Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • India vs Bangladesh: ফিরছেন সুনীল! বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে মলদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের

    India vs Bangladesh: ফিরছেন সুনীল! বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে মলদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সিতে আজ, বুধবার প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে কিংবদন্তী ভারতীয় ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর। বুধবার শিলংয়ে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলতে নামবে ভারতীয় দল। এই প্রথম মেঘালয়ের রাজধানীতে খেলবে মেন-ইন ব্লু। পরের সপ্তাহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিয়াফার খেলবে ভারত। সেখানেও থাকার কথা সুনীলের। ক্রিকেটে বাংলাদেশকে (India vs Bangladesh) পরাজিত করার পর ফুটবলেও তাদেরকে হারিয়েই এএফসি এশিয়ান কাপ এর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চায় ভারত।

    কেন অবসর ভাঙলেন সুনীল

    ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দারুণ ফর্মে আছেন ছেত্রী। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে খেলে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার প্রমাণ করেছেন যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা। আইএসএলের লিগ পর্বে ১২টি গোল করেছেন তিনি সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেছেন ২টিতে। সেই কারণেই ভারতীয় কোচ মানোলো মার্কেজ সুনীলকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। তারপরই অবসর থেকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুনীল। বুধবার শিলং-য়ে দেশের হয়ে ১৫২তম ম্যাচে নামবেন তারকা ফুটবলার। মানোলোর অনুরোধে অবসর ভেঙে ফিরেছেন সুনীল। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ফুটবল সমর্থকদের একাংশের দাবি, হামজা চৌধুরীর ভয়ে নাকি সুনীল ছেত্রীকে অবসর ভেঙে খেলতে নামতে হচ্ছে। কারণ হামজা চৌধুরীর কাছে রয়েছে ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা। তাই বাংলাদেশে তাঁর ডিফেন্স ভাঙার জন্যই নাকি সুনীলকে অবসর ভেঙে নামতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সমর্থকরা হামজা চৌধুরীকে নিয়ে গর্ব করলেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফুটবল ম্যাচের ফল কিন্তু বলছে অন্য কথা। ভারত-বাংলাদেশ মোট ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টিতে জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ ২টিতে, ১৩টি ম্যাচ অমীমাংসিত।

    বাংলাদেশকে হারানোই লক্ষ্য ব্লু-টাইগার্সদের

    কোচ হওয়ার পর আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ মানোলোর। তার আগে দলের কম্বিনেশন দেখে নিতে চান স্প্যানিশ কোচ। মলদ্বীপ ম্যাচকে তার প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছেন। মানোলো বলেন, ‘অবশ্যই সুনীল সব ম্যাচে খেলবে। শুরু করবে না পরিবর্ত হিসেবে নামবে সেটা এখনও ঠিক করিনি। আমরা ছটা পরিবর্ত ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং, ১৭ জন খেলতে পারবে। সুনীল তারই মধ্যে একজন হবে। চলতি মরশুমে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল সুনীলের। প্লেয়ারের বয়স ২০ না ৪০, না ৮৭, আমার দাদুর বয়সী, সেটা বিষয় নয়। কেউ ছন্দে থাকলে, জাতীয় দলে থাকবে। জাতীয় দল প্লেয়ার তৈরি করার জন্য নয়। এখানে তৈরি প্লেয়াররাই আসবে। ম্যাচ জিততে হবে। সেটা করতে হলে, যারা ছন্দে আছে তাঁদের ডাকতে হবে।’ আসন্ন এশিয়ান কাপ (Asian Cup) বাছাই পর্বে ভারতের গ্রুপে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ। সফল হলে ২০২৭-এর এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে ভারত। আগামী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে উঠলে ভারত টানা তৃতীয়বার এই টুর্নামেন্টে খেলবে, যা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।

     

     

     

     

  • Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ঘরের মেয়ে গিয়েছিল মহাকাশ-জয়ে। মহাশূন্যেই আটকে পড়েছিল দীর্ঘ ৯ মাস। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাঃস। পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। সঙ্গে আরও ২ নভশ্চর। তাঁদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। লিখলেন, “ওয়েলকাম ব্যাক, ক্রু৯! পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল।” ভারতের সঙ্গে যে নাসার (NASA) মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) নিবিড় যোগ রয়েছে তা সকলের জানা। তাই দীর্ঘ ৯ মাস পর তাঁর সুরক্ষিতভাবে মহাকাশ থেকে ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত প্রত্যেক ভারতবাসীও। চলতি বছরেই ভারতে আসতে পারেন সুনীতা, এমনই খবর দিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।

