Tag: Madhyom

Madhyom

  • UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে ১ এপ্রিল, মঙ্গলবার থেকে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শুরু থেকেই ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আসছে। ব্যাঙ্কিং, শেয়ার মার্কেট, ইনকাম ট্যাক্স, বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট স্কিম- একাধিক সেক্টরেই বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেই সব নিয়ম সঠিকভাবে না জানা থাকলে বিপদে পড়তে হবে সকলকেই। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন নিয়মে আসছে বদল—

    আয়কর সীমা:

    ২০২৫ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছিল। ট্যাক্স স্ল্যাব, টিডিএস, ট্যাক্স রিবেটে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়মগুলি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১২ লক্ষ টাকা রোজগার পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না চাকুরিজীবীদের। ৮৭এ ধারায় ট্যাক্স রিবেট ২৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৬০ হাজার টাকা।

    অব্যবহৃত ইউপিআই নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট:

    দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় না থাকা মোবাইল নম্বরগুলির সঙ্গে যে ইউপিআই (UPI New Rules) আইডিগুলি যুক্ত রয়েছে, সেগুলিকে ব্যাঙ্ক রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হবে। অর্থাৎ এরফলে বেশ কিছু ইউপিআই পরিষেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। গত ১২ মাস ধরে যে সমস্ত ইউপিআই নম্বর ব্যবহার হয়নি সেগুলিই ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হবে, বলে জানানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই তা কার্যকর হবে। তাই আপনার কোনও ফোন নম্বর যদি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হয়ে থাকে এবং সেই নম্বরে যদি ইউপিআই থাকে, তাহলে ৩১ মার্চের মধ্যেই তা অ্যাক্টিভেট করে নিন।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম:

    আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্ত না করা থাকে তাহলে ১ এপ্রিল থেকে কোনও ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে না। প্যান-আধারের লিঙ্ক না থাকলে ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল গেনের জন্য টিডিএস বেশি পরিমাণে কাটা হবে।

    জিএসটি হার বৃদ্ধি:

    যে সব হোটেলের কোনও ঘরের একদিনের ভাড়া সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি, সে ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হবে।

    জিএসটিতে আইডিএস সিস্টেম বাস্তবায়ন:

    ভারত সরকার পণ্য ও পরিষেবা করের নিয়মে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এর অধীনে, ইনপুট সার্ভিস ডিস্ট্রিবিউটর সিস্টেম ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এই সিস্টেমের উদ্দেশ্য হল রাজ্যগুলির মধ্যে কর রাজস্বের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা।

    ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্স সংশোধন:

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কেয়কটি ব্যাঙ্ক ১ এপ্রিল থেকে গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স সম্পর্কিত নিয়মে বদল আনতে চলেছে। ন্যূনতম ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে একটি নতুন সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। সেই মতো পরিমাণ টাকা খাতায় না থাকলে করা হতে পারে জরিমানাও। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) এবং কানাড়া ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে গ্রাহকদের। না হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ কোন ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্ট তার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ গ্রামীণ এলাকার কোনও ব্রাঞ্চে যা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতে হবে, তার থেকে শহরের কোনও ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ বেশি হবে।

    ক্যাশ উইথড্রল:

    এটিএম থেকে ফ্রি-তে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমাতেও পরিবর্তন আসবে ১ এপ্রিল থেকে। প্রতি মাসে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে মাত্র তিনটি লেনদেন বিনামূল্যে করা যাবে। তার পর থেকে লেনদেন প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা ফি নেওয়া হবে।

    ফিক্সড ডিপোজিট রেট:

    নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হারে পরিবর্তন আসতে পারে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন অর্থবর্ষে নতুন রেটের কথা জানাতে পারে।

    ডেবিট কার্ডের নতুন নিয়ম:

    ১ এপ্রিল থেকে রুপে ডেবিট সিলেক্ট কার্ডে নয়া আপডেট আসছে। প্রতি ত্রৈমাসিকে একবার দেশীয় লাউঞ্জ এবং বছরে দু’বার আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ অ্যাক্সেসের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ১০ লক্ষ টাকার কভারও থাকবে। তাছাড়া ত্রৈমাসিকে একবার বিনামূল্যে জিম সদস্যপদও মিলবে।

    ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS):

    ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS) চালু হচ্ছে। কর্মীরা এনপিএস বা ইউপিএস যেকোনও একটি স্কিম বেছে নিতে পারবেন। ইউপিএস-এর অধীনে সর্বনিম্ন পেনশন হবে ১০,০০০ টাকা মাসিক, যদি কর্মচারী ন্যূনতম ১০ বছরের পরিষেবা দেন।

    ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ডে বদল:

    ১ এপ্রিল থেকে এসবিআই-এর সিম্পলিক্লিক ক্রেডিট কার্ডে সুইগি রিওয়ার্ড পয়েন্ট ৫ গুণ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করা হবে। এয়ার ইন্ডিয়া সিগনেচার পয়েন্টও ৩০ থেকে কমিয়ে ১০ করা হবে। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক ক্লাব ভিসতারা মাইলস্টোন রিওয়ার্ড সুবিধা বন্ধ করছে।

    আরবিআইয়ের পজিটিভ পে বেতন ব্যবস্থা:

    জালিয়াতি এড়াতে, আরবিআই পজিটিভ পে সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। অনেক ব্যাঙ্ক এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। পিপিএসের অধীনে, যদি আপনি ৫০,০০০ টাকার বেশি মূল্যের চেক ইস্যু করেন, তাহলে আপনাকে চেক সম্পর্কে কিছু তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে ব্যাঙ্কে প্রদান করতে হবে।

  • Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) উপহার দেবেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। তারপর কেটে গিয়েছে সাত মাস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। উল্টে তাঁর ঘনিষ্ঠদের গায়ে লেগেছে দুর্নীতির পাঁক।

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’য়ের নিবন্ধ (Bangladesh Crisis)

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’তে আনজুমান-এ-ইসলাম প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস দুর্নীতি নির্মূল করাকে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মিশন হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার নির্মূল করে নতুন যুগের সূচনা করা এবং বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করা। নিবন্ধে বলা হয়েছে, বস্তুত, ইউনূসের প্রাথমিক ঘোষণা পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁর সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    অবাধে চলছে নিয়ম লঙ্ঘন

    ওই নিবন্ধে এও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে ইউনূসের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারি কাজের জন্য নির্ধারিত একাধিক গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এটি নিয়ম বিরুদ্ধ। বাংলাদেশে একজন উপদেষ্টার জন্য শুধুমাত্র একটিই গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেই নিয়ম আকছার লঙ্ঘন করেই উপদেষ্টারা ব্যবহার করছেন একাধিক গাড়ি। করদাতাদের অর্থে প্রাপ্ত সম্পদের এই অপব্যবহারে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

    সেখানে আরও বলা হয়েছে, একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল ইউনূসের অফিস তাঁর উপদেষ্টাদের এসব নিয়ম-বিরুদ্ধ কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি চাপাও পড়ে গিয়েছিল। মিথ্যার বেসাতির পর্দা ফাঁস করে ওই সংবাদপত্রটি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেখারুজ্জামান এটিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh Crisis)। ইউনূস নানাভাবে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনমানসে একটি ধারণার বীজ রোপণ করতে। সেটি হল, আওয়ামি লিগই দেশের একমাত্র দুর্নীতির উৎস। ইউনূসের এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। উল্টে নোবেল জয়ীর পার্ষদদের কাণ্ডকারখানা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসী (Muhammad Yunus)।

    আখের গুছোনোর কাজ শুরু!

