Tag: Madhyom

Madhyom

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

  • PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সুদৃঢ়, এমনটাই বিশ্বাস করে দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ বিষয়ে জনগণের আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৫ সালের ৬ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষায় ১৪,৬৭১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৮.০৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।

    মোদির প্রতি আস্থা

    এই সমীক্ষার পটভূমি ছিল ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আস্তানায় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে দেবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে যুদ্ধপদ্ধতি নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই সমীক্ষা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতকে সপাটে বাউন্ডারির বাইরে পঠিয়ে দিয়েছে।

    রাহুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ‘নরেন্দ্র সারেন্ডার’ মন্তব্য করেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে, সমীক্ষায় ৮৭.৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই মন্তব্যকে অশোভনীয় বলে অভিহিত করেন, যা রাহুলের বক্তব্যের প্রতি জনমতের অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুরুর দিকে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও একপ্রকার আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনমত মোদির সঙ্গে

    রাহুলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বললেন, “মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশের বিরোধী দলনেতা নন। উনি আইএসআইয়ের সদস্য। পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।” বিজেপির অভিযোগ, রাহুল যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সেই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে ভারত বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের আস্থার প্রতিফলন। এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

  • Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইজরায়েলি (Israel) বাহিনী সোমবার ভোররাতে প্যালেস্টাইনমুখী একটি নৌকাকে আটক করে। নৌকাটিতে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফরাসি ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসানসহ আরও ১২ জন। ‘ম্যাডলিন’ নামের ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকাটি ৬ জুন সিসিলি থেকে রওনা হয় এবং প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল।

    কেন আটক

    ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নৌকাটিতে থাকা সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের পানীয় জল ও খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ইজরায়েলি নৌবাহিনী প্রথমে ম্যাডলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জাহাজটিকে গতিপথ পরিবর্তন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজা ভূখণ্ডে হামাস যাতে অস্ত্র আমদানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ অবরোধ চলছে। সেই অবরোধ ভাঙতে কাউকে অনুমতি দেবে না ইজরায়েল। এদিকে সেই অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার মিশন নিয়ে ইতালির সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ। গাজা ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন করাও এই যাত্রার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ইজরায়েল পুরো উদ্যোগটিকে “মিডিয়া প্ররোচনা” হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইজরায়েলি বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যে পরিমাণ ত্রাণ ওই নৌকায় ছিল, তা দিয়ে একটা ট্রাকও ভরত না। তাদের স্পষ্ট কথা, ত্রাণ পৌঁছতে হলে ইজরায়েলের নির্ধারিত রুট দিয়েই পাঠাতে হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল

    মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় চলমান মানবিক সংকটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এর আগেও প্যালেস্তাইনমুখী একটি নৌকা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই ইজরায়েল ও মিশর অঞ্চলটিতে কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘ধীরে ধীরে ওই নৌকা ইজরায়েলের দিকে এগোচ্ছিল। নৌকায় থাকা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের শীঘ্রই নিজেদের দেশে ফেরানো হবে। আপাতত ওঁদের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ!’’ ওই নৌকায় থাকা সকলকে শুকনো খাবার এবং জলও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক।

  • BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে বিএসএফের (BSF) উর্দি রং। দ্রুতই বিএসএফ জওয়ানদের গায়ে উঠবে নয়া ডিজিটাল ক্যামাফ্লেজ প্যাটার্নের ইউনিফর্ম। নতুন পোশাক (Uniforms) এতটাই ইউনিক হবে যে এর নকল করা প্রায় অসম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গল এলাকায় গাছের রংয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রায় অদৃশ্য হয়ে থাকার পাশাপাশি জঙ্গি কিংবা দুষ্কৃতীরা যাতে বিএসএফের পোশাককে নকল করতে না পারে, তাই এই নয়া ইউনিফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

