Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে দেশ জঙ্গি এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের শুক্রবার পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত (India Shreds Pakistan)। এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ‘‘একটি অপমানজনক আচরণ’’ বলে আখ্যা দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ পুরি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসী ও অসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না, তাদের এই বিষয়ে কথা বলা ন্যায়সম্মত নয়। বিশ্বকে বুঝতে হবে পাকিস্তানের প্রকৃত সত্য।”

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার ভারত

    অপারেশন সিঁদুরেই ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) ভূখণ্ডে কীভাবে জঙ্গিদের লালন-পালন চলে। এদিন ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন যে, ‘‘পাকিস্তানি প্রতিনিধির বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব আমি দেব।’’ এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অসীম ইফতিখার আহমেদ তাঁর বক্তব্যে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথাও বলেন তিনি। এরপরই প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রতিনিধি হরিশ বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে সীমান্তে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে। ৬৫ বছর আগে সৎ বিশ্বাসে সিন্ধু জল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ভারত। ভারতের উপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার চেতনা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গত কয়েক দশকে ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিকতমটি হল পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলা। ভারত সর্বত্র অসাধারণ ধৈর্য এবং উদারতা দেখিয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ অসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে পণবন্দি করতে চায়।”

    কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানে

    পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। হরিশ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানেই রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তা-ও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত এও উল্লেখ করেছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণ করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এর ফলে ২০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এমনকী ধর্মীয় স্থান এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার সাধারণ মানুষ

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার কথাও এদিন বলা হয় ভারতের তরফে। হরিশ বলেন,“ কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের মদতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরা ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়ে আসছে । এর মধ্যে মুম্বই শহরে ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের বর্বর গণহত্যাও রয়েছে। সব ঘটনার পিছনে পাকযোগের প্রমাণ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। কারণ ওদের লক্ষ্য হল আমাদের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মনোবলের উপর আক্রমণ করা। এমন একটি দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক।” সংঘাতের মাঝে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে শেলিং থেকে অসামরিক যাত্রিবাহী বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সমস্ত কীর্তি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এদিন তুলে ধরে ভারত। একইসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ জানান, কী ভাবে বার বার সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রতি পাক উর্ধ্বতন সরকার, পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের বিখ্যাত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানাতে দেখেছি।”

    বিশ্ববাসীর কাছে আর্জি

    একদিকে গোটা বিশ্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল অপারেশন সিঁদুর-এর প্রয়োজনীতা, তার সাফল্য ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের শয়তানি তুলে ধরছেন তো অপর দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) ইসলামাবাদকে তুলোধনা করছে ভারত। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি-যোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় সন্ত্রাসবাদীরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের ঠিকানা সকলে জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি সম্ভব, প্রশ্ন তোলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।’’ আর পাকিস্তানের প্রশাসনও যে এই বিষয়ে অবহিত, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ধরা যাক, আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আপনার সরকার কিছুই জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।’’ জয়শঙ্করের হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান এই সন্ত্রাস হামলা বন্ধ না করলে ‘ফল ভুগতে হবে’। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই পাকিস্তানকে বার্তা দেন হরিশ। পাকিস্তানকে দু-মুখো সাপের সঙ্গে তুলনা করে একইসঙ্গে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে বিনষ্ট করারও আর্জি জানান তিনি।

  • Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ কেউ ছায়াসঙ্গী হয়ে পিছু নিয়েছে, কিংবা সব সময়েই কেউ ক্ষতি করবে বলে ষড়যন্ত্র কষে চলেছে! এমন নানান ভয়ে শিউরে থাকেন অনেকে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই নানান কারণে উদ্বেগে থাকে। পরিবার কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। বরং নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করে। অনেক সময়েই তারা নানা রকম আশঙ্কায় ভোগে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং পরিবারের কেউ এমন সমস্যায় ভুগলে, তাঁর দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কারণ এগুলোই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) লক্ষণ হতে পারে।

    ভারতে বাড়ছে সমস্যা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    সম্প্রতি, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। মানসিক এই রোগ নিয়ে সচেতনতাও তলানিতে। তার জেরে পরিস্থিতি সামলানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া সচেতনতা দিবসে (World Schizophrenia Awareness Day) তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। যাতে সহজেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার মূল সমস্যা এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। রোগীর অধিকাংশ সময়েই সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না।‌ যার জেরেই বিপদ বাড়ে‌।

