Tag: Madhyom

Madhyom

  • Increasing Pain: ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, বাড়ছে যন্ত্রণা! কেন হচ্ছে এই সমস্যা?

    Increasing Pain: ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, বাড়ছে যন্ত্রণা! কেন হচ্ছে এই সমস্যা?

    মাধ্যম ডেস্কঃ ঘুম ভাঙার পরেই ক্লান্তি বোধ কিংবা একটা অবসন্নতা গ্রাস করে নিচ্ছে। অথবা ঘুম ভেঙেই শরীরে তীব্র যন্ত্রণা (Increasing Pain), মাথার ভিতরে অস্বস্তি (Tired)! কোনও কাজেই মনোযোগ দেওয়া যাচ্ছে না, কিংবা হাত-পায়ের জোর পাওয়া যাচ্ছে না।‌ তাই কাজ করার ইচ্ছেও তৈরি হচ্ছে না। ঘুম থেকে উঠে অনেকেই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে উঠে বহু মানুষ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। আর এই ভুক্তভোগীদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। ক্লান্তি বোধ কিংবা কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব যে দেখা দিচ্ছে, তার রেশ থাকছে দিনভর। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে। কেন‌ বাড়ছে এই সমস্যা?

    রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব (Increasing Pain)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। আর তার জেরেই বাড়তে পারে ক্লান্তি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন ঘুমের জন্য বরাদ্দের সময়  কমছে। কম বয়সিদের রাত জাগার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে রাতের জন্য ঘুমের বরাদ্দ সময় কম হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব (Tired) ঘটায়। পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্লান্তি (Increasing Pain) বাড়ায়। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে।

    অনিয়মিত ঘুমের রুটিন!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের ঘুমের নির্ধারিত সময় নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একেক দিন ঘুমের জন্য একেক সময় বরাদ্দ। এর ফলে বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারছে না। শরীরের স্নায়ু ও পেশির আরামের সময় ঠিক থাকছে না। এর ফলেই শরীরে যন্ত্রণা দেখা দিচ্ছে। স্নায়ু ও পেশি দিনভর সক্রিয় থাকার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। সেটা না থাকার জেরেই ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তিবোধ ও দূর্বলতা (Tired) গ্রাস করছে।

    দিনের অধিকাংশ সময়ে বসে থাকা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অধিকাংশ সময়ে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করেন। এর ফলে তাদের একভাবেই বসে থাকতে হয়। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর (Increasing Pain)। তাঁরা জানাচ্ছেন, একনাগাড়ে বসে থাকার জেরে শরীরের বিভিন্ন পেশির কার্যকারিতা ঠিকমতো হয় না। অনেক সময়েই এর জেরে রাতে ঘুম হয় না। তাই তাঁদের পরামর্শ, ক্যালোরি বার্ন হয় এমন কিছু কাজ নিয়মিত করা জরুরি।

    শরীরে জলের ঘাটতি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত না খেলে ঘুম থেকে উঠে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীরে জলের অভাব থাকলে হজমের গোলমাল হতে পারে, স্নায়ু দূর্বল হতে পারে, অন্ত্রের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে জলের অভাব হলেও ঘুম থেকে উঠে নানান সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় যোগাভ্যাসের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশপাশি শারীরিক কসরত করলে পেশি ও সক্রিয় থাকে। এর ফলে শরীরের একাধিক সমস্যা কমবে আবার ঘুমও ভালো হবে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমের জন্য বরাদ্দ করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষত মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে এই অভ্যাস খুবই জরুরি।

    মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না

    বেশি রাতে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে নানান শারীরিক সমস্যা কমাতে বিশেষত ঘুম থেকে উঠে বমিভাব বা পেটের সমস্যার মতো জটিলতা এড়াতে হলে রাতে হালকা খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত হতে হবে। এতে পাকস্থলী, লিভার ও অন্ত্র ও সুস্থ (Tired) থাকবে।

    দিনভর পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। যাতে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে জলের ঘাটতি না দেখা দেয়। রাতের ঘুম অন্তত সাত ঘণ্টা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব (Increasing Pain) হবে। নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Mahakumbh: আজ মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে চলছে শেষ পুণ্যস্নান, এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য জানুন

    Mahakumbh: আজ মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে চলছে শেষ পুণ্যস্নান, এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার মহাশিবরাত্রি। মহাকুম্ভে (Mahakumbh) চলছে শেষ পুণ্যস্নান। গতকালই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যে ৬৪ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন প্রয়াগরাজে। আজকের মহাশিবরাত্রির স্নানের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এমনটাই জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবেদনে আমরা মহাশিবরাত্রিতে (Maha Shivratri) কুম্ভ স্নানের গুরুত্ব নিয়েই আলোচনা করব।

