Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 02 April 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 April 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।
    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।
    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৩১ শেষের পথে। কথায় রয়েছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতি মাসেই বাঙালি হিন্দুদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। আর ধনলক্ষ্মীর পুজো তো হয় প্রতিদিনই। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবারই হল লক্ষ্মীবার। দেবী লক্ষ্মীর প্রতিদিন বাড়িতে পুজো করা হয়। তবে বিশেষ আশীর্বাদ লাভের জন্য ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাস দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা (Lakshmi Puja) করা হয়। এই সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ধন, সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, সৌন্দর্য ও শক্তি বৃদ্ধি পায়।

    চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজোর প্রচলিত কাহিনী

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার চৈত্র মাসের লক্ষ্মীপুজো ব্রত পালন করা হয়। বলা হয় এই ব্রত করলে সংসারে মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন। পুরাণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী, একদিন নারায়ণের ইচ্ছ হলে তিনি -মা লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর পুষ্পরথ করে মর্ত্যে ঘুরতে এলেন। মর্ত্যে এসে বামুন আর বামনির বেশ ধরে তাঁরা ঘুরতে লাগলেন। নারায়ণ-লক্ষ্মীকে উত্তর দিকে যেতে না করলেন। লক্ষ্মী নারায়ণের বারণ না শুনে উত্তর দিকে গিয়ে দেখলেন তিল ফুলের বাগান। লক্ষ্মী ওই তিল ফুল তুলে খোঁপায় দিলেন, গলায় পরলেন। এমন সময় সেই বাগানের মালী এসে লক্ষ্মীকে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে আটকে রাখলেন। নারায়ণ এসে প্রশ্ন করলে ওই মালী বললেন তাঁর বাগানে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে লক্ষ্মীকে তাঁর বাড়িতে ১২ বছর রাঁধুনির কাজ করতে হবে। নারায়ণ লক্ষ্মীকে রেখে চলে গেলেন। লক্ষ্মীকে বামুন বাড়িতে নিয়ে গেল। বামুনের বাড়িতে চাল-ডাল বাড়ন্ত। কিন্তু লক্ষ্মী আসাতে তাঁর ঘর ভরে গেল। দেখতে দেখত বারো বছর কেটে গেল। লক্ষ্মীর কৃপায় বামুনের ঘর ভরে উঠেছিল। এবার নারায়ণ লক্ষ্মীকে নিয়ে যেতে এলেন, বামনি লক্ষ্মীকে ছাড়তে চাইলেন না। কেঁদে কেঁদে তাঁর পায়ে পড়লেন। লক্ষ্মী বামনীকে বললেন তাঁরা যেন ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজো করেন তাহলেই সংসারে আর অভাব থাকবে না। এভাবেই চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজর প্রচলন হল।

    কেন লক্ষ্মী আরাধনা

    হিন্দু ধর্মে সম্পদের দেবী হলেন লক্ষ্মী (Goddess Lakshmi)। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী, ইনি স্বত্ত্ব গুনময়ী। লক্ষ্মীর পূজা (Lakshmi Puja) অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবারকে লক্ষ্মীবারই বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী পুজো নিয়ে রীতিমতো বিভিন্ন রীতি পালন করে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়। একটু পুরনো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলাতেই মায়ের আরাধনা করা হত। আসল নিয়ম এটাই। তবে সময় বদলেছে। বহু মানুষ বর্তমানে সুবিধার জন্য সকালের দিকে বা বিকেল নাগাদ পুজো সেরে নেন। তবে এখনও লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলায় বাঙালির ঘরে, তুলসীতলায় জ্বলে ওঠে সন্ধ্যাপ্রদীপ।