    কীভাবে রোগীকে সনাক্ত করবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত থাকেন। ফলে, বাইরের মানুষের পক্ষে খুব আলাদা ভাবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা, সব সময় একসঙ্গে থাকলে রোগ সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবে জীবনের যেকোনও পর্বেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত (World Schizophrenia Awareness Day) হলে মেলামেশা বা সামাজিক যোগাযোগের চাহিদা কমে যায়। রোগী কখনোই পরিবারের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্প করা কিংবা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়া বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটানো পছন্দ করবেন না। অতিরিক্ত নির্জনতা তাঁর পছন্দ হবে। তাই কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করলে, তা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অকারণ নানান আশঙ্কায় ভুগলে কিংবা মনগড়া ভয় (Delusion) তৈরি হলে, তা সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে, রোগী অনেক সময়েই নানান ভয়ের কল্পনা করেন। যাকে হ্যালোসিনেশন (Hallucination) বলা হয়। তাই পরিবারের কেউ যদি সব সময় নানান আশঙ্কার কথা জানান এবং তার সঙ্গে যদি বাস্তবের বিশেষ মিল না থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরি। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    কেন বাড়ছে এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বদলে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। সম্পর্কের সমীকরণও বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলেই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর নয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। এগুলো ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মানসিক চাপ তৈরি করছে। যার জন্য সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামাজিক প্রত্যাশা গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। সাফল্য কিংবা সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে খুব কম বয়স থেকেই মানুষের উপরে অসম্ভব চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে‌। সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত বৃদ্ধির এটাও অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা মনে করছেন। তবে অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক রোগ হিসাবেও অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত থাকলে, জিনগত ভাবে এই রোগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে হচ্ছে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই এই রোগ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে সিজোফ্রেনিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। অনেক সময়েই আক্রান্তের এই মনগড়া উদ্বেগ অবহেলা হয়। ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়। আক্রান্তের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা (World Schizophrenia Awareness Day) গড়ে তোলা জরুরি। পাশপাশি, রোগ চিহ্নিত হওয়ার পরে, রোগীর যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। চিকিৎসার মাঝপথে রোগী ওষুধ নিয়মিত খাওয়া বন্ধ করে দেন। থেরাপিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যাতে আক্রান্ত ওষুধ খান, প্রয়োজনীয় থেরাপি নেন, সেটা নিশ্চিত করাই পরিবারের দায়িত্ব।

    রোগীকে কখনোই সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আলাদা করা যাবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিয়ে কিংবা পুজো, যেকোনও আনন্দ অনুষ্ঠান, যেখানে সমাজের বহু মানুষের মেলামেশা করার সুযোগ থাকবে, সেখানে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের দায়িত্ব, তাঁর সামাজিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এতে রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 24 May 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 May 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ২) প্রেমে আনন্দ লাভ।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে সুখের দিন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ২) কৃষিকাজে সাফল্য পাবেন।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় অর্থাভাব ও শত্রুর দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা।

    ২) স্ত্রীর কারণে প্রচুর খরচ হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ২) কোনও প্রতিবেশীর জন্য সম্মানহানি।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ২) শিক্ষকদের জন্য ভালো খবর।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্য।

    ২) কোনও মহিলার জন্য আনন্দ লাভ।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি বিষয়ে আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় আসছে আরও গতি। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর কেন্দ্রের মোদি সরকার দেশের গোয়েন্দা সক্ষমতা জোরদার করতে একটি বৃহৎ স্যাটেলাইট প্রকল্প (Spy Satellites) শুরু করেছে। ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ নামের এই প্রকল্পটির জন্য ২২,৫০০ কোটি টাকা (প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার) বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই কৃত্রিম উপগ্রহপুঞ্জের (Satellite Constellation) মাধ্যমে নজরদারির ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত।

    কেন এই পদক্ষেপ

    এই প্রকল্পে সরকারকে পথ দেখাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এমন ৫২টি স্যাটেলাইট (Spy Satellites)  লঞ্চ করতে চলেছে ইসরো, যারা মেঘ ভেদ করেও স্পষ্ট দেখতে পারবে। রাতের আকাশও বাধা হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্ত কড়া নজরে রাখতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখন অন্তত ১০টি স্যাটেলাইট সারাক্ষণ দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করে চলেছে।

