Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    চতুর্থ পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মে মাসে সংখ্যালঘু (Bangladeshi Hindus) ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর ৪৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ৬টি, ভূমি দখল ৬টি, এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ঢাকার প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনাগুলো।

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী হামলা

    কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০ মে ২০২৫ তারিখে ‘সুচিত্রা সেন গার্লস হোস্টেল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হোস্টেল’ রাখে। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে তার নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের “সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস”–এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

    ভূমি দখল ও আদিবাসী নিপীড়ন

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় কয়েকজন হিন্দু (Bangladeshi Hindus) কৃষকের জমি ‘জোরপূর্বক’ দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় (Hindus Under Attack) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন। পরে গ্রামের লোকজন জোট বাঁধলে পুকুর খননকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এস্কাভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন অবৈধ খনন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবারকে তাদের ২৫০ বছরের পুরনো জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। ‘উচ্ছেদের শিকার’ রাখাইন পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, “পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি।”

    বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়। মাছের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি নিরীহ হিন্দু পরিবারের (Bangladeshi Hindus) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া সাগর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু কিশোরকে অপহরন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীপুরের মাগুরাতে একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের পর অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনা লুট করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে, তবে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    গত ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার যুগল চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভালেও অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে। মন্দিরটি স্থাপনের ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে থিয়েটার শিল্পী প্রশান্ত হালদারের বাড়িতে গত ২৪ মে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত ঢাকার নাট্যদল অনুস্বর এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার বাড়িতে আগুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাট্যদল অনুস্বর এবং থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’। ৬২ জন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    অপহরণ ও ধর্ষণ

    ঢাকার ধামরাইতে  ১৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রাজবংশীকে ১৯ মার্চ অপহরণ করা হয়। ২৬ এপ্রিল মামলা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি আদিবাসী পরিবারের বাড়ি ৪ মে উচ্ছেদ করা হয়। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুরে একটি হিন্দু পরিবারের ২৫০ বছরের পুরনো জমি দখল করে ভূমিদস্যুরা। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

     

    (শেষ)

  • Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিঙ্ক। গত ৬ জুন টেলিকম মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর ফলে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারবে সংস্থাটি। এর পর থেকেই স্টারলিঙ্কের পরিষেবা পেতে কত খরচ হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। অবশেষে, সোমবার, প্রকাশ্যে এল সেই অঙ্ক।

    সেট-আপ করলেই প্রথম মাস ফ্রি!

    সংবাদসংস্থা এএনআই-র একটি প্রতিবেদন তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বাড়িতে স্টারলিঙ্কের বিশেষ যন্ত্র বসাতে খরচ পড়বে ৩৩ হাজার টাকা। আর মাসে মাসে এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। তবে, গ্রাহকদের আকর্ষিত করতে বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, প্রথম মাসের সাবস্ক্রিপশন মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইলনের সংস্থা। অর্থাৎ, সেটআপ করার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিলেই প্রথম এক মাস নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহক। দ্বিতীয় মাস থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

    খরচ বনাম সুবিধে!

    বর্তমান পরিষেবা পেতে একজন ব্যবহারকারীকে যত খরচ করতে হয়, স্টারলিঙ্কে সেই পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এত টাকা দিয়ে ইন্টারনেট বসানো অনেকের কাছে বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ফলে, স্টারলিঙ্ক কতটা সাফল্য পাবে তা সময়ই বলবে। তবে, স্টারলিঙ্ক আশাবাদী। সংস্থার দাবি, যেহেতু তাদের পরিষেবা সরাসরি উপগ্রহ-মারফৎ হবে, তাই ইন্টারনেটের স্পিড (যা গ্রাহককূল মূল বিচার করে থাকে) অন্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। উপরন্তু, একবারে প্রত্যন্ত জায়গাতেও এই পরিষেবা অনায়াসেই মিলবে। ফলে, আখেরে লাভবান হবেন ব্যবহারকারীরাই। এক নজরে দেখে নেওয় যাক, স্টারলিঙ্ক কী এবং তা কীভাবে কাজ করে।

    স্টারলিঙ্ক কী?

