Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Mohan Bhagwat: “ভারত এবং হিন্দু সমার্থক, হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক প্রবাহ”, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভারত এবং হিন্দু সমার্থক, হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক প্রবাহ”, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং হিন্দু সমার্থক, একে অপরের পরিপূরক। ঠিক এই ভাবেই হিন্দুত্বকে ব্যাখ্যা করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সরসংঘ চালক মোহন ভাগবাত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “হিন্দু কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় শব্দ নয়, হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার অন্তর্নিহিত প্রবাহ। ভারত এই ঐতিহ্যের ধারক বাহক। ভারত কোনও একক সত্ত্বা নয়, বহু ধারার মিলিত প্রবাহ।”

    কোনও সরকারি ঘোষণার প্রয়োজন নেই (Mohan Bhagwat)

    অসমের গুহাহাটিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেছেন, “যাঁরাই ভারত নিয়ে গর্ব করেন, তাঁরাই হিন্দু। ভারত এবং হিন্দু সমার্থক। ভারতের হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার জন্য কোনও সরকারি ঘোষণার প্রয়োজন নেই। ভারতীয় সমাজ এবং সভ্যতার নীতি ইতিমধ্যেই প্রতিফলিত হয় হিন্দুত্বে। আরএসএস কারো (RSS) বিরোধিতা বা ক্ষতি করার জন্য তৈরি হয়নি বরং চরিত্র গঠনে মনোনিবেশ করা এবং ভারতকে বিশ্বগুরু হিসেবে গড়ে তোলাই প্রধান কাজ। বৈচিত্র্যের মধ্যে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার পদ্ধতিকে বলা হয় আরএসএস। বিবিধের মধ্যে মহামিলনকেই খোঁজ করা ভারতের একমাত্র সত্ত্বা।

    ভূমির পরিচয়ে দৃঢ় আসক্তির আহ্বান

    অসমে অস্বাভাবিক জনসংখ্যার পরিবর্তন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সতর্কতা এবং নিজের ভূমির পরিচয়ের প্রতি দৃঢ় আসক্তির আহ্বান জানান। তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ, হিন্দুদের জন্য তিন সন্তানের আদর্শ নীতিকে জনসংখ্যার ভারসাম্য বিষয়ে স্পষ্ট মত রাখেন। বিভেদমূলক ধর্মীয় ধর্মান্তরনীতিকে ভারতীয় সমাজের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সমাজকে পুনর্নির্মাণ এবং সমাজের মূল সত্ত্বাকে অক্ষুন্ন রাখতে এই প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলিকে মাথায় রাখা বলে মনে করেন মোহন ভাগবত।

    একই ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে দায়িত্বশীল ব্যবহারের পক্ষেও কথা বলেন ভাগবত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লাচিত বরফুকন এবং শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের মতো ব্যক্তিত্বরা কেবল আঞ্চলিক গুরুত্বই রাখেন না, বরং রাষ্ট্রীয় প্রাসঙ্গিকতাও রাখেন, এক কথায় সমস্ত ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করেন। তাই ভারতীয় সমাজের সকল জাতি সম্প্রদায়ের মানুষের গঠনের জন্য সম্মিলিতভাবে এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে।”

  • India-US Defence Deal: ভারতকে ৮২৫ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বিক্রিতে সায় ট্রাম্প প্রশাসনের

    India-US Defence Deal: ভারতকে ৮২৫ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বিক্রিতে সায় ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। তবে তার আগেই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটা বড় চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল দুই দেশ। ভারতকে প্রায় ৯.৩ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা) অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘জ্যাভলিন’ ক্ষেপণাস্ত্র, এবং অত্যাধুনিক ‘এক্সক্যালিবার’ আর্টিলারি।

    ৮২৫ কোটি টাকার চুক্তি

    এই চুক্তি যে হতে পারে, সেই খবর আগে থেকেই জানা ছিল। এবার তা অনুমোদিত হল। বুধবার সিলমোহর দিল মার্কিন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির কথা জানিয়েছে ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পোরেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ)। বিবৃতি অনুযায়ী, ১০০টি এফজিএম-১২৫ জ্যাভলিন মিসাইল, একটি জ্যাভলিন এফজিএম-১৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র (ফ্লাই-টু-বাই), ২৫টি লাইটওয়েট কমান্ড লঞ্চ ইউনিট (সিএলইউ) এবং ২১৬টি এক্সক্যালিবার আর্টিলারি রাউন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ধাপে ধাপে ভারতীয় সেনার হাতে আসবে মোট ১২টি লঞ্চার এবং ১০৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি, ভারতের অনুরোধে এই প্যাকেজটিতে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে— জ্যাভলিন এলডব্লিউসিএলইউ বা সিএলইউ বেসিক স্কিল প্রশিক্ষক, মিসাইল সিমুলেশন রাউন্ড, ব্যাটারি কুল্যান্ট ইউনিট, ইন্টারেক্টিভ ইলেকট্রনিক টেকনিক্যাল ম্যানুয়াল, জ্যাভলিন অপারেটর প্রশিক্ষণ, অস্ত্রগুলির লাইফটাইম সাপোর্ট, নিরাপত্তা পরিদর্শন, খুচরো যন্ত্রাংশ, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং চেক আউট, প্রযুক্তিগত সহায়তা, টুল কিট, ব্লক ১ সিএলইউ সংস্কার পরিষেবা, এবং লজিস্টিক এবং প্রোগ্রাম সহায়তা সম্পর্কিত আরও অন্যান্য উপাদান।