    বিএসএফের নকল পোশাক পরে সন্ত্রাস (BSF)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং তারও আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, জঙ্গিরা বিএসএফের নকল পোশাক পরে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাজ হাসিল করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে। অনেক ট্যুরিস্ট স্পটেও দেখা যায়, প্রকাশ্যেই বিকোচ্ছে বিএসএফের ইউনিফর্মের মতো নকল পোশাক। সেই প্রবণতা রুখতেই এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এমন এক পোশাক নিয়ে এল, যাতে ডিজিটাল প্রিন্টের জটিল পিক্সেল ও বহু রং ব্যবহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, নয়া এই পোশাক নকল করা দুঃসাধ্য। কারণ এতে ফ্যাব্রিক, রং, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং গোপন কারিকুরি ব্যবহার করা হয়েছে, যা জঙ্গিদের পক্ষে জানা অসম্ভব। পোশাকটি বানিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। নয়া এই উর্দি আগের চেয়ে হালকা, সবুজ ও অলিভ রংয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এই পোশাক পরে জওয়ানরা যাতে সব আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।

    উর্দির কপিরাইট সেনার

    এই পোশাকের কপিরাইট নিয়ে রেখেছে সেনা। সেনার ক্যান্টিন ছাড়া অন্য কোথাও এই পোশাক মিলবে না। কোনও সংস্থা যদি বিএসএফের এই পোশাকের মতো দেখতে পোশাক বিক্রির চেষ্টা করে, তাহলে সেনা তার বিরুদ্ধে মামলা করবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিএসএফের প্রায় ১২ লাখ জওয়ানকে এই নয়া ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পুরো বাহিনীর গায়ে উঠবে নয়া উর্দি (BSF)। এই উর্দিতে যে কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে, তা কেবল আরামদায়কই হবে না, হবে খুব মজবুতও। আগের উর্দিতে ৫০ শতাংশ সুতি এবং বাকি ৫০ শতাংশ পলিয়েস্টার থাকত। নয়া উর্দিতে এই অনুপাতটা হয়েছে ৮০ শতাংশ সুতি, ১৯ শতাংশ পলিয়েস্টার (Uniforms) এবং ১ শতাংশ স্প্যানডেক্স। তাই কাপড় আরও স্ট্রেচেবল হবে (BSF)। নতুন উর্দির রঙেও বৈচিত্র্য। এতে ৫০ শতাংশ খাকি, ৪৫ শতাংশ সবুজ ও ৫ শতাংশ বাদামি রং রয়েছে।

  • Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে তৃতীয় দিনে পড়ল মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে (Donald Trump)। রবিবার একটি ফেডারেল ভবনের বাইরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বিক্ষোভকারী দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ওই এলাকায় জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার পরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয় (Violent Mobs Riot)। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে। ব্যবহার করে অন্যান্য কম প্রাণঘাতী অস্ত্র। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার (Donald Trump)

    অশান্তির সূত্রপাত হয় শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন জোর কদমে শুরু হয় মার্কিন অভিবাসন অভিযান। অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ভবন ও আটক কেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়। কম্পটন এবং প্যারামাউন্ট এলাকায়ও বিশাল উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি হোম ডিপোর আশপাশেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার সময় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে নাগরিক অভিবাসন আইন প্রয়োগে কোনওরকম সহযোগিতা করে না। কেবল কারও অভিবাসন স্টেটাস যাচাইয়ের জন্য কাউকে আটক করার নীতিতেও বিশ্বাসী নয় তারা।

    ক্রমেই বাড়ছে হিংসা

    এদিকে, ক্রমেই হিংসা বৃদ্ধি এবং ফেডারেল কর্মী ও সম্পদের ওপর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস নর্দার্ন কমান্ডকে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২,০০০ সেনাকে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ৬০ দিনের জন্য অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের (Violent Mobs Riot) ৭৯তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ৩০০ সেনা সদস্যকে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দিচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্তারা জানান, জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে।

    ট্রাম্পের বার্তা

    অন্যদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, অবৈধ অভিবাসীদের আগ্রাসন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি যেসব গোষ্ঠীকে সহিংস ও বিদ্রোহী ভিড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) বলেন, যারা আইনসম্মত বহিষ্কার অভিযান ব্যাহত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “এক সময়ের মহান আমেরিকান শহর লস অ্যাঞ্জেলেস আজ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত ও দখলকৃত। এখন এই সহিংস, বিদ্রোহী ভিড় আমাদের ফেডারেল এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের বহিষ্কারের কর্মসূচি থামাতে চাইছে। কিন্তু এই আইনবিরোধী দাঙ্গা আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।” তিনি জানান, তিনি স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোএম, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন (Violent Mobs Riot) তাঁরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অশান্তি বন্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “অবৈধদের বিতাড়িত করা হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস মুক্ত হবে (Donald Trump)।”