    স্টারলিঙ্ক প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থা নয়। এটি হল সরাসরি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ-ভিত্তিক ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। অনেকটা ডিটিএইচ (ডায়রেক্ট-টু-হোম) পরিষেবার মতো। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। সাধারণত এটি সেই সমস্ত এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায় না— যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ বা সাগরপারের অঞ্চল।

    কীভাবে কাজ করবে স্টারলিঙ্ক?

    এই পরিষেবায় একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি মোডেম বা রাউটার ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী কোনও অনুরোধ পাঠালে (যেমন— একটি ওয়েবসাইট খোলা), সেই অনুরোধ প্রথমে স্যাটেলাইট ডিশ থেকে উপগ্রহে যায়। উপগ্রহ সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে (NOC) পাঠায়, যেখানে থেকে তথ্য প্রক্রিয়া করে আবার সিগন্যালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়। স্টারলঙ্ক ব্যবস্থায় একজন উপভোক্তা ৫০ থেকে ২৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।

    স্টারলিঙ্কের কেন্দ্রে উপগ্রহ-পুঞ্জ

    স্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায়) প্রদক্ষিণকারী ছোট উপগ্রহের একটি সমষ্টি থেকে সরাসরি ইন্টারনেট বিম করে ফাইবার অপটিক্স এবং সেলুলার টাওয়ারের সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহারকারীর বাড়িতে বা অফিসে স্থাপিত একটি কমপ্যাক্ট ডিশ অ্যান্টেনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা পরে রাউটারের বা মোডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট রিলে করে। বর্তমানে, ৬ হাজারেরও বেশি উপগ্রহ ইতিমধ্যেই কক্ষপথে রয়েছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে নেটওয়ার্ক ৪২ হাজার উপগ্রহপুঞ্জ তৈরি করা হবে। এই সম্প্রসারণের জন্য একটি রোডম্যাপও রয়েছে বলে সংস্থা জানিয়েছে।

    ভারতে কেন গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট-ইন্টারনেট?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বহু গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত ও স্থায়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। স্টারলিঙ্ক মূলত ভারতের এমন সব এলাকায় পরিষেবা দিতে চায়, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ফাইবার অপটিক কভারেজ নেই বা খুবই দুর্বল। তবে, খরচের বিষয়টাই যা বাধা হতে পারে। কারণ, ভারত যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা মোবাইল ডেটা ব্যবহারের দেশ, তা কারও অজানা নয়। ফলে, স্টারলিঙ্ক নিলে সেই খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। যদিও, স্টারলিঙ্কের ভরসা হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতি ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা।

    কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা?

    লাইসেন্স হাতে পেলেও স্টারলিঙ্কের পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) এখনও স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত সুপারিশের অনুমোদন পায়নি। এটি অনুমোদিত হলেই পূর্ণমাত্রায় পরিষেবা চালু করতে পারবে স্টারলিঙ্ক। ফলে, পরিষেবা চালু হতে হতে আরও এক বছর লাগতে পারে। ইতিমধ্যে, এশিয়ার একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা—জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভুটান ও বাংলাদেশ। সেখানে মাসিক খরচ ২,৬০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

    স্টারলিঙ্কের প্রতিযোগী কারা?

    এই ময়দানে স্টারলিঙ্কের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হল রিলায়েন্স জিও স্যাটেলাইট এবং ভারতী এয়ারটেল-এর ওয়ানওয়েব। মাস্কের সংস্থার সঙ্গে এই দুই সংস্থাকেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে, এই তিন সংস্থা নিজেদের পরিষেবা শুরু করলেও, একে অপরের সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে। এর জন্য গতমাসে ভারতের টেলিকম অপারেটর সংস্থা রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্টারলিঙ্ক। ভারতে এই দুই সংস্থার ইতিমধ্যেই বিপুল বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই দুই সংস্থার অনলাইন ও অফলাইন স্টোরের মাধ্যমে এবার থেকে স্টারলিঙ্ক ইকুইপমেন্ট বিক্রি করতে পারবে। উল্টোদিকে, এয়ারটেল পরিকল্পনা করছে যাতে তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যেই স্টারলিঙ্ক ইন্ট্রিগ্রেট করা যায়। রিলায়েন্স জিও সংস্থা তার ব্রডব্যান্ড সিস্টেমে এই স্টারলিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের দুর্বলতা