    মহা শিবরাত্রিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের গুরুত্ব

    চলতি বছরে মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে সূর্য, চন্দ্র এবং শনির একটি বিশেষ ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হচ্ছে। এই যোগকে সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন জ্যোতিষীরা। আরও জানা যাচ্ছে, এই দিনে শিব যোগ এবং সিদ্ধ যোগের সংমিশ্রণ রয়েছে। অনেকের মতে, মহা শিবরাত্রিতে অমৃত সিদ্ধি যোগও তৈরি হচ্ছে। হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই সময়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে একজন ব্যক্তির ওপর ভগবান শিবের বিশেষ কৃপা লাভ হয় বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।

    মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভের (Mahakumbh) স্নান

    মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা মহাকুম্ভে রয়েছেন তাঁরা এই দিনে, ব্রহ্ম মুহূর্তে পবিত্র সঙ্গমে স্নান করতে পারেন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তা হলে স্নানের জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করতেও পারেন। এর পর রাখতে হবে উপবাস। শাস্ত্রকাররা বলছেন, বালি বা কাদামাটি দিয়ে একটি শিবলিঙ্গ তৈরি করে তাতে গঙ্গা জল দিয়ে জলাভিষেক করুতে পারেন। একইসঙ্গে শিবলিঙ্গে পঞ্চামৃত নিবেদন করুতে পারেন। মহাকুম্ভস্থলেও করতে পারেন এমন মাটির শিবলিঙ্গ। এর পাশপাশি সঙ্গমস্থলে পূর্বপুরুষদের নামে তর্পণ করলে পুণ্য মেলে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) পবিত্র স্থানে জাফরান মিশ্রিত ক্ষীর উৎসর্গ করুতে পারেন। এর পাশাপাশি রাতে ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে চারবার পূজো করতে পারেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এদিন দানও করতে পারেন। সারা রাত জেগে কাটিয়ে দিতে পারেন।

    মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নান করলে কী কী ফল মেলে

    মহাশিবরাত্রি উৎসবে মহাকুম্ভ স্নান করার বিশেষ কিছু ফল রয়েছে, যা ভক্তদের মন, আত্মা এবং শরীরের পবিত্র করে বলেই জানা যায়। মহাশিবরাত্রি হিন্দু ধর্মের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে পালন করতে দেখা যায়। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত শিবের আশীর্বাদ লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পুণ্যস্থানে ভ্রমণ করে থাকেন। তবে চলতি বছরের শিবরাত্রি বিশেষ। কারণ ২০২৫ সালের মহাশিবরাত্রি বিশেষ। কারণ এটি মহাকুম্ভ মেলার শেষ দিনে পড়েছে। মোক্ষ লাভ করতে আজকের স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    দেহ ও আত্মার পবিত্রতা: মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভ স্নান শরীর এবং আত্মা দুইই পবিত্র করে। এটি ভক্তদের পুরনো পাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং তাঁদের আত্মিক উন্নতি সাধনে সাহায্য করে।

    মোক্ষের প্রাপ্তি: মহাশিবরাত্রিতে প্রয়াগে স্নান মোক্ষ বা মুক্তি লাভের অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মানব জীবনের দুর্দশা এবং পুনর্জন্মের চক্কর থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    পূর্বজন্মের পাপ থেকে মুক্তি: মহাকুম্ভের শিবরাত্রি তিথির অমৃত স্নান জীবনে নিয়ে আসে আত্মবিশ্বাস। মেলে অপার শান্তি। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্নানটি বহু জন্মের পাপ থেকে মুক্তি দেয়।

    আধ্যাত্মিক উন্নতি: মহাশিবরাত্রির রাতটি শিবের শক্তির উচ্চতম পর্যায়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়ে মহাকুম্ভে অমৃত স্নান করলে এটি ভক্তদের আধ্যাত্মিক জাগরণের দিকে নিয়ে যায়। দেহ, মন এবং আত্মা একত্রিত হয়ে তা দিব্য শক্তির সঙ্গে সংযুক্ত হয়।

    শিবের আশীর্বাদ মেলে: মহাকুম্ভ স্নান করার সময় শিব নিজে ভক্তদের আশীর্বাদ প্রদান করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। যাঁরা এই দিনে পবিত্র স্নান করেন, তাঁদের জন্য শিবের করুণা বিশেষভাবে মেলে।

