Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। শুক্রবার, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে এই বিশালকায় যুদ্ধজাহাজ উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

    নৌসেনায় আইএনএস বিক্রান্তের যুক্ত হওয়া অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier)। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা (Atmanirbhar Bharat) ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র ভারতে তৈরি হওয়া প্রথম বিমানবাহী রণতরী নয়। এটা এখনও পর্যন্ত ভারতে তৈরি হওয়া সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জটিল রণতরী। আইএনএস বিক্রান্ত নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ৪৩ হাজার টনের এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়বে নৌসেনার মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) আর্লি ওয়ার্নিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল হেলিকপ্টার। এছাড়াও, থাকবে দেশে তৈরি হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (HAL ALH)। পরবর্তীকালে, এই জাহাজের স্কি-জাম্প (Ski Jump) বা STOBAR ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। তার মধ্যে ১৭টি নীচের হ্যাঙ্গারে থাকবে ও বাকি ১৯টি ফ্লাইট ডেকে থাকবে।

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    আইএনএস বিক্রান্তের চালিকা শক্তি জোগায় চারটি এলএম-২৫০০ গ্যাস টার্বাইন। এই টার্বাইন থেকে ৯০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করে। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট (ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি)। স্বাভাবিক গতি ১৮ নট। এই গতিতে প্রায় একটানা ৭,৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে সক্ষম এই জাহাজ। জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক নৌসেনা কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজে যা পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে, তা দিয়ে অর্ধেক কোচি শহরের আলো জ্বালিয়ে রাখা যায়। জাহাজে ব্যবহৃত মোট তারের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার। জাহাজ নির্মাণে মোট ২১ হাজার ৫০০ টন দেশে তৈরি বিশেষ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এই পরিমাণ ইস্পাত তিনটে আইফেল টাওয়ারের সমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় (Indian Navy) ‘কমিশন্ড’ করা হল দেশে তৈরি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ তথা প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। শুক্রবার, কোচিতে এক অনুষ্ঠানে এই বিশাল জাহাজকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীরক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বিক্রান্ত।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী?

    একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হল একটি বিশাল জাহাজ যা যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। এতে একটি দীর্ঘ, সমতল পৃষ্ঠ থাকে যেখান থেকে বিমানগুলি ওঠানামা করতে পারে। এই রণতরীগুলো এতটাই বড় যেহেতু এখান থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে, তাই এদের ‘ফ্লোটিং এয়ারবেস’ বা ভাসমান বিমানঘাঁটি বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিমানবাহী রণতরীতে যে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফ্লাইট ডেক থাকে, সেখান থেকে যুদ্ধবিমান টেক-অফ, ল্যান্ডিং ও রিকভারি করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    বিমানবাহী রণতরীগুলি যুদ্ধ এবং শান্তির সময়ে একটি নৌবহরের ‘কমান্ড এবং কন্ট্রোল’ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। বিমানবাহী রণতরী হল যে কোনও নৌবাহিনীর কাছে ‘কোহিনূর’-এর সমতুল্য। কারণ, ঘাঁটি বা দেশের সীমা থেকে দীর্ঘ দূরত্বে সমুদ্রে বায়ুশক্তি প্রদান করার ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে এই বিশেষ জাহাজের। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একে রক্ষার জন্য সর্বদা থাকে অন্য জাহাজ। কোনও সময়ই বিমানবাহী রণতরী একলা থাকে না। প্রত্যেক বিমানবাহী রণতরীক ঘিরে তৈরি হয় একটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ। 