    অধ্যবসায়ের আসল অর্থ বোঝালেন সুনীতা

    বুধবার ভোর-রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ফ্লোরিডায় অবতরণ করে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। ৯ মাস পর পৃথিবীর মাটিতে পা রাখেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও ক্রু৯ মহাকাশচারীরা আরও একবার দেখালেন যে অধ্যবসায়ের আসল অর্থ কী। অজানার সম্মুখীন হয়েও যে একাগ্রতা দেখিয়েছেন, তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “মহাকাশ গবেষণা হল মানুষের সম্ভাবনার সীমাকে পার করা, স্বপ্ন দেখার সাহস দেখানো এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা। সুনীতা উইলিয়ামস, একজন আইকন, তিনি নিজের কেরিয়ারকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরলেন। যাঁরা তাঁদের (সুনীতা ও বুচ) নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, আমরা তাঁদের উপরও গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, নির্ভুলতার সঙ্গে প্যাশন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে দৃঢ়তা মিলে গেলে কী হয়।”

    সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ

    মোদি আরও বলেন, “অন্তঃরীক্ষ ভ্রমণ তাঁদের জন্যই, যাঁরা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার সাহস দেখান। সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) তাঁর কেরিয়ারে সেটাই বারবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। সুনীতাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলের জন্য আমরা খুব গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্যে অবিচল থাকলে কতটা সাফল্য আসতে পারে।” উল্লেখ্য, এর আগে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ মার্চের সেই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। ১৪০ কোটি ভারতীয় সুনীতার কর্মকাণ্ডের জন্য গর্বিত বলে জানান মোদি। সুনীতার মা বনি পাণ্ডিয়া মেয়ের আসার অধীর অপেক্ষা করছেন বলে জানান মোদি। প্রয়াত বাবার আশীর্বাদও সুনীতার সঙ্গে সর্বদা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ঘরের মেয়ে’ সম্বোধন করে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি।

    সুনীতার পৈতৃক বাড়ি গুজরাট

    প্রসঙ্গত, সুনীতার বাবা দীপক পাণ্ডিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদিরই রাজ্য অর্থাৎ গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁদের আলাপেরই একটি ছবি দিয়ে সুনীতা উইলিয়ামসকে ফের একবার পৃথিবীতে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, মাত্র ৮ দিনের মহাকাশে গিয়ে ৯ মাস ধরে আটকে ছিলেন সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী ব্যারি উইলমোর। শেষমেশ নাসা-স্পেস এক্সের রকেট তাঁদের উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে। এই প্রথমবার মহাকাশ যাননি সুনীতা বা উইলমোর কেউই। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকা, স্পেসওয়াক করার রেকর্ড রয়েছে তাঁদের। তবে, ৮ দিনের জন্য গিয়ে ৯ মাস আটকে থাকা তাঁদের দুজনের কাছেই প্রথম।

    পৈতৃক গ্রামে আনন্দোচ্ছ্বাস

    সুনীতা (Sunita Williams) পৃথিবীতেই ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের এই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে এসেছেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে। সুনীতার ভ্রাতৃবধূ ফাল্গুনী পাণ্ডিয়া বলছেন, ‘‘একদম সঠিক কোনও তারিখ বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, অতি শিগগিরিই ও ভারতে আসবে। এই বছরের মধ্যেই।’’ আর সুনীতা গ্রামে ফিরলেই হবে সামোসা পার্টি। এত কিছু থাকতে সামোসাই কেন? ‘‘আসলে হৃদয়ে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় সুনীতা সামোসার বিরাট ফ্যান। মহাকাশ স্টেশনেও তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল এই সামোস বা সিঙ্গারা। আর তাই তিনি এদেশে এলে পার্টি দেওয়া হবে সামোসারই।’’ বলছেন ফাল্গুনী।

