Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া হামলা এবং মন্দির ভাঙার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “একটা মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করে। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫০ জন হিন্দু কি ১০০টি মুসলিম পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করবে? না। বাংলাদেশ তার উদাহরণ। এর আগে পাকিস্তান এই উদাহরণ ছিল।”

    উত্তরপ্রদেশে সবাই সুরক্ষিত

    গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন যোগী (Yogi Adityanath)। সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে মুসলিমরা সবথেকে সুরক্ষিত। যদি হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকে, তবে ওরাও সুরক্ষিত থাকবে। ২০১৭ সালের আগে এখানে যদি কোনও দাঙ্গা হত, হিন্দুর দোকান পুড়ত, তবে মুসলিমদের দোকানও জ্বলত। যদি হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বলত, তবে মুসলিমদের বাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর দাঙ্গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যোগীর কথায়, “১০০ হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার থাকলে, তারা সুরক্ষিত। নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তাদের। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি? সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশই উদাহরণ। এর আগে উদাহরণ ছিল পাকিস্তান”

    মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

    সম্প্রতিই একাধিক রাজ্যে মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হিন্দু ধর্মীয় স্থানে মসজিদ তৈরি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন যে এটা ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সম্বলে যত সম্ভব মন্দির পুনরুদ্ধার করবেন তারা। যোগী বলেন, “সম্ভলে ৬৪টি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। আমরা ৫৪টির খোঁজ পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা খুঁজে বের করব। গোটা বিশ্বকে দেখাব, সম্ভলে কী হয়েছে।”

  • Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় আনল তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk 1A)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের জন্য আমেরিকা থেকে চলে এল এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines)। ওই ইঞ্জিনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই) অ্যারোস্পেস। প্রথম ইঞ্জিনটি মঙ্গলবার পাঠিয়েছে বলে তেজস নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড) জানিয়েছে।

    চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ

    হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০টি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জিই-র সঙ্গে ৯০টি এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিনের (F404 IN20 Engines) জন্যে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬১৫০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিল হ্যাল। প্রাথমিক ভাবে ২০২৩ সালের শেষপর্ব থেকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে পুরো প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এমনকি, ভারতকে ইঞ্জিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার বিধিনিষেধ বলবৎ করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনার হাতে শীঘ্রই তেজস

    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (Tejas Mk 1A) সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যালের। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines) সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। আগামী কয়েক বছরে ৩০০-রও বেশি তেজস (Tejas Mk 1A) যুদ্ধবিমান শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলিতে। কিন্তু সরবরাহ থমকে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং।

  • MGNREGA Corruption: বাংলায় মনরেগা তহবিল দুর্নীতিতে তছরুপ হওয়া অর্থের ৪০ শতাংশ উদ্ধার, সংসদে কেন্দ্র

    MGNREGA Corruption: বাংলায় মনরেগা তহবিল দুর্নীতিতে তছরুপ হওয়া অর্থের ৪০ শতাংশ উদ্ধার, সংসদে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের (MGNREGA Corruption) আওতায় ৪৪টি কাজে বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়ে। সেই কাজে তছরুপ হওয়া ৫.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে লোকসভায় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামীণ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতির (MGNREGA Corruption) অভিযোগ সামনে আসে। ভুয়ো কাজ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পাশাপাশি একই কাজকে দু-তিনবার দেখিয়ে টাকা আদায় করা, ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে টাকা আদায়- এমন ভুরি ভুরি অভিযোগে কারণে তিন বছর আগে এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয় মোদি সরকার। এরপরেই রাজ্যে একাধিকবার আসে কেন্দ্রীয় টিম। অডিটে ধরা পড়ে বিরাট দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় গ্রামীণ প্রতিমন্ত্রীর (Chandra Sekhar Pemmasani) পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্যও এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন মমতা সরকারকে।

    অনিয়ম হওয়া অর্থের ৪০ শতাংশেরও বেশি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কেন্দ্র