    প্রত্যেক ব্যাটল গ্রুপের মাথায় থাকে একটি করে বিমানবাহী রণতরী। এছাড়া গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন, ট্যাঙ্কার এবং আকাশে চক্কর কাটতে থাকা বিশেষ নজরদারি বিমান। এদের প্রত্যেকের কাজ হল বিমানবাহী রণতরীকে চারদিকে থেকে এসকর্ট বা পাহারা দেওয়া, যাতে কোনওভাবে এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের কোনও ক্ষতি না হয়। এর থেকেই অনুমেয়, একটি নৌসেনার কাছে তাদের বিমানবাহী রণতরী কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আইএনএস বিক্রান্ত-এর অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস জোগাবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    আইএনএস বিক্রান্ত অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই নির্মাণ ভারতকে বিশ্বের হাতেগোনা রাষ্ট্রের একটি এলিট তালিকায় বসিয়ে দিল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিমানবাহী রণতরী থাকার তাৎপর্য

    বর্তমানে, বিশ্বের প্রধান সামরিক শক্তিধর দেশগুলির কাছে বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি দেশ— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন— সকলেই নিজ দেশে বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier) নির্মাণ করে থাকে। সেই তালিকায় সংযোজিত হল ভারত। বলা বাহুল্য, এক এলিট গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনী। যে কোনও দেশের সামরিক বাহিনীতে বিশেষ করে নৌসেনায় বিমানবাহী রণতরীর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি সেই সকল দেশের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ যাদের বিস্তৃত জলসীমা রয়েছে। যেমন ভারত। আফ্রিকার পূর্ব সীমান্ত থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর— সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজেদের নৌ-শক্তি ও জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবাহী রণতরী অপরিহার্য। এক কথায় দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে আস্তিনে বিমানবাহী রণতরী থাকা ও না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিস্তর। এধরণের আস্ত বিমানঘাঁটি মাঝ-সমুদ্রে ভেসে বেড়ালে, শক্তিশালী শত্রুও যে কোনও আগ্রাসনের আগে দশবার ভাববে। আর ভারতের জলসীমা বা সমুদ্র অঞ্চল এতটাই বিস্তৃত যে, তৃতীয় (দ্বিতীয় দেশীয়) বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ নিয়ে মোদি সরকারের শীর্ষস্তরে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

     

  • INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy), বা বলা ভাল সামরিক ইতিহাসে “বিক্রান্ত” শব্দটার মাহাত্ম্য অন্যরকম। এর আগে, ভারতের (India) প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। তবে তার আগে, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে (1971 Indo Pak War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ওই জাহাজটি। 

    সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর (First Indigenous Aircraft Carrier) নামকরণও দেশের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এর নকশা তৈরি হয়। নৌসেনার অধিনস্থ ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশা করে। কিন্তু, নির্মাণ কাজ শুরু হয় এক দশক পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে। এরপরও দফায় দফায় নির্মাণ ব্যাহত হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। অবশেষে, ২০১৩ সালে একে জলে ভাসানো হয়। অবশেষে ২০২২ সালে, নৌসেনার হাতে আসছে আইএনএস বিক্রান্ত। অর্থাৎ, নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ বছর। জাহাজটি তৈরি করেছে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited)।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দূর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) উপস্থিতিতে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রথম ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারের। আজ থেকে নামকরণ হল ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। এই যুদ্ধজাহাজ অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। 

    এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy: নৌসেনা পাচ্ছে নতুন নিশান! শুক্রবারই উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    Indian Navy: নৌসেনা পাচ্ছে নতুন নিশান! শুক্রবারই উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন পতাকায় সজ্জিত হবে নৌসেনা। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার নৌসেনার পতাকা পরিবর্তিত হয়েছে। সমৃদ্ধশালী ভারতীয় নৌসেনার ঐতিহ্যকে আরও উঁচুতে তুলে ধরতে এবং উপনিবেশবাদের অতীতকে সরিয়ে ফেলতেই এই উদ্যোগ বলে, নৌসেনা সূত্রে খবর।

    কাল, ২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার  ভারতীয় নৌসেনার কাছে বিশেষ দিন। এদিনই কোচিনে  বিমানবহনে সক্ষম স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে সাগরে ভাসাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের প্রতিটি দেশের নৌবাহিনীর নিজস্ব পতাকা রয়েছে। নৌসেনার পতাকা যুদ্ধজাহাজ, স্থল স্টেশন এবং নৌ বিমান ঘাঁটি সহ সমস্ত নৌ অফিসগুলিতে উত্তোলন করা হয়। 

