Tag: cbi

cbi

  • Sanjay Kumar Mishra: ফের বাড়ল ইডি কর্তার মেয়াদ, কেন জানেন?  

    Sanjay Kumar Mishra: ফের বাড়ল ইডি কর্তার মেয়াদ, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ নিয়ে তৃতীয়বার। অবসরের একদিন আগেই ফের এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ল ইডি (ED) প্রধান সঞ্জয় কুমার মিশ্রের (Sanjay Kumar Mishra)। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা। তৃতীয়বার মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে আগামী বছর ইডি অধিকর্তা হিসেবে তিনি পূর্ণ করবেন পাঁচ বছর।

    ইডি অধিকর্তা হিসেবে…

    বছর বাষট্টির আইআরএস (IRS) কর্তা ইডি অধিকর্তা হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের নভেম্বরে। সেবার দু বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফের এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয় তাঁর। ২০২১ সালের নভেম্বরে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক বছর।

    সঞ্জয়ের এই মেয়াদ বৃদ্ধিতে খুশি নন বিরোধীরা। তাঁর এই মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে অন্ততপক্ষে আটটি পিটিশন। ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায়, সঞ্জয়ের মেয়াদ বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ ওই আবেদন যারা করেছে, তারা হয় কংগ্রেস নয় তৃণমূল। এদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে একাধিক রাজ্যে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্ত চলছে। যথাযথভাবে যাতে এই মামলাগুলির নিষ্পত্তি হয়, তাই ইডি অধিকর্তা হিসেবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো হল আরও এক বছর।

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয় কুমার মিশ্রই ইডির প্রথম অধিকর্তা যাঁর কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর প্রথমবার তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে কেন্দ্রের তরফে আনা হয় বিশেষ অর্ডিন্যান্স। তাতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের অধিকর্তাদের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ যখন প্রথমবার বাড়ানো হয়, তখনই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। আদালতের তরফে এও বলা হয়, সিভিসি আইনে দু বছরের মেয়াদকাল সম্পর্কে কোনও উল্লেখ নেই। মামলার নিষ্পত্তি করতে মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Abhijit Ganguly: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইকে দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত তিনি পাচ্ছেন জানিয়ে তদন্তে লোক বাড়ানোর কথাও বলেছেন হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    সিবিআইকে যা বললেন বিচারপতি

    সোমবার তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কবে তদন্ত শেষ হবে? এমনকী আরও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল আমি একটা অনুষ্ঠানে গেছিলাম। সেখানে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের অনেকেই আমার কাছে জানতে চান, সিবিআই তদন্ত কবে শেষ হবে? আমারও একই প্রশ্ন?’একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘লোক কোথায়? সিটে লোক বাড়ান। দরকার হলে আরও লোক বাড়ানোর নির্দেশ দেব। আমার মনে হয় আরও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, দিন সাতেক আগেই দিনের শুরুতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে, সিবিআইকে  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিক মতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে তাঁদের বদল করা হতে পারে। কিন্তু দিনের শেষে,তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পর, সিবিআই তদন্তের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন মাননীয় বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন,‘সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে,আশা করব,তারা তা দেখাবে’।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতে আর একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল অপরাধী কে সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে তো মনে হয় না। আমি তো নিজে ধরতে যেতে পারব না। সবাই মিলে চেষ্টা করে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ‘ তাঁর যুক্তি, সিবিআই আরও বহু মামলার তদন্ত করছে, তাই তাদের সময় লাগছে। লোক বাড়াতেই হবে না হলে তদন্তে গতি আসবে না,মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dear Lottery: রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে ডিয়ার লটারির ২ কর্তাকে দিল্লিতে তলব ইডির  

    Dear Lottery: রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে ডিয়ার লটারির ২ কর্তাকে দিল্লিতে তলব ইডির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারি(Dear Lottery)-কাণ্ডের শেকড় খুঁজতে কোমর কষে নামল ইডি (ED)। এবার দিল্লিতে (Delhi) ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে ডিয়ার লটারি সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তাকে। আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে ডিয়ার লটারি সংস্থার আধিকারিকদের। এবারই প্রথম ওই লটারি সংস্থার কর্তাদের দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তবে আগেই একবার ওই লটারি সংস্থার ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য ইডি নয়, গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ডিয়ার লটারি সংস্থার তরফে নির্বাচনী বন্ড ১৫০ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। সে ব্যাপারে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে ডিয়ার লটারির কর্ণধার ও এক ডিরেক্টরকে।

    লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত

    বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে (Dear Lottery) টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেবল অনুব্রত (Anubrata Mondal) নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল।

    আরও পড়ুন: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার। অনুব্রতর জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের স্ত্রীও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত সংক্রান্ত মামলার তদন্তে লটারি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির সঙ্গে লটারির যোগ রয়েছে বলে অনুমান। ওই লটারি অনুব্রত কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ কেটেছিলেন কিনা, সেই সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ডিয়ার লটারি (Dear Lottery) সংস্থার দুই আধিকারিককে জেরা করে এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলেই থাকতে হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় শুক্রবার তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। এদিনও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁকে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের (Judicial Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আদালতে অনুব্রত

    দীর্ঘদিন পর আজ অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হয়। তিনি জামিন পাবেন কি পাবেন না,তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে ফের প্রভাবালী তত্ত্বেই তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এদিন আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রতকে হাসিখুশিই দেখায়। 

    আরও পড়ুন: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি

    এদিন অনুব্রতের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তার বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র। তিনি বলেন, অনুব্রত এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের হুমকি দেবেন, যা তদন্তকে প্রভাবিত করবে। তথ্যপ্রমাণও নষ্ট করা হতে পারে। এই প্রেক্ষিতে কালীচরণ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথা উল্লেখ করেন। সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে ফিরহাদ দাবি করেছিলেন, অনুব্রত বাঘ। তাঁকে কত দিন খাঁচায় বন্দি করে রাখবে! আইনজীবী এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘বুঝতেই পারছেন, অনুব্রত কতটা প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি যে, রাজ্যের মন্ত্রী পর্যন্ত তাঁকে বাঘ হিসেবে অভিহিত করছেন। তিনি বেরিয়ে এলে সাক্ষীদের হুমকি দেবেন।’’ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এছাড়াও সিবিআই জানায়, কোটি কোটি টাকা রয়েছে অনুব্রতের নামে। বেআইনি সম্পত্তিও রয়েছে তাঁর। যদিও অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্তর দাবি, এর তদন্ত তো করবে ইডি। তাহলে সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করছে কেন? তিনি জানান, গরু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন হয়ে গিয়েছে। অথচ, ৯২ দিন ধরে জেলে রয়েছেন অনুব্রত। তাঁর সওয়াল, ‘‘যে কোনও শর্তে অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।’’ 

    দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে শুনানির পর কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। অবশেষে বেলা বাড়লে অনুব্রতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেনের নতুন ঠিকানা হয়েছে তিহার জেল। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবারই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর তারপরই ফের প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সায়গল জানিয়েছেন গরু পাচার কাণ্ডে বখরা দেওয়া হত ২ বিধায়ককে। এই ২ বিধায়কের মধ্যে একজন আবার মন্ত্রীও ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছে কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী।

    সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের টাকার বখরা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। কিন্তু কারা এই বিধায়ক তা এখনও জানা যায়নি। সায়গল দাবি করেছেন, সীমান্তে পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিনিময়ে এই টাকা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। আর সায়গলের থেকে এমন বক্তব্য শোনার পর ইডি ওই ২ বিধায়ককে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে গরু পাচার কাণ্ডে এবারে ২ বিধায়কের নাম উঠে আসায়, মনে করা হচ্ছে এই মামলার নতুন মোড় আসতে চলেছে। তবে বিধায়কদের দিল্লি না কলকাতায় তলব করা হবে সে নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

    ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    আবার অন্যদিকে সায়গলকে বর্তমানে তিহার জেলে রাখার ফলে সায়গলের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁকে ইডি আর জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। তাই পরবর্তী শুনানিতে জামিনের আবেদনের সময় সায়গল হোসেনকে সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরার কথা বলেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী এর বিরোধীতা করে জানান, কারোর জামিনের আবেদনের জন্য তাঁকে সশরীরে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরেই সশরীরে আদালতে পেশ করার আবেদন খারিজ করলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। আগামী ১১ নভেম্বর তাঁর ভার্চুয়াল শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সায়গলকে জেরা করার জন্য ইডি আগেই দিল্লি নিয়ে যায় ও পরে তিহার জেলে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আবার শনিবারেই সিবিআই কোর্টে তাঁর এই মামলার শুনানি ছিল। তাঁর আইনজীবীও দিল্লিতেই। ফলে শনিবার ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনানি হয় তাঁর। সে সময় আইনজীবী অনির্বাণ পরবর্তী শুনানির জন্য সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করলে বিচারক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ও আগামী ১১ নভেম্বর গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান। এদিন অনুব্রত মণ্ডলেরও শুনানি রয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য কেষ্ট ও সায়গলের শুনানি একদিনে হবে।

  • Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption Case) সিবিআই-এর (CBI) কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিকমতো কাজ করছেন না, এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁদের বদলে নতুন দলও গঠন করা হতে পারে বলেও জানান বিচারপতি। আজ সোমবার আড়াইটায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি হওয়ার কথা। সিবিআই এদিন তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বিচারপতির কাছে। মনে করা হচ্ছে এই রিপোর্টে উঠে আসতে পারে একাধিক হেভি ওয়েটের নাম। আর এই শুনানির আগেই এমন মন্তব্য করলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

    যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও সিবিআই- এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ভরা এজলাসে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েওছেন আধিকারিকদের। এর আগেই একদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আসল অপরাধী কে তা সবাই জানেন, কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তিনি গ্রেফতার হবেন কিনা, তা জানা নেই।” বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি।  এর মাঝেই গত শুক্রবার হাইকোর্টের একটি শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করেন, “প্রাথমিকে যাঁরা জেলে গিয়েছেন, তাঁরা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ কি এর পিছনে আছেন? তদন্তের অভিমুখ কি অন্য কারও দিকে যাচ্ছে?” 

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আজও এই মামলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, তাঁদের একটা বড় সুযোগ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে বলেন, যাঁরা বেনিয়মে চাকরি পেয়েছিলেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা ৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসিতে চিঠি পাঠাবেন। ৯ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়বেন। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। যদিও জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েননি।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলা যোগ,  অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এবার এই মামলায় অনুব্রতর জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষকে তলব করল ইডি (ED)। শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। ভোল ব্যোম রাইস মিল সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। এই রাইস মিলেরই অন্যতম মালিক অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সেই রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর করতে ডাকা হয়েছে অনুব্রতর জামাইবাবুকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ইডি স্ক্যানারে।

    তলব মলয় পিটকে 

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় ফের মলয় পিটকে দিল্লি তলব করেছিল ইডি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী বহু প্রশ্নের উত্তর দেননি বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্বাধীন ট্রাস্টের এই কর্ণধারকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। ফলে বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিতে মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীর সংস্থা স্বাধীন ট্রাস্টের সঙ্গে অনুব্রতর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা মলয়ের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ হয়েছে। টাকার উৎস সম্পর্কে ওই ব্যবসায়ীর কাছে তথ্য চায় ইডি। 

    আরও পড়ুন: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    সিবিআই- এর তলব দুই কাউন্সিলরকে 

    এছাড়াও, বৃহস্পতিবার বোলপুর এলাকার দু-জন কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল। ওই সিবিআই ক্যাম্পে আজ উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ। মূলত বেআইনি কোনও সম্পত্তি আছে কিনা সেই তথ্যই জোগাড় করার জন্যই এই পদক্ষেপ। বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওমর শেখের প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। বিপুল সংখ্যক জমিজমা  এবং অপরিসীম আয়ের হদিশ মিলেছে। এই দুই তৃণমূল নেতার নামে এত সম্পত্তির উৎসের ব্যাপারটি সন্দেহের চোখে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই দুই ব্যক্তির দৈনিক কর্মসূচি এবং দলীয় কাজকর্মের সমস্ত রকম তথ্য যাচাই করা শুরু হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। সিবিআই এর ধারণা, গরু পাচার কাণ্ডে এদের কোনও না কোনওভাবে হাত রয়েছে। কীভাবে এরা বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত, সেটাই তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

      

  • MGNREGA: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    MGNREGA: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একশো দিনের কাজ (MGNREGA) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারিকে (Suvendu Adhikari)। এবার ওই একই অভিযোগে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে (Giriraj Singh) চিঠি লিখলেন তিনি। দাবি করেছেন সিবিআই তদন্তেরও। চার পাতার ওই চিঠিতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    গিরিরাজকে শুভেন্দু যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে তারিখ রয়েছে সোমবারেরই। এদিন এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই গিরিরাজকে পাঠানো চিঠিটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষকে, বিশেষত গ্রাম বাংলার বাসিন্দাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। যাঁদের জবকার্ড রয়েছে, তাঁদের তথ্যের অপব্যবহার করে রাজ্য সরকার ভুয়ো কর্মসংস্থানের তালিকা তৈরি করছে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এই ভুয়ো তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। যাতে রাজ্য সরকার আগামিদিনে বলতে পারে, একশো দিনের কাজে (MGNREGA) কেন্দ্রের পাঠানো টাকার পরিমাণ কমে গেলেও, তারা গ্রাম বাংলায় প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান করতে পেরেছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই অনৈতিক কাজে সরকারকে সাহায্য করছে রাজ্যের প্রশাসন।