    মঙ্গলবারই দেশের সংসদ ভবনে এ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি সরকারের গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। নিজের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে (MGNREGA Corruption) ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে তহবিল। তখনই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, এই অপব্যবহার হওয়া তহবিলের ৪০ শতাংশেরও বেশি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কেন্দ্র। নিজের বক্তব্যে এনিয়ে পরিসংখ্যানও পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আনুমানিক ৫.৩৭ কোটি টাকার মধ্যে ২.৩৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩.০২ কোটি টাকা আদায় করতে বাকি আছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত দুর্নীতি ইস্যুতে অপব্যবহার নিয়ে এত সুনির্দিষ্ট বিবরণ লোকসভায় পেশ করল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন অমিত মালব্য

    এই ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। মঙ্গলবার তিনি এনিয়ে একটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। সেখানেই এই ইস্যুতে মমতা সরকারেক তুলোধোনা করেন মালব্য। সমাজমাধ্যমে বিজেপি নেতা লেখেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্য সরকার ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। একাধিক অনিয়ম সামনে এসেছে। চরম অব্যবস্থা রয়েছে এই প্রকল্পে। এই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অধীনে তহবিল আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছে।’’

    দুর্নীতির তদন্তে চার জেলায় আসে কেন্দ্রীয় দল

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শন করে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। নিজের পোস্টে এই ঘটনা উল্লেখ করে অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘২০১৯ এবং ২০২১ সালে একাধিক কেন্দ্রীয় দল পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছে। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি তদন্ত করেছে তারা। কেন্দ্রীয় দল চারটি জেলায় এই পরিদর্শন করে। এই জেলাগুলি হল, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দার্জিলিং, মালদা। পরিদর্শনের পরেই ব্যাপক অনিয়ম এবং আর্থিক অপব্যবহারের দিকটি সামনে আসে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনিক কর্তার নামও উঠে আসে। এর পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধেও দুর্নীতিযোগের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।’’

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

    অন্যদিকে মঙ্গলবার সংসদে একই ধরনের কথা বলতে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানিকে। নিজের বিবৃতিতে মঙ্গলবার সংসদে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু একাধিক অনিয়ম (MGNREGA Corruption) সামনে এসেছে। একাধিক জায়গায় অনিয়ম-দুর্নীতি চোখে পড়েছে। আমরা অডিটর পাঠিয়েছিলাম এবং মোট ৪৪টি জায়গাতে অনিয়ম ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৩৪টি জায়গা থেকে আমরা অর্থ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছি। বাকি দশটি জায়গা থেকে অর্থ উদ্ধার বাকি রয়েছে। লোকসভাতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই সমস্যাগুলির শীঘ্রই সমাধান করা হবে। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান পশ্চিমবঙ্গের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে এই সমস্যাগুলির সমাধান করবেন।

    ২০২২ সালের মার্চে তহবিল বন্ধ কে কেন্দ্রীয় সরকার

    প্রসঙ্গত, ৩ বছর আগেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের মার্চ মাসেই পশ্চিমবঙ্গে এর তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় ৭৫০৭.৮০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী তিনটি অর্থ বছরে তহবিল বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী লোকসভাতে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগেও ব্যাপক অনিয়ম সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের তহবিল স্থগিত থাকায়, এখানে গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছেন, দুর্নীতি করার স্বার্থে তৃণমূল উন্নয়নকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে এভাবেই। তৃণমূলের এই দুর্নীতির কারণে ফল ভুগতে হচ্ছে গ্রামের গরিব মানুষদের। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

    রাজ্যের কারণেই আটকে ১০০ দিনের কাজ, তো মালব্যর

    অন্যদিকে, অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমে দাবি করছেন, ‘‘কেন্দ্র সরকারের বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার দোষী এবং অভিযুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিতে চাইছে না বলেই বাংলায় ১০০ দিনের কাজ আটকে পড়েছে।’’ বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর মতে, ‘‘১০০ দিনের কাজের বিপুল দুর্নীতির কারণেই তহবিল আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার।’’ ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে এই তহবিল আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালব্য। নিজের পোস্টে অমিত মালব্য আরও বলেন, ‘‘২০০৫ সালে ১০০ দিনের কাজের যে প্রকল্প চালু হয়, তার ২৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী তহবিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’’ বিজেপি নেতার মতে, যা হয়েছে তা আইনিভাবেই হয়েছে।