  • Indian Railway: বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় ভারতেই, লোকসভায় বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railway: বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় ভারতেই, লোকসভায় বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই সবচেয়ে কম খরচে করা যায় ট্রেন সফর। বিগত পাঁচ বছরে সিকে পয়সাও বাড়েনি ভাড়া। সংসদে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতের লোকাল ট্রেনে চড়তে গড়ে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে খরচ হয় একজন যাত্রীর। প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় এই ভারতেই।

    সবচেয়ে ভালো রেল পরিষেবা ভারতে (Indian Railway)

    মঙ্গলবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, ‘‘২০২০ সাল থেকে ভারতীয় রেলমন্ত্রক টিকিটের দামে কোনও পরিবর্তন আনেনি। এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি টিকিটের দর। এমনকি পড়শি দেশগুলির তুলনায় সবচেয়ে কম খরচেই একজন যাত্রীকে ভারতে রেল পরিষেবা (Indian Railway) নিয়ে থাকেন।’’

    প্রতিবেশী কোন দেশে টিকিটের দাম কত তাও বলেন রেলমন্ত্রী

    একইসঙ্গে সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টানেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railway) বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারতীয় ট্রেনে চেপে ৩৫০ কিলোমিটার পথ যেতে খরচ হয় ১২১ টাকা। সেই একই দূরত্ব পার করে পাকিস্তান রেল যাত্রীদের থেকে নিয়ে থাকে ৪৩৬ টাকা ও বাংলাদেশ নিয়ে থাকে ৩২৩ টাকা। এমনকি, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও একই দূরত্ব যেতে খরচ পড়ে ৪১৩ টাকা।’’

    বেড়েছে রেলের সময়ানুবর্তীতা

    উল্লেখ্য, দেশের ট্রেন পরিষেবা নিয়ে এদিন একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় বেড়েছে রেলের সময়ানুবর্তীতা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম, রিয়েল-টাইম মনিটরিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারেই আগের তুলনায় ৯০ শতাংশ সময়ানুবর্তীতা বেড়েছে ভারতীয় রেলের।’’ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিকে বড় বড় শহরের সঙ্গে জুড়তে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে বেড়েছে ভারতের অর্থনীতি। তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। বিভিন্ন সামাজিক জনগোষ্ঠীর কাছে এর ফলে সহজ হয়েছে যাত্রা। সামাজিক একতাও গড়ে তুলতে পেরেছে ভারতীয় রেল।

  • Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী পালন নিয়ে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবার হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রামনবমী (Ram Navami) পালনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম গালি!’’ একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় থাকব। পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত জনতা। পারলে আটকে নিন। ক্ষমতা থাকে তো আটকে নিন। হিন্দুস্তান মে হিন্দুই রাজ করেগা। যো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওই হি আগলে দিন বাঙ্গাল মে রাজ করেগা।’’

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন কিছু যুবক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে বলেন, তাঁকে গালি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে সেই ঘটনার কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়। এই ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলায় এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। এই সময় উস্কানি আসে রাজ্যের শাসক দল পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম হল গালি। যোগেশচন্দ্র, হরিণঘাটায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। দোলপূর্ণিমায় সাঁইথিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।’’

    প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রামনবমীর (Ram Navami) পালন নিয়ে প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রামনবমীর উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সবাইকে আবেদন করব, আপনারা প্রোটোকল মেনে, গত বছরের অনুমতির কাগজ সহ, পুলিশকে দেবেন। নতুন করে কোনও মমতা পুলিশের পাঠানো প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার লোককে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি এবং আমাদের বিজেপি এমএলএ-রা আপনাদের সম্পূর্ণভাবে আইনি সুরক্ষা দেব। আপনারা কেউ নতুন প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। গত বছরে যা হয়েছিল, একইভাবে এবারে উৎসব পালন করা হবে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, ‘‘ প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।’’

    পুজো আয়োজকদের মধ্যে ঝামেলা কারা করতে পারে? জানতে চাইছে পুলিশ

    এখানেই না থেমে আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইছে। একইসঙ্গে ওই পুজোতে কারা গন্ডোগোল-ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর চাইছে। মানে পুজোর আয়োজকদের মধ্যে যাঁরা ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর চাইছে। একইসঙ্গে পুজোতে প্রধান কন্ট্রোলার ব্যক্তি ও পুলিশ ফ্রেন্ডদের নাম ও মোবাইল নম্বর চাইছে।’’ এরপরই পুলিশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে যদি পড়েন তাহলে খেসারত আপনাকে দিতে হবে।’’