    চলতি বছর চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজো

    দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয় শহর জুড়ে। ধন, সম্পদ, বৈভবের আশায় মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন আপামোর সাধারণ জনতা। তবে শুধু মাত্র আশ্বিনেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী — ভাদ্র, পৌষ, চৈত্র। কোথাও মা লক্ষ্মীকে মূর্তি হিসেবে, কোথাও বা সরায় আঁকা পটে পুজো করা হয়। চলতি বছর বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ লক্ষ্মী পুজো হবে। ওই দিন এই বছর আবার চৈত্রমাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই অশোক ষষ্ঠী ব্রতও পালন করা হবে। অশোক ষষ্ঠীর তিথি বুধবার, ২ এপ্রিল রাত থেকে এই শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার এই অশোক ষষ্ঠী পালিত হবে। ২০২৫ সালে অশোক ষষ্ঠীর তিথি শুরু হবে ২ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে। আর ৩ এপ্রিল রাত ৯ টা ৪১ মিনিটে এই তিথি শেষ হবে।

    লক্ষ্মী পুজোর দিন কী করবেন

    এই দিনে স্নানের পর পরিস্কার কাপড় পরিধান করুন এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। পুজোর সময় মাকে শস্য, হলুদ ও গুড় নিবেদন করুন। এই দিনে বাড়িতে শ্রী যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এই যন্ত্র স্থাপনের পর শ্রীসুক্ত ও পদ্ম ফুলের মন্ত্র দিয়ে যজ্ঞ করুন। যজ্ঞের পর মাকে সাজসজ্জার সামগ্রী নিবেদন করুন। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীকে লাল ফুল এবং ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ রঙের কাপড় অর্পণ করুন। এছাড়াও এই দিনে দেবী লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করা উচিত। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী পঞ্চমীর দিনে দান করতে হবে। এছাড়াও এই দিনে গরুকে খাওয়ান, কারণ এই দিনে গরুকে খাওয়ালে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

  • Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুর আস্থা জড়িয়ে রয়েছে কুপওয়াড়ার শারদা মন্দিরের সঙ্গে। ৩৬ বছর পরে কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার শারদা মাতার (Maa Sharda) মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল। এ এক ঐতিহাসিক জয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে উপেক্ষা, আক্রমণ এবং দশকের পর দশক ধরে সাংস্কৃতিকভাবে হিন্দুদেরকে দমন করার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে বড় জয় পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব সম্পন্ন হয় শারদা পীঠে। এই সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গর্ভগৃহে এই সময়ে প্রার্থনা চলে। অনেকে বলছেন দীর্ঘ চার দশক ধরে হিন্দুদের প্রতি বঞ্চনার জবাব অবশেষে দেওয়া গেল।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ কুপওয়াড়ার শারদা পীঠ (Maa Sharda)?

    ঠিক ২ বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার টিটওয়াল গ্রামে দেবী শারদার এই মন্দির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে সেই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সময়ে শারদা পীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হত কুপওয়ারার টিটওয়াল গ্রাম থেকেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই পাক হানাদারদের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় টিটওয়ালের শারদা মন্দির (Maa Sharda) ও গুরুদ্বার। দেশভাগের পর থেকেই ওই এলাকায় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল পন্ডিত সমাজ। অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চে হয় মন্দির উদ্বোধন। এবার হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

    ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন মন্দির

    প্রসঙ্গত, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্‌রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় অবস্থান করছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি শারদা পীঠ ও শারদা (Maa Sharda) বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতকের মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার (Jammu and Kashmir) থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে হামলা করে ভেঙে দেয় বিদেশী আক্রমণকারীরা। ঐতিহাসিকরা জানাচ্ছেন, ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা শারদী পীঠকে। পরবর্তীকালে ১৯ শতকে মহারাজা গুলাব সিং মন্দিরকে আবার সংস্কার করেন। একদা এই মন্দির ছিল জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে, ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়টি বিশিষ্ট মন্দিরকেন্দ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তারমধ্যে অন্যতম ছিল এই শারদা পীঠ। জানা যায়, এর গ্রন্থাগার ছিল খুবই বিশ্ব বিখ্যাত।

