনা। এর পাশাপাশি গঠন করা হবে ক্লাস্টার কমিটি। প্রতি তিনজন ‘সুপার ওয়ারিয়র’ পিছু থাকবে একটি ক্লাস্টার কমিটি। প্রতি বিধানসভার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে থাকবেন একজন। ইনিই ‘সুপার ওয়ারিয়র’।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    তিন ‘সুপার ওয়ারিয়র’কে নিয়ে যে ক্লাস্টার গঠিত হবে, সেই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পর্যায়ের কোনও পদস্থ নেতা। তিন-চারটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে যে যৌথ ক্লাস্টার তৈরি হবে, সেখানে প্রচারে যাবেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারা। দেশের প্রতিটি রাজ্যের সভাপতিকে তাঁর রাজ্যের সব লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে যেতে হবে। ওই লোকসভা কেন্দ্রগুলির কোনটিতে সংগঠনের হাল কেমন, সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রকে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই কেন্দ্রে কীভাবে সংগঠন মজবুত করা যাবে, সে দাওয়াই দেওয়া (Lok Sabha Elections 2024) হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: ‘সংযুক্ত মোর্চা বৈঠক’-এ বসছে রাজ্য বিজেপি, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    Bengal BJP: ‘সংযুক্ত মোর্চা বৈঠক’-এ বসছে রাজ্য বিজেপি, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে একশো দিনের কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP)। তারই অঙ্গ হিসেবে নতুন বছরের তৃতীয় দিনেই বৈঠকে বসছে রাজ্য বিজেপির সব মোর্চা। সব মোর্চা নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনায় বসার কর্মসূচির সাংগঠনিক নাম দেওয়া হয়েছে— ‘সংযুক্ত মোর্চা বৈঠক’। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এটা একেবারেই সাংগঠনিক বৈঠক। নিয়মিত ভাবেই সব মোর্চাকে নিয়ে বসা হয়। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে তো এমন বৈঠক হতেই থাকবে।’’

    কারা থাকবেন বৈঠকে

    বিজেপির (Bengal BJP) সংগঠনে মোট সাতটি মোর্চা রয়েছে। মূলত যুব এবং মহিলা মোর্চাকে বিভিন্ন আন্দোলনে দেখা গেলেও বিজেপিতে রয়েছে তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং সংখ্যালঘু মোর্চা। এ ছাড়াও কৃষকদের নিয়ে কিসান মোর্চা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপির দলীয় কোনও ছাত্র ও শ্রমিক মোর্চা নেই। সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’ এবং শ্রমিক সংগঠন ‘ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ’ থাকায় এই দুই ক্ষেত্রের কোনও মোর্চা নেই বিজেপির। আজ, বুধবার দলের সাত মোর্চার রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়েই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু রাজ্যের নেতারাই নন, গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতিটি মোর্চার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের পর্যবেক্ষকেরাও ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন।

    রামমন্দির নিয়ে প্রচার

    বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে খবর, রাজ্যে রামমন্দির নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-পুস্তিকা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মকর সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এর পরে রামমন্দির উদ্বোধন হয়ে গেলে বাংলার মানুষকে অযোধ্যায় পাঠানোর দায়িত্বও নিতে হবে দলের নেতা-কর্মীদের। এই সব কর্মসূচিতে যাতে সব মোর্চা একসঙ্গে কাজ করে সেই লক্ষ্যেই বুধবারের বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করানো নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    যুব মোর্চার প্রচার

    জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি যুব মোর্চার আলাদা কর্মসূচি রয়েছে। গোটা রাজ্যের সব গ্রামে যেতে হবে মোর্চাকে। কেন্দ্রের মোদি সরকারের নানা প্রকল্পের সুফলগুলি তুলে ধরতে হবে বাংলারা গ্রামের মানুষের কাছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের উপরে বাংলায় ১০টি যুব সমাবেশ করার লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)। কমপক্ষে এক হাজার নতুন ভোটারকে নিয়ে আসার কথা ভাবা হয়েছে। প্রথম বারের ভোটারদের নিয়ে আসার জন্য সব মোর্চাকে বুধবারের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

    ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প সভা’

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো কেন্দ্রীয় সরকারও ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ নামে একটি কর্মসূচি নিয়েছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারি উদ্যোগে এই কর্মসূচি হলেও বাংলায় দলের তরফেই করার পরিকল্পনা রাজ্য বিজেপির। মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে, কোনও প্রকল্পের সুবিধা নিতে কী কী করতে হবে তা জানাতে বিজেপি কর্মীরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। এই কর্মসূচি ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চালানোর কথা। রাজ্য বিজেপি ঠিক করেছে সব মোর্চাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প সভা’ করবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share