    রামনবমী আটকাতে পারবেন না মমতা

    একইসঙ্গে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে ৬৬ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন করুন। এবার মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না। প্রত্যেকে রাস্তায় থাকব, রামনবমীর মিছিলে সামিল হব। হাওড়ায় শ্যামপুরে ৭ এপ্রিল মিছিল করব, ক্ষমতা থাকে আটকান। যাঁরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে, তাঁরাই চেয়ারে থাকবে।’’

    রামনবমী ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ

    বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে তোষণের রাজনীতির ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা শুরু করেছে বিজেপি। এপ্রিল মাসে রয়েছে রামনবমী। এমন সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপির দেওয়াল লিখনও দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব ইস্যুতে। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই আবহে রামনবমী ঘিরে ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দফায় দফায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী (Ram Navami) নতুন করে পালনের ব্যাপার নেই। অনেকদিন থেকেই পালন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেকবারই রাম নবমীর উৎসবে পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। কোর্টে যেতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপশব্দ বা খারাপ শব্দ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।’’

  • India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ও জোর করে দখলে রাখা এলাকা ছেড়ে দিক পাকিস্তান (India Pakistan Relation)। তাহলেই সীমান্তে শান্তি ফিরবে। পাকিস্তানের কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সহায়তা প্রদান শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকে ভুগতে হচ্ছে, বলে জানান রণধীর।

    পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

    সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মার্কিন পডকাস্টে পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথম শপথ গ্রহণের সময় তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তির উদ্দেশ্যে লাহোরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আমি বিশেষভাবে পাকিস্তানকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যেন আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তির প্রতি আমার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের মুখে পড়েছিল।” কিন্তু এই পডকাস্ট প্রচারের পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত রেষারেষি করছে। পাক-ভূমে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে দিল্লি। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা আফগানিস্তানের রিং লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। ভারত এই ঘটনার মজা নিয়েছে।

    গুজব ছড়ানোর প্রয়াস

    পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকত আলি খান দাবি করেছিলেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বিশেষত, জাফর এক্সপ্রেস হামলায়, সন্ত্রাসীরা তাদের হ্যান্ডলারদের এবং রিং লিডারদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যোগাযোগ করেছিল।” ভারত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে। দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি। পৃথিবী জানে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়। পাকিস্তানকে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর বদলে নিজেদের ভেতরে দেখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যেমন বীজ বপন করবে, তেমন ফসলই পাবে।’’

    কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার

    রণধীর দাবি করেন, পাকিস্তান (India Pakistan Relation) গুজব না ছড়িয়ে বরং জোর করে ভারতের যে যে জায়গা তারা দখল করে রেখেছে তার ওপর থেকে সরে যাক। পাক দখলীকৃত জায়গা দিল্লিকে ফিরিয়ে দিলেই, ভারত সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আনবে। সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড নেশনসে গিয়েছি। কাশ্মীরের একাংশ দখলের ঘটনাকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে অপরাধী কে? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা? আমাকে ক্ষমা করবেন। ওই বিষয়ে আমার এই রকম অনেক প্রশ্ন আছে।’ এর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জের দরকার নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী গ্লোবাল অর্ডারে কিছু বেসিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলারও প্রয়োজন।’

    ভারতকে দোষারোপের কারণ নেই

    বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত (India Pakistan Relation) এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে বারবার সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লির দাবি, অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বহিরাগত শক্তিকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের আত্মসমালোচনা করা উচিত।

  • Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি অপসারণ আন্দোলনে উত্তাল নাগপুর। এই আবহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde)। মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান  বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান। যাঁরা এটা করছেন তাঁদেরকে কখনও ক্ষমা করা হবে না। ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন শুধুমাত্র ধ্বংসলীলা চালাতে এবং তাঁকে গৌরবান্বিত করা উচিত নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমাদের বিরোধীদের আমরা দেখছি, তাঁরা এমন ভাবে আচরণ করছেন যেন ঔরঙ্গজেব তাঁদের আত্মীয় হতেন। যাঁরা ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের লজ্জিত হওয়া দরকার।’’