    ১৯৪৮ সালে পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই মন্দিরে

    এই গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য বহুদূর থেকে পণ্ডিতরা এখানে আসতেন বলে জানা যায়। জানা যায়, উত্তর ভারতে শারদা লিপির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মন্দিরের। বর্তমানে অধিকৃত কাশ্মীরে একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মন্দিরটি। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানেই সতীর ডান হাত পড়েছিল। তবে ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই তাঁদের তীর্থস্থলে।প্রসঙ্গত, সারদা পীঠে ভারতীয় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ২০০৪ সাল থেকেই সরব ‘সেভ সারদা কমিটি’।

    ২০২৩ সালে কুপওয়াড়ার মন্দির উদ্বোধন করে কী বলেছিলেন শাহ

    ২০২৩ সালে মন্দির উদ্বোধনের পরে অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেন, ‘‘৩৭০ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। কেবল হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদী সরকার।’’ কর্তারপুরের ধাঁচেই সীমান্তের ও-পারে থাকা মূল শারদা মন্দির পর্যন্ত হিন্দুদের যাত্রার ব্যবস্থার দাবিও উঠেছে বারবার।কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর  এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের।

  • Heatwave: চৈত্র মাসেই পারদ ৪০ পার, এপ্রিল-জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ বাংলায়, জানাল মৌসম ভবন

    Heatwave: চৈত্র মাসেই পারদ ৪০ পার, এপ্রিল-জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ বাংলায়, জানাল মৌসম ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল-জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে! গতকাল সোমবারই আইএমডি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এপ্রিল মাসেই পশ্চিমবঙ্গে ৬ দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে। একইসঙ্গে গরমের অস্বস্তিও তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকতে পারে। শুধু বাংলাতেই নয় প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা দেখা যাবে।

    পশ্চিমবঙ্গে চৈত্র মাসেই ৪০ পার করল পারদ (Heatwave)

    প্রসঙ্গত, চৈত্র মাসেই পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ (Heatwave) ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কোথাও আবার তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছুঁইছুঁই হয়ে গিয়েছে কয়েক দিন আগেই। যদিও চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জেলাতে। অন্যদিকে শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও।

    হিট আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিতে বলল কেন্দ্র (Heatwave)

    এই আবহে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কায় রাজ্যগুলিকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছে কেন্দ্র সরকার। এজন্য রাজ্যগুলিকে নিজ নিজ এলাকার হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে। মৌসম ভবন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের এপ্রিল মাসে দেশে বৃষ্টিপাতের হার মোটের ওপর স্বাভাবিকই থাকতে পারে। গড়ে ৩৯.২ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বলছেন মৌসম ভবনের প্রধান?

    সাধারণত এপ্রিল-জুন মাসে দেশে গড়ে ৪-৭ দিন প্রবল তাপপ্রবাহ দেখা যায়। তবে মৌসম ভবনের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্য ভারত এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৪ দিন বেশি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। বাংলা ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলি ছাড়াও তাপপ্রবাহ (Heatwave) চলতে পারে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানায়। পাশাপাশি কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশেও বেশি দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলতে পারে।

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

  • Ayodhya: রামনবমীর আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা, ৫০ লাখ ভিড় হতে পারে, অনুমান প্রশাসনের