    খরচ ছাড়াও স্টারলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের বেশ কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। প্রথমত, গ্রাহক সংখ্যা বেশি হলে, তা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট স্পিডকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলত, গতি কমে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ যেহেতু সরাসরি স্যাটেলাইট নির্ভর, তাই পরিষ্কার আকাশ হওয়া বাধ্যতামূলক। এদেশে, প্রায়ই ঝড়-জল-বৃষ্টি-মেঘ থাকে। তেমন হলে, স্যাটেলাইটের সঙ্গে ডিশের যোগাযোগে বিঘ্ন হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয় ডিটিএইচ-এর ক্ষেত্রে। তৃতীয়ত, ডিশ চৌম্বকীয় হওয়ায়, বজ্রপাতের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

  • MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC Hall of Fame)। ধোনি হলেন একাদশতম ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম মহেন্দ্র সিং ধোনি। টি-২০ বিশ্বকাপ, একদিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-সবই জিতেছেন। অবসর নেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যেই আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পেলেন ক্যাপ্টেন কুল। ধোনির সঙ্গেই আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেয়েছেন ম্যাথু হেডেন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, হাশিম আমলা, গ্রেম স্মিথ, সানা মির এবং সারা টেলর।

    অসাধারণ অনুভূতি, বললেন মাহি

    ২০০৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ধোনির (MS Dhoni)। তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। এর পর টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। ভারতকে দু’বার এশিয়া কাপ জিতিয়েছেন। এক দিনের ফরম্যাটে দু’বার আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের হয়ে ৩৫০টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১০,৭৭৩ রান করেছেন ধোনি। ৯০টি টেস্টে করেছেন ৪৮৭৬ রান। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে ধোনি বলেছেন, “হল অফ ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারেরা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সর্বকালের সেরাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অসাধারণ অনুভূতি। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।”

    হল অফ ফেমে যে ভারতীয়রা (ICC Hall of Fame)

    সুনীল গাভাসকর: আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। লিটল মাস্টার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন।

    বিষেণ সিং বেদী: গাভাসকরের সঙ্গেই ২০০৯ সালে হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদী। কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার ৬৭টি টেস্ট খেলে ২৬৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

    কপিল দেব: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবকে ২০১০ সালে আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের সময়ের সেরা অলরাউন্ডার ১৩১টি টেস্ট এবং ২২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।

    অনিল কুম্বলে: এক ইনিংসে ১০ উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকায় চতুর্থ। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলেকে ২০১৫ সালে আইসিসি হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    রাহুল দ্রাবিড়: ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়কে ২০১৮ সালে হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি।

    সচিন তেণ্ডুলকর: ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেণ্ডুলকরকে ২০১৯ সালে হল অফ ফেম সম্মান দেয় আইসিসি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০ টেস্ট খেলা, ১০০ সেঞ্চুরি হাঁকানো-হাজারো রেকর্ডের মালিক শচীন।

    বিনু মানকড়: ভারতের অন্য়তম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে জ্বলজ্বল করে বিনু মানকড়ের নাম। দেশের হয়ে ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন, ২১০৯ রান এবং ১৬২টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

    বীরেন্দ্র শেহওয়াগ: ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। ১৪ বছরের কেরিয়ারে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তারকা ওপেনার। সবচেয়ে বেশিবার ট্রিপল সেঞ্চুরির নজিরও রয়েছে তাঁর দখলে।

    ডায়ানা এডুলজি: ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ডায়ানা এডুলজি। তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন, তার মধ্যে দু’বার নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম কিংবদন্তি হিসেবে ডায়ানাকে মনে করে ক্রীড়ামহল।