    একদা ব্রিটিশদের উপনিবেশ ছিল ভারত। নৌসেনার ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৯৩৪ সালের ২ অক্টোবর দেশের নৌসেনার নাম পরিবর্তন করে রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি রাখা হয়, যার সদর দফতর ছিল মুম্বইয়ে। ১৯৫০ সালে ভারত যখন একটি প্রজাতন্ত্র হয়, তখন ‘রয়্যাল’ নামটি বাদ দেওয়া হয়। নৌসেনার এখনকার পতাকার রং সাদা। এটি হল অনুভূমিক। তাতে উলম্বভাবে লাল স্ট্রাইপ রয়েছে। এটি সেন্ট জর্জের ক্রুশের প্রতীক। ক্রশের মাঝখানে রয়েছে ভারতের প্রতীক চিহ্ন। ১৯৫০ সালের পর নৌসেনার পতাকার প্রথম পরিবর্তন ২০০১ সালে। তারপর হয় ১৯৭০ সালে। তারপর ২০০৪ সালে। শেষ ২০১৪ সালে। 

    আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ইতি, ফের আমলার চাকরিতে কাশ্মীরের প্রথম আইএএস! সংস্কৃতি মন্ত্রকের উপসচিব পদে শাহ ফয়জল

    নৌসেনার নতুন পতাকার নকশা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রের খবর, নতুন পতাকায় বাদ যেতে চলেছে সেন্ট জর্জের রেড ক্রস চিহ্নটি। সেই সঙ্গে নোঙরের রঙের পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। পতাকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে কবর, আত্মনির্ভর ভারতই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। নতুন পতাকাই সেই আত্মনির্ভরতার ছাপ থাকবে।

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ কমনওয়েলথ দেশগুলির নৌ চিহ্নের অংশ হিসেবে সেন্ট জর্জের ক্রস ছিল। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার মতো দেশগুলি ইতিমধ্যেই তাদের নৌসেনার পতাকা থেকে সেন্ট জর্জের ক্রস বাদ দিয়েছে। কানাডা ২০১৩ সালে, অস্ট্রেলিয়া ১৯৬৭ সালে, নিউজিল্যান্ড ১৯৬৮ সালে তাদের নৌবাহিনীর পতাকা পরিবর্তন করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    INS Vikrant: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। বিক্রান্তের জন্য ২৬টি ফাইটার জেট কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) কোচিতে দেশের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে (Indian Navy) অন্তর্ভুক্ত করবেন।

    মার্কিন সংস্থা বোয়িং (Boeing) নির্মিত সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) আর ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম (Rafale-M) গত জুন মাসে গোয়ার সমুদ্র সৈকতের কাছে গড়ে ওঠা ভারতীয় নৌসেনার পরীক্ষাকেন্দ্র আইএনএস হানসা-য় তাদের কর্মদক্ষতা দেখিয়েছে। নৌসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, এরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তাই বোয়িংয়ের ফাইটার জেট কেনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বোয়িংয়ের তরফে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত যদি তাদের যুদ্ধবিমান নেয়, তাহলে আগামী ১০ বছরে ভারতে ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ফায়দা হবে। সংস্থার দাবি, তাদের ফাইটার জেটকে যদি নির্বাচিত করা হয়, তাহলে ভারতে উৎপাদন থেকে শুরু করে কারিগরি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করবে আমেরিকা।