    জ্যাভলিনের কার্যকারিতা অপরিসীম

    আরটিএক্স এবং লকহিড মার্টিন দ্বারা যৌথভাবে তৈরি জ্যাভলিন মিসাইল বেশ কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে তার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে, যেখানে অনেক রাশিয়ান টি-৭২ এবং টি-৯০ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছিল। এই মিসাইল ইউক্রেন-সহ বিশ্বের অনেক দেশের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম জ্যাভলিন। যুদ্ধের ময়দানে জ্যাভিলিনের কার্যকারিতা অপরিসীম। মাত্র একজন সৈনিক এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ‘জ্যাভলিন’ ছোড়া যায়। ঠিক যেমন ছোড়া যায় আমেরিকারই তৈরি ‘শোল্ডার ফায়ারড’ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্ট্রিংগার। একটি ‘জ্যাভলিন’-এর ওজন আনুমানিক ২৩ কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে আট কেজি বিস্ফোরক। এর লঞ্চার সাধারণত ৬.৪ কেজির হয়ে থাকে। ২,৫০০ মিটার পাল্লার এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধীর গতিতে ওড়া হেলিকপ্টার ধ্বংস করতেও পটু।

    ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা আরও বাড়াবে, তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক হুমকি প্রতিরোধ করবে। এতে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে এই পণ্য এবং পরিষেবাগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও অসুবিধা হবে না। ডিএসসিএ আরও জানিয়েছে যে, এই চুক্তি মার্কিন-ভারত কৌশলগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করবে।

  • Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো নাম বাদ যেতে পারে’! এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো নাম বাদ যেতে পারে’! এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর ইস্যু নিয়ে ফের রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এসআইআর-এর পর রাজ্যে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, মৃত ও অবৈধ ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখতেই এত এসআইআরের বিরোধিতা করছে শাসকদল তৃণমূল। মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, মৃত ভোটার, একই বুথে ডবল ভোট এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভোট, তৃণমূলের সাফল্যের অঙ্ক। রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের যন্ত্রণা ও ভেঙে পড়ার কারণ পরিষ্কার। এর কারণ মৃত ভোটার। সকালের পোশাক বদলে বিকেলে ভোট দেওয়া হয়।”

    লক্ষণ এসআইআর আতঙ্ক, রোগ আত্মহত্যা

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে (এসআইআর) কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা আত্মহত্যার অভিযোগকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে এসআইআর হচ্ছে। কোথাও মৃত্যু হচ্ছে না। এখানেই শুধু হচ্ছে। লক্ষণ এসআইআর আতঙ্ক, রোগের নাম আত্মহত্যা। আমার মনে হয় ভাল চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তবে যদি এই রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’’ পাশাপাশি তিনি আরও জুড়ছেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা বলে দিচ্ছে আর তৃণমূল নেতারা সেই নিয়ে প্রচার করছেন। এতে কোনও লাভ হবে না।’’

    ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ পড়তে পারে

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আর ওঁর ভাইপো আর প্রতীক জৈন একটা মিটিং করেছেন, আইপ্যাক আর পুলিশ রিপোর্ট করেছে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ যেতে পারে এবং গেলে ওঁরা জিতবেন না, তারপর নতুন করে পুলিশের তালিকা তৈরি করতে বলেছে, যদি পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার পাওয়া যায়, নতুন পুলিশের ট্রান্সফার তালিকা তৈরি হচ্ছে, ৭ ডিসেম্বর বের হবে। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর..এনুমারেশন ফর্ম পূরণের কাজ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তখন নিশ্চিতভাবে জানা যাবে কার নাম বাদ গেল, আর কার নাম থাকল।’’ বাংলায় এসআইআর শুরুর পর থেকে শুভেন্দু দাবি করে আসছেন, এক কোটি নাম বাদ যাবে। তার মধ্যে মৃত ভোটার, মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, অনুপ্রবেশকারী রয়েছে জানিয়ে তিনি এদিনও বলেন, “২০০২ সালে বাদ গিয়েছিল ২৬ লক্ষ। এবার আরও বেশি নাম বাদ যাবে। আরও বেশি নাম বাদ যেত যদি রাজ্য সরকার সাহায্য করত। এবার ৮০ শতাংশ এসআইআর সফল হবে।”

    ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা শুভেন্দুর

    এদিন ফের ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা দেন তিনি। বলেন, “বিহারে অনেক রাষ্ট্রবাদী মুসলিম এনডিএ-কে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন। এখানেও আমরা রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের কাছে আবেদন করেছি। গরিষ্ঠ সংখ্যক ভারতীয় মুসলমানরা আমাদের ভোট না দিলেও আমরা বারবার বলেছি, এসআইআর নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও চিন্তা নেই।” বিভিন্ন জায়গায় বিএলও-দের বিরুদ্ধে ফর্ম না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে বিএলও-দের সতর্ক করলেন শুভেন্দু। জানালেন, অভিযুক্ত বিএলও-দের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। কমিশন যাতে ওইসব বিএলও-দের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করে, সেই দাবি জানাবেন। একাংশ বিডিও-র সঙ্গে আইপ্যাকের টিম প্রতিদিন দুপুরে বৈঠক করছেন বলেও অভিয়োগ করেন তিনি।

  • YUVA AI For ALL: ইন্ডিয়াএআই মিশনের অধীনে ১ কোটি যুবককে দেওয়া হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাঠ

    YUVA AI For ALL: ইন্ডিয়াএআই মিশনের অধীনে ১ কোটি যুবককে দেওয়া হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়াএআই মিশনের অধীনে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবার (MeitY) সকলের জন্য যুবা এআই (YUVA AI For ALL) কোর্স চালু করেছে। এটি একটি বিনামূল্যের স্বল্পমেয়াদী কোর্স যা ভারত জুড়ে মানুষকে-বিশেষ করে তরুণদের-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Mission) সম্পর্কে মৌলিক ধারণা অর্জনে সহায়তা করবে। খুব সহজ ভাবেই এর পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় গতিসম্পন্ন ৪.৫ ঘন্টার কোর্সের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় বাস্তব জীবনের উদাহরণ। সবটাই খুব সহজ করে উপস্থাপনা করা হয়েছে। এআই শেখাকে আরও সহজ, আকর্ষণীয় এবং সম্পর্কিত করে তুলবে বলে বলা হয়েছে।

    ১ কোটি নাগরিককে মৌলিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাঠ (YUVA AI For ALL)

    এই কোর্সে (YUVA AI For ALL) তুলে ধরে হয়েছে কীভাবে এআই দিয়ে আরও বিশ্বাস যোগ্য করে তুলে ধরা যায়। রূপ থেকে রূপান্তর করাও একটা বড় বিদ্যা। শিক্ষার্থীদের এবং পেশাদারিত্বের কাজে এআই ব্যবহার করে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।  MeitY-এর লক্ষ্য হল ১ কোটি নাগরিককে মৌলিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দক্ষ করে তোলা। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা, নৈতিক ভাবে এআই ব্যবহার সহ একাধিক প্রচারকে সম্পন্ন করাও এই পাঠ্যক্রমের অন্যতম দিক।  ভবিষ্যতের জন্য ভারতে বিশেষ কর্মীবাহিনীকে প্রস্তুত করাও এই ভাবনার প্রধান লক্ষ্য। দেশের প্রতিটি কোণে এই কোর্সটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইন্ডিয়াএআই-এর সঙ্গে সহযোগিতাম করতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। ছয়টি সংক্ষিপ্ত মডিউলের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা এই পাঠ্যক্রমে যুক্ত হতে পারেন।

    যুবা এআই ফর অল কোর্সে (YUVA AI For ALL) ঠিক কী কী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?

    • এআই আসলে কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে তা বুঝুন
    • শিক্ষা, সৃজনশীলতা এবং কর্মক্ষেত্রে এআই কীভাবে পরিবর্তন আনছে তা জানুন
    • নিরাপদে এবং দায়িত্বশীলভাবে এআই সরঞ্জামগুলি কীভাবে ব্যবহার করবেন তা অন্বেষণ করুন
    • ভারত জুড়ে বাস্তব-বিশ্বের এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলি দেখুন
    • এআই-এর ভবিষ্যৎ এবং উদীয়মান সুযোগগুলির এক ঝলক দেখুন

    আপনি কোথায় কোর্সটি করতে পারবেন?