    নয়া প্রকল্পের হালচাল

    ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ প্রকল্পের আওতায় ৫২টি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের একটি কনস্টিলেশন (Satellite Constellation) বা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর মধ্যে ৩১টি তৈরি করবে তিনটি বেসরকারি সংস্থা — অনন্ত টেকনোলজিস, সেন্টাম ইলেক্ট্রনিক্স, এবং আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস, বাকি ২১টি তৈরি করবে ইসরো (ISRO)। আগে এই প্রকল্প শেষ করতে চার বছর সময় নির্ধারিত ছিল, কিন্তু এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে ১২ থেকে ১৮ মাস করা হয়েছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স (SpaceX) এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইটগুলো (Spy Satellites) ধাপে ধাপে তৈরি ও উৎক্ষেপণ করা হবে। অনন্ত টেকনোলজিসের মতো কোম্পানিগুলো নিজস্বভাবে কিছু স্যাটেলাইটের ডিজাইন ও নির্মাণ করবে, যার জন্য তারা আগেই প্রযুক্তিবিদদের আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার ব্যবহৃত হবে। উৎক্ষেপণের জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে — ইসরোর ভারী রকেট এলভিএম৩ অথবা স্পেসএক্সের রকেট। প্রতিটি উৎক্ষেপণের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন আবশ্যক।

    কী কাজে ব্যবহৃত হবে স্যাটেলাইটগুলি

    স্যাটেলাইটগুলি মূলত ভারতের সীমান্ত নজরদারিতে (Spy Satellites) ব্যবহার হবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ — যেমন বন্যা ও ভূমিকম্পের সময় — জরুরি সহায়তা প্রদানেও এই স্যাটেলাইটগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রকল্প ভারতের জন্য এক বিশাল অগ্রগতি। এটি শুধুমাত্র সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করবে না, বরং দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মানের প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ খাত আরও এগিয়ে যাবে।

    সীমান্ত সতর্কতায় ছদ্ম উপগ্রহ

    এখন পাক সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হয় রিস্যাট টু বি। অনুপ্রবেশকারীদের ওপর সদা সজাগ দৃষ্টি রাখে এই উপগ্রহ। দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় নিরাপত্তা এবং নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ছদ্ম-উপগ্রহ তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দেশের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। অবশেষে সাফল্যও পেয়েছেন তাঁরা। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপের প্রথম সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও। বিশ্বের গুটিকতক দেশের হাতে রয়েছে এই প্রযুক্তি। সেই তালিকায় এ বার নাম উঠল ভারতের। অত্যাধুনিক এই এয়ারশিপ শত্রুর উপর নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাচ্ছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পিছনে ইসরোর উপগ্রহ

    ইসরোর চেয়ারম‌্যান ড. ভি নারায়ণান সম্প্রতি বলেন, “পাকিস্তান-সহ দেশের ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত ইসরো মনিটর করছে অনবরত (Spy Satellites) । দেশের সবাই নিরাপদ।” ত্রিস্তরীয় সেনা দেশের নিরাপত্তার মূল পাহারাদার হলে তার সহচর হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে যারা চূড়ান্ত সাফল‌্য এনে দিয়েছে তারা ইসরো। কারণ জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে সাফল্যের সঙ্গে মিসাইল হানা সম্ভব হওয়ার অন‌্যতম নেপথ‌্য কারিগর ছিল দেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কারণ জঙ্গিদের সঠিক অবস্থান জেনে দিয়েছিল বিগত দু-তিন বছরে মহাকাশে পাঠানো তাদেরই অন্তত ১০০টি উপগ্রহ (Satellite Constellation), যার মধ্যে ৫৬টি এই মুহূর্তে ঠিক উপর থেকে দেশের কোণায় কোণায় দৃষ্টি রেখে চলেছে।

  • SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রেলওয়ে (Indian Railways) অ্যাপ চালু করল ভারতীয় রেলওয়ে। যাত্রী পরিষেবাকে আধুনিক এবং সহজতর করে তুলতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছে স্বরেল (SwaRail App)। ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বেশ কিছু পরিষেবা আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট, ইউটিএস ইত্যাদি অ্যাপে পাওয়া যেত। এবার থেকে স্বরেল অ্যাপে এই সমস্ত পরিষেবা একজায়গাতেই পাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল।

    স্বরেল অ্যাপের (SwaRail App)-এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স

    ১. সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টার (CRIS) এই অ্যাপ ডেভেলপ করেছে। সমস্ত ধরনের রেল যাত্রীরাই এই অ্যাপের সহায়তা পাবেন।

