Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দিল্লিতে বসছে তিনদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক (Prant Pracharak Baithak)। দিল্লিতে আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। উপস্থিত থাকবেন সকল সহ-সরকার্যবাহ, কার্যবিভাগের প্রধান এবং আরএসএস-অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠনের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক। এছাড়া দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ-প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ-ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক (Prant Pracharak Baithak) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হবে। এটি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সভা নয়। আলোচনাগুলি বিভিন্ন প্রান্তে সাংগঠনিক কাজের অগ্রগতি এবং অভিজ্ঞতার চারপাশে আবর্তিত হবে।

    ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকর জানান, এই সভার মূল লক্ষ্য হল শতাব্দী বর্ষ (শতবর্ষ)। সমস্ত প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজ নিজ রাজ্যে পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে। যা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। সভার (Prant Pracharak Baithak) পরে এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

    বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা

    মার্চ থেকে সারা দেশে ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি ৪০ বছরের কম বয়সি স্বয়ংসেবকদের জন্য এবং ২৫টি ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়সিদের জন্য। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির সময়, সেবা বিভাগ (পরিষেবা বিভাগ) সহ বিভিন্ন কার্য বিভাগগুলি বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর পাশাপাশি, স্বয়ংসেবকরা স্থায়ী প্রকল্পের (স্থায়ী সেবা প্রকল্প) সঙ্গেও জড়িত এবং দুর্যোগের সময় ত্রাণ কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা পুরী জগন্নাথ রথযাত্রা এবং আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছিলেন। সভায় বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে। প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।

    শতাব্দী বর্ষে বছরব্যাপী উৎসব নিয়ে আলোচনা

    ২ অক্টোবর নাগপুরে বিজয়াদশমী উৎসবের মাধ্যমে সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে শতাব্দী বর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো এক বছর চলবে শতাব্দী বর্ষের অনুষ্ঠান। একই দিনে, সারা দেশে শাখা, মণ্ডল এবং বস্তি (ইউনিট, সার্কেল এবং স্থানীয়) স্তরে উদযাপন করা হবে। স্বয়ংসেবকরা একটি গৃহ যোগাযোগ অভিযান (ঘরে-ঘরে যোগাযোগ অভিযান) পরিচালনা করবেন, যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি যাবেন, সংঘ সাহিত্য (আরএসএস সাহিত্য) বিতরণ করবেন এবং আলোচনা করবেন।

    সারা দেশে নগর/খণ্ড (বিভাগ) স্তরে, সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক (সামাজিক সম্প্রীতি সভা) আয়োজন করা হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ একত্রিত হয়ে সামাজিক কুফল দূর করে এবং সম্প্রীতি ও ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, জেলা কেন্দ্রগুলিতে (জেলা কেন্দ্রগুলিতে), প্রধান নাগরিক গোষ্ঠী (বিশিষ্ট নাগরিক সেমিনার) অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশগুলিতে হিন্দুত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হবে। শতাব্দী বর্ষ উপলক্ষে যুবসমাজের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়ে বিশেষ কর্মসূচিও আয়োজন করা হবে।

    আরএসএস (RSS) নিয়ে যুবসমাজে উৎসাহ

    অম্বেকর বলেন, সংঘ সম্পর্কে জানতে এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সমাজে কৌতূহল এবং উৎসাহের এক দৃশ্যমান ঢেউ দেখা যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী সংঘে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই বছরের প্রশিক্ষণ বর্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যুবসমাজের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়া, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে, “জয়েন আরএসএস” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২৮,৫৭১ জন অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন।

  • Daily Horoscope 04 July 2025: ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 July 2025: ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কর্মস্থানে সহকর্মীদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) বাইরের লোকের জন্য দাম্পত্য কলহ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেডার প্রযুক্তিতে বিরাট লাফ দিতে চলেছে ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এমন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেডার তৈরি করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখবে। আর এই বৈল্পবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেডারের নাম হল ‘ফোটনিক রেডার’ (Photonic Radar)। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO) অধিনস্থ সংস্থা ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (আইআরডিই)। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, শীঘ্রই হবে এর পরীক্ষা। তার পর আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করার কাজ শুরু হবে।

    এই ফোটনিক রেডার ঠিক কী?