    শিক্ষার্থীরা ফিউচারস্কিলস প্রাইম, আইজিওটি কর্মযোগী এবং অন্যান্য প্রধান শিক্ষা-প্রযুক্তি পোর্টালের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে কোর্সটি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যারা সফলভাবে এটি সম্পন্ন করবে তারা ভারত সরকারের কাছ থেকে একটি শংসাপত্র পাবেন।

    সরাসরি লিঙ্ক – ‘সকলের জন্য যুবা এআই’ (AI Mission) বিনামূল্যে কোর্স

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    • প্রদত্ত লিঙ্কটি দেখার পর, “এনরোল” এ ক্লিক করুন এবং আপনার জিমেইল আইডি বা লিঙ্কডইন দিয়ে লগইন করুন।
    • আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ, শিক্ষা, পেশা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিবরণ লিখুন।
    • একবার নিবন্ধিত হয়ে গেলে, আপনি স্ব-গতির এআই কোর্সটি করতে পারবেন।
  • Daily Horoscope 20 November 2025: টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 November 2025: টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভাই-বোনের পরামর্শে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) শ্বশুরবাড়ির কোনও ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন এড়িয়ে যান।

    ৩) সন্তানের ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক হন।

    বৃষ

    ১) অন্যের কাছ থেকে কোনও প্রত্যাশা রাখবেন না।

    ২) সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ কমে আসতে পারে।

    ৩) আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে সাফল্য পেতে।

    মিথুন

    ১) শত্রু প্রবল হবে।

    ২) গুজবের কারণে লক্ষ্যচ্যুত হতে পারেন।

    ৩) সন্ধ্যায় অর্থলাভ।

    কর্কট

    ১) টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে।

    ২) সঠিক সুযোগ পাবেন।

    ৩) সমাজসেবা করবেন আজ।

    সিংহ

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বিনোদনে সময় ব্যয় করবেন।

    ২) সন্তানের প্রতি নিজের দায়িত্ব পূরণ করুন।

    ৩) আপনার ব্যবহারে সকলে খুশি হবে।

    কন্যা

    ১) পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা হবে, যা আপনাকে কষ্ট দেবে।

    ২) পরিবারের কারও বিয়ের প্রস্তাব আসতে পারে।

    ৩) সন্ধ্যা নাগাদ মন্দিরে দেবদর্শনের জন্য যেতে পারেন।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) নিজের সমস্ত কাজ অন্যের ওপর ছেড়ে দেবেন না, তাঁরা আপনার বিশ্বাসের দুর্ব্যবহার করতে পারেন।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

    ২) ছাত্রছাত্রীদের নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ধনু

    ১) ভালো সময় কাটাবেন আজ।

    ২) আর্থিক জীবনে সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) বহুদিন ধরে আটকে থাকা টাকা এবার ফিরে পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে।

    ২) সাবধানে গাড়ি চালান।

    ৩) বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সাহায্যে কাজ করুন।

    কুম্ভ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি ক্রয়ের পরিকল্পনা করে থাকলে আজকের দিনটি ভালো।

    ৩) জীবনসঙ্গীর পরামর্শ মেনে চললে ভালো ফল পাবেন।

    মীন

    ১) ব্যবসায় মনোনিবেশ না-করায় সমস্যা হতে পারে।

    ২) আলস্য ত্যাগ করে পুনরায় কাজ শুরু করুন।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য উপহার কিনতে পারেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Dr. S Somanath: এবিভিপির ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ড.এস সোমনাথ

    Dr. S Somanath: এবিভিপির ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ড.এস সোমনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। এই অধিবেশনের মুখ্য অতিথি হিসেবে থাকবেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডক্টর এস সোমনাথ (Dr. S Somanath)। তিনি এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন। উল্লেখ্য এবিভিপির এই বার্ষিক অনুষ্ঠান প্রত্যেক বছর হয়ে থাকে। এই বছরের অধিবেশনে সারা ভারত থেকে প্রায় ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি যোগদান করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    চন্দ্রযান-৩ সাফল্যে সোমনাথ (Dr. S Somanath)

    বিদ্যার্থী পরিষদের অধিবেশনের অর্থ হল কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী এবং কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত ভারতের ছাত্রছাত্রীদের মহাসামাগম। আরও ভালো করে বললে, ভারতের সারমর্মকে তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে। সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের উজ্জীবিত করাই প্রধান উদ্দেশ্য। এবারের অধিবেশনে ২৮ নভেম্বর ভাষণ দেবেন এস সোমনাথ (Dr. S Somanath)। তিনি একজন বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী। ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩, আদিত্য এল ওয়ান, সৌর মিশন, এক্সপিওএসএটি উক্ষেপণ এবং আইএনএসএটি সিরিজের জন্য কাজ করে তিনি বিরাট সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ভারতের মহাকাশ জগতে গবেষণায় আমূল পরিবর্তন, প্রগতি এবং উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু পরিমাণে স্টার্ট আপের সূচনাও করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করে বিশ্বের দরবারে ভারতকে অনেক উপরে নিয়ে গিয়েছেন।

