Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Kohli And Rohit: আর এ প্লাস নয়, বেতন কমছে বিরাটদের! আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দুইয়ে রোহিত-কোহলি

    Kohli And Rohit: আর এ প্লাস নয়, বেতন কমছে বিরাটদের! আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দুইয়ে রোহিত-কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের ক্রিকেটে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুসারে একধাক্কায় ২ কোটি টাকা বেতন কমতে চলেছে বিরাট-রোহিতের। এমনই গুঞ্জন ছড়াচ্ছে দেশের ক্রিকেটমহলে। টেস্ট-টি২০ বাদ দিয়ে এখন কেবল ওয়ানডে খেলেন দুই মহাতারকা। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছিল বিসিসিআই। সেখানে সর্বোচ্চ ক্যাটেগরি অর্থাৎ ‘এ প্লাস’ পর্যায়ে ছিল বিরাট-রোহিতের নাম। যদিও এই ক্যাটেগরিতে সেসব ক্রিকেটারদেরই মূলত রাখা হয় যাঁরা তিন ফরম্যাটেই দেশের জার্সিতে খেলেন।

    বেতন কমতে চলেছে বিরাট-রোহিতের

    বিরাট-রোহিত আগেই টি-২০ থেকে অবসর নেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সর্বোচ্চ ক্যাটেগরিতে স্থান দিয়েছিল বিসিসিসাই। এই দুই মহাতারকা ছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা এবং জশপ্রীত বুমরা ছিলেন এ প্লাস ক্যাটেগরিতে। তাঁদের বার্ষিক বেতন ৭ কোটি টাকা। কিন্তু সেই চুক্তি ঘোষণার মাসখানেকের মধ্যেই টেস্ট থেকে অবসর নেন রো-কো। ফলে জাতীয় দলের হয়ে কেবল একটি ফরম্যাটেই দেখা যায় তাঁদের। সেক্ষেত্রে কি তাঁদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চুক্তিতে রাখা উচিত? সেই নিয়ে চর্চা চলছে বোর্ডের অন্দরে। সূত্রের খবর, বিরাট এবং রোহিতকে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে এ ক্যাটেগরিতে, যেখানে বার্ষিক বেতন ৫ কোটি টাকা। আগামী ২২ ডিসেম্বর বিসিসিআই-এর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে জাদেজা থাকবেন সর্বোচ্চ ক্যাটেগরিতে। প্রথা অনুযায়ী, এবার শুভমান গিল সম্ভবত উঠে আসবেন এ প্লাস ক্যাটেগরিতে।

    ওয়ান ডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটার হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয়

    তবে বেতন কমলেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছে রো-কো জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) -এর তরফ থেকে প্রকাশিত নতুন ওয়ান ডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দারুণ উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ৩০২ রান করা কোহলি এখন ওডিআই ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ওয়ান ডে-তে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার হিসাবে নিজের স্থান ধরে রেখেছেন। কে এল রাহুলও ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রোমোশন পেয়েছেন। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের ৩টি ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতরান সহ মোট ৩০২ রান করেছেন। এই পারফর্ম্যান্সের জন্য তিনি প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ পুরস্কারও পেয়েছেন। এই পারফর্ম্যান্সের সুবাদে তিনি চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৭৩। প্রথম স্থানে থাকা রোহিত শর্মার রেটিং পয়েন্ট ৭৮১। রোহিত শর্মা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ১৪৬ রান করেছেন, যার ফলে তিনি তাঁর প্রথম স্থানটি ধরে রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে কুলদীপ যাদব ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সফলতম বোলার ছিলেন। এই পারফর্ম্যান্সের দৌলতে তিনি ওয়ান ডে বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন। কুলদীপ ওয়ান ডে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম দশে একমাত্র ভারতীয়।