    নীতু ডেভিড: দেশের হয়ে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় স্পিনার নীতু ডেভিড। ১৮২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। চার বছর মহিলা দলের নির্বাচক প্রধানও ছিলেন।

  • Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমছে না। বরং আগামী কয়েকদিনে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সামান্য কমছে, আবার কখনও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার পাশপাশি অনেকেই হজমের সমস্যাতেও ভুগছেন‌। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাতাসে সুপার-অ্যাক্টিভ ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও গরম, আবার কখনও তাপমাত্রার পারদ পতনে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে ভাইরাস ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে (Health Problems)। গরমে ঘাম হওয়ার জেরে আবার সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকটা সময় একটানা এসি ঘরে থাকার জেরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবহাওয়ার দ্রুত রকমফেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি এই পরিবেশে হজমের সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই পেটের অসুখ, বমির মতো সমস্যায় ভুগছেন।‌ বিশেষত শিশুদের সমস্যা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা?

    আবহাওয়ার এই অস্বস্তিকর অবস্থায় সুস্থ থাকতে (Experts Health Tips) ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ঘাম ও হয়। তাই তাদের শরীরে বাড়তি জল প্রয়োজন। তাই সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে হজমের সমস্যা (Health Problems) কমবে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমবে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জেরে যে এনার্জির ঘাটতি হয়, সেটাও সহজে পূরণ করবে জল। ছোটোদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও একই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত খাওয়ার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন

    পাশপাশি কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। বিশেষত চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। ফলে এই আবহাওয়ায় নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) দেখা দিতে পারে। সহজ পাচ্য খাবার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই তাঁদের পরামর্শ (Experts Health Tips), নিয়মিত ডাল, সব্জি এবং পরিমিত পরিমাণে মাছ, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সহজেই পাবে।

    সব সমস্যার সমাধানে জল ও ফল

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত ফল খাওয়া দরকার। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার (Health Problems)। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন বিভিন্ন ধরনের লেবু, কিউই,‌ অ্যাপ্রিকট, বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে।

    হজমের গোলমাল এড়াতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল এবং ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Experts Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুয়েই থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যা হজম শক্তি বাড়ায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে নিয়মিত এই দুইটি শরবত খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশে শক্তি বাড়াচ্ছে জেএমবি। সেই সঙ্গে ফের পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-উল-মুজাহিদিনের নেতারা। বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB Terror Module) পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় সন্ত্রাসী মডিউল গঠনের পরিকল্পনা করছে। প্রথমে তিনটি জেলায় নতুন জঙ্গি মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসআই ও জেএমবি। এর পর আরও অন্তত চারটি জেলায় তারা মডিউল তৈরির ব‌্যাপারে আলোচনা করেছে ও প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে।

    পরিকল্পনার বিস্তার

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেএমবি’র মডিউল (JMB Terror Module) গঠনের পরিকল্পনা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। এখনও এই জেলাগুলিতে জেএমবির পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যরা রয়েছে, যারা এখন সক্রিয় নয়। জেএমবি নেতাদের আইএসআই নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই তিনটি জেলায় নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়ছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও বীরভূম জেলা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ জেলা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুবিধাজনক। বীরভূম, যদিও সীমান্তবর্তী নয়, তবে মুর্শিদাবাদের মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লাল মাটির এই জেলা। সম্প্রতি একটি বৈঠকে এই ব‌্যাপারে রাজ‌্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর কলকাতা ও সারা রাজ‌্যজুড়ে নতুন করে নজরদারি শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এছাড়াও রাজ‌্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও শুরু করেছে নজরদারি।