    প্রসঙ্গত, রবিবারই নিউ জার্সিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার একটি ছোট্ট বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের (Violent Mobs Riot) নতুন কায়দা।” হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক ও সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে (Donald Trump)।”

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বার বার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে। সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়েছে। বেছে বেছে হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। গত মে মাসেও সেই ধারা অব্যহত।

    জমি দখল ও হিন্দুদের উপর আক্রমণ

    গত ১৬ মে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম আশ্বথলা গ্রামে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হিন্দু পরিবারের চা দোকান ও পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নজরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া আখতার ওই পরিবারের জমি দখলের জন্য হুমকি দেয়। বাধা দিলে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ধর্মীয় অবমাননা ও গ্রেফতার

    গত ১৭ মে মৌলবী বাজারের বাসিন্দা বিকাশ ধর দীপ্ত নামে ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফেসবুকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ, বরিশালের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত নামে ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দিনই ফিরোজপুরে কৌশিক সাহা নামে ১৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    মন্দিরে আক্রমণ ও ক্ষতি

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জে শ্রী শ্রী মা কালী দুর্গা মন্দিরের জানালার পর্দা পুড়িয়ে দেয় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতী। দানবাক্সে থাকা ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা চুরি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার  তদন্ত শুরু করছে। খুলনায় প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানি দাসের বাড়িতে গত ১৭ মে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল হামলা চালায়। পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ডেইলি অবজারভারে প্রকাশিত খবরে, জানা যায়, বিরামপুরে ১৮ মে মোস্তফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় নেতা একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। সোনার দেশের খবর অনুযায়ী, নাটোরে ১৮ মে কাপুরিয়াপাড়ি এলাকায় শতবর্ষী শিব মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের বাসভবনও দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মন্দির ও পরিবারের সম্পত্তি রক্ষা করে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ফরিদগঞ্জের চাঁদপুর গত ১৮ মে শ্রী গুরু জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে যায়। পুলিশ দোষীদের খুঁজছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ মে বাওম সম্প্রদায়ের সদস্য লাল ত্লেং কিম বাওমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। তারা বাওম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) প্রতিদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। হবিগঞ্জে ২১ মে বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এই চেষ্টা রুখে দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ তদন্ত করছে। ২১ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ইজি ফ্যাশনের তিন মালিক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

     

    (চলবে)

  • Shubhanshu Shukla: ৪১ বছর পর ফের মহাকাশে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, কেন তাৎপর্যপূর্ণ শুভাংশুর এই যাত্রা?

    Shubhanshu Shukla: ৪১ বছর পর ফের মহাকাশে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, কেন তাৎপর্যপূর্ণ শুভাংশুর এই যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪১ বছর পরে এবার ফের মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন এক ভারতীয়। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল (Shubhanshu Shukla)। শুক্রবার ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশুকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) পাঠাবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, নাসা। প্রাইমারি মিশন পাইলট হিসেবে থাকছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল। বায়ুসেনার আর এক কর্তা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালকৃষ্ণণ নায়ার থাকবেন ব্যাকআপ মিশন পাইলট হিসেবে।

    শুভাংশু শুক্ল (Shubhanshu Shukla)

    উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাসিন্দা শুভাংশু। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনায়। শুভাংশুর দিদি জানান, কার্গিল যুদ্ধই ছিল তাঁর বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা। ১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধের সময় শুক্লর বয়স ছিল ১৪ বছর। সেই সময় ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বীরগাথা পড়তে পড়তেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবেন।