  • Suvendu Adhikari: “শাহজাহানের নির্দেশেই এই হামলার ষড়যন্ত্র”! মামলা অন্যত্র সারানোর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “শাহজাহানের নির্দেশেই এই হামলার ষড়যন্ত্র”! মামলা অন্যত্র সারানোর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সন্দেশখালির ভোলানাথ ঘোষ। বুধবার আদালতে সাক্ষী গ্রহণের জন্য ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ন্যাজাটের কাছে দশ চাকার একটি ট্রাক ভোলানাথের গাড়িতে ধাক্কা মারে, এরপর তাঁর ছেলে এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়। কপালজোরে প্রাণে বেঁচে যান ভোলানাথ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তীব্র তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এটা শাহজাহান করিয়েছেন। জেলে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তাঁর নির্দেশেই এই হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”

    জেলে বসে সব পায় (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) রেশন দুর্নীতি, অবৈধ জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের মতো অজস্র মামলায় জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে গোটা সন্দেশখালির হিন্দু মহিলারা, বাড়ির বৌ-রা অভিযোগ জানিয়ে বারংবার আন্দোলন করেছেন। আপতত জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তবে যেহেতু রাজ্য সরকার তৃণমূলের আর নিজেও ওই দলের নেতা ছিলেন, তাই শাসক দল জেলের ভিতরে বাড়তি অক্সিজেনের জোগান দেয় বলে বিজপির অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর উপরে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “এই মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। বসিরহাটের জেলে বসে থাকলে মামলার সাক্ষীরা একে একে খুন হবেন। আজ ভোলা ঘোষের উপর হামলা হয়েছে, এক, ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আগামিকাল বড় ছেলের উপরেও হামলা হবে। এই তৃণমূল নেতা ফোন ব্যবহার করে। জেলেই ওর সব প্রয়োজন মেটানো হয়। তৃণমূলের ছোট বড় সকল নেতাদের জেলের ভিতরে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। জীবনকৃষ্ণ সাহা জেল থেকে ফোন করে কথা বলেন। যা খেতে ইচ্ছা হয়, তাই খায়। অনেক রাতে ডিনার দেওয়া হয়। যত রকমের ছবি আসে সব দেখে। কখনও পিজির উডবার্ন ওয়ার্ডে আবার কখনও মন খারাপ হলে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সব জেলার সুপাররা খারাপ নয়, বেরিয়ে এসে আমাকে জানান যে, নেতারা ফোন ব্যবহার করছে।”

    অল্পের জন্য বেঁচে যান

    শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) যে লোককে ট্রাক চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সেই ব্যক্তি ধাক্কা মেরে একটি বাইকে করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এই ট্রাক চালকের বাবা শাহজাহানের খুব ঘনিষ্ঠ। ন্যাজাটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় ভোলার ছোট ছেলে সত্যজিতের। অল্পের জন্য বেঁচে যান ভোলা। মামলার সাক্ষী দিতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “ভোলানাথকে দেখার জন্য বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। এসএসকেএমে চিকিৎসা করানোর টা ভোলার জন্য খুব বিপদজনক হতে পারে। তবে সিবিআইকে ধন্যবাদ যে ভোট পরবর্তী মামলার নিরপেক্ষতা, গুরুত্ব এবং প্রভাব বুঝে অন্য রাজ্যে পাঠানোর জন্য সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।”

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • SIR in Bengal: রাজনৈতিক এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক, বাংলায় মৃত-ভুয়ো ভোটার কত? তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন

    SIR in Bengal: রাজনৈতিক এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক, বাংলায় মৃত-ভুয়ো ভোটার কত? তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার কাজ শেষ। এসআইআর-এর মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত মৃত, স্থানান্তরিত এবং অনুপস্থিত বা নিখোঁজ ভোটারের যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টের হাতে তুলে দিতে বলল নির্বাচন কমিশন। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, এনিউমারেশন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পোলিং স্টেশন পুনর্বিন্যাসের কাজও শেষ হচ্ছে এ দিন।

    রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক

    বুধবার রাজ্যের সিইও দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কোন বুথে কত মৃত, স্থানান্তরিত, অনুপস্থিত ও ভুয়ো ভোটার রয়েছেন তার তালিকা তৈরি করছেন বিএলও-রা। কাজ শেষ হয়ে গেলেই তাতে বিএলও ও বিএলএ স্বাক্ষর করবেন। তার পরে বিএলও অ্যাপের নতুন অপশন ‘BLO-BLA MOM’-এ সেই তালিকা আপলোড করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে কমিশন।

    বিহারের নিয়মেই বাংলায় এসআইআর

    বিহারের এসআইআরে যে নিয়ম মানা হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও তা মানতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বুধবার কমিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজদের তালিকা বিএলএ-দের দেখাতে হবে। প্রতি রাজনৈতিক দল যে কর্মীদের এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেছে, তাঁদের হাতে তালিকা তুলে দেওয়া হবে। যাঁরা একাধিক বার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, একটি জায়গার তালিকায় তাঁদের নাম রেখে বাকি জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যাঁদের বাড়িতে তিন বার বা তার বেশি গিয়েও বিএলও ফিরে এসেছেন, যাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তাঁদেরও নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না।

    বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না-পড়েন তাই বৈঠক

    পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। মোট পাঁচ লক্ষ বিএলও এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এ ছা়ড়া, বিভিন্ন দলের বিএলএর সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি। কমিশন জানিয়েছে, বুথ স্তরে এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএলওরা। তাতে প্রাথমিক ভাবে খসড়ায় কোনও ভুল থাকলে তা ধরা পড়বে এবং সংশোধন করে নেওয়া যাবে। কোনও বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না-পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই বিএলও-বিএলএ বৈঠক প্রয়োজন, জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে আনকালেক্টেবল এনিউমারেশন ফর্মের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লক্ষ। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ

    প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান। ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকা ত্রুটিভুক্ত করতে রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর। কাজে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তা নিশ্চিত করতে বারবার বৈঠক করছে কমিশন। বাংলা-সহ যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হচ্ছে সেখানে অবর্জাভার পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা খতিয়ে দেখছে পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৩,৭৪,৪৬০ জন অনুপস্থিত ভোটারের একটি তালিকা বিএলও-দের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজও প্রায় শেষ। এর পরে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    তালিকা কোথায় দেখবেন?

    নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেলা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং বুথ ভিত্তিক মৃত-ভুয়ো-স্থানান্তরিত-অনুপস্থিত ভোটারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকা দেখা যাবে ডিইও-এর ওয়েবসাইটে। পাশাপাশি রাজ্যের সিইও-এর ওয়েবসাইটেও তালিকা দেখতে পারবেন ভোটাররা। কোনও ভোটার চাইলে নিজের এপিক নম্বর দিয়েও সার্চ করতে পারবেন। মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকার পরে আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এই সংক্রান্ত দাবিদাওয়া এবং অভিযোগ জানানো যাবে ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, বিতর্কের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

     

     

     

     

  • India-US Trade Deal: ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক জারির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের! আমেরিকারই ক্ষতি বেশি, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    India-US Trade Deal: ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক জারির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের! আমেরিকারই ক্ষতি বেশি, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ভারতীয় রফতানিতে বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না। এমনই অভিমত ভারতীয় চাল রফতানিকারকদের। বিশেষ করে বাসমতি রফতানিতে এই সিদ্ধান্তের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না বলেই তাদের মত। রফতানিকারকরা মনে করেন, শুল্ক বাড়লে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের নয়, বরং মার্কিন ভোক্তাদেরই বেশি দামে চাল কিনতে হবে। তাঁদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় চালের একটি স্থায়ী চাহিদা রয়েছে। চালের দাম বাড়লে মার্কিন ক্রেতারাই সমস্যায় পড়বেন।