    মডিউল গঠনের পদ্ধতি

    এবারও জেএমবি (JMB Terror Module) জঙ্গি সংগঠনের মূল টার্গেট এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলির কোনওটাই সরকারের অনুমোদিত নয়। জেএমবি’র সদস্যরা প্রথমে অস্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লক্ষ্য করে তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার চালায়। পরবর্তীতে, যুবক ও কিশোরদের মগজধোলাই করে তাদেরকে স্লিপার সেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগেও নিজেদের মতো করে বেআইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল জেএমবি। ক্রমাগত মগজধোলাইয়ের পর শুরু করতে হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে স্লিপার সেলের ‘ঘুমন্ত’ সদস‌্যদের সক্রিয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে টাকাও দিতে হবে তাদের। এভাবে বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তৈরি করতে হবে নতুন জঙ্গি মডিউল। বৃদ্ধি করতে হবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক।

    জঙ্গি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

    এর পর নিয়োগ করা সদস‌্যদের প্রশিক্ষণের ব‌্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আগের পদ্ধতিতে সদস‌্যদের পাকিস্তান অথবা পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও তৈরি করা হতে পারে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরে ওই নিয়োগ হওয়া সদস‌্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্র। তাদের শেখানো হবে বিস্ফোরক তৈরি ও প্রয়োগের উপায়। এর পর শুরু হবে নাশকতা। কারণ, জেএমবি নেতাদের ইতিমধ্যেই ফের বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির ‘স্বপ্ন’ দেখাতে শুরু করেছে আইএসআই। জেএমবি জঙ্গিদের কার্যকলাপ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যদের উপর নজরদারি করতে শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    বীরভূমের ভূমিকা

    এই জঙ্গি মডিউল (JMB Terror Module) তৈরিতে বীরভূম জেলার ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বীরভূম একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত। এছাড়া, বীরভূমের শান্তিপল্লী এলাকায় একটি সম্ভাব্য জেএমবি কলোনি স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যা স্লিপার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারত। এখন আইএসআইয়ের নির্দেশে জেএমবি টার্গেট করেছে অসম ও এই রাজ্যের কয়েকটি জায়গা। অসমের বরপেটা, নলবাড়ি, ধুবড়িকে জেএমবি টার্গেট করেছে। আর এই রাজ্যের সাত জেলায় গোপনে চলছে জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা।

    আন্তর্জাতিক যোগসূত্র

    এই বিস্তারিত জঙ্গি মডিউলের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিকে জেরা করে। ধৃত আবাসুদ্দিন মোল্লার মোবাইল ফোনে পাওয়া কোডেড ও এনক্রিপ্টেড বার্তা থেকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসার ঘাজওয়াতুল-হিন্দের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন ও সাহেব আলী খানের ফোনে বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) ও হিজবুত তাহরির (এইচইউটি)-এর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    সংগঠন (JMB Terror Module) বিস্তারের পরই অস্ত্র কিনে নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা, এমনই মনে করছেন গোয়েন্দারা। জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা শাখা! জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনই পুলিশ আগেই এই তথ্য পেয়েছিল। অসম পুলিশ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন জেএমবি মডিউল গঠনের খবর পাওয়া গিয়েছে, যেখানে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ ভারতেও জেএমবি’র সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করছে।

    আইএসআই-এর সাহায্য

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে পাক চর সংস্থা আইএসআই। আইএসআইয়ের আধিকারিকরা নিজেরা ও এজেন্ট মারফৎ যোগাযোগ করে চলেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উপর নজর পড়ে গোয়েন্দাদের। ক্রমে এই রাজ‌্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হতে শুরু করে জেএমবি নেতা ও লিঙ্কম‌্যানরা। কলকাতা থেকেও গ্রেফতার হয় অনেকে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ‌্য পুলিশের সঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। এর ফলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে ওই দেশ থেকেও গ্রেফতার হয় বহু জঙ্গি। এক কথায়, দু’দেশেই জেএমবি ও নব‌্য জেএমবির শিরদাঁড়া ভেঙে দেন গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পলাতক জেএমবির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন। গোয়েন্দাদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাক চর সংস্থা ইতিমধ্যেই নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে জেএমবির সঙ্গে। এর মধ্যেই জেএমবির কয়েকজন নেতার সঙ্গে রাজশাহি-সহ কয়েকটি জেলার ডেরায় বৈঠক হয়েছে আইএসআই এজেন্ট ও আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, আইএসআই আর্থিকভাবেও মদত জোগাতে শুরু করেছে ওই জঙ্গি নেতাদের।