    ২. ট্রেনের তালিকা, সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যাবে এই অ্যাপেই। SwaRail অ্যাপের My Bookings সেকশনে গিয়ে পূর্বের ভ্রমণের ইতিহাসও দেখা যাবে।

    ৩. অ্যাপে রয়েছে একটি সিঙ্গল-অন-সিস্টেম। একসঙ্গে অজস্র ফিচার্সের সুবিধে রয়েছে অ্যাপটিতে। আইআরসিটিসির লগ ইন তথ্য দিয়ে এই অ্যাপে লগ ইন করা যাবে।

    ৪. ট্রেনের সমস্ত তথ্যই এই অ্যাপে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রেল। ট্রেন যদি দেরি করে তাহলে সেই তথ্যও মিলবে এখানে।

    ৫. ট্রেনে ওঠার সময় যাত্রীর কোচ কোনদিকে তাও দেখিয়ে দেবে এই অ্যাপ। এর ফলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৬. এর পাশাপাশি ট্রেন (Indian Railways) সফরে থাকাকালীন নির্দিষ্ট ভেন্ডরের থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে এই অ্যাপ থেকেই।

    ৭. অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স হিসেবে এই অ্যাপে রয়েছে রেল মদদ এর সাহায্যে রেল সফরকালীন যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে।

    ৮. অ্যাপে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল আর-ওয়ালেটের সুবিধাও। বাতিল যাত্রা, বাতিল টিকিটের রিফান্ড চাইলে এখান থেকেই মিলবে টাকা। এই ওয়ালেট দিয়ে টিকিটও বুক করা যাবে।

    ৯. জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ভাষায় দেখা যাবে এই অ্যাপের ইন্টারফেস। ফলে ভাষাজনিত সমস্যাও দূর হবে।

  • Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের (Modi 3.0) এক বছর পূর্তি হতে চলেছে আগামী মাসেই। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ সালে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জেতে বিজেপি। ২০২৪ সালের ৪ জুন ফলাফল প্রকাশিত হয়। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার সামনে উড়ে যায় বিরোধী দলগুলি। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বছরে অনেক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি দলীয় কর্মী এবং মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে। নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ, এই বার্তা পৌঁছে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের নিজেদের সংসদীয় এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে তাঁরা অন্তত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন।

    মোদি সরকারের (Modi 3.0) সাফল্যগাথা তুলে ধরবে বিজেপি

    এই পদযাত্রায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পূর্ণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0)। এই সময়ে দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য তাঁর করা একাধিক প্রকল্প তুলে ধরবেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সম্পর্কেও জনগণকে বোঝাবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। কীভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত শক্তিশালী হয়েছে এবং পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া গিয়েছে, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

    ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী

    একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আগামী ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপির সংরক্ষণ করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫৪৩টির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেতে ২৯৩টি আসনে। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক জেতে ২৩৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) একাই পায় ২৪০টি আসন। কংগ্রেস পায় ৯৯টি আসন। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0) তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে জল বন্ধ করতে চলেছে আফগানিস্তান? বিপুল ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে জল বন্ধ করতে চলেছে আফগানিস্তান? বিপুল ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নদীর ওপর বাঁধ তৈরি করে পাকিস্তানে জল যাওয়া বন্ধ করতে চাইছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান সরকার। এই জল বন্ধ হলে পাকিস্তানকে (Pakistan) অতিরিক্ত ২২৫০ কোটি টাকা বহন করতে হবে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রেখেছে নয়াদিল্লি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আফগানিস্তানের সঙ্গে নদীর জলবণ্টন নিয়ে ইসলামাবাদের কোনও চুক্তি নেই। এর ফলে যে কোনও নদীর ওপর ইচ্ছামতো বাঁধ নির্মাণ করতেই পারে তালিবান সরকার। কোনও চুক্তি না থাকায় এ ক্ষেত্রে কাবুলের উপর আন্তর্জাতিক চাপও পাকিস্তান করতে পারবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কোন কোন নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে পাকিস্তানে?