    সাধারণত, ভারত সহ সবকটি উন্নত দেশ যে রেডার বর্তমানে ব্যবহার করে, তা হল এইএসএ প্রযুক্তির। পুরো অর্থ অ্যাকটিভ ইলেকট্রোনিক্যালি স্ক্যানড্ অ্যারে। এই ধরনের রেডারগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে। এই সব রেডারে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মাধ্যমে বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু, ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) এখানে সবার চেয়ে আলাদা। এটি কোনও সাধারণ রেডার নয়। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিকের বদলে ফোটনিক ব্যবহার করে। অর্থাৎ এতে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলো (লেজার বা অপটিক্যাল সিগন্যাল) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই রেডার বহু গুণ বেশি শক্তিশালী, দ্রুত ও নির্ভুল।

    কীভাবে কাজ করে ফোটনিক রেডার?

    বর্তমান রেডার সিস্টেমগুলি বস্তু সনাক্ত করার জন্য রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কাজ করে। তবে, এই সিস্টেমগুলি স্টেলথ বিমান সনাক্তকরণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ, স্টেলথ বিমানগুলির শরীরে এমন বিশেষ ধরনের কোটিং করা থাকে, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) সংকেত এড়াতে বা শোষণ করতে সক্ষম। ফলে, তরঙ্গগুলি রেডারে ফিরে আসে না। যার জেরে, রেডারে বিমানগুলি ধরাও পড়ে না। অন্যদিকে, ফোটনিক রেডারগুলি আলোক বা লেজার তরঙ্গ বিকিরিত করে। অর্থাৎ, বর্তমান সার্কিটের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় লাইট-ভিত্তিক উপাদান। এই লেজার তরঙ্গ বা ওয়েভ সংকেতগুলি উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলিও সনাক্ত করতে সক্ষম।

    ফোটনিক রেডারে সিগন্যাল তৈরি হয় লেজার লাইটের মাধ্যমে। এখানে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল তৈরির জন্য ২টি লেজারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স বা বিটিং করা হয়। ইলেকট্রনিক রেডারের মতো ট্র্যাডিশনাল সিগন্যাল জেনারেটর ব্যবহার হয় না — এখানে আলো দিয়েই রেডার সিগন্যাল তৈরি হয়। যে কারণে, ফোটনিক রেডার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান প্রদান করতে চলেছে বলে বিশ্বাস প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

    ফটোনিক রেডারের (Photonic Radar) বিশেষত্ব

    ফটোনিক রেডার খুব বেশি ব্যান্ডউইথে কাজ করতে পারে, ফলে “অত্যন্ত কম রেডিও ক্রস-সেকশন” লক্ষ্যবস্তু যেমন স্টেলথ বিমানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আরসিএফ হল ০.০১ বর্গমিটার। যা একটা পাখির সমান। ফলে, সাধারণ রেডারে এই বিমান ধরা পড়ে না। যেহেতু ফোটনিক রেডার লেজার প্রযুক্তি বা আলোর কণা ব্যবহার করে, তাই ইলেকট্রনিক রেডারের তুলনায় অনেক দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যেহেতু ফটোনিক রেডার (Photonic Radar) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে, তাই একে জ্যাম করা কঠিন, এবং শত্রুপক্ষ সহজে এর সিগন্যাল ধরতে পারে না। এটি একসঙ্গে ট্র্যাক, স্ক্যান, জ্যাম এবং যোগাযোগ ফাংশন চালাতে সক্ষম। অপটিক্যাল উপাদান ব্যবহারের কারণে এটি ছোট ও হালকা হয়, যা ফাইটারের জন্য আদর্শ।

    বিশ্বে ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা

    বর্তমানে চিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কিন্তু ডিআরডিও এই প্রযুক্তি হাতে আনতে পারলে, এটি হবে ভারতের জন্য একটি বিরাট লাফ। ভারতীয় বায়ুসেনা এই রেডার রাফাল, সুখোই-৩০ ও তেজস যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে, এটি ভারতকে স্টেলথ প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের যুগে রেডার-সেন্সর এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যুদ্ধশৈলীতে প্রবল শক্তিশালী করে তুলবে। যা জানা যাচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানে বসিয়ে এই ফোটনিক রেডারের ফ্লাইট-টেস্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ডিআরডিও (DRDO)। ইতিমধ্যেই ফোটনিক সিগন্যাল জেনারেটর, অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার এবং রেডার হেড-এর প্রোটোটাইপগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভারত দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) হাতে পাবে।