    রাজ্যে জারি সতর্কতা

    পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জেএমবি’র (JMB Terror Module) সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যে জেএমবি’র মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করাই এখন আশু লক্ষ্য।

  • Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্বেষ ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ওয়াজাহাত খানকে (Wazahat Khan) গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওয়াজাহাত খান নামক ব্যক্তিই পুণের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গল্ফ গ্রিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন, ২০২৫) আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। তাকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    পুলিশের জালে ওয়াজাহাত

    কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বিএনএসের ১৯৬(১)(এ)/২৯৯/৩৫২/৩৫৩(১)(সি) ধারায় ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুণেতে আইন পাঠরত ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে (Sharmistha Panoli) ওয়াজাহাতের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশ গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনেছিলেন ওয়াজাহাত। এবার সেই একই অভিযোগে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হল। ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতায়। মামলাকারীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবী, ঐতিহ্য এবং সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অবমাননাকর, উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন ওয়াজাহাত।

    অমিত মালব্যর টুইট

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) গ্রেফতারি নিয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই নিশানা করেছেন। সোমবার, তিনি এক্স- হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ ওয়াজাহাতকে তার অপরাধের জন্য গ্রেফতার করেনি… তাকে নীরবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, কারণ অসম ও হরিয়ানা পুলিশ, হিন্দুদের নিশানা করে ওয়াজাহাতের আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর করেছে।’’ মালব্য আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে পারেননি, তেমনি তিনি ওয়াজাহাত খানকেও বাঁচাতে পারবেন না। ন্যায়বিচার হবে এবং আইনের জয় হবে। যারা ঘৃণা ছড়ায় তাদের কোনও রাজনৈতিক সুরক্ষা রক্ষা করতে পারবে না।’’

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে বটবৃক্ষের (Banyan Tree) অপার মহিমা বলা হয়েছে। এই গাছ ত্রিমূর্তি, বাকলের মধ্যে বিষ্ণু, মূলে ব্রহ্মা এবং শাখায় শিবের প্রতীক। এই গাছটি দীর্ঘকাল নবায়নযোগ্য থাকে, তাই একে ‘অক্ষয়বত’ও বলা হয়। সৌভাগ্যবতীর বর পাওয়ার পাশাপাশি এই বটগাছটি স্বাস্থ্যের জন্যও পুজো করা হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রত ২০২৫ (Vat Purnima Vrat 2025) তিথি ও পুজোর সময়

    আজ, মঙ্গলবার ১০ জুন, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে বট পূর্ণিমা ব্রত। এদিন পূর্ণিমা (Vat Purnima) তিথি সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১১ জুন (বুধবার) দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১০ জুন উপবাস পালন করা হবে এবং ১১ জুন স্নান এবং দান করা হবে। উপবাসের দিনে পুজোর শুভ সময়: বট পুজো মুহূর্ত: সকাল ৮টা ৫২ মিনিট থেকে দুপুর ২টো ০৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নান ও দানের সময়: ভোর ৪টে ০২ মিনিট থেকে ৪টে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। চন্দ্রোদয়: সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) তাৎপর্য

