Tag: Madhyom

Madhyom

  • China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক না থাকলে কোভিডের (Covid) থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে।” এমনই সতর্ক বার্তা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন (China) বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিনা বিজ্ঞানী দম্পতিকে। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন ওই বিশেষজ্ঞ। অভিযোগ, বছর তেত্রিশের ইউনকিং জিয়ান ও তাঁর স্বামী ঝুনইয়ং লিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফিউসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নামক একটি ছত্রাক পাচার করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ছত্রাকটি “হেড ব্লাইট” নামক এক ধরণের রোগ সৃষ্টি করে, যা গম, যব, ভুট্টা এবং ধানের ফসলকে আক্রান্ত করে (China)।

    দম্পতি ধৃত (China)

    বর্তমানে এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন জিয়ান। তাঁকেই ছত্রাকটি পাঠান বিজ্ঞানী লিউ। তার পরেই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চোরাচালান, মিথ্যা বিবৃতি এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের তরফে এই ঘটনাকে ‘কৃষি সন্ত্রাস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। যদি এই ঘটনার পরেও আমেরিকা চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করে, তবে এর পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক। ‘চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার’ বইয়ের লেখক গর্ডন জি চ্যাংয়ের মতে, এই বিপদের একমাত্র প্রতিকার হল চিনের (China) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। এই ছত্রাকটি কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। এতে আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।

    যুদ্ধ ঘোষণার সমান

    চ্যাং বলেন, “এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের মে মাসে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যেখানে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য এই ধরনের শব্দচয়ন কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” চ্যাং বলেন, “চিন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China) বারবার যুদ্ধের কথা বলছেন এবং পুরো চিনা সমাজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন। আমরা হয়তো সামরিকভাবে শক্তিশালী, কিন্তু (Covid) আত্মরক্ষায় আমরা যতটা দৃঢ় হওয়া উচিত, ততটা নই।”

  • Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Fadnavis)। গত বছর হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এই নির্বাচনে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়।

    রাহুলের অভিযোগ (Fadnavis)

    রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায়, সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “রিগিং একটি ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো — যারা ফিক্স করে তারা হয়তো একটি খেলা জিততে পারে, কিন্তু এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ও জনগণের ফলাফলের প্রতি আস্থা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচন যে কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে বিষের মতো।” রাহুল গান্ধীর পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর, নির্বাচন কমিশন এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি নথি পুনরায় প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অবাস্তব (Fadnavis)।

    ইভিএমের দোষ!

    ফড়নবীশ রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “যদি আপনি মানুষকে বোঝাতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিভ্রান্ত করুন—এই নীতিই রাহুল গান্ধী গ্রহণ করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ইভিএমের দোষ দিয়ে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, “এখন মহারাষ্ট্রে প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ইভিএম নিয়ে সব মামলাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একজন নেতা যিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “যেসব নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার জেতে, সেই সব ইভিএম কি ঠিক (Rahul Gandhi)?” তিনি বলেন, “জনগণের রায়কে সম্মান করুন (Fadnavis)।”

  • Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) তাড়াতে অসম সরকারকে (Assam Govt.) ফি বার আদালতে যেতে হবে না। ১৯৫০ সালে পাশ হওয়া একটি পুরানো আইন ব্যবহার করেই এটি করা সম্ভব। শনিবার নলবাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথাই বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান,

    ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ (Assam Govt)

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে “ইমিগ্র্যান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) অ্যাক্ট, ১৯৫০” এখনও বৈধ এবং এই আইন ব্যবহার করে রাজ্য সরকার আদালতের দ্বারস্থ না হয়েই অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়ন করতে পারে। তিনি বলেন, “একটি পুরনো আইন আছে যার নাম ‘ইমিগ্র্যান্টস এক্সপালশন অর্ডার (১৯৫০)’, এবং নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা সম্পর্কিত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে এই আইন এখনও কার্যকর। এই আইনের আওতায় এমনকি একজন জেলাশাসকও অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর আদেশ দিতে পারেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও এক কারণে এই বিধানটি ভুলে যাওয়া হয়েছিল এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরাও এর উল্লেখ করেননি। সম্প্রতি এই আইনের অস্তিত্বের বিষয়টি সামনে আসে। তাই এখন রাজ্য সরকার এই আইন ব্যবহার করেই অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেবে।” তিনি বলেন, “এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার পর আর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দরকার হবে না, আমরা সরাসরি সীমান্তে তাদের তাড়িয়ে দেব (Illegal Immigrants)।”

    কী বললেন হিমন্ত?