    চাহিদাই চালাচ্ছে মার্কিন বাজার

    ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের (IREF) সহ-সভাপতি দেব গর্গ জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় চালের চাহিদা সম্পূর্ণই বাজার-চাহিদা নির্ভর। ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার খাবারের জনপ্রিয়তা মার্কিন মুলুকে ক্রমশই বাড়ছে। এর ফলে আমেরিকায় ভারতীয় চালের চাহিদাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় চালের স্বাদ, গন্ধ, রং ও গঠন এমন, যা আমেরিকায় উৎপাদিত চালের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই আমেরিকান চাল ভারতীয় চালের বিকল্প হতে পারে না।” গর্গের দাবি, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে চাল “ডাম্প” করছে না; বরং মার্কিন বাজারে এই চালের একটি স্থায়ী ও অপরিহার্য চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, “ওয়াশিংটনের বাড়তি শুল্ক ভোক্তার চাহিদা কমাতে পারেনি; বরং এই বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে মার্কিন জনগণকেই। এতে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে।”

    আমেরিকার বাজারে সস্তায় ভারতীয় চাল

    কম দামে বিদেশি কৃষিপণ্য ঢুকে পড়ায় ক্ষুব্ধ মার্কিন চাষিরা। তাঁদের অভিযোগের পরই ভারতীয় চাল (Indian Rice in US Market) ও কানাডার সারের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে চাষিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানান, মার্কিন বাজারে যে দেশগুলো কম দামে পণ্য ঢুকিয়ে স্থানীয় উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় কৃষকদের (US Farmers) জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করতে গিয়ে ট্রাম্প (Donald Trump) সরাসরি বলেন, ভারত, চিন এবং তাইল্যান্ড থেকে কম দামে চাল আমদানির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। কৃষকরা বৈঠকে দাবি করেছেন, ভর্তুকির সাহায্যে বিদেশি চাল আমেরিকার বাজারে সস্তায় ঢুকছে, ফলে দেশীয় চালের দাম পড়ে যাচ্ছে।

    ‘যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কোনও উপকার করছে না’

    ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের (IREF) সহ-সভাপতি দেব গর্গ আরও বলেন, ভবিষ্যতে শুল্ক আরও বাড়লে তার প্রভাব ভারত নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বেশি পড়বে। তাঁর দাবি, “এটি ভারতকে কোনও উপকার নয়; এটি মার্কিন বাজারের নিজস্ব প্রয়োজন।” তাঁর মতে, ভারতীয় চালের চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রে এখনও “মজবুত ও স্থিতিশীল।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক হুমকি মূলত মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই এসেছে, কোনও বড় নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত নয়। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI) জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর ট্রাম্পের এই মন্তব্য এবং নতুন কৃষক সহায়তা প্যাকেজ একসঙ্গেই আমেরিকান কৃষকদের আশ্বস্ত করার রাজনৈতিক পদক্ষেপ।

    ভারতের চাল রফতানির চিত্র

    বিশেষজ্ঞদের কথায়, “ট্রাম্প ভারতীয় চালের ওপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিলেও এটি নীতি নয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য।” তাদের মূল্যায়ন, নতুন শুল্ক আরোপ হলেও ভারতীয় রফতানিকারকদের ওপর মোট প্রভাব সীমিতই থাকবে, কারণ বিশ্ববাজারে ভারতীয় চালের চাহিদা শক্তিশালী। বরং ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মার্কিন ভোক্তারা—ভারতীয় চালের ওপর নির্ভরশীল আমেরিকান পরিবারকে উচ্চমূল্য গুনতে হবে। ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের (IREF) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের বাসমতি রফতানির পরিমাণ ছিল ২,৭৪,২১৩ মেট্রিক টন, যার মূল্য ৩৩৭.১০ মিলিয়ন ডলার—এই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাসমতির চতুর্থ বৃহত্তম বাজার। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের নন-বাসমতি চাল রফতানি ছিল ৬১,৩৪১ মেট্রিক টন, মূল্য ৫৪.৬৪ মিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের হুমকিতে ভারতীয় চাল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

  • Daily Horoscope 11 December 2025: ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 11 December 2025: ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা সারতে পারেন।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই তালিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক অফিস এবং ডিইও অফিসে টাঙানো থাকবে। সূত্রের খবর ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে যাচাই ও শুনানি (SIR Verification and Hearing) পর্ব‌। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব। এরই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত সেই সব ভিডিয়ো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন।