    শান্তি ও মানসিক স্বস্তি: আরও জানা যাচ্ছে, এই পবিত্র স্নান ভক্তদের মানসিক দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। অনেক ভক্ত এই স্নানের পর অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং মানসিক পরিচ্ছন্নতা অনুভব করেন।

    শিবরাত্রি (Maha Shivratri) তিথিতে মহাকুম্ভ স্নানে আসে পবিত্রতা

    প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক মিলনমেলা হল মহাকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে একবার ভারতের চারটি পবিত্র নদী তীরের শহরে অনুষ্ঠিত হয়—হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ, নাসিক, এবং উজ্জয়নী। প্রতি ১২টি কুম্ভে অনুষ্ঠিত হয় একটি মহাকুম্ভ। যা চলতি বছরে সম্পন্ন হল। আজ মহাশিবরাত্রির সঙ্গে কুম্ভ মেলা। এরফলে অমৃত স্নানের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, মহাশিবরাত্রির রাতটি একমাত্র সময়, যখন শিবের আধ্যাত্মিক শক্তি এবং পবিত্র নদীর স্নানের আধ্যাত্মিক শক্তি একত্রিত হয়। অনেকেই বলছেন, এই অমৃত স্নান ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ, যা তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং দেহ ও মনকে পবিত্র করার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।

  • Daily Horoscope 26 February 2025: গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 26 February 2025: গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময়কাল থেকেই ভারতীয় যাত্রীদের (Indian railway) মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে তাঁরা বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পছন্দ করছেন। যে কারণে, রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্ব আসছে তৃতীয় শ্রেণির এসি থেকেই। প্রসঙ্গত, ট্রেনকে এদেশের লাইফ লাইন বলা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাত্রা করেন এবং মধ্যবিত্তের সবচেয়ে সুবিধা জনক যাত্রা ট্রেনেই সম্ভব হয়। এই সময়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, আগে সাধারণ স্লিপার শ্রেণিগুলোই সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করত এবং ভারতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসত স্লিপার ক্লাসগুলো থেকে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান (Indian railway)

    ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে যে যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১.৪ শতাংশ মাত্র পছন্দ করতেন থার্ড এসি (Indian railway)। সংখ্যার বিচারে যা ছিল ১১ কোটি। এরপরে ২০২০ তে এল করোনা অতিমারি। লকডাউনের আবহে থার্ড এসির চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। ২০২৪-২৫ সালে ১৯ শতাংশ যাত্রী তাঁরা ভ্রমণ করার জন্য পছন্দ করেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তৃতীয় শ্রেণি কামরা। এই সংখ্যা ২৬ কোটি। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে এসি থ্রি-টিয়ার থেকে ভারতীয় রেলের আয় হয়েছিল ১২,৩৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ সালে সেই আয় বেড়েছে ৩০ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।

    কেন এত চাহিদা বাড়ছে?

    কিন্তু কেন এসি তৃতীয় শ্রেণিতে (Indian railway) এত চাহিদা বাড়ছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং দূষণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে সেখানে এসি বিহীন বা সাধারণ স্লিপার ক্লাসে যাত্রা করা একেবারেই আরামদায়ক হচ্ছে না। কারণ ভারতে গ্রীষ্মকাল খুব দীর্ঘ হয়। এই কারণেই জনগণ এসিকে বেছে নিচ্ছেন।

    অন্যদিকে, আরও বেশ কিছু কারণে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্লিপার কোচের সঙ্গে থার্ড এসি কোচের ভাড়ার ফারাক খুব বেশি নয়। সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট সাশ্রয়ী। এর ফলে আরামদায়ক জার্নির জন্য অনেকেই এসি থ্রি-টিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন।

    একই সঙ্গে স্লিপার ক্লাসে (Railways) অনেক ঘটনার সামনে আসে। চুরি নিরাপত্তার অভাব- এমন অনেক কিছুই অভিযোগ দায়ের হয়। যেগুলি সাধারণত স্লিপার এবং জেনারেল ক্লাসেই হয়। কিন্তু এসিতে সে জাতীয় কিছু হয় না এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও থাকে। সেখানে কোনও অবাঞ্ছিত যাত্রীদের প্রবেশও হয় না।

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, উপোস থেকে পুজো, জেনে নিন নিয়মবিধি

    Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, উপোস থেকে পুজো, জেনে নিন নিয়মবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার শিবরাত্রি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটা অতি পবিত্র একটা দিন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই দিনেই শিব ও পার্বতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ভক্তরা তাই মনে করেন, এই দিন যদি শিব-পার্বতীর পুজো করা হয় তা হলে সংসারে শান্তি বজায় থাকে। এ ছাড়াও এই দিন শিবের পুজো করলে মোক্ষলাভ হয় বলেও কথিত রয়েছে, এমনটাই বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) পুজো মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই করতে পারেন বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শিবরাত্রির (Shivratri) পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যা অবশ্যই সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।

    মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য (Maha Shivratri 2025)

    সাধারণভাবে প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়, কিন্তু ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রি, মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025) নামে প্রসিদ্ধ। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবলিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহাদেব। এই ব্রতে ভক্তরা শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন করেন এবং মোক্ষ প্রার্থনা করে। সারা রাত ধরে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শিবলিঙ্গকে স্নান করানোর জন্য মূলত গঙ্গাজল বা গঙ্গাজল মেশানো জল ব্যবহার করা হয়। শিবলিঙ্গের মাথায় অর্পণ করা হয় তিনটি পাতাযুক্ত যৌগিক বেলপাতা।

    আগের দিন থেকেই খান নিরামিষ (Maha Shivratri 2025)

    শিবরাত্রির আগের দিন থেকেই নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই কোনও প্রকার আমিষ আহার গ্রহণ করা যাবে না। তার পর শিবরাত্রির দিন থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত উপবাস করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালন করেন তাঁরা শিবরাত্রির রাত না ঘুমিয়ে কাটান। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, চেষ্টা করুন শিবরাত্রির রাতে একেবারে না ঘুমিয়ে জেগে কাটাতে। পরের দিন পুজো করে প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন।

    চার প্রহরের পুজো

    প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির পবিত্র দিনে রাত জেগে চার প্রহরে শিবের পুজো করতে হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে পুজো হয়, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে শিবের অভিষেক করার রীতি দেখা যায়। শিবরাত্রির পুণ্যতিথিতে পুজো করার সময় শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ এবং গঙ্গাজল অবশ্যই অর্পণ করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। এই পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো ফুল এবং বেলপাতা ব্যবহার করা উচিত। পুজোর শেষে শিবের নাম ১০৮বার জপ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরের দিন পর্যন্ত যদি উপবাস না রাখা যায়, অথবা সারা রাত জেগে কাটাতে না পারলে শিবরাত্রির দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস থেকে পুজো করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর প্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করা যেতে পারে। তারপর ফল ও দুধ খেতে পারেন।

    মহা শিবরাত্রির পুজোর নিয়ম

    শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri 2025)  ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে শিব ও পার্বতীকে প্রণাম করে পুজোর সংকল্প গ্রহণ করুন। এর পর গঙ্গায় স্নান করুন। গঙ্গা দূরে থাকলে গঙ্গাজল মেশানো জলে স্নান করুন। নতুন ও পরিষ্কার পোশাক পরে সূর্যকে অঞ্জলি দিন। মন্দিরে গিয়ে দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে শিবের অভিষেক করুন। এ ছাড়াও বাড়িতে একটি চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে দিন। তার উপর রাখুন শিব মূর্তি। দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে সেই প্রতিমার অভিষেক করুন। এর পর পঞ্চোপচার নিয়মে শিব ও পার্বতীর অভিষেক করুন।

    কেন শিবলিঙ্গের ওপর জল ঢালা হয় জানেন?

    পুরাণ অনুসারে, দেবতা এবং অসুররা যখন অমৃত পাওয়ার জন্য সাগর মন্থন শুরু করেন, তখন সেখান থেকে উঠেছিল বিষ বা হলাহল। মহাবিশ্বের সমস্ত সৃষ্টিকে ধ্বংস করে দিতে পারত সেই হলাহল। দেবতা এবং দানবরা মিলে ভগবান শিবকে বিষ পান করার জন্য অনুরোধ করেন। মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে মহাদেব দেবতা ও অসুরদের অনুরোধ মেনে নেন। এবং সেই বিষ পান করেন। এই বিষ মহাদেবের শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র পীড়া হতে পারতো। তাই, ভোলানাথকে যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর জন্য দেবী পার্বতী তাঁর গলায় হাত রাখেন। বিষ শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা রোধ হয়ে যায়। শরীর জুড়ে হলাহল ছড়িয়ে না পড়লেও ভগবান শিবের গলায় থাকার কারণে তা তাঁর গলাকে নীল করে দিয়েছিল। একারণেই তাঁকে নীলকণ্ঠ বলা হয়ে থাকে। বিষের কারণে প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহাদেবের শরীর। তাই ভগবান বিষ্ণু সেই তাপ কমানোর জন্য দেবতাদের (Maha Shivratri 2025) নির্দেশ দেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। ভক্তদের এই বিশ্বাস থেকেই আজও শিবের মাথায় জল ঢালার রীতি দেখা যায়।

  • Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না। তখন আর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ভেতরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকবে সীমান্ত পাহারায়।”

    ‘ওয়াতন কো জানো’

    সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। ‘ওয়াতন কো জানো’ (নিজের দেশকে জানো) কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিল্লি সফরে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল পড়ুয়াদের একটি দল। সেই দলের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “এদের মধ্যে কারও কারও বয়স মাত্র আট, অনেকেই প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ি ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের বাইরে এসেছে।”

    দেশের প্রতিটি অংশই তোমাদের

    তিনি বলেন, “এই দেশের প্রতিটি অংশ তোমাদের ঠিক ততটাই নিজের, যতটা জম্মু-কাশ্মীর।” শিশুরা যাতে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়, সেই অনুরোধও করেন শাহ। বলেন, “দেশজুড়ে তোমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ অপেক্ষা করছে। এই সুযোগগুলো তোমাদের কাজে লাগাতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এখন শান্তি বিরাজ করছে। তবে তোমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শান্তি যেন স্থায়ী হয়।” তিনি শিশুদের বলেন, “ওয়াতন কো জানো সফরের সময় যে শান্তি ও উন্নয়নের ছবি তোমরা দেখেছ, সেই বার্তা তোমরা নিজেদের পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।” এদিন প্রায় ২৫০ জন শিশু জম্মু-কাশ্মীর থেকে জয়পুর ও দিল্লি সফরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল তাদের দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করানো। এই দলের এক পড়ুয়া বলে,

    “আমরা হাওয়া মহল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম এবং জয়পুরে কাশ্মীরের বাইরের খাবার এনজয় করেছি।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit shah) বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, কোনও সরকারই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে পারবে না। কেবল এখানকার শিশুরাই তা পারবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের তাদের বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের বোঝাতে বলেন যে সমগ্র দেশ তাদেরই এবং সন্ত্রাসবাদকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের (Kashmir) মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে, যা দেশের অন্যান্য অংশে দেখা যায় (Amit shah)।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংঘর্ষ, ভাঙচুর, হিন্দুদের উপর অত্যাচার, খুনোখুনি। হাসিনা সরকারের পতনের পর, এগুলোই এখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চেনা ছবি। যা থামা তো দূর, উল্টে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই আবহেই বাংলাদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলার বর্ষবরণ। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে ১০০টি গো-হত্যা করার কথা ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে এনেছে। এই বিপজ্জনক পরিকল্পনাটি উপেক্ষা করছে ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগেও অবশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতনে নীরব ভূমিকা পালন করছে ইউনূস প্রশাসন।

    গুরুত্ব দিতে নারাজ ইউনূস সরকার

    শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভ এবং তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারের পতনের পর হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হিংসাত্মক আন্দোলন হোক কিংবা হিন্দুদের উপর অত্যাচার। প্রত্যেকবারই নানা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ইউনূস সরকার। কিন্তু, সে সবই যে আদতে লোক দেখানো। এবারও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে ভাবতে নারাজ অন্তর্বর্তী সরকার। পয়লা বৈশাখের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামনে আসার পরও সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গো-হত্যার মতো হুমকিগুলি বাড়তে থাকলেও, সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, আশ্চর্যজনকভাবে এই হুমকির প্রতি কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু বলেন… সরকার হিসেবে আমরা সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না।”

    বাংলাদেশের অতীত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মাপাড়ে এই ধরনের হুমকির বাস্তব পরিণতি উপেক্ষা করার নয়। এর আগে ধর্মীয় উৎসবগুলির বিরুদ্ধে ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণের ইতিহাস রয়েছে। ২০০১ সালে হরকত-উল জিহাদ আল ইসলামি (HUJI) দলের করা রামনা বটমূল বোমা হামলায় ৯ জন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছিল। ২০১৪ সালে এই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হলেও, তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পলাতক। ইউনুস সরকারের শাসনকাল শুরু হওয়ার পর ইসলামিক মৌলবাদীরা আরও উৎসাহিত হয়েছে। যদিও ইউনুস নিজে সরাসরি কোনো উসকানি দেননি, কিন্তু তাঁর নীরবতা মৌলবাদীদের শক্তিশালী করেছে। তাঁর প্রশাসন সন্ত্রাসী এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের মুক্তি দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণগুলোকে “ভুয়ো,” “অতিপ্রসারিত,” বা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অবমূল্যায়ন করেছে।

    উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। হিন্দু নিপীড়ন থেকে পুলিশ খুন, নারী নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে এখানে। বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ফেরানোর সুপারিশও করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের পর, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক আক্রমণ শুরু হয়। এই সময়ে কমপক্ষে ২০৫টি হিন্দু মন্দির, দোকান এবং ব্যবসায় আক্রমণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হিংসা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপর হামলার অপরাধীরা এখনও মুক্ত রয়েছে।ইউনূসের আমলে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ও হিংসার ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। এমনকী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    হিন্দুদের উপর চলমান নির্যাতনের কিছু ঘটনা

    সেপ্টেম্বর ৬: চট্টগ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি নিয়ে হিন্দু পূণ্যার্থীদের উপর ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণ।

    সেপ্টেম্বর ২৫: ময়মনসিংহে মা দুর্গার মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    সেপ্টেম্বর ২৮ অক্টোবর ১: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় ৯টি হিন্দু মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    অক্টোবর ৩: ঢাকার গোপীনাথ জিউর আখাড়া দুর্গাপুজা মন্ডপে ৭টি মূর্তি ভাঙা।

    নভেম্বর ৫: চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে পুলিশের দ্বারা হিন্দুদের উপর আক্রমণ।

    নভেম্বর ২৯: চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় তিনটি মন্দির ভাঙার ঘটনা।

    ডিসেম্বর ১৩: মহাশ্মাশান কালী মাতা মন্দিরে সাতটি মূর্তি ধ্বংস ও স্বর্ণালঙ্কার লুণ্ঠন।

    ডিসেম্বর ১৯: ময়মনসিংহে একাধিক হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ, মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন

    শারীরিক আক্রমণের বাইরে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে পদ্মাপাড়ে। ৬০ জন হিন্দু সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দুদেরকে জোর করে ‘জামায়াত-ই-ইসলামী’ তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দু কর্মী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থা গভীরে প্রবাহিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিদিন আক্রমণের মুখে পড়ছে। মূর্তি ধ্বংস, জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়া এবং সাংবিধানিকভাবে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পদ্মা তীরে হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অস্তিত্ব এখন বিপন্ন।

  • CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতির কারণে দুর্বল নীতিগত কাঠামো থেকে শুরু করে অপর্যাপ্ত বাস্তবায়নের মতো বিভিন্ন কারণে দিল্লি সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্মিলিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report) পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report)

    রিপোর্টটি আগের আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৪টি রিপোর্টের একটি। প্রতিটি রিপোর্ট উপস্থাপিত করবে নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন (Delhi Govt)। এতে লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ উপেক্ষা করেছিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোচিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসা কথিত মদ কেলেঙ্কারির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা। এতে দাবি করা হয়েছে যে “বিধিসম্মত নয় এমন পুরসভা ওয়ার্ডে”ও মদের দোকান খোলার জন্য সময় মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।

    জমি ব্যবহারের নিয়মাবলী

    আবার এমন অনেক এলাকায় মদ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবহারের নিয়মাবলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই এলাকাগুলি থেকে তাদের লাইসেন্স ফি জমা না হওয়া এবং পুনঃনিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যর্থতার কারণে আবগারি বিভাগ প্রায় ৮৯০.১৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” এছাড়াও, কোভিড অতিমারীর কারণে দোকান বন্ধ থাকায় লাইসেন্সধারীদের যে “অনিয়মিত ছাড়” দেওয়ার হয়েছে, তার ফলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব (Delhi Govt)।

    বিভিন্ন অনিয়ম

    নীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মগুলি (CAG Report) ২০২২ সালের জুলাই মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন, তখন তা রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং, মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাস্টার প্ল্যান দিল্লি-২০২১ অনুসারে অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আবগারি নীতি ২০২১-২২ অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র খোলার কথা বলা হয়েছিল।

    কী বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন দোকান খোলার জন্য দরপত্র নথিতে উল্লেখ ছিল যে কোনও অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান থাকবে না। তবে, যদি কোনও দোকান অননুমোদিত এলাকায় থাকে, তবে তা সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। ক্যাগের রিপোর্ট জানিয়েছে, ” অননুমোদিত এলাকায় প্রস্তাবিত বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আবগারি বিভাগ যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DDA) এবং কর্পোরেশন (MCD)-এর মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল (Delhi Govt)।”