    রাজ্য সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে, তোপ মালব্যর

    এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন অমিত মালব্য। বিজেপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে দরিদ্র মানুষ এবং প্রান্তিক শ্রমিকদেরকে। তাঁদের জীবনযাত্রার মূল্যে দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামের গরিব মানুষের অনেকেরই জীবিকা নির্বাহের জন্য ১০০ দিনের কাজের ওপর নির্ভর করতে হয়।’’ অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘এভাবে তহবিল বন্ধ করার জন্য সম্পূর্ণ দায় বর্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ওপর। যারা জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের রাজনৈতিক লুটকেই বেশি অগ্রাধিকার দেয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের যাবতীয় দুর্নীতি তদন্ত হবে এবং যে সমস্ত অর্থ অপব্যবহার করা হয়েছে তার পুরোটা উদ্ধার করা হবে।’’ এর পাশাপাশি দোষী অভিযুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদেরকেও জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছেন অমিত মালব্য।

  • Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নতুন অর্থ বিল ২০২৫ (Finance Bill)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এই নয়া অর্থ বিলকে করদাতাদের ক্ষেত্রে সুবিধেজনক বলে দাবি করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহে ১৩.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই বিল পাশ করা হয়েছে যা বাস্তবসম্মত। লোকসভায় (Lok Sabha) মঙ্গলবার এছাড়াও একাধিক বিল পাশ করানো হয়েছে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) সময়সীমা ২০২৫-এর বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নিম্ন কক্ষে বয়লার বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে।

    নয়া অর্থ বিলে সুবিধা

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেছেন যে এই বিল করের স্থিতিশীলতা (Tax Certainty) নিশ্চিত করতে এবং ব্যবসা করার সুবিধা (Ease of Doing Business) বাড়াতে আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে এই বিলে অভূতপূর্ব কর ছাড় (Tax Relief) দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশি সম্পত্তির উপর কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। সীতারামন বলেছেন যে, এই বিলটি (Finance Bill) ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত (Viksit Bharat 2047) গড়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে সরকার ট্যাক্স সংক্রান্ত একাধিক সংস্কার করেছে, যা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।

    অর্থ বিলে নানা বদল (Finance Bill)

    নয়া অর্থ বিলে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারি এবং মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের উপর থেকে আমদানি কর বাতিল করা হয়েছে। এখন বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারির ৩৫টি যন্ত্রাংশ এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ২৮টি যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে। আয়কর রিটার্নের ১৪৩ (১) ধারায় নয়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ এখন থেকে গত বছরের জমা করা আয়কর রিটার্নে ভুল সংশোধন করবে এবং আগামী রিটার্নে এগুলি সংশোধিত হবে। নয়া বিল (Finance Bill) অনুযায়ী ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপরে ৬ শতাংশ ডিজিটাল ট্যাক্স বাতিল করা হবে।

    প্রয়োজনীয় সংশোধনী

    নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে, এবার থেকে করদাতারা তাদের বছরে ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। গত কয়েক বছরে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহের হার ২০ শতাংশ হারে বেড়ে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে অনুমান করা হয়েছে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ হবে ১৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবর্ষের জন্য আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ হতে পারে ১২.২ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে ১১ হাজার ১৬২ জন করদাতা তাদের রিটার্ন সংশোধন করে বৈদেশিক সম্পদের ফর্ম পূরণ করে ১১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার সম্পদের ঘোষণা করেছেন।

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে বিতর্ক

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে পরিবর্তন করবে নতুন বিল (Finance Bill)। বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৫৩৬-এ নামিয়ে আনা হবে।’’ আয়করের নিয়ম সরল করবে নতুন বিল, এমনটাই মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। গত ১ এপ্রিল নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছিলেন তাতে বেশ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব এসেছিল। সেগুলির মধ্যে ৩৫টি গৃহীত হয়েছে। সেই সংশোধনী-সহ অর্থবিল (Finance Bill) হিসাবে বাজেটটি লোকসভায় পাশ হল। এর পর বাজেট রাজ্যসভায় পাশ হলেই বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাব। বাজেটে ৫০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, যা চলতি অর্থবর্ষের তুলনায় ৭.৪ শতাংশ বেশি।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ 

    লোকসভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) রিপোর্ট পেশ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। JPC-র চেয়ারম্যান পিপি  চৌধুরী (PP Chaudhary) সংবিধান (১২৯তম সংশোধন) বিল ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল ২০২৪-এর উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য সময়সীমা ২০২৫ সালের বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন, যা লোকসভা মঞ্জুর করেছে। সরকারের দাবি, এই বিল দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে, যার ফলে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানো সম্ভব হবে।

    বয়লার বিল 

    লোকসভায় বয়লার বিল-ও পাশ হয়েছে, যা এর আগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে অনুমোদন পেয়েছিল। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) এই বিলটি পেশ করেন। সরকারের বক্তব্য, এই বিল ব্যবসা করার সুবিধা বাড়াতে আনা হয়েছে, যা এমএসএমই সেক্টরের বয়লার ব্যবহারকারীদের সুবিধা দেবে। এই বিলে একাধিক পুরনো নিয়ম বাতিল করা হয়েছে এবং জন বিশ্বাস অ্যাক্ট ২০২৩-এর অধীনে অপরাধের জন্য শাস্তির নিয়ম সরল করা হয়েছে।

  • BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরগরম বাংলার রাজনীতি। এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্ত। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ, বাংলার ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে তৃণমূল। এনিয়ে কৃষ্ণনগরের ঘটনা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি,  ওই এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রহমান শেখের নির্দেশে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে বাদ দিচ্ছে তৃণমূল।

    তৃণমূল সরকারের (TMC) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অমিতের মালব্যর

    মঙ্গলবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, ‘‘তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে।’’ এক্ষেত্রে অমিত মালব্য সীমান্ত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বিজেপি যে স্থানগুলিতে শক্তিশালী সেখানেই এমনটা করছে প্রশাসন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘নদিয়া, যেখানে বিজেপির সংগঠন শক্ত, সেখানে আব্দুল রহমান শেখের থেকে একটি অনুরোধ পেয়ে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) সেদিনই ভোটার তালিকা থেকে ৯৮ জন হিন্দুর নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।’’ তাঁর নিজের দাবির স্বপক্ষে অর্ডারের ছবিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কার্যকলাপ চলছে। ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিডিও-রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন মুসলিমরা তাঁকে ব্যাপকভাবে রাজ্যে ভোট দেয়। হিন্দুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’’

    সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আবদুর রহিম শেখ তিনি নাকি তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট, না কী নেতা আছেন! তিনি টুসি ঠাকুর, অমিত কুমার ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, কমলা মণ্ডল, সবিতারানি সরকার এই ভাবে একা ৯৭টা নাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। প্রথমত, এভাবে অভিযোগ করা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, অবিলম্বে কৃষ্ণনগরের বিডিওকে বহিষ্কার করতে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সাদা কাগজে দরখাস্ত দিলে যদি বিডিও তার তদন্ত করেন এবং এই হিন্দু ভোটারদের ডিস্টার্ব করেন, তাহলে আমরা এই বিডিওকে সাসপেন্ড করার জন্য বলব। কারণ, এই কাজটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাজ নয়। এটা ইসিআইয়ের কাজ। বিডিও তাঁর লিমিটেশন ক্রস করছেন। এটা হচ্ছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে। আমরা কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের এই ৯৮ জনকে নিয়ে ধর্নাও দেব, কোর্টেও যাব। এই বিডিওর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। এই ৯৮ জনকে আবেদন করব, রেসপন্স করবেন না। এটা যথার্থ ফর্ম নয়।’’