    ভারত যদি এই রেডার মোতায়েনে সফল হয়, তাহলে চিন, আমেরিকা তাদের স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে যে আস্ফালন করে, তা এক লপ্তে ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এশিয়া তথা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে যে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে, তা বলা বাহুল্য। এখন, ভারত কত দ্রুততার সঙ্গে এই যুগান্তকারী রেডার প্রযুক্তি সম্পূর্ণ করায়ত্ত এবং মোতায়েন করতে পারে, সেটাই দেখার।

  • Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং এইমসের বিশদ গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) এবং কোভিড-১৯ পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র নেই। দেশে ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই গবেষণাটি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, কোভিড ভ্যাকসিন এবং অল্পবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে জীবনযাপন এবং আগে থেকে থাকা শারীরিক অসুস্থতাই এই আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ।

    কেন এই মৃত্যু

    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর যৌথভাবে পরিচালিত বিস্তৃত গবেষণায় এটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে কোভিড-১৯ টিকা (Covid Vaccine) গ্রহণ এবং টিকা পরবর্তী প্রাপ্তবয়স্কদের হঠাৎ মৃত্যুর মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষ যোগসূত্র নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইসিএমআর ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC)-এর গবেষণাগুলি প্রমাণ করে যে ভারতে ব্যবহৃত কোভিড টিকাগুলি নিরাপদ ও কার্যকর। খুবই বিরল কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, হঠাৎ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু একাধিক কারণে হতে পারে—যেমন জিনগত কারণ, জীবনধারা, পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা এবং কোভিড-পরবর্তী জটিলতা।

    দুটি পৃথক গবেষণা

    এই বিষয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে দুটি পৃথক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে—একটি পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং অন্যটি চলমান রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে। প্রথম গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে টিকাকরণ (Covid Vaccine) হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় না। এইমস, নয়াদিল্লি কর্তৃক পরিচালিত দ্বিতীয় গবেষণাটি এখনও চলছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, এই বয়সের মানুষের হঠাৎ মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদ্‌রোগ বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং আকস্মিক মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চূড়ান্ত প্রমাণ ছাড়া এমন দাবি অথবা ভাবনা জনসাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন সম্পর্কে অনাস্থা তৈরি করতে পারে। যা অতিমারীর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বেশি জরুরি।

  • Calcutta High Court: ‘রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ইউনিয়ন রুম আজ থেকে বন্ধ’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ইউনিয়ন রুম আজ থেকে বন্ধ’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ঘটনার পর শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা আতসকাচের তলায়। তার ওপর বহুকাল ধরে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট হয়নি। অথচ হই হই করে চলছে কলেজের ইউনিয়ন রুম!  এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলাতেই বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল আদালত।

    সব কলেজের ইউনিয়ন রুম বন্ধ!

    গত ২৫ জুন কসবার ল’ কলেজের ইউনিয়ন রুমে এক ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রে এই অভিযোগও সামনে আসে যে রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নরুমে বহিরাগতদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যতদিন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ থাকবে। জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হবে। নয়তো ইউনিয়ন রুম তালাবন্ধই থাকবে। এই মর্মে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে নোটিশ জারি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।

    ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য?

    এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতিদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, কোনও নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন চলছে কলেজগুলিতে, যা বেআইনি। এরপরেই, গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধের নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। একইসঙ্গে, ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? হলফনামা দিয়ে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কসবা মামলায় কেস ডায়েরি জমার নির্দেশ

    অন্যদিকে, কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে তদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজকেও হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • India vs England: দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত! একাধিক নজির, শুভমনের শতরানে ভালো জায়গায় ভারত