    লাইসেন্স বরাদ্দ

    লাইসেন্সগুলি ২০২১ সালের (CAG Report) অগাস্টে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই, এবং দোকানগুলি ১৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যেই, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ঠিক আগের দিনই একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে অননুমোদিত এলাকায় দোকান চালানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর লাইসেন্সধারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ আদালত ৬৭টি অননুমোদিত ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক দোকানগুলির জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। এর ফলে প্রতি মাসে ১১৪.৫০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি মকুব হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, “নোটিশ ইনভাইটিং টেন্ডার প্রকাশের আগে এই সমস্যার সমাধান না করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য ক্ষতি হয় প্রায় ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা।”

    লাইসেন্স জমা দেওয়ার হিড়িক

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯টি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারী তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের লাইসেন্স জমা দেন। এর মধ্যে মার্চেই জমা দেন চারজন, মে মাসে পাঁচজন এবং জুলাই মাসে ১০ জন। তবে মদের দোকান চালু রাখতে আবগারি দফতর কোনও পুনঃটেন্ডারিং প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে লাইসেন্স ফি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অঞ্চলগুলিতে মদের খুচরা বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। লাইসেন্সধারীরা ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আবগারি দফতরের কাছে ফি মকুবের আবেদন জানান। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের রায়ে দফতরকে এই বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    আবগারি এবং অর্থ দফতর (CAG Report) বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর প্রস্তাব দেয় যে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইসেন্স ফির আনুপাতিক মকুব বিবেচনা করা যাবে না। কারণ টেন্ডার নথিতে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারা এই প্রস্তাব খারিজ করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকা দোকানগুলির জন্য প্রতিটি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারীকে ফি মকুবের অনুমোদন দেওয়া হয় (Delhi Govt)।”

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে রাজনীতির ময়দানে ছাত্রদল! শুক্রবার সূচনা নয়া পার্টির

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে রাজনীতির ময়দানে ছাত্রদল! শুক্রবার সূচনা নয়া পার্টির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবার সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চলেছেন। শুক্রবার নতুন দলের নাম ঘোষণা করা হবে। এই দল জামাত, আওয়ামি কিংবা বিএনপির নয়। এই সমীকরণ যুব প্রজন্মের। এই সমীকরণ নতুনদের। সামাজিক মঞ্চ জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলিত ভাবে এই রাজনৈতিক দল গঠন করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব।

    ছাত্রদের নিয়ে গঠিত দল

    শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবার নামতে চলেছে বাংলাদেশের কাদা-মাটির রাজনীতিতে। জুলাই আন্দোলনের সময় দেশের সংস্কারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে ময়দানে নেমেছিল তারা। সেই আন্দোলনই যে সময়ের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়ে গিয়েছে তা আপাতত স্পষ্ট। সাম্প্রতিককালেই নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, সরকারি পদ ছেড়ে তারা এবার নতুন দল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নামবে। সম্ভবত, চলতি বছরেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। আর তার আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে নিতে চলেছে ছাত্ররা। জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার নতুন দলটির সূচনা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলেই গঠন করা হচ্ছে এই দল। তবে নাম কী হবে, মাথায় কারা থাকবে, কোন দায়িত্ব কার কাঁধে যাবে সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।

    পদ্মা পাড়ে নয়া সমীকরণ

    জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্য, “নতুন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সম্পর্কে মানুষের যে কল্পনা, বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া একটা দীর্ঘ লড়াইয়ের বিষয়। সেই লড়াইকে সামনে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ঐক্যবদ্ধ ভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে।” নতুন দলের আহ্বায়ক হতে পারেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা। শুক্রবারের আগেই উপদেষ্টার পদ ছাড়তে পারেন নাহিদ। বিগত কয়েক মাসে পদ্মার বুক হয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল। এই পদ্মা দেখেছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের নির্মাণ। এই পদ্মা সাক্ষী থেকেছে বঙ্গবন্ধুর উত্থান ও মৃত্যুর। সেই পদ্মাপাড়েই এবার অন্য আর এক সমীকরণ।

  • AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন ৫ হাজার ৭০০ টাকার করে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) এহেন বিদ্যুৎ খরচের (AAPs Powerplay) বহরে চক্ষু চড়কগাছ দিল্লিবাসীর। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুৎ খরচের হিসেব জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।

    কেজরির বিদ্যুৎ খরচ (AAPs Powerplay)