    Ayodhya: রামনবমীর আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা, ৫০ লাখ ভিড় হতে পারে, অনুমান প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরেই অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দিরে প্রবেশ করেছেন রামলালা। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। তারপর থেকে এটা দ্বিতীয় বর্ষ। মন্দিরে প্রবেশের পরে দ্বিতীয়বার রামনবমী অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সরযূ নদীর ধারে অযোধ্যায়। রামনগরীতে একেবারে সাজো সাজো রব এনিয়ে। প্রভু রামের জন্মোৎসব পালন কোনও রকমের ত্রুটিই রাখতে চাইছে না অযোধ্যা। ভক্তি আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়ার রামনগরী যেন তপক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণের ভূমি হয়ে উঠেছে অযোধ্যা। ইতিমধ্যে গোটা মন্দির চত্বর সেজে উঠেছে রংবেরঙের ফুলে এবং তোরণে। সন্ধ্যা নামতেই আলোর মালায় রামমন্দির চত্বরকে আরও মায়াবি লাগছে। প্রশাসনের অনুমান, চলতি বছরে পঞ্চাশ লাখেরও বেশি ভক্ত হাজির হতে পারেন রামনবমীর (Ram Mandir) অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে অযোধ্যায়। সেসময় রামলালার দর্শনের সময়সীমাও বদল করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা শেষ হতেই ফের আগের সময়সীমা চালু করা হয়। আগামী ৬ এপ্রিল রয়েছে রামনবমী। তার আগে উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে সরযূ নদীর ধারে।

    সেজে উঠেছে রামমন্দিরের প্রধান দ্বার (Ayodhya)

    অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে ঢোকার মুখে যে প্রধান দ্বার, সেটিকে সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বত্র যেন ভক্তির ছোঁয়া। ফুলের তোড়া সমেত অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই দ্বার স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রামভক্তদের। অযোধ্যার (Ayodhya) এমন সাজ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঠিক কতটা জাঁকজমক করে পালন হতে যাচ্ছে রামনবমী। মন্দিরের গর্ভগৃহে যেখানে ভগবান রামলালার মূর্তি রয়েছে তাও সাজানো হয়েছে। গর্ভগৃহে যে সিংহাসনের ওপর রামলালা বিরাজমান রয়েছেন, সেটিকেও খুব সুন্দরভাবে এবং নানা সামগ্রী ও উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানেই প্রতিফলিত হচ্ছে ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতা।

    অযোধ্যায় ১০০-রও বেশি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে

    এর পাশাপাশি, অযোধ্যার (Ayodhya) প্রতিটি রাস্তাতেই দেখা যাচ্ছে তৈরি করা হয়েছে ফটক। অনেক জায়গাতে তোরণও নজরে পড়ছে। সমগ্র অযোধ্যাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে কোথাও আবর্জনার দেখা নেই। সারাদিন ও রাতে ভক্তদের ঢল এখন থেকেই নামতে দেখা যাচ্ছে। রামমন্দির থেকে দেড় কিমি দূরে সরযূ নদী। সেই নদীর ধারেও ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন। নদীর পাড়ও পরিষ্কার করা হয়েছে। রাম কি পৈদাই বলে পরিচিত ঘাটে মোমবাতি এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনও করা হচ্ছে। ভক্তরা সেখানে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে প্রার্থনা করছেন। সমগ্র অযোধ্যার মন্দিরে আকাশে-বাতাসে বর্তমানে ভজন এবং কীর্তন শোনা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ধর্মীয় গানও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে রাস্তায় এবং মন্দির চত্বরে। সমগ্র অযোধ্যায় ১০০-রও বেশি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। এগুলো থেকেই রামলালার দর্শন এবং রামনবমীর উদযাপন দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রামনবমীতে ৫০ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর আবহে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ দ্বিতীয় বছরের রামনবমীতে ৫০ লাখ মানুষ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে অযোধ্যায়। এনিয়েই ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন বৈঠক চলছে প্রশাসনের মধ্যে। অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হচ্ছে অযোধ্যায় (Ayodhya)। তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্প।

    ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে সিসি ক্যামেরা

    রামনগরীর প্রতিটি রাস্তায় নজরে পড়ছে ব্যারিকেড। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখার জন্য সিসি ক্যামেরাও সেখানে রাখা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের আরাম এবং অন্যান্য সুবিধার কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে, গরমে বা অন্য কোনও কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশেষ মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া, দমকল সমেত অন্যান্য এমারর্জেন্সি সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    স্থানীয় অর্থনীতিও ব্যাপক চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে একটি বড় করে আরতি হবে রাম জন্মভূমিতে। এই আরতি দর্শনেও জমবে ব্যাপক ভিড়। সেখানে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও পালিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে দেখানো হবে ভগবান রামের জীবনী এবং তাঁর শিক্ষা। শুধুমাত্র তাই নয়, রামনবমীর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিও ব্যাপক চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হোটেল, গেস্ট হাউস এবং ধর্মশালাগুলিও সম্পূর্ণভাবে বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় সামগ্রীও বিক্রি করছেন। ফুল-প্রসাদ ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।