    হিমন্ত বলেন, “অসমে এনআরসির কারণে যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া একেবারে ধীরগতিতে চলছিল, এখন তা দ্রুত গতিতে হবে। একবার শনাক্ত হলে, আমরা তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাব।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান (Assam Govt.), অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু করা হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। তিনি বলেন, “এখন এসব বিষয় ট্রাইবুনালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব ব্যক্তি তাঁদের নির্বাসনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন, আদালত সেই বিষয় নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তাঁদের নির্বাসন দেওয়া হবে না।

    অসমের নাগরিকত্ব আইন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ঘোষিত রায়ে অসমের নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-র বৈধতা সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’-এর বিধানসমূহকেও ধারা ৬এ-র অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পড়া হবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে।” সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ‘ইমিগ্রান্টস এক্সপালশন’ আইনটি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং দুটি আইন একসঙ্গে চলতে পারে (Illegal Immigrants)। শীর্ষ আদালত বলেছে, সংসদ যখন এই আইন প্রণয়ন করেছে, সেটিই প্রমাণ করে যে “বাংলাদেশ থেকে অসমে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর অনুপ্রবেশ সবসময়ই একটি ‘উদ্বেগের কারণ’ ছিল এবং এই সমস্যার সমাধানে সংসদ ইতিপূর্বেও পদক্ষেপ করেছে।”

    কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা

    উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিম সীমান্তের জন্য প্রণীত অনুরূপ আইন—“পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ (নিয়ন্ত্রণ) আইন”—১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে বাতিল করা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র অসমে প্রযোজ্য পূর্ব সীমান্তের আইনটি কার্যকর ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে যে, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছিল। কারণ তৎকালীন ‘ফরেনার্স অ্যাক্টে’ পাকিস্তান থেকে আগত অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি (Assam Govt.)। অসমবাসী বহিরাগত (বহিষ্কার) আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে অসমের বাইরে থেকে আগত কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ভারতের সাধারণ জনগণের বা জনগণের কোনও নির্দিষ্ট অংশের বা অসমের কোনও নির্ধারিত জনজাতির স্বার্থের পরিপন্থী হয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অসম ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারে এবং তাদের অসম থেকে অপসারণের আদেশ জারি করতে পারে (Illegal Immigrants)।

    কেন্দ্রের ক্ষমতা

    যদিও এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়েছে, আইনটি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আধিকারিক অথবা অসম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের কোনও আধিকারিকের ওপর ন্যস্ত করার অনুমতি দেয় (Assam Govt.)। প্রসঙ্গত, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরাতে কাঠখড় পোড়াতে হয় বিস্তর। তাই বিএসএফ রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছে দুটো। এক, আগের তুলনায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমেছে। আর দুই, শনাক্ত করার পরেই অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে (Assam Govt.)।

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

  • Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মনের পাশাপাশি শরীরের উপরেও গভীর ছাপ ফেলে! মানসিক চাপ থেকে শুরু করে ডিপ্রেসন বা অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক! শরীরের একাধিক রোগের কারণ! এমনকি মস্তিষ্কের টিউমারের (Brain Tumor) কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ। সম্প্রতি চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হল। তবে, প্রথম থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ হারিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় রোগ নির্ণয়। এটাই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ, ৮ মে ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে (World Brain Tumor Day)। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় কর্মশালায় এমনটাই জানালেন দেশের বিভিন্ন শহরের শল্য চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব জুড়ে লাগাতার মস্তিষ্কের টিউমার ও তার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণায় নতুন দিক উঠে আসছে। তবে আধুনিক এই চিকিৎসার প্রথম শর্ত হল দ্রুত রোগ নির্ণয়। ভারতে মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor) চিকিৎসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব। তাই রোগ নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় চলে যায়‌।