    ঔরঙ্গজেবের সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী (Eknath Shinde) ব্রিটিশ শাসনেরও উদাহরণ দেন নিজের বক্তব্যে। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশরা এই দেশে আক্রমণ করেছিল। এই দেশকে শাসন করেছিল। ব্রিটিশরা ২০০ বছরে ভারত শাসন করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরে এই দেশ থেকে ব্রিটিশদের চিহ্ন মোছার কাজ শুরু হয়। কারণ তা ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতীক। একইভাবে এই দেশের ওপরে যিনি অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন সেই রকমই একজন হলেন ঔরঙ্গজেব। যাঁর সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে গত সোমবার উত্তাল হয় নাগপুর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নামাতে হয় সরকারকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সেই আন্দোলনে পরে ফের একবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ নিয়ে। আগেই এই দুই সংগঠন ঘোষণা করেছিল, ঔরঙ্গজেবের সমাধি হল আসলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং নৃশংসতার প্রতীক। যে কোন মূল্যে এই সমাধি সরাতে হবে।

    নাগপুর হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে বক্তব্য রাখেন শিণ্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, নাগপুরের হিংসা আসলে পূর্ব পরিকল্পিত। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১০০ থেকে ১৫০টি দুই চাকার গাড়ি নাগপুরে প্রতিদিন পার্কিং করা থাকে। কিন্তু সোমবার দেখা যায় যে সেখানে কোনও গাড়ি পার্কিং করা ছিল না। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে সোমবারে যে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে তা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। একইসঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য দু’চার এবং চার চাকার গাড়িগুলিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পাথর ছোড়াও হতে থাকে। শুধু তাই নয়, আশ্চর্যজনকভাবে হাসপাতালকেও টার্গেট বানানো হয়। এই হিংসার হাত থেকে বাদ দেওয়া হয়নি পাঁচ বছরের শিশুকেও। হাসপাতালে দেব-দেবীদের ছবিগুলিকেও জ্বালিয়ে দিয়েছে মৌলবাদীরা। দমকল বাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    টেনে আনেন লাদেনের উদাহরণও

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন ওসামা বিন লাদেনের কথাও। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা। শিণ্ডে (Eknath Shinde) জানিয়েছেন যে লাদেনকে মহিমান্বিত করতে কোথাও তাঁর কবরস্থান তৈরি করেনি আমেরিকা। এরকম সন্ত্রাসীর দেহ সমুদ্রেই ফেলে দেয় তারা।’’ নাগপুর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকেও (ইউবিটি) এক হাত নেন। বিধান পরিষদের সদস্য অনিল পরবের প্রশ্নের জবাবে শিণ্ডে (Eknath Shinde) বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে এত চর্চা চলছে কেন? কেন তাঁকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে! আমাদের দেশের ইতিহাসে উনি একজন নৃশংসতম ব্যক্তি।’’

    সম্ভাজিরাজকে হত্যা করেছিলেন ঔরঙ্গজেব

    একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde) আরও বলেন, ‘‘মুঘল সম্রাট মারাঠা ছত্রপতি রাজা সম্ভাজিরাজেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের সেই প্রস্তাব না মানার জন্য সম্ভাজিরাজেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে মুঘল সম্রাট।’’ এই প্রসঙ্গে একনাথ শিণ্ডে কড়া নিশানা করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকালকে। ঔরঙ্গজেবের শাসন এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের শাসনের তুলনা করেন একনাথ শিণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এখনও পর্যন্ত কি সেই রকমের কোনও অত্যাচার তাঁর বিরোধীদের ওপরে করেছেন? যেটা ঔরঙ্গজেব করতেন, তাঁর শত্রুদের সঙ্গে!’’ কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে বলেন, ‘‘এটা ছিল সেই কংগ্রেস, যারা বছরের পর বছর ধরে ঔরঙ্গজেবের সমাধিকে রক্ষা করে এসেছে।’’ বিরোধীদের ওপরে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে আরও বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনার সদস্য অনিল পরবের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমি ঠিক কী করেছি? আমি যা করেছি প্রকাশ্যে করেছি। আমি যেটা করেছি সেটা শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি। আমি যা করেছি সেটা ঔরঙ্গজেবের প্রতি যাঁরা সহানুভূতি জানায়, তাঁদের হাত থেকে শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি।’’