  • Tuberculosis: ভারতীয় ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলেই কি যক্ষ্মার ঝুঁকি কমতে পারে?

    Tuberculosis: ভারতীয় ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলেই কি যক্ষ্মার ঝুঁকি কমতে পারে?

    মাধ্যম ডেস্কঃ স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই সুস্থ জীবন যাপনের পথ সহজ করবে। ভারতে বাড়ছে যক্ষ্মার দাপট। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিশ্বের মধ্যে যক্ষ্মার দাপট সবচেয়ে বেশি ভারতে। বিশ্বের মোট যক্ষ্মা আক্রান্তের মধ্যে ২৬ শতাংশ রোগী ভারতের। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে এই রোগের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ খাদ্য (Indian home cooked food) অসচেতনতা। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন ভারতে যক্ষ্মার দাপট বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে যক্ষ্মা একটি অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। তার কারণ এই রোগ নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিয়েও পর্যাপ্ত সতর্কতা নেই। তার ফলেই সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, টিউবারকুলেসিস ব্যাক্টেরিয়া থেকেই যক্ষ্মা রোগ হয়। এই টিবির জীবাণু সব সময় ফুসফুসেই আক্রমণ করে এমন নয়। শরীরের যে কোনও অংশে এই অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। ভারতে ফুসফুসের যক্ষ্মার পাশপাশি হাড়ের যক্ষ্মার রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস (Tuberculosis) এবং জীবন যাপনে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এ দেশে যক্ষ্মার দাপট বাড়িয়ে দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেকেই তাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ শেষ করা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই রোগী চিকিৎসা মাঝপথে ছেড়ে দেয়। এর ফলে রোগের দাপট আরও বাড়ে। রোগের দাপট কমলেই চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া এই রোগের সবচেয়ে বড় বিপদ। কিন্তু এই নিয়ে এখনও পর্যাপ্ত সচেতনতা নেই। যার ফলে এই দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বাড়ছে।

    কোন ঘরোয়া খাবারেই যক্ষ্মার ঝুঁকি কমানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি ভারতীয় ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলেই যক্ষ্মার ঝুঁকি কমানো যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত একদিন মেনুতে খিচুড়ি (Indian home cooked food) রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, খিচুড়ি এমন একটি ভারতীয় খাবার, যার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। ডাল ও চালের মিশ্রণের পাশপাশি এই খাবারে থাকে সবজি। অর্থাৎ শরীর সহজেই ভিটমিন, প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট পায়। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান বাড়ে। আবার প্রোটিনের চাহিদাও সহজেই পূরণ হয়।

    সপ্তাহে অন্তত দুদিন পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এবং আয়রন। এর ফলে এই খাবারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক থাকে। তাই যক্ষ্মা (Tuberculosis) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

    হাড়ের টিবির ঝুঁকি কমায় কোন খাবার (Tuberculosis)?