    শুনানি পর্ব- নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন

    বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, এনুমারেশন পর্ব (Enumeration Phase) শেষ হচ্ছে। ঠিক চার দিন পরে, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপরই শুরু হবে শুনানি পর্ব- এই প্রস্তুতি নিতে আজ থেকেই কমিশন তৎপরতা শুরু করেছে। কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ফর্মের ৯৯.৭৫ শতাংশ ডিজিটাইজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৮১টি ফর্ম অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনও ৯ হাজার ৬৩টি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৭ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে। রিপোর্টে দাবি করা হল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লক্ষ ১ হাজার ৫৪৮।

    আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত আনকালেক্টবল ফর্মের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ আট হাজার ৫৭৪। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৩, নিখোঁজ ভোটার ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৩, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৩২, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭০৬। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও বেশ কিছু জায়গায় আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    জাল নথি পেশ করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে

    অন্যদিকে, ২০০২ সালের পুরনো ভোটার তালিকার সঙ্গে মিল না থাকায় এখন রাজ্যে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাদের সবাইকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়া মাত্র সংশ্লিষ্ট ইআরও (ইলেকশন রিটেনিং অফিসার) নোটিস পাঠাতে শুরু করবেন। নোটিস পেলে নির্দিষ্ট দিন ওই অফিসে গিয়ে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথি-র মধ্যে কমপক্ষে একটি দেখাতে হবে। যারা প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারবেন না, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে। এছাড়াও, এমন অনেক ভোটার আছেন, যাদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকলেও কমিশন ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদেরকেও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাদের ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে এবং কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। কমিশন একথাও মনে করিয়ে দিয়েছে, এসআইআরে যদি কেউ জাল নথি পেশ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। তথ্যের জালিয়াতির অভিযোগে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।

    সিসিটিভি-র নজরদারিতে শুনানি পর্ব

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন যে শুনানি পর্ব যেন সিসিটিভি-র নজরদারিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি ছিল যে, সম্পূর্ণ শুনানি পর্ব মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে করতে হবে। প্রথম বিষয়টি অর্থাৎ সিসিটিভির নজরদারি কমিশন মেনে নিলেও দ্বিতীয় বিষয়টি অর্থাৎ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে এখনও কমিশন (ECI) কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের দফতর থেকে জেলাগুলিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘যাচাই ও শুনানি’ পর্ব শুধু এবং শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই করতে হবে। অন্য কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিসে এই শুনানি করা যাবে না। সেই সঙ্গে সঙ্গে এটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই পুরো যাচাই এবং শুনানি পর্ব, বিশেষ করে শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই এসআইআর পর্ব শেষ হয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ করা হচ্ছে অথবা কমিশন নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কমিশন মনে করছে, এভাবে কাজ করলে আশা করা যায় খসড়া থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়া পর্যন্ত পুরো কাজ নির্ভুল হবে।

  • Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

    Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন হিন্দি সিনেমার দৃশ্য! সাক্ষীকে মারতে জেলে বসেই কি প্ল্যান করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের কুখ্যাত নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)? রেশন দুর্নীতি এবং সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন মামলার সাক্ষীকে হত্যার ছক করে ছিলেন। বিজেপি অবশ্য বারবার রাজ্যের জেল প্রশাসনকে তোপ দেগে অভিযোগ করে জানিয়েছে, জেলে বসেই শাহজাহান সন্দেশখালির মামলাকে প্রভাবিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। অভিযুক্ত নেতা জেলে থাকলেও তাঁর বিচরণ যে সর্বত্র তা আরও একবার প্রমাণিত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময় গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে ভোলা প্রাণে বাঁচলেও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি অবশ্য গোটা দুর্ঘটনার পিছনে শাহজাহানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে বলে মনে করছে।

    আগে থেকে পরিকল্পিত হামলা (Sandeshkhali)