    India vs England: দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত! একাধিক নজির, শুভমনের শতরানে ভালো জায়গায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে দলকে জয় দিতে না-পারলেও ব্যাট হাতে এসেছিল শতরান। ইংল্যান্ড (India vs England) সফরের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত গিল। লিডস টেস্টের পর বার্মিংহ্যামেও ধ্রুপদী শতরান এল ভারত অধিনায়কের ব্যাটে। আর ক্যাপ্টেনের ব্যাটেই পাঁচ উইকেটের ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন ঘুরে দাঁড়াল ভারত। অপরাজিত ষষ্ঠ উইকেটে ৯৯ রানের জুটি। ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধসে পড়তে পারত ভারতের ইনিংস। বিশেষ করে প্রথম টেস্টে যে ভাবে মিডল এবং লোয়ার-মিডল অর্ডার ব‍্যর্থ হয়েছিল। সেখান থেকে পরিস্থিতি সামলালেন অধিনায়ক শুভমন গিল (Shubhman Gill) ও রবীন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩১০। দিনের শেষে ১১৪ রান করে শুভমন এবং ৪১ রান করে জাদেজা অপরাজিত রয়েছেন।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    অধিনায়ক (India vs England) হিসেবে প্রথম দু’টি টেস্টে সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়ে বুধবার বার্মিংহ্যামে গিল স্পর্শ করলেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর এবং বিরাট কোহলিকে। এই তালিকার শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা অ্যালিস্টার কুক (পাঁচ)। তারপর আছেন স্টিভ স্মিথ (তিন)। আর তারপর যুগ্মভাবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দুটি টেস্টে শতরান হাঁকানোর খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন বিজয় হাজারে, জ্যাক ম্যাকগ্লিউ, সুনীল গাভাসকর, বিরাট কোহলি এবং গিল। চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা তিনটি টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি এল গিলের ব্যাটে। ধর্মশালা (2024) এবং লিডসে (2025) এর আগের দু’টি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের রান করেছিলেন পাঞ্জাব ক্রিকেটার। এই নজির গড়ে গিল মহম্মদ আজহারউদ্দিন, দিলীপ বেঙ্গসরকর এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বসে পড়লেন একাসনে। আর বার্মিংহ্যামে শতরান করা ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল। এর আগে একমাত্র ভারত অধিনায়ক হিসেবে ২০১৮ সালে এই ভেন্যুতে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডে প্রথম দিনেই দু’বার শতরান হাঁকানোর নজির গড়লেন শুভমন।

    ঝলমলে যশস্বীর ব্যাটও

    ইংল্যান্ডের (India vs England) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৩ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও একটি নজির গড়েছেন তিনি। তরুণ ওপেনার ব্যাটারের ব্যাটে ভেঙে গিয়েছে ৫১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৭৪ সালে এজবাস্টনে মাইক ডেনেসের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সুধীর নায়েক। এত দিন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের এই মাঠে কোনও ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটারের খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল সেটাই। বুধবার ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সুধীরের সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন যশস্বী। এজবাস্টনে টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ওপেনারদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন যশস্বী। দ্বিতীয় স্থানে চলে গেলেন সুধীর। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৯৭৯ সালে সুনীল গাওস্করের ৬৮ রানের ইনিংস।

    বুমরাহীন দলে ভরসা ব্যাটাররাই

    টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে প্রথম দু’ম্যাচে শতরান করলেও, টস হারলেন শুভমন গিল (Shubhman Gill)। ইংল্যান্ড (India vs England) টসে জিতে প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিডসে পরাজয়ের পর এজবাস্টনে সমতা ফেরানোর লড়াই টিম ইন্ডিয়ার। যদিও দ্বিতীয় ব্যাট করা দল এজবাস্টনে শেষ চারটি টেস্টের প্রতিটিতেই জিতেছে। এখানে ভারতের অতীতও ভালো নয়। তার ওপর দলে নেই ভারতের ব্রহ্মাস্ত্র বুমরা। টসের পর এদিন অধিনায়ক শুভমন জানিয়েছেন, তাঁদের মনে হয়েছে লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে পিচ থেকে বেশি সাহায্য পাবেন বুমরা। তাই তাঁকে সেখানে খেলানো হবে। কিন্তু লর্ডসে যাওয়ার আগে যদি ভারত ০-২ পিছিয়ে পড়ে, তা হলে বুমরা তৃতীয় টেস্টে একা কী করবেন? সে ক্ষেত্রে তো সিরিজ জিততে হলে বাকি তিনটে টেস্টই জিততে হবে ভারতকে।