    অ্যাক্সিওম স্পেস

    প্রায় ৯ মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর পর গত মার্চ মাসে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। এবার সেখানেই যাওয়ার কথা শুভাংশুর। গত মে মাসের ২৯ তারিখেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যাওয়ার সেই অভিযান স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে অ্যাক্সিওম স্পেস। জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ মিশনের এই উৎক্ষেপণ হবে মঙ্গলবার, ১০ জুন। দু’হাজার ঘণ্টারও বেশি উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর। ২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশচারী কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এজন্য রাশিয়া, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। তিনিই হবেন কনিষ্ঠতম মহাকাশচারী।

    রাত পোহালেই রচিত হবে ইতিহাস

    আবহাওয়া অনুকূল (Shubhanshu Shukla) থাকলে ১০ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার (NASA) থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। এই রকেটটি চারজন মহাকাশচারীকে নিয়ে দুসপ্তাহের যাত্রায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের দিকে রওনা দেবে। এই দলেই থাকবেন শুভাংশু। এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে “অ্যাক্সিওম মিশন ৪” (Ax-4)। এটি পরিচালনা করছে হিউস্টন-ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস, যারা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে কাজের ক্ষেত্রে দ্রুতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অর্জন করেছে। শুভাংশু হবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাওয়া প্রথম ভারতীয় নভশ্চর (International Space Station)। অ্যাক্সিওম-৪ হল অ্যাক্সিওম স্পেসের চতুর্থ মানববাহী মহাকাশ মিশন, যা নাসা এবং স্পেস এক্সের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রা, যার উদ্দেশ্য হল মানব শারীরবিদ্যা, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, পদার্থবিদ্যা, এবং মহাকাশ কৃষি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা।

    এই মিশনের গুরুত্ব

    এই মিশন নানা (Shubhanshu Shukla) কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মহাকাশে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার সাফল্য প্রদর্শন করে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মানুষের উপস্থিতিকে আরও সম্প্রসারিত করে। এই মিশন ভারতের মতো দেশ, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো যারা বহু দশক ধরে মানব মহাকাশ অভিযানে যোগ দিতে পারেনি, তাদের মহাকাশে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দেয়। শুভাংশু এএক্স-৪ মিশনের পাইলট হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্থান মিশন কমান্ডারের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে। তাঁর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে নেভিগেশন, ডকিং এবং জরুরি পরিস্থিতিতে পরিচালনার কৌশল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শুভাংশু বলেন, “আমি মহাকাশে যাচ্ছি। শুধু যন্ত্রপাতি ও উপকরণই বহন করছি না, আমি বহন করছি ১০০ কোটি হৃদয়ের আশা ও স্বপ্ন। আমি সকল ভারতীয়ের কাছে আমাদের মিশনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনার অনুরোধ জানাই।”

    ভারতের বিনিয়োগ

    ভারত শুক্লার আসন সুরক্ষিত করতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এটি কেবল প্রতীকী পদক্ষেপ নয়, বরং একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত, যাতে ইসরোর গগনযান মিশন (যেটি ২০২৫–২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা) আন্তর্জাতিক মঞ্চে (International Space Station) পরিচিতি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির সুবিধা পায়। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, “এই মিশন থেকে আমরা যে উপকার পাব, তা অভূতপূর্ব — প্রশিক্ষণ, সুবিধাগুলির সঙ্গে পরিচিতি এবং মহাকাশে যৌথভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা পরিচালনার অভিজ্ঞতা — এগুলি সব দিক থেকেই অত্যন্ত মূল্যবান।”

    ভারত পরীক্ষা করবে ৭টি

    জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ এর (Shubhanshu Shukla) ৬০টি গবেষণামূলক প্রকল্পের মধ্যে সাতটি পরীক্ষা পরিচালনা করবে ভারত। একটি পরীক্ষায় ছ’টি প্রজাতির ফসলের বীজ মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হল, মহাকাশে কৃষিকাজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা, একই সঙ্গে পৃথিবীতে জলবায়ু-সহনশীল ফসলের উন্নয়নে অবদান রাখা। অন্য একটি পরীক্ষায় তিনটি মাইক্রোঅ্যালগির প্রজাতি বিশ্লেষণ করা হবে, যাতে দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে সেগুলো খাদ্য, জ্বালানি বা জীবন-সহায়ক উপাদান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য কি না। গবেষকরা টারডিগ্রেড নামক অতিক্ষুদ্র প্রাণীর সহনশীলতা নিয়েও গবেষণা করবেন। এই প্রাণীগুলি চরম প্রতিকূল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। একটি আলাদা গবেষণায় মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে পেশির ক্ষয় নিয়ে কাজ করা হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক পুনর্বাসন পদ্ধতিগুলি অনুসন্ধান করা হবে (International Space Station)। আর একটি পরীক্ষায় বিশ্লেষণ করা হবে কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে স্ক্রিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া চোখের গতি, মানসিক চাপ এবং মানসিক সজাগতার ওপর প্রভাব ফেলে (Shubhanshu Shukla)।

  • Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী গর্ভ থেকে বালি তুলতে গিয়ে মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বেলে পাথরের এই মূর্তিটি একাদশ শতকে তৈরি। বাঁকুড়ার (Bankura) দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি। মূর্তিটির মাথার ওপর রয়েছে কিরীট, কানে কর্ণকুন্তল, গলায় বরমালা। প্রত্ন গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মূর্তিটি সব দিক থেকে ব্যতিক্রমী বলে মনে হয়েছে। আর অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে শিল্পনৈপুণ্যের দিক থেকে এটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ঐতিহাসিক প্রত্নসামগ্রী হিসেবেও অত্যন্ত মূল্যবান।” তিনি জানান, মূর্তিটিতে প্রাচীন জৈন সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে।

    লোকেশ্বর বিষ্ণুর মূর্তি (Lord Vishnu Idol)

    গবেষকদের মতে, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। মোট চারটি দেবদেবী রয়েছেন। বিষ্ণুমূর্তির ১২টি হাত। এর মধ্যে ৮টি হাতে বিভিন্ন আয়ুধ এবং সামগ্রী থাকলেও, দু’পাশের চারটি হাত রয়েছে চার মূর্তির মাথায়। এর মধ্যে দু’টি হাত রয়েছে আয়ুধ পুরুষের মাথায়, বাকি হাত দু’টি রয়েছে দুই দেবীর মাথায়। এই দুই দেবী হলেন ভূদেবী এবং শ্রীদেবী। প্রত্ন গবেষকদের দাবি, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ওলা দুবরাজপুরের মন্দিরতলা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয় মূর্তিটি। বাদামী বেলেপাথর খোদাই করা মূর্তিটির উচ্চতা ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ প্রায় ২ ফুট। মূর্তি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা সেটি নিয়ে যান গ্রামের একটি কালী মন্দিরে।

    স্থানীয়দের দাবি

    স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দ্বারকেশ্বরের যে এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে, এক সময় তারই অদূরে ছিল বিষ্ণুমন্দির। সেই মন্দিরের নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয় মন্দিরতলা। ওই মন্দিরেই পূজিত হত ভগবান বিষ্ণুর এই মূর্তি। দ্বারকেশ্বরের ভাঙনে মন্দিরটি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে মূ্র্তিটিও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন আর্থ মুভার দিয়ে বালি তুলতে যাওয়ার সময়ই মেলে সেই বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

    বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর ও কংসাবতী নদী উপত্যকার সভ্যতা বহু প্রাচীন। এক সময় এই দুই নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছিল উন্নত জৈন সভ্যতা। সেই সভ্যতারই প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে কংসাবতী ও দ্বারকেশ্বরের (Bankura) গর্ভে মিলেছে জৈন তীর্থঙ্করদের দিগম্বর মূর্তি। এবার তীর্থঙ্কর নয়, মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

  • Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৯ জুন বিরসা মুন্ডার তিরোধান দিবস (Birsa Munda Death Anniversary)। প্রতিবছর এই দিনটিকে বিরসা মুন্ডা পুণ্যতিথি (Birsa Munda Punyatithi 2025) হিসেবে উদযাপন করা হয় দেশে। ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন বিরসা মুন্ডা। তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, সংস্কৃতি এবং ভূমি রক্ষায়, বিশেষ করে বর্তমান ঝাড়খণ্ডে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল (Birsa Munda Death Anniversary)। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন (Birsa Munda Punyatithi 2025)। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

LinkedIn
Share