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসে ইউনূস আখের গুছোতে শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ। তিনি নিয়ম বিরুদ্ধভাবে তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিকে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ইউনূসের মাইক্রোক্রেডিট সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য ট্যাক্স-ফ্রি করে দেওয়া হয়। আনজুমানের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউনূস ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিও অনৈতিকভাবে লাভ করেছে সরকারি বদান্যতা। এরকমই একটি অনুমোদনে হাইকোর্টের আগের রায়ের পরোয়া না করে ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ সংস্থার ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনূস ঘনিষ্ঠদের স্বার্থে কাজ করছে (Bangladesh Crisis)।

    এদিকে, শ্রমিক অধিকার কর্মী, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক এবং আইনজীবীরা ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ইউনূসের নীরবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৫ আগস্টের (এদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা) আগে দায়ের হওয়া এসব মামলা কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই দ্রুত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ইউনূস প্রশাসনের সততা সম্পর্কে আরও জোরালো সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে আগেও

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Muhammad Yunus) পর্দা ফাঁস করেছিল দি এশিয়াপোস্ট নিউজ। এই সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, “এই প্রকাশনাগুলি (দুর্নীতি সংক্রান্ত খবর) আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে (Muhammad Yunus) জানা গিয়েছিল, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামপন্থীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকিও দিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)।

  • Mothabari Violence: মোথাবাড়িকাণ্ডে রয়েছে বাংলাদেশি যোগ, দাবি সুকান্তর, সংঘর্ষ নিয়ে সুর চড়ালেন শুভেন্দুও

    Mothabari Violence: মোথাবাড়িকাণ্ডে রয়েছে বাংলাদেশি যোগ, দাবি সুকান্তর, সংঘর্ষ নিয়ে সুর চড়ালেন শুভেন্দুও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোথাবাড়ি (Mothabari Violence) নিয়ে ফের একবার রাজ্য প্রশাসনকে একযোগে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবারই মোথাবাড়িতে ঢোকার মুখে পুলিশি বাধা পান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই আবহে মোথাবাড়ির গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা গেল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গলায়। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি মালদার মোথাবাড়ির ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, ওখানে যারা অশান্তি ছড়িয়েছিল, তাদের অনেকেই এলাকার লোক নয়! অন্যদিকে, রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রামে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই মোথাবাড়ি ইস্যুতে সুর চড়ান তিনি। রবিবার নন্দীগ্রাম থেকে হিন্দু ঐক্যের বার্তাও দিতে শোনা যায় বিরোধী দলনেতাকে।

    বাংলাদেশি যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের

    এদিকে রবিবারই এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোথাবাড়ি (Mothabari Violence) সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমি মোথাবাড়িতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, যারা অশান্তি করেছে, তাদের মধ্যে অনেক অপরিচিত ব্যক্তি রয়েছে। ওরা কেউ স্থানীয় বাসিন্দা নয়। তাহলে কি তারা বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছে? ওদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে এসব করার জন্য?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে বাংলাদেশে। সেদেশে হিংসার ঘটনাও প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে আসছে। এই আবহে সুকান্ত মজুমদারের এমন মন্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    পুলিশকে জেহাদি তিতুমীর বলে কটাক্ষ সুকান্তর, দাবি সংবাদমাধ্যমের একাংশের

    প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার ৩০ মার্চ মোথাবাড়ি ঢোকার চেষ্টা করেন সুকান্ত। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রায় ৭ কিলোমিটার আগেই আটকে দেয় পুলিশ। তখনই প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এরপরেই পুলিশকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি ‘জেহাদি তিতুমীর’ বলে সম্বোধন করেন পুলিশকে! এমনটাই দাবি সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের (Mothabari Violence) একাংশের।

    জনবিন্যাস বদলের চক্রান্ত, অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    এই আবহে ফের একবার বাংলা তথা ভারতের জনবিন্যাস বদলে দেওয়ারও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে তো বহুদিন থেকে ডেমোগ্রাফির হাত ধরে বদল করার একটা চেষ্টা চলছে। লড়কে লিয়া পাকিস্তান, হাসকে লেঙ্গে হিন্দুস্থান – সেই সময় তো স্লোগান ছিল পাকিস্তানের! জনসংখ্যা বৃদ্ধি করব, হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে, এমনিই হিন্দুস্থান দখল হয়ে যাবে। এখন যেহেতু জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেও হচ্ছে না, তখন অনুপ্রবেশ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এখানে লোক ঢোকানো হচ্ছে।’’