    বুধবার, আদালতে ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) একটি মামলা। এই মামার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলা ঘোষ। আজ আদালতে যাচ্ছিলেন মামলার সাক্ষী দিতে। রাস্তায় যাওয়ার সময় ন্যাজাটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষের। একই ভাবে মৃত্যু হয় চালক শাহানুরের। কিন্তু বেঁচে যান ভোলা। তবে নিজে এখনও জানেন না ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাক চালক ধাক্কা মারার পর বাইকে করে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা যে আগে থেকেই পরিকল্পিত তাও দাবি করেছে বিজেপি।

    মামলার সাক্ষীকে খতম করাই উদ্দেশ্য

    বিজেপির অবশ্য দাবি, “শাহজাহানের মামলায় (Sandeshkhali) যেহেতু ভোলা সাক্ষী, তাই তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কোর্টে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত ভাবে হামলা করা হয়। আগে থেকে প্রিপ্ল্যান্ড্ ছিল। ছেলে এবং তাঁর গাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন সেই গাড়ির কাগজপত্র ঠিক ছিল না। আজকেই ইএমআই-এর তারিখ ছিল।”

    ভোলানাথ ঘোষ একসময়ে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) সঙ্গী ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ২০২১ সালে শাহজাহানের লোকজন ভোলার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছিল। তারপর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। কিন্তু শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরেই বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। ভোলা নিজে বলেন, “বয়ারমারি পার হয়েছি ওই লরিটা সামনে যাচ্ছিল আমাদের গাড়ি এগোচ্ছিল। ডাইরেক্ট এসে আমার গাড়িতে মারল। তারপর আমার গাড়ি জলে চলে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেলাম।”

    ‘‘এটা একশ শতাংশ খুন’’

    ভোলার বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে ভাবে খুন করা হয়েছে। এটা একশ শতাংশ খুন। আমি যা শুনেছি ট্রাকের ড্রাইভারের নাম আলিম। গারিটা ছিল লাউখালির। আগে থেকে বাবার গাড়ি ফলো করছিল। পাশ থেকে দুবার ধাক্কা দেওয়া হয়। এখানে শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) রাজ চলে, জেলে বসেই নিজের বৌয়ের সঙ্গে গল্প করেন তিনি। শাহজাহানের হয়ে ন্যাজাটের (Sandeshkhali) সবিতা রায় এবং মোসলেম শেখ দাপট চালাচ্ছে। ওদের ষড়যন্ত্রেই এই খুন হয়েছে।”

  • Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উদ্ধার বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

    Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উদ্ধার বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারে নদিয়ায় (Nadia) সভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যে এসআইআর আবহেই ফের রাশি রাশি ভোটার কার্ড (Voter Cards) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। জানা গিয়েছে, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তা ভর্তি প্রচুর ভোটার কার্ড। বেশিরভাগ ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ঠিকানা। রাস্তার ধারে প্রথমে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জনতা। এরপর লোকমুখে খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে জমায়েত হয় প্রচুর জনতা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। অবশেষে পুলিশ এসে উদ্ধার করে কার্ডগুলিকে নিয়ে যায়।

    ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটার কার্ড (Nadia)

    এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “ফাটা বস্তা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়, এরপর পা দিয়ে নাড়া দিতেই ভিতর থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটার কার্ড (Voter Cards) বেরিয়ে আসে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এখানে ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটার কার্ড হবে। কার্ডের সঙ্গে বেশকিছু কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছে।” উদ্ধার হওয়া এই ভোটার কার্ড কাদের? এখানে কীভাবে এল? এগুলি কি জাল বা ভুয়ো। এই নিয়ে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তীব্র তর্জা শুরু হয়েছে। বুধবার কৃষ্ণনগর গর্ভমেণ্ট কলেজের ময়দানে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই এইভাবে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসন এবং শাসক দল ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।