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

  • Sunita Williams: ন’মাসের অপেক্ষার অবসান, পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতারা

    Sunita Williams: ন’মাসের অপেক্ষার অবসান, পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ৯ মাসের অপেক্ষার অবসান। নিরাপদেই পৃথিবীতে ফিরলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। আজ, ১৯ মার্চ বুধবার, ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) তাঁদের নিয়ে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে। মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সুনীতাদের এই প্রত্যাবর্তনে কোনও রকম ত্রুটি হয়নি বলেই জানিয়েছে নাসা। সুনীতাদের (Sunita Williams) সঙ্গে একই মহাকাশযানে ফিরেছেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে সুনীতারা মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেসময় সফর ছিল ৮ দিনের। পরে মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায়, আটকে পড়েন সুনীতারা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) সুনীতাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ছাড়ে স্পেসএক্সের ড্রাগন যান। পরে বুধবার অতলান্তিক মহাসাগরের ফ্লোরিডা উপকূলে মহাকাশচারীরা নিরাপদে অবতরণ করেন। তাঁদের জন্য আগে থেকেই রাখা ছিল মার্কিন নৌসেনা বাহিনীর বোট।

    পরিবারের সঙ্গে এখনই দেখা নয় (Sunita Williams)

    এর পরেই মডিউল-সহ সুনীতাদের একেবারে জাহাজের কাছে নিয়ে আসে নৌবাহিনী। মহাকাশচারীদের হাইড্রলিক পদ্ধতিতে তোলা হয় জাহাজের ভিতর। সেখানে ড্রাগন ক্যাপসুলের দরজা খোলা হয়। প্রথমে বেরিয়ে আসেন নিক হগ। তার প্রায় ৫ মিনিট পরে ভারতীয় সময় ভোর ৪টে ২২ নাগাদ হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস। এর পরেই জাহাজ পাড়ি দেয় স্থলভাগের উদ্দেশে। জানা যাচ্ছে, পৃথিবীতে ফিরলেও এখনই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। তাঁদের থাকতে হবে ক্রু- কোয়ার্টারে। সেখানেই বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তার পরে সুনীতা (Sunita Williams) ও বুচের সঙ্গে দেখা করার সম্মতি মিলবে পরিবার ও আত্মীয়দের। সুনীতাদের অবতরণের পরেই ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও দেখা দিয়েছে উন্মাদনা।

    নাসার সাংবাদিক বৈঠক

    মহাকাশচারীদের অবতরণের পরেই এদিন নাসার পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ভারতীয় সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিট নাগাদ এই সাংবাদিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। নাসার উপ সহযোগী প্রশাসক জোয়েল মনটালবানো ও কার্যক্রম সমন্বয় ব্যবস্থাপক বিল স্পিচ বলেন, ‘‘নাসার গর্বের সঙ্গীরা নিরাপদ ভাবে অবতরণ করেছেন। ৯ মাসে ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ১৫০টি বিষয়ের গবেষণা করা হয়েছে।’’

    কীভাবে ফেরত মহাকাশ থেকে

    নিরাপদে ফিরে এসেছেন সুনীতারা। প্রথমেই তাঁদের স্পেসক্রাফটের (SpaceX Crew 9) ইঞ্জিন চালু করা হয়। তা পৃথক হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে। এরপর তা ধাপে ধাপে নীচের কক্ষপথে নেমে আসে। এর গতিবেগকে কমিয়ে দেওয়া হয়। তার কারণ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে এই যানের গতি এমনিতেই বেশি হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই এই মহাকাশযানের সর্বোচ্চ গতি হয়ে যায় প্রতি ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এই বিপুল গতিতে ফিরতে স্বাভাবিকভাবে তীব্র ঘর্ষণ শুরু হয় মহাকাশযানে। এর ফলে এর তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এই কারণে তাপ প্রতিরোধক ব্যবস্থাও করা হয় যন্ত্রে। এই সময়ে মহাকাশচারীরা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পাঁচগুণ বেশি টান অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরে মহাকাশযান থেকে ক্যাপসুল ও বড় প্যারাসুটের মাধ্যমে সমুদ্রে সফট ল্যান্ডিং করানো হয় স্পেসএক্স-র যানকে।