    বম্বার্স অ্যান্ড ফাইটার্স বোয়িং ডিফেন্স স্পেস অ্য়ান্ড সিকিউরিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ পার্কার জানিয়েছেন,  ভারতকে “এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট ব্লক ৩” (F/A-18 E/F Super Hornet Block 3) দিতে প্রস্তুত তারা।  আধুনিক মানের এই যুদ্ধবিমান যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে সক্ষম। সুপার হর্নেট ভারতীয় সেনাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে। বোয়িংয়ের তৈরি সুপার হর্নেট মার্কিন নৌবাহিনীর কাছে ভরসার যুদ্ধবিমান। বিমানবাহী রণতরীর জন্য নির্মিত বহুমুখী ফাইটার জেটটি ১৯৯১ উপসাগরীয় যুদ্ধের (1991 Gulf War) সময় থেকে স্ট্রাইক অপারেশন করে এসেছে।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    ভারতে বোয়িংয়ের কর্ণধার সলিল গুপ্ত জানিয়েছেন, সুপার হর্নেটকে নির্বাচন করা হলে তা ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রকে আরও উজ্জীবিত করবে। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রেও এটা একটা বড় দিক। উল্লেখ্য, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রণতরী বিক্রান্তে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫ হাজার টন স্টিল, যা দিয়ে তৈরি করা যাবে চারটি আইফেল টাওয়ার। ২৬২ মিটার দৈর্ঘের এ রণতরী দেড় হাজার সেনা সদস্য ও ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। পাড়ি দিতে পারবে টানা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy Agniveer: ভারতীয় নৌসেনাতে অগ্নিবীর নিয়োগ, অনলাইনে শুরু আবেদন প্রক্রিয়া

    Indian Navy Agniveer: ভারতীয় নৌসেনাতে অগ্নিবীর নিয়োগ, অনলাইনে শুরু আবেদন প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনাতে (Indian Navy) অগ্নিবীর (Agniveer) নিয়োগ করার জন্যে গতকাল থেকেই আবেদন পত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে গোটা দেশ বিক্ষোভ করলেও এখন এই প্রকল্পের মাধ্যমেই দেশের যুবকরা এগিয়ে এসেছে ভারতীয় বাহিনীতে যোগদান করার জন্যে। এবারে ভারতীয় নৌসেনার অগ্নিবীর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসায় আবেদন করতে শুরু করে দিয়েছে প্রার্থীরা। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট joinindiannavy.gov.in-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন। সব মিলিয়ে মোট ২০০টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই অবধি এই পদে আবেদন করা যাবে। পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে এই পদে নিয়োগ করা হবে। যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই তবে এই পদে আবেদন করতে পারবেন। ফলে যেসব পুরুষ, মহিলারা ভারতীয় নৌসেনাতে অগ্নিবীর পদে ভর্তি হতে চান, তারা শীঘ্রই আবেদন করে নিন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    কী কী যোগ্যতা লাগবে?

    এই পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে প্রার্থীকে স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম শ্রেণি পাশ হতে হবে। আর যাদের জন্ম ১৯৯৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৩১ মে-এর মধ্যেই তারাই এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    কী কী পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হবে?

    • দশম শ্রেণীর রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রথমে বাছাই করা হবে।
    • এরপর বাছাই করা প্রার্থীদের লেখা পরীক্ষা ও পিএফটি-এর জন্য চিঠি পাঠানো হবে।
    • এরপর লেখা পরীক্ষা ও পিএফটি-এর ওপর ভিত্তি করেই মেরিট লিস্টে প্রার্থীদের বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট joinindiannavy.gov.in-এ যান।
    • এরপর রেজিস্টারে গিয়ে প্রোফাইলের রেজিস্ট্রেশন করুন।
    • যে কোর্সের জন্য আবেদন করছেন সেটির ফর্ম পূরণ করুন ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আপলড করুন।
    • ফর্ম পূরণের টাকা দিন ও ফর্মটি জমা দিয়ে দিন।
    • এরপর ফর্মটি ডাউনলোড করে একটি প্রিন্ট করে নিন।

     

  • INS Vikrant: ২ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএনএস বিক্রান্ত পুরো ‘অপারেশনাল’ হতে আরও এক বছর!