    ভারতে ব্রেন টিউমারে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের তালিকা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এ দেশে নতুন করে ব্রেন টিউমারের সমস্যার শিকার হন। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় রোগীর বাড়তি ভোগান্তি হয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণকে ব্রেন টিউমারের জন্য দায়ী করা যায় না। তবে কিছু কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো এড়িয়ে চললে রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। মানসিক চাপ ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, মানসিক অসুস্থতা! আধুনিক জীবন যাপনে অধিকাংশ মানুষ নানান কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন‌। বদলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক। এমনকি কর্মজীবনে ও নানান পরিবর্তন আসছে। আর এই সবকিছুই মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে মস্তিষ্কে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ থাকলে শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে এর গভীর প্রভাব পড়ে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে টিউমার (Brain Tumor) হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্ট্রেস ফ্যাক্টরের পাশপাশি আরও কিছু কারণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত রেডিয়েশন, এক্স রে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য কোনও রোগের জেরে দীর্ঘদিন রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়েছে। আবার বংশানুক্রমিক সমস্যার জেরেও এই রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ থাকলে বা আগে কেউ অন্য কোনও টিউমারে আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থুলতা মস্তিষ্কের টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ‌ পড়ে। সেটা টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    কীভাবে উপসর্গ চিনবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, প্রথম পর্বেই রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে রোগের‌ মোকাবিলা সম্ভব। কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ হলেই রোগ নির্ণয় দ্রুত সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাথার তীব্র যন্ত্রণা, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, বমি হওয়া, মল-মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট পরীক্ষার (Brain Tumor) মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব।‌

    চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমারের (World Brain Tumor Day) আক্রান্ত মানেই জীবন শেষ, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব। আর টিউমার হলেই ক্যান্সার বা অন্য কোনও জটিল রোগ হবে এমন ভাবাও অপ্রয়োজনীয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্পূর্ণ করলে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসা যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 08 June 2025: বুকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 June 2025: বুকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক অবসাদ দেখা দেবে।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-খারাপ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা বলুন।

    কন্যা

    ১) পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) উচ্চাভিলাষী কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থব্যয়।

    ২) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের উপর লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) চাকরির জায়গায় বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজ সেবামূলক কাজে যশ বৃদ্ধি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

  • G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সামিটে (G7 Summit) আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি দেশ হিসেবে অংশ নেবে ভারত। ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডার আলবার্টার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওই সম্মেলন। যদিও ভারত জি৭-এর সদস্য নয়, তবুও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান (Canada PM) প্রভাবের কারণে এবারের জি৭ সভাপতির দায়িত্বে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    কার্নির বক্তব্য (G7 Summit)

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্নি বলেন, ‘‘কিছু দেশ আছে যাদের এই আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং একাধিক বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দু।’’ তাঁর এই মন্তব্য ভারতকে বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি রূপান্তর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় গুরুত্ব দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার অগ্রগতি সাধন এবং বিশ্বসেরা অর্থনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উদ্দীপনাপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসম্পর্ক রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে।

    শিখ অধিকার সংগঠন

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোয় কার্নির ওপর বেজায় খাপ্পা কানাডার শিখ অধিকার বিভিন্ন সংগঠন। তারা কার্নির এই পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা ২০২৩ সালে হরদীপ সিং নিজ্জর নামে এক খালিস্তানপন্থীর হত্যার তদন্তের উল্লেখ করেছে। কার্নি বলেন, “এই বিষয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া কানাডায় চলছে এবং অনেকটাই এগিয়ে গেছে… এই ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে মন্তব্য করা কখনোই উপযুক্ত নয়।” জানা গিয়েছে, চারজন ভারতীয় নাগরিককে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কথাবার্তা ফের শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত (Canada PM), ভারত এখনও কানাডার দশম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

    ভারতের গুরুত্ব

    কার্নি বলেন, ‘‘এই ধরনের (G7 Summit) আলোচনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দেশকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে থাকতে হবে, জি৭-এর চেয়ার হিসেবে আমি এই পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি কার্যত বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। তাই এর অংশগ্রহণ পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিকভাবে আমরা এখন নিয়মিত আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি, যা একটি অগ্রগতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রেক্ষাপটে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন।’’

    মোদির প্রতিক্রিয়া

    কার্নির ফোন পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোনকল পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম এবং এই মাসের শেষের দিকে কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম (G7 Summit)। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসংযোগ রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক সম্মান এবং অভিন্ন স্বার্থকে পথনির্দেশ করে নয়া উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে। সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের (Canada PM) অপেক্ষায় রইলাম।’’ এবার জি৭-এর আয়োজক দেশ কানাডা। তাই কানাডাই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।

    জি৭ সম্মেলন

    আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডায় হবে ৫১তম জি৭ সম্মেলন। রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭-এর বাইরে থাকা কিছু দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু এতদিন ভারতের কাছে কানাডার তরফে এমন কোনও আমন্ত্রণ না আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা না করেই কংগ্রেস দাবি করেছে জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি ভারতের আরও একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরে পরেই আসে কার্নির আমন্ত্রণ। মুখ পোড়ে কংগ্রেসের (G7 Summit)।

    প্রসঙ্গত, জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। এই বৈঠকে ভারতের (Canada PM) প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও (G7 Summit)।

  • CM Mamata: মাথার ওপর বকেয়া ডিএ-র বোঝা, খয়রাতির টাকা আসবে কোথা থেকে? ভোটের আগে ঘুম উড়েছে মমতার!