    সকলকে অনুপ্রাণিত করবে

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার বিরেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেছেন, “ডক্টর এস সোমনাথের (Dr. S Somanath) মহাকাশ গবেষণা বিশ্বের দরবারে বিরাট কৃতিত্ব পেয়েছে। তিনি ভারতকে বিশ্বের কাছে উন্নত রাষ্ট্রের পর্যায়ের দিকে নিয়ে যাওয়াতে আরও অনেকটা এগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাবনা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তরুণ প্রজন্মকে গবেষণায় আগ্রহ যোগাবে। তাঁকে আমরা আমাদের অধিবেশনে স্বাগত জানাই।”

  • Delhi Blast: লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে বসেই বোমা বানায় উমর! দিল্লি বিস্ফোরণে উঠে এল নয়া তথ্য

    Delhi Blast: লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে বসেই বোমা বানায় উমর! দিল্লি বিস্ফোরণে উঠে এল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে বসেই বোমা তৈরি করেছিল দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলচক্রী তথা চিকিৎসক উমর মহম্মদ ওরফে উমর নবি নিজেই। বিস্ফোরণের (Delhi Red Fort Blast) আগে পার্কিংয়ে বসেই বিভিন্ন উপকরণ মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বোমা। সূত্রের খবর, তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখে, বিস্ফোরণের (Delhi Blast Investigation) আগে উমর কোথায় কোথায় গিয়েছিল, কতক্ষণ ছিল, কার সঙ্গে দেখা করেছিল? সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে, বিকেল ৩টে ১৯ মিনিটে উমর তার গাড়ি নিয়ে পার্কিংয়ে ঢোকে এবং ৬টা ২৮ মিনিটে বেরিয়ে আসে। ঠিক তার ২৫ মিনিট পর, সন্ধে ৬টা ৫২ মিনিটে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, যে ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের, আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

    পার্কিংয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বোমা তৈরি

    গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে একটি ‘হুন্ডাই আই২০’ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই গাড়ির চালক ছিলেন উমর। পরে আশপাশের বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায় বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটি লালকেল্লার অদূরে একটি পার্কিংয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। বিস্ফোরণের দিন দুপুরে ওই পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল গাড়িটি। বেরিয়েছিল সন্ধ্যায়, বিস্ফোরণের ঠিক আগে। এই দীর্ঘ সময় পার্কিংয়ে কী করছিল গাড়িটি, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল। প্রশ্ন জেগেছিল তদন্তকারীদের মনেও। এ বার জানা গেল, পার্কিংয়ে বসেই বিস্ফোরকটি তৈরি করছিল উমর। তদন্তকারীরা জানান, পার্কিংয়ে থাকা অবস্থায় উমর একবারও গাড়ি থেকে নামেনি। সেই সময় সে নিজের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে ছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই কথোপকথনেই নির্ধারিত হয় বিস্ফোরণের টার্গেট এলাকা।

     গাড়ির মধ্যেই বিস্ফোরক ডিভাইসটি জোড়া লাগায়

    তদন্তকারীদের অনুমান, লালকেল্লার (Delhi Red Fort) প্রতীকী গুরুত্বের কারণে প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পার্কিং এলাকাতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। কিন্তু একটি ভুল হিসেব পুরো পরিকল্পনা বদলে দেয়। সেদিন ছিল সোমবার, লালকেল্লা বন্ধ থাকার কারণে পার্কিং এলাকা প্রায় ফাঁকা ছিল। ফলে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটালে মানুষজনকে নিশানা করা সম্ভব হতো না। তাই উমর ও তার হ্যান্ডলারদের পরিকল্পনা বদলে নতুন টার্গেট এলাকা করা হয়- ব্যস্ত নেতাজি সুভাষ মার্গকে, যার এক পাশে লালকেল্লা (Delhi Red Fort), অন্য পাশে চাঁদনি চক। সাধারণত এলাকাটি ভিড়ে ঠাসা থাকে, তাই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হতে পারত বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই তিন ঘণ্টায় উমর গাড়ির মধ্যে বসেই বিস্ফোরক ডিভাইসটি জোড়া লাগায়। বিস্ফোরক প্রস্তুত হতেই সে পার্কিং ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্ফোরণ ঘটায়।