    পরিকল্পনা করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রীতিমতো পরিকল্পনা করে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার ছবি সহ প্রমাণও তুলে ধরেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্তের অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায় উঠে আসে, কৃষ্ণনগরের ঘটনা। পরিকল্পনা করে সীমান্তবর্তী জেলা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। এনিয়ে শাহি দরবারে অভিযোগও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বেশ কিছু হিন্দু ভোটারদের কাছে নট ইন্ডিয়ান বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এবার একসঙ্গে একটা বড় অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ করে তুলতে কোনও খামতি রাখছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একদিকে যেমন হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বানানোর চক্রান্ত

    সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর স্বপ্ন দেখা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আরও মারাত্মক একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা অঞ্চলের বাসিন্দা শহিদুল বিশ্বাস, তার নাম রয়েছে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়।’’ সুকান্তর মতে, ‘‘শুধু একজন শহিদুল নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীদের সম্মানের সঙ্গে ভোটার তালিকায় সংযোজিত করেছে তৃণমূল।’’

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Mehul Choksi: তাঁদের দেশেই রয়েছেন মেহুল চোকসি, জানাল বেলজিয়াম, কেন বিলম্ব প্রত্যর্পণে?

    Mehul Choksi: তাঁদের দেশেই রয়েছেন মেহুল চোকসি, জানাল বেলজিয়াম, কেন বিলম্ব প্রত্যর্পণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলজিয়ামেই রয়েছে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)! তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত বেলজিয়াম। এমনটাই জানাল সে দেশের সরকার। ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের বিষয়টি একইসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্ব ও মনোযোগ সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন বেলজিয়ামের (Belgium) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র?

    একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বেলজিয়ামের ফেডেরাল পাবলিক সার্ভিসের (এফপিএস) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র ডেভিড জর্ডেন্সের কাছে মেহুলের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। যদিও এই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারি না। এই বিষয়টি এফপিএস-এর বিচারকের অধীনে পড়ে।’’ তার পর তিনি আরও বলেন, বেলজিয়াম সরকার পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

    কেন বিলম্ব হচ্ছে প্রত্যর্পণ

    জানা গিয়েছে, মেহুলের (Mehul Choksi) স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামেরই নাগরিক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেছেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সূত্রে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে বেশে কিছু শর্ত মেনে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে মেহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো কাগজপত্র জোগাড় করে তিনি বেলজিয়ামে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। নানা কৌশলে ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টাও করে চলেছেন তিনি।

    মেহুলের (Mehul Choksi) বিরুদ্ধে অভিযোগ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে মেহুলের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাঁর। এর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান মেহুল। এদেশের সিবিআই এবং ইডি, উভয় সংস্থাই তাঁকে খুঁজছে। জানা যায়, আগে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা ও বারবুডায় ছিলেন মেহুল। সেখানকারও নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর কাছে। সেখান থেকে মেহুলকে ভারতে ফেরানো যায়নি। এর পর ২০২১ সাল নাগাদ, আচমকা, সেখান থেকে উধাও হয়ে যান মেহুল। সম্প্রতি, বেলজিয়ামে মেহুলকে দেখতে পাওয়ার পরই ফের তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার।

  • Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে ফের খতম ভারত-বিরোধী জঙ্গি। জানা গিয়েছে, হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি কারি শাহজাদাকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে করাচিতে। ২৪ মার্চ সকালে করাচির খরিয়াবাদ এলাকাতে এই ঘটনা ঘটে। জমিয়ত-উলেমায়ে-হিন্দ বলে একটি সংগঠনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এই শাহজাদা। তাঁকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।

    মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই গুলি (Hafiz Saeed)

    জানা গিয়েছে, সোমবার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত মাসে যেভাবে পাঁচজন জমিয়তে-উলেমায়ে-ইসলামের (Qari Shahzada) নেতাকে খুন করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও একই কায়দা অনুসরণ করা হয়েছে। শাহজাদার এই হত্যাকাণ্ড এখন আর কোনও গোপন ঘটনা নেই। সর্বত্র চর্চা চলছে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এর ফলে বেশ চাপেও পড়েছে পাকিস্তানের সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য কোনও জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের (Hafiz Saeed) গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানে এবং এর সবটাই করছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এর আগেও একাধিকবার এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই এই ঘটনা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাক সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগ।