    এই উৎসবটি বিশেষ করে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাটে ভক্তির সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা ষোলটি সাজের পর বটবৃক্ষের পুজো করেন। হিন্দু মতে, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিবাহিত মহিলারা বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat) পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে বহু ব্রত পালেনর উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে এই ব্রত অন্যতম। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এই ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পালন করা হয়। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস রাখার নিয়ম রয়েছে এবং পূর্ণিমা তিথিতেই চাঁদের পুজো করা হয়। যে মহিলা ৭ বার বটবৃক্ষ প্রদক্ষিণ করে মৌলি বাঁধেন, তিনি ৭ জন্মের পবিত্র বৈবাহিক বন্ধনের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। এই দিনে বিবাহিত মহিলাদের শৃঙ্গারের জিনিসপত্র দান করলেও পুণ্য ফল লাভ হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু পুরাণ যেমন ভবিষ্যপুরাণ, স্কন্দপুরাণ এবং মহাভারতে বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, নরকের অধিপতি যম যখন সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানকে নিতে এসেছিলেন, সেই সময় স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিতে যমকে কাতর অনুরোধ করেছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু অপারগ যম সাবিত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, কঠিন ব্রত ও উপবাসের মধ্যে দিয়ে স্বামীর প্রতি নিষ্ঠা পরিবেশন করলে তিনি সত্যবানের জীবন ফিরিয়ে দেবেন। সাবিত্রীর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে সত্যবানকে সঙ্গে না নিয়ে ফিরে যান মৃত্যুর দেবতা যম। এই দিন, মহিলারা বটবৃক্ষ গাছকে (Banyan Tree) উপাসনা করেন। তার কারণ হিন্দু মতে, বটবৃক্ষ আদতে ত্রিমূর্তি-ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের প্রতীক। তাই সারাদিন উপবাস রেখে বটবৃক্ষকে পুজো করে স্বামীর জীবনরক্ষার জন্য ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা।

    বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পুজো বিধি

    – সূর্যোদয়ের আগে মহিলারা জলের মধ্যে তিল ও আমলা দিয়ে স্নান সেরে নতুন পোশাক, চুরি, টিপ, সিঁদুর পরেন।

    – এইদিন মহিলারা উপবাস রাখেন। খাবার হিসেবে ফলের শিকড়, সবজির মূল খেয়ে থাকেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) দিন বটগাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। তবে বট গাছ না পাওয়া যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে বটগাছের একটি ডালকেও পুজো করা হয়ে থাকে। যদি তাও না পাওয়া যায় তাহলে একটি কাঠের প্রতিকৃতিতে হলুদ ও চন্দন দিয়ে সাজিয়ে পুজো করার নিয়ম রয়েছে।

    -পুজোর সময় জল, ফুল, চাল, ছোলা বীজ, সুতো এবং বাড়িতে তৈরি বিশেষ খাবার বটগাছের তলায় রেখে দেবতাদের অর্পণ করা হয়।

    – মহিলারা এদিন বটগাছে চারপাশে ৭ বার হলুদ ও লাল সুতো দিয়ে জড়িয়ে পরিক্রমা করেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima Vrat 2025) দিন সাবিত্রী সত্যবানের ব্রতকথা পাঠ করেন বিবাহিত মহিলারা।

    – এই দিন স্বামীর মঙ্গল কামনায় কিছু খাবার, টাকা-পয়সা, বস্ত্র দুঃস্থদের দান করা হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

  • Daily Horoscope 10 June 2025: মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 10 June 2025: মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সুদৃঢ়, এমনটাই বিশ্বাস করে দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ বিষয়ে জনগণের আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৫ সালের ৬ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষায় ১৪,৬৭১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৮.০৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।

    মোদির প্রতি আস্থা

    এই সমীক্ষার পটভূমি ছিল ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আস্তানায় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে দেবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে যুদ্ধপদ্ধতি নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই সমীক্ষা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতকে সপাটে বাউন্ডারির বাইরে পঠিয়ে দিয়েছে।

    রাহুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ‘নরেন্দ্র সারেন্ডার’ মন্তব্য করেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে, সমীক্ষায় ৮৭.৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই মন্তব্যকে অশোভনীয় বলে অভিহিত করেন, যা রাহুলের বক্তব্যের প্রতি জনমতের অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুরুর দিকে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও একপ্রকার আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনমত মোদির সঙ্গে

    রাহুলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বললেন, “মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশের বিরোধী দলনেতা নন। উনি আইএসআইয়ের সদস্য। পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।” বিজেপির অভিযোগ, রাহুল যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সেই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে ভারত বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের আস্থার প্রতিফলন। এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

LinkedIn
Share