    ১. কাবুল নদী – এই নদীটি হিন্দুকুশ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, এর প্রধান উপনদীটি পাকিস্তানের পেশোয়ার এবং নওশেরা অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।

    ২. কুনার নদী – আফগানিস্তানের (Afghanistan) এই নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার অঞ্চলেক কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের অন্যতম বড় নদী হল কুনার। ৪৮০ কিলোমিটার লম্বা এই নদীটির জন্ম হিন্দুকুশের চিয়ানতার হিমবাহ থেকে। কুনার নদী মিশেছে কাবুল নদীতে। এই কুনার নদীর ওপর বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তালিবানের।

    ৩. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদী যেগুলির জলপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে সেগুলি হল – গোমাল, পিশিন-লোরা, কান্দাহার-কান্দ।

    সেনাপ্রধান জেনারেল মুবিন খানের কুনার পরিদর্শন

    সূত্রের খবর সম্প্রতি পূর্ব আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের বিশেষ একটি এলাকা পরিদর্শনে যান সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মুবিন খান। এর পরই জেনারেল মুবিন সম্ভাব্য বাঁধ নির্মাণের এলাকা ঘুরে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বালোচ আন্দোলনকারী তথা লেখন মীর ইয়াব বালোচের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের শেষের শুরু হল। ভারতের পর এ বার জল বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আফগানিস্তান।’’

    জল বন্ধ হলে প্রভাব পড়বে কোন কোন ক্ষেত্রে?

    কৃষিতে জল সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেবে।

    শহরগুলিতে (Pakistan) জল সংকট তৈরি হবে। কাবুল নদীর ওপর নির্ভরশীলগ গোটা পেশোয়ার এবং নওশেরার মতো শহর।

    তারবেলা বাঁধের মতো প্রকল্পগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    পাক অর্থনীতিও (Pakistan) ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

  • GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিখ্যাত মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে আগামী পাঁচ বছরে ভারত -এর সম্ভাব্য জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ। ফিচ জানিয়েছে, সংশোধিত অনুমান অনুযায়ী ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধিতে প্রধান অবদান রাখছে শ্রমশক্তি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও ভারতের জিডিপি নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছে।

    ভারতে বাড়বে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    ফিচ রেটিংস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের অনুমান অনুযায়ী, ভারতের প্রবণতাগত প্রবৃদ্ধি এখন ৬.৪ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী ৬.২ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। আমরা মনে করি সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় টোটাল ফ্যাক্টর প্রোডাক্টিভিটি (TFP) প্রবৃদ্ধি ধীর হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী গড় ১.৫ শতাংশে ফিরে আসবে।” অন্যদিকে, সংস্থাটি চিনের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৪.৬ শতাংশ থেকে ৪.৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং আগামী দিনেও তা বাড়বে। তবে এর গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। ফিচ রেটিংসের ডিরেক্টর রবার্ট সিয়েরা জানান, “আমাদের সাম্প্রতিক কালে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর গড় সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি এখন ৩.৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ৪ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এর প্রধান কারণ চিনের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা।”

    ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) গত মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং আগামী দুই বছরে একমাত্র দেশ হিসেবে ৬ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ হারুনকে। অন্যদিকে, বারাণসী থেকে তুফায়েল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাতে আঘাত হানা, দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক ধারায় মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    পহেলগাঁও হামলার সময় পাকিস্তানেই ছিল হারুন

    দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া হারুন পাকিস্তান দূতাবাসের এক আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দূতাবাসের আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করে দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, গুপ্তচর হারুন মোজাম্মেল হোসেনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে (ATS)।

    পাক দূতাবাসের কর্মীর নির্দেশে টাকা তুলত হারুন

    সূত্রের খবর, মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশেই পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত হারুন। হারুনের কথায় অনেক লোকই মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে বলে খবর। এই টাকা ভারত বিরোধী কাজে সেইসব টাকা ব্যবহার হত বলে জানা গিয়েছে। আরও চাঞ্চল্য়কর তথ্য হল, হারুনের দু’জন স্ত্রী রয়েছে। একজন থাকে পাকিস্তানে। তার সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই পাকিস্তানে যেত হারুন। পহেলগাঁওয় হামলার সময় সে পাকিস্তানেই ছিল। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন (ATS), ৫ এপ্রিল পাকিস্তানে যায় হারুন, সে ফেরে ২৫ তারিখ।

    ৬০০-এর বেশি পাকিস্তানের নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের

    অন্যদিকে বারাণসী থেকে গ্রেফতার হওয়া তুফায়েল ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাকিস্তানে পাচার করেছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন (ATS) শাখা বলছে, রাজঘাট, জ্ঞানবাপী মসজিদ, লাল কেল্লা ও দেশের একাধিক রেল স্টেশনের ছবি তুলে পাকিস্তানের নম্বরে পাঠিয়েছে তুফায়েল। শুধু তাই নয়, ৬০০টিরও বেশি পাকিস্তানি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের। ফেসবুকে এক পাক সেনাকর্তার স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল তুফায়েলের। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রচারেও যুক্ত ছিল তুফায়েল।