    অভিজ্ঞতার অভাব প্রকট

    এজবাস্টন টেস্টে (India vs England) প্রথম দিনের শেষে আরও ভালো জায়গায় থাকা উচিত ছিল ভারতীয় দলের। বার্মিংহামের ২২ গজে ব্যাট করা কঠিন নয়। বল পিচে পড়ে ভালো ভাবে ব্যাটে আসছে। আকাশও মেঘলা ছিল না। পরিবেশ ব্যাটারের জন্য কঠিন ছিল না। তবু অকারণে পরিস্থিতি কঠিন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। করুণ নায়ার (৩১) দ্বিতীয় টেস্টেও ভরসা করার মতো খেলতে পারলেন না। নীতীশ কুমার রেড্ডি (১) ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে আউট হলেন বলের লাইন-লেংথ বুঝতে না পেরে। অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলও এ দিন ব্যর্থ (২)। সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (২৫) উইকেট উপহার দিলেন অহেতুক আগ্রাসী হতে গিয়ে। শুভমন-যশস্বী-জাদেজা ধরে না খেললে দিনের শেষে কোহলি-রোহিতদের অভিজ্ঞতার অভাব ফের প্রকট হত ভারতীয় দলের সাজঘরে।

  • PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মোদি ম্যাজিক ঘানায়। তিন দশকে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানায় পা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Ghana)। সে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার পঞ্চদেশ সফরের প্রথমে ঘানা গিয়েছেন তিনি। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আক্রার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে স্বাগত জানান ঘানার কচিকাঁচারা।

    ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তি

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগেই বুধবার ঘানা গিয়েছেন তিনি। এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা’ (Officer of the Order of the Star of Ghana) প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন,‘‘ঘানার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি প্রেসিডেন্ট মাহামা, ঘানা সরকার এবং ঘানার জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই সম্মান গ্রহণ করছি। এই সম্মান আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি এবং ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সম্মানের ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।

    উষ্ণতার আলিঙ্গন

    আক্রায় পা রেখেই এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্টও। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘানার মাটিতে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন প্রেসিডেন্টের বিমানবন্দরে আসা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। যৌথ বিবৃতি জারি করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত-ঘানা বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, সংগ্রাম এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন। যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’’

    গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বুধবারই ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তিনি ঘানাকে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার “আশার আলো” হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ আমরা ঘানার জন্য আইটেক (ITEC) এবং আইসিসিআর (ICCR) স্কলারশিপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তরুণদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে। কৃষি খাতে, আমরা প্রেসিডেন্ট মহামার ফিড ঘানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হব।’’ এর পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘানার নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন মোদি। ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোড়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।  মোদি বলেন, “ভারত শুধু ঘানার উন্নয়নের অংশীদার নয়, সহযাত্রী। ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানায় ৯০০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আজ আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি।” ফিনটেক (FinTech) খাতে, ঘানার সঙ্গে ভারতের ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মোদি। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও খননের ক্ষেত্রেও ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করাকে “গর্বের বিষয়” বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের কাছে ঘানার প্রধান রফতানি পণ্য সোনা। ঘানা বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং মোদি এই বিষয়ে ঘানাকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘানার সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন যে, দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশে দৃষ্টিভঙ্গি এক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” “ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা” মন্ত্রে দুই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান মোদি। এই খাতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ঘানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ, টোবাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।

  • Daily Horoscope 03 July 2025: নতুন সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 03 July 2025: নতুন সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপনার পক্ষে আসবে।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য অলংকার ও পোশাক কিনতে পারেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি মিশ্র ফলাফল প্রদান করবে।

    ২) নতুন কাজ শুরুর পরিকল্পনা করে থাকলে তা আজ করতে পারেন।

    ৩) নতুন চুক্তির দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    মিথুন

    ১)  মিথুন রাশির জাতকদের আজকের দিনটি ভালো।

    ২) নিজের দায়িত্বপূরণ করতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত থাকবেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল থাকবে।

    ২) কাজ করার আগে বাবার পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

    ৩) আপনার তেজ দেখে শত্রু পরাজিত হবে, তাঁরা নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া করেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