    সম্প্রতি এই মর্মে রাজ্য প্রশাসনের তরফে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। (মাধ্যমে সে খবর প্রকাশিতও হয়েছে) চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। সেই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের অধীনস্থ প্রকল্পগুলি রূপায়ণের সময় কেবল জবকার্ড থাকা অসংগঠিত ক্ষেত্রের উপভোক্তাদেরই নিয়োগ করে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান, তা নিশ্চিত করতে সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেনি। তাদের উদ্দেশ্য হল, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত করা। তাঁর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের আধিকারিকদের এক্ষেত্রে ভুয়ো তথ্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন স্তরে এই সীমাহীন দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই (CBI) কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে করানোর আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হাওয়ায় উড়ছে কালো টাকা। চলছে সাদা করার নানান প্রয়াস। তারই একটা নয় তো লটারি, অনুমান গোয়েন্দাদের। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পর লটারিকাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রী। ওই মামলায় বিধায়কের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। লটারিতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোটি টাকা প্রাপ্তি আসলে কি সত্য ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোন গভীর ষড়যন্ত্র? তা জানতে বোলপুরে  পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI) অফিসাররা। কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওটা কালো টাকা সাদা করার একটা ধাপ।

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    লটারিকাণ্ডের তদন্ত পৃথক একটি এফআইআর দায়ের করেছে ইডিও। ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় একাধিক লোকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। পাশাপাশি, লটারি কোম্পানির মালিকরাও ইডির নজরে রয়েছেন। কীভাবে ওই গোটা প্রক্রিয়া চলত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি। এর জন্যই ওই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে আগামী ১১ নভেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনিও কিছুদিন আগে লটারি জেতেন। সূত্রের খবর,  কিছুদিন আগে ডিয়ার লটারিকাণ্ডে একটি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তখনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি আসে ইডির হাতে। ওইসব নথি থেকে তাঁরা জানতে পারেন শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নয়, আরও কয়েকজন রয়েছেন যাদের কালো টাকা সাদা করা হতো লটারির মাধ্যমে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই বিধায়কের স্ত্রীকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। অনুব্রত ছাড়া আর কারা লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন তা জানা যাবে। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    লটারি জেতা প্রসঙ্গে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ জেরা চলে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। অনুমান, অনুব্রতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য থেকেই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে তদন্তকারীরা। দুজনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ তৃণমূল (TMC) কর্মী। শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিনই ধৃতদের তোলা হয় সিউড়ি জেলা আদালতে। বিচারক তাঁদের দু’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে। সদাইপুরের সাহাপুরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মহিলাদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এদিন সেই সাহাপুর গ্রাম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে। ধৃতরা হলো শেখ জামির হোসেন, শেখ কারিবুল ওরফে কারু, শেখ আসরফ ওরফে রাহুল, শেখ নুড়াই ও জয়ন্ত ডোম। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারকে ঘিরে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, সনাতনীদের উপর অত্যাচার করে তৃণমূল কর্মীরা ভেবেছিল পার পেয়ে যাবে। সঠিক বিচার পাবেন অত্যাচারে ভেঙে পরা বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে এজেন্সি দিয়ে ভোটের আগে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকার মানুষ সব জানেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    বিধানসভা ভোটে ফলাফল বেরনোর পরেই সদাইপুর এলাকায় একটি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বেছে বেছে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। বাড়ির গরু, ছাগল থেকে সব লুঠপাট এমনকী মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে। এলাকার এক বিজেপি বুথ কর্মী জানান, তিনি বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণ করে তৃণমূলের কর্মীরা। তিনি সদাইপুর থানায় ধর্ষণের ও লুঠপাটের অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে সদাইপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আইনের কোনও বিচার হবে না বলে জেলা নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়।

    অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে অভিযুক্তদের দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের শিবিরে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সাহাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে। সিউড়ি আদালতের বিচারক ধৃতদের আগামী দু’দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share