    পরিকল্পনা করে কাজ, বলছে তদন্ত

    দিল্লিতে গাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণ যে কোনও সাধারণ ঘটনা নয়, তা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ওই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বলে ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি উমরের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তদন্তকারী সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণের অন্তত এক সপ্তাহ আগে ভিডিয়োটি রেকর্ড করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাড়িতে গিয়েছিলেন উমর। ওই সময়েই মোবাইলটি নিজের দাদাকে দিয়ে দেন তিনি। পরে উমরের দাদার কাছ থেকে মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। প্রকাশ্যে আসা ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে আত্মঘাতী বোমার কতটা ফারাক, কেন আত্মঘাতী বোমারু বানানো হয়, খুব সংক্ষেপে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন উমর।

  • Maoist Encounter: অন্ধ্রের জঙ্গলে ফের তল্লাশি অভিযান, হিডমার পরে খতম আরও সাত মাওবাদী

    Maoist Encounter: অন্ধ্রের জঙ্গলে ফের তল্লাশি অভিযান, হিডমার পরে খতম আরও সাত মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের শীর্ষনেতা মাডবী হিডমার মৃত্যুর পর নিরাপত্তাবাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে (Maoist Encounter) আরও সাত মাওবাদীর মৃত্যু হল। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে আলুরি সীতারামারাজু জেলার মারেদুমিলির জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনী এবং মাওবাদীদের ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। অন্ধ্রের গোয়েন্দাকর্তা এডিজি মহেশচন্দ্র লাড্ডা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ছয় মাওবাদীর মৃত্যুর পর থেকে বাকি সদস্যদের খোঁজে জঙ্গল ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। রাতভর তল্লাশি চালানো হয়। বুধবার ভোরে মাওবাদীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছে টেক শঙ্কর

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী (Maoist Encounter) পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত দশ বছরে গোটা দেশে ৬ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী ও সাধারণ মানুষ মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন। আগামী দিনে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই লক্ষ্যেই চলছে অভিযান। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামারাজু জেলায় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিডমার মৃত্যুর একদিন পর অর্থাৎ আজ ওখানে আবার সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং তেলঙ্গানা- এই তিন রাজ্যের সীমানায় থাকা মারেদুমিলির জঙ্গলে আবার গুলির লড়াইয়ের ফলে ওই সাতজন মাওবাদী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মাওবাদীদের তিন মহিলা সদস্যও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এডিজি। এডিজি লাড্ডা আরও জানিয়েছেন, নিহতদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে। তবে এক জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর নাম মেটুরি জোখা রাও ওরফে ‘টেক শঙ্কর। তিনি শ্রীকাকুলামের বাসিন্দা।

    ৫০ জন মাওবাদী গ্রেফতার

    পুলিশ সূত্রে খবর, অন্ধ্র-ওড়িশা সীমানায় এরিয়া কমিটি মেম্বার (এসিএম) ছিলেন শঙ্কর। তিনি প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। অস্ত্র তৈরি, যোগাযোগ সংক্রান্ত সরঞ্জাম তৈরি করার বিষয়েও অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন শঙ্কর। এডিজি আরও জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক টিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেবজি এবং আজাদ থাকতে পারেন বলে খবর। মৃতদেহগুলি শনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এনটিআর, কৃষ্ণা, কাকিনাড়া, কোনাসীমা, এলুরুতে ৫০ জন মাওবাদীকে (Maoist Encounter) গ্রেফতার করা হয়েছে। যা অন্ধ্রপ্রদেশের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় গ্রেফতার। ৪৫টি অস্ত্র, ২৭২ রাউন্ড কার্তুজ, দু’টি ম্যাগাজিন, ৭৫০ গ্রাম তার এবং বিস্ফোরকের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এই দলের অন্য সদস্যদের খোঁজে এখনও তল্লাশি জারি। লাড্ডা বলেন, পুলিশ ছত্তিশগড় থেকে মাওবাদীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে এবং তাদের কার্যকলাপ এবং থাকার জায়গা পর্যবেক্ষণ করার পর সর্বশেষ অভিযান শুরু করেছে।

  • White Collar Terror Module: ডক্টর্স টেরর মডিউল! গোয়েন্দা-নজরে পাকিস্তান–বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস করা কাশ্মীরিরা

    White Collar Terror Module: ডক্টর্স টেরর মডিউল! গোয়েন্দা-নজরে পাকিস্তান–বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস করা কাশ্মীরিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু–কাশ্মীরসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি গত ২০ বছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করা কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। সম্প্রতি “হোয়াইট কলার” সন্ত্রাস মডিউলে (White Collar Terror Module) উচ্চশিক্ষিতদের জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসক। উল্লেখ্য, ২০০০ সালের শুরুর দিকে শত শত কাশ্মীরি ছাত্র চিকিৎসাশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে যান। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেকেই বাংলাদেশকে গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই পুরো গোষ্ঠীর বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন, যাতায়াতের ইতিহাস ও সীমান্ত–পার যোগাযোগ এখন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সন্ত্রাসে অর্থসাহায্য নিয়ে উদ্বেগ