    INS Vikrant: ২ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএনএস বিক্রান্ত পুরো ‘অপারেশনাল’ হতে আরও এক বছর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। ঠিক সাতদিন পর, অর্থাৎ, ২ সেপ্টেম্বর আগামী শুক্রবার, ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) তথা সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার, কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে (Cochin Shipyard Limited) (এখানেই নির্মিত হয়েছে বিক্রান্ত) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে তৈরি প্রথম বিমাণবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তকে (INS Vikrant) অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar) থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্টজন। ওইদিন নৌসেনায় ‘কমিশন্ড’ (Commissioning of INS Vikrant) বা অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী । প্রাথমিকভাবে নাম রয়েছে ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার (Indigeneous Aircraft Carrier) বা “আইএসি ১”। অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর নাম হবে “আইএনএস বিক্রান্ত”। 

    তবে অন্তর্ভুক্ত হলেও, এখনই ‘অপারেশনাল’ হচ্ছে না আইএনএস বিক্রান্ত। সেটা হতে হতে আগামী বছরের মাঝামাঝি। নৌসেনার উপ-প্রধান ভাইস-অ্যাডমিরাল এসএন ঘোরমাদে জানান, বিক্রান্তের ফ্লাইট ট্রায়াল নভেম্বরে শুরু হবে। অর্থাৎ, তখন থেকে বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়ান ও অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করবে যুদ্ধবিমানগুলি। এরসঙ্গে জাহাজের বিভিন্ন সামরাস্ত্র ও প্রযুক্তি যুক্ত করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। ফলে, ২০২৩ সালের জুন নাগাদ ‘এয়ার উইং’ গঠন সহ যুদ্ধজাহাজটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (IOR) ভারতের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজ করবে আইএনএস বিক্রান্ত বলে জানান নৌ-উপপ্রধান। তিনি বলেন, এটি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indian Ocean Region) শান্তি, স্থিতাবস্থা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চিনের সরাসরি নাম না করে ঘোরমাদে জানান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেভাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে, তাতে এই রণতরীর গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আইএনএস বিক্রান্ত-এর ওপর ১২টি মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে। এরমধ্যে, নৌসেনা যে ২৬টি বিদেশি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই বিমানগুলি চলে আসলে, মিগ-২৯কে বিমানগুলিকে অবসরে পাঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় নতুন বিমানগুলিকে মোতায়েন করা হবে। এই জাহাজের ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ (F/A-18E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। এর জন্য সরাসরি সরকারের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে একটি বিমানকে বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    তবে, নৌসেনার উপ-প্রধান জানিয়েছেন, বর্তমানে নৌসেনার নিজস্ব একটি দেশীয় যুদ্ধবিমান নিয়ে গবেষণা করছে ডিআরডিও এবং এডিএ। আগামী ৭-৮ বছরের মধ্যে ওই যুদ্ধবিমান যাকে এখন বলে হচ্ছে ‘টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার’ বা ‘টিইডিবিএফ’ নির্মাণ হয়ে গেলে, সেগুলি পাকাপাকিভাবে থাকবে এই রণতরীর ওপর। ঘোরমাদে জানান, সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। এর মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে থাকবে মিগ-২৯কে এবং পরে যোগ দেওয়া দেশী/বিদেশি। বাকিগুলি হবে রোটারি এয়ারক্র্যাফট বা হেলিকপ্টার। এই তালিকায় রয়েছে— রুশ কামোভ-৩১ আর্লি ওয়ার্নিং চপার, মার্কিন লকহিড-মার্টিন নির্মিত এমএইচ-৬০আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার এবং থাকবে দেশে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার।

  • INS Vikramaditya: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    INS Vikramaditya: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের একমাত্র বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অগ্নিকাণ্ড। বুধবার কর্নাটক (Karnataka) উপকুলবর্তী এলাকায় থাকাকালীন আগুন লাগে ভারতের বিশাল এই রণতরীতে। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই, বলে জানিয়েছে নৌসেনা (Indian Navy)৷ এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। জাহাজের ক্রু মেম্বারদের তৎপরতায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে৷ 