    টক দই এবং ডিম নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং একাধিক ভিটামিন। তাছাড়া ডিম থেকে সহজেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হয়। আর টক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই খাবার (Indian home cooked food) খেলে একদিকে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া পৌঁছয় এবং হজম শক্তি বাড়ে। টক দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই হাড়ের টিবির ঝুঁকি কমায় এই খাবার।

    রান্নায় রসুনের ব্যবহার টিবির (Tuberculosis) ঝুঁকি কমাবে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এর ফলে রসুন দেওয়া তরকারি খেলে শরীরে যেকোনও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমবে।

    যক্ষ্মার ঝুঁকি কমাতে কোন অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যক্ষ্মার প্রকোপ কমাতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। যক্ষ্মার (Tuberculosis) ঝুঁকি কমাতে তাই কয়েকটি অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ধূমপান ত্যাগ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তামাক সেবনের ফলে টিবিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটাই বেড়ে যায়। ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সেবনের অভ্যাস বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যক্ষ্মার (Indian home cooked food) মতো অসুখ রুখতে এই অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।

    মদ্যপানের অভ্যাস যক্ষ্মার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ বার্গার, পিৎজা, হটডগের মতো খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এই সব খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। কিন্তু দিনের পর দিন‌ এই প্রক্রিয়াজাত খাবার (Indian home cooked food) খাওয়ায় শরীরে নানান বিষাক্ত রাসায়নিক প্রবেশ করছে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। যক্ষ্মার (Tuberculosis) মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

    মদ্যপানের অভ্যাস যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভারের রোগ দেখা দেয়। তেমনি বাড়তে পারে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে উদ্যোগী মোদি সরকার। মঙ্গলে বৈঠকের পর, বুধে সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ বিল। দ্বিতীয় পর্বের বাজেট অধিবেশন শেষ হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগেই সংসদে এই নতুন বিল পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে সরকার।

    মঙ্গলে বিশেষ বৈঠক

    গত বাদল অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) সংসদে পেশ করে শাসক গোষ্ঠী। কিন্তু তা পেশ করতেই উত্তাল হয় পরিস্থিতি। বিল নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। কিছু সংশোধনের পর, জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে এই কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এবারের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিল লোকসভায় জমা দেওয়া হয়েছে জেপিসির তরফে। তবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। চলতি অধিবেশনে সেই কাজটা শেষ করতে চায় শাসক দল বিজেপি। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি, দুপুরে এই নিয়ে একটি বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির (Business Advisory Committee) বৈঠকও ডেকেছেন লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সংসদ সূত্রে খবর, মঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে কোন কক্ষ হয়ে বিল পাশ করানো হবে সেই নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কাজ মিটলেই আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ বিল নিয়ে শুরু হতে পারে আলোচনা। কেন্দ্রের প্রত্যাশা, এই অধিবেশন শেষের আগেই সংসদ থেকে পাশ করানো হবে ওয়াকফ বিল।

    ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে ইতিমধ্যেই দলীয় সংসদদের ১০০ শতাংশ হাজিরা নিশ্চিত করতে তিন লাইনের হুইপও জারি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই প্রসঙ্গে সংসদের পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানাচ্ছেন, ‘সাংসদদের কাছে এটা আমার বিশেষ অনুরোধ, যখন আমরা বিল আনার পরিকল্পনা কষছি, সেই সময় আলোচনার জন্য তাদেরও ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন।’

  • Sunita Williams: মনে করিয়েছে শিকড়ের টান, মহাকাশ থেকে ভারত ‘অবিশ্বাস্য’, জানালেন সুনীতা

    Sunita Williams: মনে করিয়েছে শিকড়ের টান, মহাকাশ থেকে ভারত ‘অবিশ্বাস্য’, জানালেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। এবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, মহাকাশ থেকে ভারত (India) এক কথায় ‘অবিশ্বাস্য’।

    মনে করিয়েছে শিকড়ের টান

    মহাকাশ থেকে ভারতের ভূদৃশ্য দেখে মুগ্ধ সুনীতা (Sunita Williams) বলেন, ‘‘অত্যাশ্চর্য, একেবারে অবিশ্বাস্য।’’ বিশেষত হিমালয়ের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর যে ছবি তুলেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ বলে জানিয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী। ওই সাক্ষাৎকারে সুনীতা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমে গুজরাট ও মুম্বইয়ের উপকূলের মাছ ধরার নৌবহর থেকে শুরু করে উত্তরের বিশাল হিমালয়। এসবই তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে নিজের শিকড়ের কথা। দিনের আলোয় ভারতের নানা রঙ, আর রাতের অন্ধকারে শহর থেকে গ্রামে বিস্তৃত আলোর মালা তাঁকে মোহিত করেছে বলে জানিয়েছেন এই মার্কিন মহাকাশচারী।