    CM Mamata: মাথার ওপর বকেয়া ডিএ-র বোঝা, খয়রাতির টাকা আসবে কোথা থেকে? ভোটের আগে ঘুম উড়েছে মমতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। একদিকে বিজেপির উত্থান, অন্যদিকে ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়– জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় তৃণমূল নেত্রীর। এবার ব্যাখ্যা করা যাক কী কারণে তাঁর ঘুম উবে গিয়েছে (Nightmare)।

    ‘খয়রাতি’ বন্ধ করা যাবে না (CM Mamata)

    বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ‘খয়রাতি’ বন্ধ করা যাবে না। বরং ‘অনুদান’ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। খয়রাতি বন্ধ করলে স্বখাত সলিলে ডুববেন তৃণমূল নেত্রী। অতএব, খয়রাতি বন্ধ করা যাবে না। অথচ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া ডিএ-ও শোধ করতে হবে। তাহলে উপায়? এই পথের খোঁজেই সপ্তাহ তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, অর্থ দফতরের শীর্ষকর্তারা এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহচর। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সামাজিক প্রকল্প (পড়ুন খয়রাতি), বিশেষত, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বাংলার বাড়ি (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার রাজ্যের দেওয়া নাম) এবং অন্যান্য প্রকল্পে আরও নতুন উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং কিছু প্রকল্পে অনুদান বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে নয়া রাস্তা নির্মাণ এবং পুরানো রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়নের কাজও শুরু করা হবে।

    খয়রাতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু

    ফের ক্ষমতায় ফিরতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী যখন খয়রাতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন, ঠিক তখনই বজ্রাঘাতের মতো এল সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ। তাতে বলা হল, রাজ্য সরকারকে ১৩ লাখের বেশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীকে বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ মেটানোর নির্দেশ দেয়, যার জেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার জোগাড় তৃণমূল সুপ্রিমোর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে রাজ্য সরকারকে মধ্য-অগাস্টের মধ্যে কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের দিতে হবে ১০,৪২২.৭৩ কোটি টাকা। অর্থ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এই ২৫ শতাংশ বকেয়া দেওয়াটাই আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছি যদি অগাস্টে চূড়ান্ত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পুরো টাকাটা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেটা রাজ্যের আর্থিক কাঠামোকে ভেঙে দেবে এবং বেশ কিছু চলমান প্রকল্প চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।” তিনি বলেন, “পরবর্তী তিন মাসে আমরা এমনকি ডিএ-র ২৫ শতাংশ (CM Mamata) বকেয়া দেওয়াতেও বিরাট সমস্যায় পড়ব। আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প ও যোজনায় বরাদ্দ পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”  এক আমলা বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে ১০,৪৪২.৭৩ কোটি টাকা শোধ করতে পারি। কিন্তু তার বেশি হলে বর্তমানে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলির জন্য বরাদ্দে ব্যাপক কাটছাঁট করতে হবে (Nightmare)।”

    তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য

    তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা জানান, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, যার আওতায় মাসে ওবিসি এবং অন্যান্য সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি/উপজাতি মহিলাদের ১,২০০ টাকা করে দেওয়া হয়, এই প্রকল্পে প্রায় দু’কোটি উপভোক্তা রয়েছেন। এটি থাকবে। তবে অন্যান্য প্রকল্পে ভর্তুকি কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট অনুযায়ী, শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেই ২৬,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। চলতি অর্থবর্ষে মোট ৬৬,৩০০ কোটি টাকা বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী বছর শুরুর দিকে মাসিক অনুদান বৃদ্ধির এবং উপভোক্তার সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হতে পারে (CM Mamata)।

    ‘বাংলার বাড়ি’

    ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বর্তমানে ১২ লাখ উপভোক্তাকে প্রতিটি পাকা ঘর তৈরির জন্য ১.২ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থ দফতরের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পে আরও ৪ লাখ উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু এজন্য খরচ হবে অতিরিক্ত ৪,৮০০ কোটি টাকা, যা রাজ্যের পক্ষে বর্তমানে বহন করা সম্ভব নয়।” তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মতে, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ লাখ উপভোক্তাকে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হলেও, নতুন উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। একই পরিস্থিতি হবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পেও। আর্থিক সংকটের জেরে ধাক্কা খেতে পারে পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিও। বর্ষা-পরবর্তী সময়ে রাজ্য ও গ্রামীণ সড়কগুলির স্বাভাবিক মেরামতের কাজ ব্যাহত হবে। অন্যান্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পের বরাদ্দও কমবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক মন্ত্রী বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো মুখ্য প্রকল্পগুলি চালু রাখাই এখন মূল লক্ষ্য। বাকি প্রকল্পগুলি মার খাবে।” তিনি জানান, যে প্রকল্পগুলির বরাদ্দ কমানো হতে পারে ও টাকা দিতে দেরি হতে পারে (CM Mamata), সেগুলির মধ্যে রয়েছে, কৃষক বন্ধু, ছাত্র ঋণ কার্ড, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড, বিধবা, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের পেনশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী, বাংলা শস্য বিমা, তরুণের স্বপ্ন, সবুজ সাথী, চা সুন্দরী প্রকল্প এবং জল স্বপ্ন। তিনি বলেন, “কল্যাণমূলক প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বরাদ্দে কোনও রকম কাটছাঁট বা দেরি হলে বিরোধীরা নিশ্চিতভাবেই তার সুযোগ নেবে এবং আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে। এর রাজনৈতিক প্রভাব গুরুতর হবে। অনুদান বৃদ্ধি করার বদলে কমানো বা টাকা দিতে দেরি করা হলে আমরা জনসমর্থন হারাব (Nightmare)।”

    মাথায় বিশাল রাজস্ব ঘাটতি

    অর্থনীতিবিদদের মতে, একটি রাজ্যের মোট রাজ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন চলতি অর্থবর্ষে যেখানে ধরা হয়েছে ২০,৩১,৮০৫ কোটি টাকা, সেখানে ১০,৪২২ কোটির অতিরিক্ত ব্যয় রাজ্যের আর্থিক ভারসাম্যকে খুব একটা নাড়িয়ে দেওয়ার কথা নয়। ঋণ পরিশোধ বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,৪১,৪৬২ কোটি টাকা। এর সঙ্গে যদি আনুমানিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪৭,৭৩২ কোটি টাকা ধরা হয়, তাহলে মোট বার্ষিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩,৮৯,১৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যের মোট রাজস্ব আদায় হতে পারে ২,৬৮,২৮৪ কোটি টাকা। যার ফলে একটি বিশাল রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিগত বছরগুলিতে এই রাজস্ব ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করেছে — চলতি অর্থবর্ষে এটি মোট জিএসডিপির ১.৭ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবর্ষে ছিল ২.৪ শতাংশ। তবে এই ঘাটতি থেকে বেরোতে রাজ্যকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে এবং ব্যয়, বিশেষত অনুদানমূলক ব্যয় কমাতে হবে (CM Mamata)।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    এক অর্থনীতিবিদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা, ছোট ট্যাক্স ভিত্তি, খুবই সীমিত রাজস্ব আদায়, সম্পদ আহরণে অক্ষমতা, আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অযৌক্তিক খরচের কারণে রাজ্য একটি খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রত্যাশিত ব্যয়, যেমন ডিএ-এর বকেয়া মেটানো, রাজ্যের অর্থনীতিতে ধ্বংস নামিয়ে আনে এবং কঠোর বাজেটের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এই শোচনীয় পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে আর্থিক অপশাসনই দায়ী।” অধ্যাপক দীপঙ্কর বাগ বলেন, “বর্তমান সরকারের অপচয় এবং এমন বড় বিনিয়োগের অভাব যা রাজ্যের রাজস্ব বাড়াতে পারত, কৃষি থেকে ক্রমহ্রাসমান আয় এবং মূলত জীবনধারণমূলক অর্থনীতির কারণে রাজ্যের সামনে এক গুরুতর আর্থিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।”

    প্রসঙ্গত, নীতি আয়োগ আর্থিক স্বাস্থ্য সূচকে পশ্চিমবঙ্গকে ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৬তম স্থানে রেখেছে এবং রাজ্যকে মূলধনী ব্যয়ে অগ্রাধিকার দিতে ও ভালো কর আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে (Nightmare)। নীতি আয়োগ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা কার্যকর করা জরুরি।

    ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতার (CM Mamata) সরকার কি তা করবে?

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

LinkedIn
Share