    এর আগেও একবার এই যুদ্ধজাহাজে আগুন লেগে এক নৌ-কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। কী কারণে এই আগুন লাগল সেই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছেন নৌসেনার অফিসাররা। তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। নৌসেনার তরফে জানানো হয়, জাহাজে থাকা অফিসার এবং কর্মীদের তৎপরতায় এ যাত্রায় জাহাজের পুরো অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। সময় থাকতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তাই জাহাজে থাকা জিনিসপত্রের বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: অদূর ভবিষ্যতে ড্রোন উৎপাদনের হাব হবে ভারত, আশা ডিআরডিও প্রধানের

    ২০১৪ সালে রাশিয়া (Russia) থেকে এই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি কেনে নৌসেনা। খরচ পড়েছিল ১৬,১২৩ কোটি টাকা। জাহাজটিতে ৩০ টি মিগ-২৯কে (MiG 29K) যুদ্ধবিমান ও ছ’টি হেলিকপ্টার রাখা যেতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার উচ্চতার এই যুদ্ধজাহাজ ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু, ওজন ৪০০০০ টন। পৃথিবীতে খুব কম দেশের কাছেই  বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। নৌসেনা সূত্রে জানা গেছে, এটি ৪৪ হাজার ৫০০ টন ওজন ধারণে সক্ষম। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ বহনে সক্ষম রণতরীটিতে ২২টি ডেক রয়েছে। এটি ৮ হাজার টন জ্বালানি ধারণ করতে এবং একবারে ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল বা ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে।

    আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    আইএনএস বিক্রমাদিত্যকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে এখন। বিমানবাহী এই যুদ্ধজাহাজটিতে বসানো হচ্ছে ‘মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম’। এর ফলে আরও সহজে এই রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারবে।
     

  • Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers) নির্মিত নৌসেনার (Indian Navy) নতুন স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate) শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত থাকবেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R. Hari Kumar) সহ নৌসেনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence) ও গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের শীর্ষ পদাধিকারীরা।

    প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha) প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেলথ ফ্রিগেটের নকশা করেছে নৌসেনার আওতাধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন। এই সংস্থাই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর নকশাও করেছে। প্রোজেক্ট ১৭-আলফা প্রকল্পের প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। 

    নৌনেসার নিয়মানুসারে, যে কোনও প্রকল্পের প্রথম জাহাজের নামকে সেই প্রকল্পের শ্রেণি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে কারণে, এই প্রকল্পের বাকি ৬টি জাহাজগুলিকে “নিলগিরি-শ্রেণি” ফ্রিগেট হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। আগামীকাল, যে জাহাজটির উদ্বোধন হবে, সেটি হবে গার্ডেনরিচে নির্মিত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, নৌসেনার ঐহিত্য অনুসারে, জাহাজের নামকরণ ও উদ্বোধন করবেন দেশের নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের স্ত্রী শ্রমতী কলা হরি কুমার। এই জাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস দুনাগিরি’ (INS Dunagiri)।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জাহাজের বৈশিষ্ট্য—

    প্রোজেক্ট ১৭-এ প্রকল্পের আওতায় থাকা ফ্রিগেটগুলি স্টেলথ। অর্থাৎ, এক কথায় এই জাহাজের ওপর এমন আস্তরণ রয়েছে, যাতে এর রেডার সিগনেচার (Radar signature) কমে যায়। এক কথায়, শত্রুর রেডারে ধরা পড়বে না। মূলত, এই জাহাজগুলির প্রধান নকশা প্রোজেক্ট-১৭ শ্রেণি থেকে নেওয়া। তবে, তাতে অনেক আধুনীকিকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface to Air Missile)-এর ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) বা লম্বালম্বি নিক্ষেপ-ব্যবস্থা।