    ভারতে আসতে আগ্রহী সুনীতা (Sunita Williams)

    ওই সাক্ষাৎকারে সুনীতা উইলিয়ামসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় তিনি কি সাহায্য করতে আগ্রহী? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই! আমি চাই ভারত আরও এগিয়ে যাক মহাকাশ গবেষণায়। ভারত অসাধারণ দেশ, বড় গণতন্ত্র, যে দেশ এখন মহাকাশ অভিযানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। আমি অবশ্যই এর অংশীদার হতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, সুনীতা উইলিয়ামসের বাবা ছিলেন ভারতীয়। সুনীতার বহুদিনের ইচ্ছে নাকি ভারতে আসার। সঙ্গে নিয়ে আসতে চান সহযাত্রী বুচ উইলমোরকেও। সাক্ষাৎকারে মজার ছলে সুনীতা (Sunita Williams) বলেন, ‘‘তোমার (বুচ উইলমোর)  হয়তো একটু আলাদা লাগবে, তবে ঠিক আছে! তোমাকে আগে থেকেই ঝাল-মশলা খাওয়ার অভ্যাস করিয়ে দেব।’’ অন্যদিকে, খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে নাসার অ্যাক্সিয়ম মিশন। এনিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সুনীতা। প্রসঙ্গত, এই মিশনে মহাকাশে পাড়ি জমাবেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট এবং ইসরোর মহাকাশযাত্রী শুভাংশু শুক্লা। ভারতের একজন প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ করবেন, এতে দারুণ আশাবাদী সুনীতা।

  • India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারত-বিরোধী মন্তব্যে বিতর্ক উসকে দিলেন বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus )। চিন সফরে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইউনূস। তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।’’ ইউনূসের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শর্মা এই মন্তব্যকে “অপমানজনক এবং কঠোরভাবে নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।

    ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থির করার প্রয়াস

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মন্তব্য ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে করা হয়েছে এবং এটি “চিকেন’স নেক” করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ভঙ্গুরতা প্রদর্শন করছে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি পূর্বে কিছু শক্তির দ্বারা ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াসের পুনরাবৃত্তি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে এমন কিছু সংগঠন রয়েছে যারা এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরটি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতকে অস্থির করে তুলবে।’’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি বিশেষভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রের কাছে এই অঞ্চলে রেলপথ এবং সড়ক যোগাযোগে উন্নতি আনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পথ এবং চিকেন’স নেক করিডর বাইপাস করার জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হলেও, সঠিক সংকল্প এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে এই কাজ সম্ভব বলে দাবি করেন হিমন্ত।

    ভুল ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা

    এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত (India Bangladesh Relation) ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শ্রীমতি ভীনা সিক্রি মন্তব্য করেছেন, “ইউনূসের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। তাঁর এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।” তাঁর কথায়, “তিনি জানেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য আমাদের ফরমাল চুক্তি রয়েছে… এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা উচিত।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযোগের অধিকার দিতে আগ্রহী না হয়, তবে তারা নদী-সংলগ্ন রাষ্ট্র হিসেবে কোনও অধিকার দাবি করতে পারে না। তাই তাদের এটি স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে কোনও ভুল ধারণা পোষণ যেন না করে বাংলাদেশ।”