    রবিবার মহাকাশে পৌঁছায় ইলন মাস্কের যান (SpaceX Crew 9)

    প্রসঙ্গত, ৫ জুন সুনীতাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার। কিন্তু পরে এই মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে সেখানেই আটকে পড়েন সুনীতারা। তার পর থেকে একাধিক বার তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বার বার তা নানা কারণে পিছিয়ে গিয়েছে। আট দিনের সফর দীর্ঘায়িত হয়েছে ন’মাসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেন গত জানুয়ারিতে। এরপরেই তিনি ইলন মাস্ককে সুনীতাদের বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেছিলেন। তার পর মহাকাশে স্পেসএক্সের যান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করা হয়। গত শনিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রকেটটি মহাকাশ স্টেশনে ডকিং করে। তাতে ছিলেন নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ। তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে এরপর পৃথিবীতে ফিরে এলেন সুনীতারা (Sunita Williams)।

  • Daily Horoscope 19 March 2025: কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 March 2025: কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ২) দায়িত্ব পালন নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে না এগোনোই ভালোে হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কুচক্রে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বায়ুপথে ভ্রমণ হতে পারে।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) বক্তা হিসাবে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের পাশে পাবেন।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • S Jaishankar: ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, ধর্মের প্রতি সম্মান ভারতীয় সমাজের মৌলিক দিক’, অভিমত জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, ধর্মের প্রতি সম্মান ভারতীয় সমাজের মৌলিক দিক’, অভিমত জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে বোঝার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল সাউথ এবং গণতন্ত্র। ভারত একটি এমন বিশ্বে অভিযোজন করেছে এবং পথ চলেছে যা “সবসময় আমাদের সদয়” এবং “সবসময় আমাদের প্রতি সহনশীল” ছিল না, তবে দেশটি তার ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এগিয়ে এসেছে, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার ‘রাইসিনা ডায়লগ’ (Raisina Dialogue 2025) অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কাশ্মীর দখল করে রাখার প্রসঙ্গে তুলে পাকিস্তানকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি।

    ভারতকে বুঝতে প্রয়োজন বিশেষ জ্ঞান

    ভারতের আসল অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার মতে, ভারতের বিষয়ে বোঝার জন্য তিনটি-চারটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, গ্লোবাল সাউথ, উপনিবেশবাদের পরিপ্রেক্ষিত, কারণ ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে বোঝার জন্য উপনিবেশী ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়া জরুরি। যখন আপনি স্বাধীনতা হারিয়ে ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেন, তখন তার সঙ্গে একটি মানসিকতা তৈরি হয়। তাই গ্লোবাল সাউথ একদম গুরুত্বপূর্ণ।” বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আরও বলেন, “দ্বিতীয়ত, আমরা ১৯৪০-এর দশকে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি আমরা এ বিষয়ে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, এবং ধর্মের প্রতি সম্মান—এটি আমাদের সমাজের মৌলিক দিক। কখনো কখনো আমরা নিজেদের মধ্যে এটা কিছুটা গুরুত্বহীন ভাবতে পারি, তবে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়।” বিশ্বের প্রতি ভারতের অভ্যন্তরীণ অভিযোজনের কথা তুলে ধরে জয়শঙ্কর বলেন, “তৃতীয়ত, আমি বলব, আমাদের এমন একটি পৃথিবীতে অভিযোজন করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে, যা সবসময় আমাদের প্রতি সদয় বা সহনশীল ছিল না। তবে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে গেছি। আজ, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে, পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, সম্ভবত এই দশকের শেষে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, আমাদের অবদান আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    প্রসঙ্গ কাশ্মীর

    কাশ্মীর (Kashmir) প্রসঙ্গে এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর। সেই হতাশাও এদিন ব্যক্ত করেছেন তিনি।

LinkedIn
Share