    ইতিহাস বলছে, পাকিস্তান–ভিত্তিক কিছু সংগঠন চিকিৎসাশিক্ষার জন্য কাশ্মীরি ছাত্রদের সাহায্য করত। মেধাবী-প্রতিভাবান তরুণদের পাকিস্তানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিত, এই সংগঠনগুলি। প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রমে সহায়তা করত যে সংগঠনগুলি, তাদের পরে সন্ত্রাসে অর্থসাহায্যের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ অবৈধভাবে চালানো হত। পরে তাদের মগজধোলাই করে সন্ত্রাস সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা অনেক চিকিৎসক ভারতে ডিগ্রি স্বীকৃতি ও বাধ্যতামূলক স্ক্রিনিং পরীক্ষায় সমস্যায় পড়েন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দাবি, খুব কম সংখ্যক ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবা বা হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। অধিকাংশই সাধারণভাবে চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত হন বা বিদেশে চলে যান। তা সত্ত্বেও, যাদের ভ্রমণ, অর্থের উৎস বা যোগাযোগের ধরন সন্দেহজনক, তাদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

    বাংলাদেশ জনপ্রিয় বিকল্পে পরিণত

    পাকিস্তানে শিক্ষিত চিকিৎসকদের ওপর নজরদারি বাড়ায় গত এক দশকে বহু কাশ্মীরি ছাত্র বাংলাদেশে চিকিৎসাশিক্ষায় ভর্তি হন। ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে তারা তুলনামূলক কম খরচে ও নিশ্চিত ভর্তির সুযোগে আকৃষ্ট হন। যদিও বাংলাদেশকে এক বছর আগেও ভারতে নিরাপত্তার ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখা হত না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। গত বছর হাসিনা পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা বাড়ে। তদন্তকারীরা বলছেন—কিছু ক্ষেত্রে কাশ্মীর থেকে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে ডাক্তারিতে ছাত্র ভর্তির জন্য এজেন্টরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সমান্তরালভাবে কাজ করেছিল। এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের পরিষ্কার ব্যাখ্যাও মেলেনি।

    পাকিস্তানে বারবার ভ্রমণ

    কিছু শিক্ষার্থীর পাকিস্তান কিংবা উপসাগরীয় দেশে অযৌক্তিক ভ্রমণও প্রশ্ন তুলেছে গোয়েন্দা মহলে। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসকের “হোয়াইট কলার” সন্ত্রাস চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের পর তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে। এই মডিউলে সমাজে পরিচিত, শিক্ষিত মানুষদের ব্যবহার করে অর্থ ও বার্তা আদান–প্রদান এবং লজিস্টিক সহায়তার কাজ করা হত বলে তদন্তকারীদের দাবি। বিদেশে চিকিৎসাশিক্ষার সঙ্গে অর্থের উৎস, ভর্তির প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য অপব্যবহারের সংযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    বিদ্যা-বুদ্ধি থাকার পরও কেন সন্ত্রাসের পথে

    দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে হরিয়ানার আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে তাঁদের মধ্যে নির্দোষদের মুক্তিও দিল এনআইএ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে তাঁদের কোনও নির্দিষ্ট যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষের কাছে ঈশ্বরের সমান, চিকিৎসকদের অগ্রভাগে রেখে দেশে যে সন্ত্রাসের জাল বোনা হয়েছিল, তাকে ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউল’ বলে উল্লেখ করছেন তদন্তকারীরা। চিকিৎসকদের ‘ভগবান’ বলা হয়, কারণ তাদের হাতে নির্ভর করে জীবন-মৃত্যু। কারোর জীবনে যেখানে ‘ঈশ্বর’ হয়ে ওঠেন কোনও চিকিৎসক, সেখানেই আজ চিকিৎসকই ‘শয়তান’! কারণ দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে  ১০ নভেম্বর যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, তার পিছনে হাত ছিল চিকিৎসকদেরই। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। বিস্ফোরক উদ্ধার হয় আরেক চিকিৎসক, মুজাম্মিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে। নাম উঠে এসেছে ডঃ শাহিন নামক আরেক মহিলা চিকিৎসকের, যিনি ভারতে জইশের (Jaish-e-Muhammad) মহিলা শাখার প্রধান। দিল্লির এই বিস্ফোরণ চোখ খুলে দিয়েছে গোয়েন্দাদের যে সন্ত্রাস শুধুমাত্র সমাজের নিম্নস্তরের বা গরিব যুবদের মগজ ধোলাই করেই চালানো হয় না, বরং অতি উচ্চ-শিক্ষিতরাও সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছেন।

    শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ ডাটাবেস তৈরি করে তদন্ত

    জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ, এনআইএ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানে এবং ২০১০ সালের পর বাংলাদেশে চিকিৎসাশিক্ষা নিতে যাওয়া সব কাশ্মীরি শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেস তৈরি করছে। তাদের শিক্ষার অর্থায়ন কীভাবে হয়েছে, ভর্তি করাতে কে সাহায্য করেছে, পরিবারের সঙ্গে সীমান্তের ওপারে কোনও সংযোগ ছিল কিনা, দেশে ফিরে তারা কী ধরনের কাজ করছেন—এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদের অস্বীকৃত ক্লিনিক চালানো বা বারবার স্ক্রিনিং পরীক্ষায় ব্যর্থতার মতো তথ্য রয়েছে, তাদের নাম বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে, বলে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে মেডিক্যাল ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে কিনা, সেটিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

  • SIR: ২৮ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল এসআইআর

    SIR: ২৮ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল এসআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এর (SIR) ফলে পরিবারের মৃত ভাবা এক ব্যক্তি তিন দশক পর বাড়িতে ফিরলেন। জানা গিয়েছে ২৮ বছর ধরে তাঁর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ নিবিড় তালিকা সংশোধনের কাজ চলার মধ্যে অবশেষে বাড়ি ফিরে এলেন। ভোটার তালিকায় তাহলে কেন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলা হয়েছে, নির্বাচনী ভোটার তালিকায় এমন রেকর্ড কীভাবে বা এসেছে। এই রকম নানা প্রশ্নে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় (North 24 Parganas)।

    ১৯৯৭ সাল থেকেই নিখোঁজ

    সোমবার বিকেলে সুপ্রিয়া মণ্ডল নিজের বাড়িতেই দরজা খুলে দেখেন, যে পুরুষের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন, সেই তাঁর স্বামী জগদ্বন্ধু মণ্ডল সশরীরে উপস্থিত। তাঁর বয়স এখন ৫৫, তাঁর বাবা বিজয় মণ্ডল দেখেই তাৎক্ষণিক ভাবে দেখেই চিনতে পেরেছেন ছেলেকে। তবে নির্বাচনী ভোটার তালিকায় জগদ্বন্ধু মণ্ডলের নাম মৃত ঘোষণা করে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শীতকালে জগদ্বন্ধু নিজের স্ত্রী এবং ছোট দুই সন্তানকে রেখে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ডায়েরি, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আবেদন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদও চলেছিল লাগাতার। পরে প্রশাসনের তরফে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করলে অসহায় পরিবারটি অবশেষে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বাধ্য হয়। প্রায় তিন দশক ধরে পরিবারের তরফে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে জগদ্বন্ধু আর কোনও দিন বাড়ি ফিরবেন না।

    জগদ্বন্ধুকে নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন

    এলাকার (North 24 Parganas) বুথ কমিটির সদস্য সমীর গুহ (SIR) বলেন, “বুথ লেভেল অফিসারের কাছে গত ২৮ বছর ধরে জগদ্বন্ধু সম্পর্কে কোনও নথিপত্র এবং তথ্য ছিল না। ২০০২ সালের পর থেকে তাঁর নাম উধাও হয়ে যায়। এইবার এসআইআর আবহে তিনি আবার ফিরে এসেছেন।” তবে এসআইআর-এর জন্য যখন প্রত্যেকে ভোটার আইডি, জমির কাগজপত্র এবং বসবাসের প্রমাণপত্র দেখানোর বিষয় উঠে এসেছে তখনই জগদ্বন্ধুকে পুনরায় বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য করেছে।

    তবে এলাকাবাসীদের (North 24 Parganas) জগদ্বন্ধুকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন বাঁকুড়ার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তবে সেখানে সুলেখা মণ্ডল নামক এক মহিলার সঙ্গে বসবাস করেন। সুলেখার স্বামীর নাম জগদ্বন্ধু মণ্ডল নামেই নথিবদ্ধ। আবার অপর আরেক মহলের মত, জগদ্বন্ধু নিজে সঠিক তথ্য দেননি। গুজরাট, মুম্বই, বাঁকুড়া এবং ছত্তিশগড়ে কাজ করেছেন। তবে সম্প্রতি কাজ হারিয়েছেন তাই ফিরে এসেছেন। এদিকে জগদ্বন্ধুর পুরনো ভোটার লিস্টে (SIR) নাম বাদ গেলেও এইবার সঠিক কাগজ বা উপযুক্ত নথি দিয়ে আবার নিজের নাম তালিকায় তুলতে পারবেন। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যে বিরাট শোরগোল পড়েছে।

LinkedIn
Share