    এই জাহাজগুলি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার (anti-surface warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৮টি ব্রহ্মোস (BrahMos) জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (anti-ship cruise missiles)। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ গতি ‘মাক ৩’, অর্থাৎ শব্দের গতির তিনগুণ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৭৬ মিমি নেভাল গান (OTO Melara 76 mm naval gun)। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    অ্যান্টি-এয়ার ওয়ারফেয়ার (anti-air warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৩২টি বারাক ৮ইআর (Barak 8ER) দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (LR-SAM)। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আকাশপথে আসা শত্রুর যে কোনও বিপদ যেমন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মানবহীন বিমান বা ড্রোন— সবকিছুকে ধ্বংস করতে জুড়িহীন এই ইজরায়েলি-জাত ক্ষেপণাস্ত্রের।

    অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (anti-submarine warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে দুটি টর্পেডো লঞ্চার। এক-একটি থেকে তিনটি করে টর্পেডো নিক্ষেপ করা যায়। এতে রয়েছে ২টি সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার (anti-submarine rocket launchers) যার মধ্য দিয়ে রুশ নির্মিত ১ কিমি পাল্লার আরবিইউ-৬০০০ স্মার্চ-২ (RBU-6000 Smerch-2) রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া, শত্রুর ছোঁড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে এতে রয়েছে ২টি অ্যান্টি-টর্পেডো ডিকয় সিস্টেম (anti-torpedo decoy system) এবং ৪টি ডিকয় লঞ্চার (Kavach anti-missile decoy launchers)। 

    এই জাহাজের ডেক থেকে দেশীয় এএলএইচ ধ্রুব মার্ক-৩ (ALH Dhruv MK-III) জলপথ নজরদারি কপ্টার এবং ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং (Westland Sea King) জাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসে পারদর্শী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। 

  • INS Vikrant: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    INS Vikrant: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্ভুক্তির দিকে আরও একধাপ এগলো দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী বা ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার (Indigenous Aircraft carrier)। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) তরফে জানানো হয়েছে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই চতুর্থ তথা চূড়ান্ত দফার সামুদ্রিক ট্রায়াল (4th phase of sea trials) সম্পন্ন করেছে বিক্রান্ত। 

    আগামী ১৫ অগাস্ট, অর্থাৎ দেশের পঞ্চাশতম স্বাধীনতা বর্ষপূর্তির দিন সরকারিভাবে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে আইএসি-১ (IAC-1) যুদ্ধজাহাজকে। তখন নামকরণ করা হবে “আইএনএস বিক্রান্ত” (INS Vikrant)। ট্যুইটারে নৌসেনার তরফে যে ছবিগুলি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জাহাজের ডেকে রয়েছে রুশ নির্মিত মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। 

    [tw]


    [/tw]

    নৌসেনার ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশায় ৩৭,৫০০ টনের এই জাহাজ নির্মিত করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোচিন শিপইয়ার্ড (Cochin Shipyard Limited)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    সূত্রের খবর, মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি এই রণতরীতে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) হেলিকপ্টার, মার্কিন সংস্থা সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৩০ রোমিও (MH-30R) মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার এবং দেশে তৈরি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল (HAL) নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH)। পরবর্তীকালে, মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলির জায়গা নেবে মার্কিন বোয়িং নির্মিত এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (Boeing F/A-18E/F Super Hornet) অথবা ফরাসি দাসো এভিয়েশন (Dassault Aviation) নির্মিত রাফাল-এম (Rafale-M) যুদ্ধবিমান।

    ভারতের প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌ-বাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। সেই নামেই নামাঙ্কিত করা হচ্ছে নতুন রণতরীকে। 

    [tw]


    [/tw]

    বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনায় রয়েছে একটিই মাত্র বিমাণবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya), যা রাশিয়া থেকে কিনেছিল ভারত। অন্যদিকে, চিনের নৌসেনায় ইতিমধ্যেই দুটি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তৃতীয়টির পরীক্ষা চলছে। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    বিক্রান্ত-এর ৭৬ শতাংশ অংশই দেশীয়। ২০০৯ সালে এই যুদ্ধজাহাজের নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

LinkedIn
Share