    সক্রিয় জাল ভোটার চক্র

    বিজেপির তরফে রানাঘাট (Nadia) সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সোমনাথ কর বলেছেন, “যে এলাকা থেকেই ওই বস্তাবন্দি কার্ড উদ্ধার হয়েছে সেখানকার পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। ভোটের সময় এই সব কার্ড নিয়ে ছাপ্পা দেওয়া হতো। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জাল ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনা তারই প্রমাণ।” অপর দিকে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাবেন তাই ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করা হয়েছে।” উল্লেখ্য আগেও শান্তিপুর থেকে রাশি রাশি বস্তাবন্দি জাল ভোটার (Voter Cards), আধারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনাই প্রমাণ করে জেলায় জেলায় জাল ভোটার নির্মাতারা কতটা সক্রিয়।

  • SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরে (SIR) জাল নথি দিলে সাত বছরের জেল হতে পারে। ভুয়ো ভোটারদের আটকাতে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন মিশন। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর দফতর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে এসআইআরে কেউ নথি জাল করলে জমা করলে আইন মেনে সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হতে পারে। কমিশন এসআইআর-এর কাজে বিএলও-দের সঠিক তথ্য দিয়ে ডিজিটাইজেশনের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে। মৃত, অবৈধ ভোটার বা স্থানান্তরিত হয়েছে এমন নাম যদি নিবিড় তালিকায় থাকে তাহলে কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভুল কাজ করলে কমিশন (Election Commission) কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ

    নির্বাচন কমিশনের (SIR) তরফে বলা হয়েছে, “ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি ভোটার কার্ড, জন্ম, বিবাহ, মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রদত্ত শংসাপত্র, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে জাল প্রমাণপত্র জমা করে থাকেন তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেলা এবং জরিমানা হতে পারে। এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার থাকবে।”

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্ক্যান হবে

    এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল শাসকের দিকে অভিযোগ তুলে বিজেপি বার বার বলেছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন করার ঝাড়াই-বাছাই-এর কাজে সুযোগ বুঝে অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারদের নাম তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যে বাংলাদেশিরা জাল নথি দিয়ে নিজেদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করছেন। এরপর দিব্যি নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যকে নিজের বাবা-মায়ের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ ব্যবহার করছেন। আবার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের ব্লক স্তরে সরকারি দফতর থেকে টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, ওবিসি-র মতো সার্টিফিকেটও নাকি দেওয়া হচ্ছে। তবে ভুয়ো কাগজ নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে ভোটারদের নাম, ছবি যুক্ত যাবতীয় তথ্য নিখুঁত ভাবে স্ক্যান করা হবে, ফলে জাল তথ্য দেওয়া ভোটারদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিনতে সুবিধা হবে।

    প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে হেয়ারিংয়ে ডাকা হবে

    ১৪ ডিসেম্বর হল এসআইআর-এর (SIR) এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার শেষ সময়। এই তালিকায় যদি ভোটারদের নাম ভুল থাকে, কোনও অভিযোগ থেকে বা সংশোধন থাকে তাহলে তা কারেকশন করার শেষ সময় আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা, বিতর্কের সমাধান করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা এবং আলোচনা করে তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাকে দূর করার নানা কাজও করবে কমিশন। তার সময় সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কাজ করা হবে।

    কত নাম বাদ?

    কমিশনের আগে বিএলওদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, কোনও যোগ্য ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কোনও অযোগ্য ভোটার যেন তালিকায় না ঢুকে থাকে। আর যদি এ দু’টি কাজ করতে গিয়ে ফাঁক থাকে তার দায় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলওকেই। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা কাজের প্রশংসা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু অবহেলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।

    এসআইআরে (SIR) শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে মৃত ভোটারের নাম রয়েছে ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি সংখ্যা খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং ঠিকানা বদল করেছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বাতিলের তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নামও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য এবং নিবিড় সংশোধনের তালিকা যাতে আরও নির্ভুল হয়, সেই কথা বলে কমিশন (Election Commission) কড়া বার্তা দিয়েছে। রাজ্যে এই কাজকে আরও ভালো ভাবে করার জন্য কমিশন ৫ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

LinkedIn
Share