    তখনই জানা যায়, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ৪১.৫ লাখ টাকার। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই পরিমাণ বিদ্যুৎ তিনি ব্যবহার করেছেন। ইউনিটের হিসেবে কেজরিওয়াল এই পর্বে ব্যবহার করেছেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি বিদ্যুৎ। আরও জানা গিয়েছে, কেজরিওয়ালের মাসিক গড় বিদ্যুৎ খরচ ছিল ২৩ হাজার ইউনিটেরও বেশি। প্রতিদিন ৭৭০ এর বেশি ইউনিট।

    পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে

    সম্প্রতি আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। পূর্বতন শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন বিজেপির রেখা গুপ্ত। তিনি বণিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। কেজরিওয়াল ক্ষমতাচ্যুত হতেই চলে এসেছেন পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে। কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনের নাম ‘শিশমহল’। এই বিলাসবহুল বাড়িটিকে ঘিরে আমজনতারও বিস্তর অভিযোগ।

    আরটিআইয়ের তথ্য

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিদ্যুৎ খরচ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরটিআইয়ের (RTI) উত্তরেও জানা গিয়েছে, অন্যান্য আপ মন্ত্রীর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি (AAPs Powerplay)। সব মিলিয়ে এই মন্ত্রীরা এই দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ১.১৫ কোটি টাকার। আরটিআইয়ের তথ্য অনুসারে, শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার মথুরা রোডের বাসভবনে ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ১,২৬,৭৪৯.৭৫ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭২২ টাকা। একই সময়ে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের বাড়ির ১,৬১,৮৮৩.১৪ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল বাবদ দিতে হয়েছে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ৮, রাজ নিবাস মার্গের বাসভবনে ৬৮,৫৮১.৪৬ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

    বিতর্কের কেন্দ্রে ‘শিশমহল’

    কেজরিওয়ালের ‘শিশমহল’ আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছিল। প্রাক নির্বাচনী পর্বেও বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই সরকারি বাসভবনটিই। এই বিল্ডিংয়েই রয়েছে দামি দামি সব আসবাবপত্র, উচ্চমানের সরঞ্জাম এবং আড়ম্বরপূর্ণ সজ্জা। এসবের জন্যই খরচ করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি কেজরিওয়ালের স্বঘোষিত মিতব্যয়ী এবং স্বচ্ছ শাসনের পক্ষের নেতার ভাবমূর্তির পুরোপুরি বিপরীত। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিদ্যুৎ বিল এবং আপ মন্ত্রীদের সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের চমকপ্রদ বিবরণ গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ দলের মিতব্যয়িতার নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বিপরীত এটি। শিশমহলে বিলাসবহুল সংস্কারের অভিযোগ এবং এখন প্রচুর বিদ্যুৎ খরচের কারণে, দলের স্বচ্ছতা এবং আর্থিক দায় এখন নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এমন বিতর্ক চলতে থাকায়, নাগরিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এক সঙ্গে আপ নেতৃত্বের ব্যয় সংক্রান্ত বিবরণ সম্পর্কে আরও পরিষ্কার উত্তরের দাবি জানাচ্ছেন (AAPs Powerplay)।

    বিজেপির বাক্য-বাণ

    আরটিআই রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “আপ মোটেও সাধারণ মানুষের জন্য নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অবশেষে এতটা ‘আম’ (সাধারণ) নয়? আরটিআই উত্তরের অনুযায়ী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অক্টোবর ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত দুবছরের মধ্যে ₹৪১.৫১ লক্ষ মূল্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। প্রতিদিনের আনুমানিক বিল ₹৫,৭০০, দৈনিক ৭৭০+ ইউনিট খরচের জন্য। সাধারণ মানুষ মাসে প্রায় ২৫০-৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে! এটাই ছিল কেজরিওয়ালের প্রকৃত চেহারা।” আপ সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কেজরিওয়ালের নাম পরিবর্তন করে বিজলিওয়াল রাখা উচিত। বিজেপির এই নেতা বলেন, বিজলিওয়ালের দৈনিক খরচ একজন সাধারণ মানুষের মাসিক খরচের তিনগুণ বেশি।”

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেজরিওয়াল বাসভবনটি সংস্কারের জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। তারপরেই বিজেপি বাসভবনের নামকরণ করেছিল শিশমহল। পুনাওয়ালা বলেন, “২ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ।” মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কতগুলি এসি চালানো হচ্ছিল? এ প্রশ্ন তুলে বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “কেজরিওয়ালের বাসভবনের এক দিনের বিল (Arvind Kejriwal) সাধারণ মানুষের এক মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের চেয়েও বেশি। এটা কি খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ নয়? তিনি অনেক টাকা নষ্ট করেছেন (AAPs Powerplay)।”

LinkedIn
Share