    বিকল্প পথ তৈরি করেই জবাব

    ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য তথা টিপ্রা মথা দলের সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য আদর্শ সময়, আমাদের উচিত আদিবাসী জনগণের সমর্থনে মহাসাগরের দিকে একটি রুট তৈরি করা, যারা একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত, যাতে আমরা আর কোনও কৃতঘ্ন শাসকের উপর নির্ভরশীল না থাকি।’’ দেববর্মা তার এক্স হ্যান্ডলে আরও লিখেছেন, ‘‘১৯৪৭ সালে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার হারানো, যদিও সেখানে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। ইউনূস হয়ত ভাবেন তিনি মহাসাগরের রক্ষক, তবে বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি এক অস্থায়ী নেতা।’’ টিপ্রা মথা নেতা আরও মনে করিয়ে দেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত চট্টগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তিনি লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরা শুধু কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত।’’

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

    যদিও ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি ভারত (India Bangladesh Relation)। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার করা এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাতে পারে নয়াদিল্লি। উত্তরপূর্ব ভারতের ৬ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য চিনের নির্দেশেই ইউনূস এই বিবৃতি দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকার মনে করছে উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্য সমুদ্রে পৌঁছতে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল এই তথ্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং এই এলাকা মোটেই স্থলবেষ্ঠিত নয়। ভারতের একটি সুবিশাল উপকূল এলাকা রয়েছে। যেখান থেকে সারা দেশকে পরিষেবা দেওয়া হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত।

    নির্ভয় ভারত

    চিনে বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতকে টেনে আনার প্রসঙ্গে ইউনূসের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সঞ্জীব স্যান্যাল। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে চিন বিনিয়োগ করতেই পারে। কিন্তু এতে ভারতের স্থলবেষ্টিত সাত রাজ্যের কথা টেনে আনার কী তাৎপর্য? এটা সত্যিই বিরক্তিকর। এর যথাযথ ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে। চিনের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস? তাই কি জনসমক্ষেই সেই ঘোষণা করে দিলেন ইউনূস?’’ প্রথমে পাকিস্তান, আর এবারে চিন। ভারতের বিরুদ্ধে দল ভারী করছেন বাংলাদেশের শাসক ইউনূস। তাতে অবশ্য উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ভারতের। শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের সাত রাজ্যে যোগাযোগ রয়েছে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। বাংলাদেশের তিন দিকের সীমানার অধিকাংশই আবদ্ধ ভারত দিয়ে। আর সেই বাংলাদেশে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা ইউনূস বললেন, চিনের দিক থেকে ভারত মহাসাগরের নাগাল পাওয়ার জন্য একমাত্র উন্মুক্ত স্থান বাংলাদেশ। এ মন্তব্য হাস্যকর বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    অস্থির বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা

    উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় আসার সময়ও ভারতকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রত চায়, তাহলে তাদের ভোলা উচিত না, ওদেরও সেভেন সিস্টার্স আছে। এরপরে আবার ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের অধীনে সেভেন সিস্টার্সকে অন্তর্গত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইউনুসের সুর ‘বদল’ হয়। ইউনূস বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করব আমরা। আমাদের সমুদ্র বন্দরে ভারত পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারবে। তাতে তারাও আমাদের পণ্য আমদানি-রফতানি করবে। এই সুযোগ পেলে তারা আনন্দিত হবে। তাদের ব্যবসার সঙ্গে আমাদেরও ব্যবসা সমৃদ্ধ হবে।’ আসলে ইউনূস জানেন, চাল, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যে এখনও সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে। অপরদিকে সম্প্রতি আবার বিদ্যুতের জন্যে আদানির কাছে নতুন করে ‘আবদার’ করেছিল ঢাকা। ইউনূস আসলে জানেন যতই ভারত বিরোধিতা করুক না কেন, বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল। গত ৬ মাস ধরে সরকার চালালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল এখনও ফেরাতে পারেননি ইউনূস। দুর্ভোগ কমেনি সেই দেশের সাধারণ মানুষের। তাই সেই দুর্ভোগ চাপা দিতে ভারতকেই বারবার আশ্রয় করে বাংলাদেশ। কখনও সাহায্য চেয়ে আবার কখনও বিরোধিতা করে।

LinkedIn
Share