    পাকিস্তানে ছড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা দফতরের ওপরেও প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে এসেছে তাদের ব্যর্থতা। ব্যাপক সমালোচনার শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডকে পাক গোয়েন্দারা কেন আগে থেকে রোধ করতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কারি শাহজাদাকে খতম করার এই ঘটনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তাপও ছড়িয়েছে। বিরোধী নেতারা দাবি তুলছেন যে, পাকিস্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা এই ধরনের ঘটনাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তথা প্রশাসন এবং সরকারের ব্যর্থতা বলেই তোপ দাগছেন।

  • Daily Horoscope 26 March 2025: বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 26 March 2025: বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি সমস্যায় পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কাজকর্মে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    ৩) কড়া হাতে সমস্যার মোকাবিলা ও তার সমাধান বের করুন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ।

    ২) কাজকর্মে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) সারাদিনে প্রচুর সাফল্য লাভ করতে পারবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো কাটবে।

    ২) নতুন ও অভিনব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) আনন্দ ও সন্তুষ্টির স্তর উচ্চপর্যায়ে থাকবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন হবে।

    ২) মনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা আসবে।

    ৩)  পারিবারিক বিষয়ে চিন্তিত থাকবে।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজে মনোনিবেশ করুন।

    ৩) নানান সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো কাটবে।

    ২) পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সমস্ত কাজ পূর্ণ করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) কাজকর্ম বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার কর্মশৈলী দেখে বরিষ্ঠরাও প্রভাবিত হবে।

    ৩) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) অনিশ্চয়তা ও সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    ৩) ব্যবসায় মনোনিবেশ করুন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) অর্থ আগমন হবে।

    কুম্ভ

    ১) আজ চিন্তিত থাকবেন।

    ২) কাজকর্মে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) লক্ষ্য লাভের চেষ্টা করা জরুরি।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি সম্ভব।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যক্ষ্মা দূরীকরণে (India TB Elimination Campaign) জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর গড় মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। যক্ষ্মা রোগীদের আরও একাধিক রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি— এগুলিই যক্ষ্মার উপসর্গ। ভারত সরকার যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান আরও সম্প্রসারণ করছে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানান, দেশব্যাপী ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান চালায় সরকার। এই অভিযান চলাকালীন মোবাইল স্ক্রিনিং ইউনিট, যেমন হাতে ধারণযোগ্য এক্স-রে মেশিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্টিং (NAAT), দুর্গম এবং অবহেলিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা সেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়েছে। সারা দেশে এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৩.৪৬ লক্ষ শিবির আয়োজন করা হয়েছে। যক্ষ্মা চিকিৎসার কভারেজ ৫৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫% হয়েছে। ৫,০০০ বিধায়ক এবং ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। নাড্ডা আরও জানান, তারা এই উদ্যোগটি সারা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে কোনো রোগী অবহেলিত না থাকে। এই অভিযানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক সমর্থন মিলেছে। ২২টি মন্ত্রক এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে। ৩,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি সচেতনতা এবং প্রতিরোধ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

    যক্ষ্মা দূরীকরণে সরকারের ভূমিকা

    নাড্ডা (India TB Elimination Campaign) বলেন, “যক্ষ্মা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ” তিনি আরও জানান, ভারত যক্ষ্মা গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সময় ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর মেশিনগুলো এখন যক্ষ্মা নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা (ICMR) দ্বারা উন্নীত দেশীয় ডায়াগনস্টিক কিটগুলো ৩২টি পরীক্ষা একসঙ্গে করতে সক্ষম। যা যক্ষ্মা নির্নয়ের খরচ কমিয়েছে। এআই-চালিত হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে মেশিনগুলি উপসর্গবিহীন যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।নাড্ডা একটি ডিজিটাল কফি টেবিল বুকও চালু করেছেন, যেখানে ‘ডিফারেনশিয়েটেড টিবি কেয়ারের উপর নির্দেশিকা ডকুমেন্ট’ শিরোনামে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রদান করে।

LinkedIn
Share