  • India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর-এর পর ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিস্তৃত রিপোর্টে সেই ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) যে বিপুল কৌশলগত ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে ২০২৫ তারিখে পরিচালিত অভিযানে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের কমপক্ষে ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ৪টি জেএফ-১৭ ধ্বংস করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চ-মূল্যের আকাশ ও স্থল সামরিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়। স্যাটেলাইট ছবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং গোপন বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে মোট ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৩.৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বিমানঘাঁটি ও আকাশপথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আকাশপথে সরাসরি সংঘর্ষে পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) ৪টি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি হারিয়েছে, প্রতিটির মূল্য ৮৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩৪৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পাকিস্তানের একটি সাব ২০০ এরিআই অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান (মূল্য ৯৩ মিলিয়ন ডলার), একটি আইএল-১৭ রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার (৩৫ মিলিয়ন ডলার), দুইটি সিএম-৪০০একেজি মিসাইল, দুইটি শাহিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ছয়টি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও এই সব সম্পদের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫২৪.৭২ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫২৪.৭ মিলিয়ন মর্কিন ডলার। অন্যদিকে, ১০ তারিখ পাক এয়ারবেসগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও চারটি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে পাকিস্তান। একটি সি১৩০ হারকিউলিস পরিবহণ বিমান (৪০ মিলিয়ন ডলার), একটি এইচকিউ-৯ সাম ব্যাটারি (২০০ মিলিয়ন ডলার), এবং দুটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়েছে (১০ মিলিয়ন ডলার)। এই ক্ষতির পরিমাণ মোট ৫৯৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ক্ষতির ফলে পাকিস্তানের বিমান যুদ্ধের সক্ষমতা, নজরদারি ক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, এফ-১৬ ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এফ-১৬ এর দাম

    এফ-১৬ বিমানটি মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা জেনারেল ডাইনামিক্স (বর্তমানে লকহিড মার্টিন) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তান প্রথম ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৮০টি এফ-১৬ বিমানের অর্ডার দেয়। চুক্তিটি ‘পিস গেট ১ এবং ২’ প্রোগ্রামের অধীনে করা হয়েছিল এবং তাদের ডেলিভারি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে হয়েছিল। বর্তমানে, পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫টি এফ-১৬ বিমান রয়েছে, যার মধ্যে এ, বি, সি এবং ডি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। এফ-১৬ এর দাম এর মডেলের উপর নির্ভর করে। একটি নতুন এফ-১৬ এর দাম প্রায় ৪০ থেকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে।

    জেএফ-১৭ এর দাম

    জেএফ-১৭ থান্ডার, পাকিস্তান ও চিনের অংশীদারিত্বে নির্মিত একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি যৌথভাবে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এবং চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন (সিএসি) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ৯০-এর দশকে যখন পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে এফ-১৬ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আমেরিকা, তখন এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। এরপর, পাকিস্তান ১৯৯২ সালে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৫ সালে জেএফ-১৭ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম জেএফ-১৭ ২০০৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের কাছে এখন ১৫৬টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এটি একটি হালকা এবং দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান, যার সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৩,৫০০ কেজি। জেএফ-১৭ এর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি), যেখানে ব্লক থ্রি-র দাম প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    যুদ্ধকালীন ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো

    ২৯ দিনব্যাপী সংঘাতে পাকিস্তানের যুদ্ধ (India Pakistan Conflicts) ব্যয়ও ছিল বিপুল। প্রতিদিনের বিমান টহল ও হামলা পরিচালনার খরচ ২৫ মিলিয়ন ডলার ধরে মোট ৭২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, সীমান্তে মোতায়েন ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসলামাবাদ। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি। ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিরও প্রবল ক্ষতি হয়েছিল৷ ভেঙে পড়েছিল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ এই দুটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি৷ পাকিস্তান বুঝতে পারে এরপরও সংঘর্ষ চললে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে৷ ইসলামাবাদের সমস্যা আরও বাড়বে ৷ তাই সংঘর্ষ বিরতির পথে হাঁটে পাকিস্তান।

LinkedIn
Share