    সিংহ

    ১) নিজের ভালো চিন্তাভাবনার দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ২) গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

    ৩)  কর্মক্ষেত্রের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করবেন।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন, এর ফলে একাধিক সমস্যা দূর হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

    তুলা

    ১) অপ্রত্যাশিত লাভ হওয়ায় মন আনন্দিত হবে।

    ২) স্বাস্থ্যের বিষয়ে গাফিলতি করবেন না।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে দিন কাটাতে হবে।

    ২) দাম্পত্য জীবনে আনন্দ থাকবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি ব্যয়বহুল।

    ২) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নেবেন না।

    ৩) সীমিত আয় থেকে বুঝে শুনে ব্যয় করুন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) পরীক্ষার ফলাফলে আনন্দিত হবেন।

    ৩) মামাবাড়ির তরফে আর্থিক লাভ হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজ কিছু নতুন সম্পত্তি ক্রয় করবেন।

    ২) ব্যক্তিগত বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

    ৩) প্রিয়জনদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।

    মীন

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁদের আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) কোনও দোটানা ছাড়া নিজের কাজে অগ্রসর হবেন।

    ৩) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয় এবার আমেরিকা। ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (Iskon Temple Attack) চলল গুলি। আমেরিকার ইউটাহ্ প্রদেশের স্প্যানিশ ফর্ক শহরের ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (ISKCON Sri Sri Radha Krishna Temple in Spanish Fork) গুলিবর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি চলেছে এই বিখ্যাত মন্দির চত্বরে। পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, এটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ। ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ প্রদেশে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে গুলি চালানোর ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    ভক্তদের উপস্থিতিতেই গুলি

    ইসকনের (Iskon Temple Attack) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনে মন্দির চত্বরে ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্দিরের বেশ কিছু মূল্যবান কাঠের কারুকার্য ও স্থাপত্য। ঘটনার সময় মন্দিরের ভিতরে ভক্ত ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও প্রাণহানির খবর না থাকলেও, বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। ইসকনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৮ জুন রাতে মন্দির চত্বর থেকে বিকট শব্দ ও ধোঁয়া লক্ষ্য করেন মন্দিরে উপস্থিত সকলে। পরের দিনে মন্দিরের জানালা এবং আর্চের অংশে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ঠিক বাইরে থেকে ২০টিরও বেশি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিদ্বেষমূলক এই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। এর আগে একাধিক ঘটনায় আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই খালিস্তানিরা কালি দিয়ে মন্দিরের দেওয়ালে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখেছে বা ভাঙচুর চালিয়েছে। এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা এর আগে সাম্প্রতিককালে ঘটেনি।

    ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া

    সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতের কনস্যুলেট এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, “আমরা ইউটাহ্ শহরের স্প্যানিশ ফর্কের ইসকন মন্দিরে (Iskon Temple Attack) গুলি চালানোর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা সকল ভক্ত ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” এর আগেও, চলতি বছরের মার্চ মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসের বিখ্যাত বিএপিএস (Bochasanwasi Akshar Purushottam Swaminarayan Sanstha) মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে ‘খালিস্তান গণভোট’-এর যোগ ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলো বারবার এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে এসেছে। কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই হামলা পরিকল্পিত এবং এটি সরাসরি ঘৃণার ফলাফল।” উল্লেখ্য, দুই দশকের পুরনো এই ইসকন মন্দির দোল-খেলার জন্য পরিচিত।

  • BJP: হাতেখড়ি এবিভিপিতে, ’৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য

    BJP: হাতেখড়ি এবিভিপিতে, ’৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের দায়িত্ব পেতে চলেছেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। সর্বসম্মতিক্রমে দলের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে বুধবার, মনোনয়ন দাখিল করেন শমীক। রাজ্য সভাপতি হিসেবে ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (BJP) পুরনো মুখ হিসেবেই তাঁর পরিচয়।

    শমীকের নেতৃত্বেই বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP)

    সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য এবং পাকিস্তানের কর্তৃক ভারতের পহেলগাঁও-এ যে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা সংগঠিত হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদদের একটি দল পৃথিবীর নানা দেশে গিয়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ, এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন। সেই দলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংসদ হিসেবে জায়গা পান শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বিদেশে গিয়ে তিনি তুলে ধরেন অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ হিসেবে তাঁর নাম যাওয়ায় অনেকেই সে সময় মনে করেছিলেন, এবার হয়তো গুরু দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শমীক ভট্টাচার্যকে। অবশেষে মিলেও গেল সেই অনুমান। শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে বিজেপি।

    বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য, প্রথম বিধায়ক হন ২০১৪ সালে

    রাজ্য বিজেপিতে অন্যতম বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য। তিনি নানারকম দায়িত্ব সামলেছেন। বঙ্গ বিজেপির কঠিন সময়ে তিনি দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। পরবর্তীকালে, ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪-র এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের নারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে পরাস্ত করেন শমীক ভট্টাচার্য। একক ক্ষমতায় বিজেপি প্রথমবারের জন্য বিধানসভায় জয়লাভ করে। বিধায়ক হন শমীক (BJP)।

    জন্ম ১৯৬৩ সালে, সংগঠনের হাতেখড়ি এবিভিপি-তে, বিজেপিতে যোগদান ১৯৮২ সালে

    শমীক ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৬৩ সালের ৫ নভেম্বর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬২ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি বিএ পাশ, পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শমীক ভট্টাচার্য নিজেই জানিয়েছেন যে ১৯৮২ সাল থেকে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, অর্থাৎ আজ থেকে ৪৩ বছর আগে। প্রসঙ্গত, বিজেপি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার আগে তাঁর সংগঠনের হাতেখড়ি হয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ-এর মাধ্যমে। ছাত্র সংগঠনের মধ্য দিয়েই তিনি রাজনীতির পাঠ প্রথম শেখেন। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ তিনি সামলেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর বক্তব্য মুগ্ধ করেছে মানুষকে। এ হেন শমীক ভট্টাচার্যের হাতেই এবার ব্যাটন তুলে দিল বিজেপি। তাঁর নেতৃত্বেই বঙ্গ বিজেপি লড়বে ‘২৬-এর মহারণ।

    সোমবারই বৈঠক হয় নাড্ডার সঙ্গে

    সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, শমীক ভট্টাচার্য ও রবিশঙ্কর প্রসাদকে সঙ্গে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি পদে শমীকের নাম ঘিরে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দিলীপ ঘোষের উত্তরসূরি হিসেবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদেও রয়েছেন। তবে বিজেপির ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ফলে রাজ্য সভাপতি পদের পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

    বুধবারই মনোনয়ন জমা দেন শমীক

    এর মধ্যেই, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশও চলে আসে কলকাতায়। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বললেন দিল্লির নেতৃত্ব। এর পরেই, দুপুর ২টা নাগাদ সল্টলেকের রাজ্য বিজেপি দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আর কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। এরফলে তিনি সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হলেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালেই তিনি দিল্লি রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে অংশ নেন।

    ব্যক্তিগত জীবনে পড়াশোনা করতে ভালোবাসেন

    বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত জীবনটা কীরকম? তা নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, পড়াশোনা করতে তিনি খুব ভালোবাসেন। শমীক ভট্টাচার্য প্রচুর পড়াশোনা করেন। লেখেন কবিতাও। একের পর এক কবিতার বই তিনি নিমেষে শেষ করে ফেলেন। যে কোনও বিষয় নিয়েই তিনি অধ্যবসায় করতে ভালোবাসেন। শমীক ভট্টাচার্য আজও পর্যন্ত যে কোনও বড় রাজনৈতিক বিতর্কসভায় বিজেপির তরফ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীও এই মন্তব্য করেন যে, দেশের পাঁচ জন সাংসদের মধ্যে শমীক ভট্টাচার্য একজন। রাজ্যসভায় তাঁর বাগ্মিতা মুগ্ধ করেছে সকলকে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস প্রভৃতি ইস্য়ুতে বেশ ব্যাকফুটে তৃণমূল। এই রাজনৈতিক আবহে বিজেপি তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে। গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে ২০২৬-এর মহারণে, রাজ্যের মসনদ দখলের লক্ষ্যে। রাজ্য জুড়ে গেরুয়া শিবিরের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে শাসকবিরোধী আন্দোলনে। তারই মধ্যে বিজেপির নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য।

LinkedIn
Share