    তীব্র হবে প্রতিবাদ আন্দোলন, বললেন সুকান্ত

    মোথাবাড়ি ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমকে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘আমি একা যেতে চাইলেও যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ, এখানকার বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের জন্য সব রাস্তা খোলা। পুলিশ তো শাসকদলের হয়ে কাজ করে। এই যে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হল, কী বলব আর? আমরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার কথা জানি। এখনকার পুলিশ জেহাদি তিতুমীর! তাই এভাবে বাঁশের ব্যারিকেড গড়েছে। তবে আমরা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করব। আজই আমি ঘোষণা করব পরবর্তী আন্দোলনের কথা।’’

    সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দুও

    একইভাবে মোথাবাড়ি (Mothabari Violence) ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতাও। সমাজমাধ্যমে নিজের প্রোফাইল পিকচার বদলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেখেন, ‘তোমার বাড়ি, আমার বাড়ি মোথাবাড়ি।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, মোথাবাড়ির ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। রবিবারই নন্দীগ্রামের সভা থেকেই মোথাবাড়ি ইস্যুতে হিন্দুদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বেছে বেছে আক্রমণ করা হয়েছে, অভিযোগ শুভেন্দুর

    রবিবার নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘মোথাবাড়িতে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। শিবের মূর্তি লাগানো মোটরসাইকেল ভেঙেছে। হিন্দু গোয়ালাদের ছানার গাড়ি আটকেছে। নওদায় হিন্দুদের দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। সেখানেও হিন্দুদের প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই, কারণ হিন্দুরা সংখ্যায় কম। এরপরও ঘুমোবেন আপনারা?’’ এই সময়ই মোথাবাড়ির ঘটনা নিয়ে হিন্দুদের জেগে ওঠার বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আগে ৮৫ শতাংশ ছিলাম, এখন ৬৭ শতাংশ হয়ে গিয়েছি আমরা। এই লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এবার উঠুন, জেগে উঠুন।’’

  • Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির ইদের দিনেও রক্তাক্ত হল পাকিস্তান (Pakistan)। গুলি করে খুন করা হল লস্কর ই তৈবা (Lashkar E Taiba) প্রধান তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতাকে। মৃতের নাম আবদুল রহমান। এদিন ইদের আনন্দে মেতেছিলেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। সেই সময় আচমকাই খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুলের।

    লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় (Lashkar E Taiba)

    জানা গিয়েছে, লস্করের আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক কাজ করতেন নিহত আবদুল। লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় করাটাও ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। তাই পাকভূমে তাঁর খুন হওয়াটা বিস্মিত করেছে পাক প্রশাসনকেও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে প্রায় একই কায়দায় খুন হতে হয়েছিল লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি আবু কাতালকে। মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার একেবারে ওপরের দিকে নাম ছিল তাঁর। লস্কর প্রধানের ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন কাতাল।

    একই কায়দায় খুন হয়েছিলেন কাতালও

    মুম্বই হামলা (Lashkar E Taiba) ছাড়াও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ও নিরীহ নাগরিকের ওপর একাধিক হামলার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কাতাল। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বছর রিয়াসিতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের ওপর হামলা। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজৌরিতে আমজনতাকে টার্গেট করে হামলা চালায় লস্কর জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ন’জনের। এই রাজৌরি হামলার ঘটনায় এনআইএর চার্জশিটেও নাম ছিল কাতালের। এহেন কাতাল একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে তাঁকে। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খুন জঙ্গি নেতা। এবং সেই পাকিস্তানের মাটিতেই।

    আবদুলের খুনের ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইদের সকালে এলাকার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল। সেই সময় বাইকে করে তাঁর সামনে চলে আসেন দুজন। আবদুলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা (Lashkar E Taiba)। আবদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই জঙ্গিনেতার (Pakistan)।

  • Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মহিলাদের এয়োতির চিহ্ন মুছে ফেলতে বলছে পুলিশ! শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Mothabari Allegations)! কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে বলা হচ্ছে হিন্দু মহিলাদের! হিন্দু মহিলাদের (NCW) এমনই অভিযোগে তপ্ত মোথাবাড়ি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানান, তাঁদের কাছে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। মহিলা কমিশন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষবৃক্ষে এবার ফল ধরতে শুরু করেছে! ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের রেশ আছড়ে পড়েছে এবার বাংলার মোথাবাড়িতেও। এমনই আবহে আজ, সোমবার রেড রোডে ইদের নমাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, “কেউ গোলমাল পাকাতে এলে মনে রাখবেন, দিদি আছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দিদির এহেন মন্তব্য যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাংক অটুট রাখা, তা পরিষ্কার। এই মুসলমানদের ভোটের জেরেই এ রাজ্যে টানা ১৪ বছর ধরে চলছে দিদি-রাজ!

    শাঁখা-পলা খুলে ফেলার নিদান (Mothabari Allegations)

    ফেরা যাক খবরে। দিন কয়েক আগে মালদার মোথাবাড়িতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় ৬১ জনকে। ইদ এবং রামনবমীর আবহে প্রমাদ গোণে প্রশাসন। বিশাল বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্ত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। তাঁর হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের রশি। এই পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মোথাবাড়ির হিন্দু মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ হিন্দু মহিলাদের বলছে শাঁখা-পলা খুলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর অভিযোগ, রাতের বেলায় লুকিয়ে থেকে অত্যাচার করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ঢিল। সভানেত্রীর অভিযোগ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    শুধু হিন্দুদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে!

    মোথাবাড়িতে (Mothabari Allegations) যে ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই হিন্দু বলে অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম শিবিরের আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে অপর সম্প্রদায়ের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “মালদার মোথাবাড়ি ঘটনা: পুলিশের নিরপেক্ষতা কোথায়? মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রতিক ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের বিচার ব্যবস্থা একতরফা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করছে, আমি সেই তালিকায় তথাকথিত দুধ দেওয়া গরুদের দেখতে ব্যর্থ। মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ জাতের গরুর দুধ পান করেন, কিন্তু সাধারণ হিন্দুরা কেন তাদের আগ্রাসনের শিকার হবেন?”

    হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক!

    তিনি আরও লিখেছেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা, অ্যাডভোকেট রিঙ্কি চ্যাটার্জির প্রোফাইল থেকে আমি পেয়েছি। সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু সম্প্রদায় পক্ষপাতদুষ্ট নীতির শিকার হয়েছে। যারা ফেসবুক লাইভে প্রকাশ্যে দোকান ভাঙচুর করেছে, এবং হিংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ তারা ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ ভোট ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি লেখেন, এই ঘটনাটি আরও একবার হাইলাইট করে যে পশ্চিমবঙ্গের আইন (NCW) প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের (Mothabari Allegations) প্রতি অগ্রাধিকারমূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এমনকী যখন হিন্দুদের ওপর হামলা হয়, তখন অপরাধীদের বদলে গ্রেফতার করা হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরই। প্রশাসন কি তাহলে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখে? এই বৈষম্যমূলক অবস্থান কি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত? আর এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের নতুন বাস্তবতা?”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য

    একটি খবরের চ্যানেলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মোথাবাড়িতে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে। সেই প্রতিবেদনের ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তরুণজ্যোতি। এরই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা মারাত্মক অভিযোগ। হিন্দু মহিলারা শাখা পলা পরতে পারবেন না?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জাতীয় মহিলা কমিশনের উচিত এই বিষয়টা দেখা এবং ওখানে টিম পাঠিয়ে বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করা’’ গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী-নেতার পোস্টটি শেয়ার করে অর্চনা মজুমদার লেখেন, “জাতীয় মহিলা কমিশন মালদার মোথাবাড়ি থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়ে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। একটি দল ৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ন্যায়বিচার আমাদের অগ্রাধিকার (Mothabari Allegations)।”

    এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনায় রুজু হয়েছে ১৯টি মামলা। গ্রেফতার (NCW) করা হয়েছে ৬১ জনকে। এলাকায় জারি হয়েছে ১৬৩ ধারা (Mothabari Allegations)।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিএসই (CBSE) সম্প্রতি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস প্রকাশ করল। এই সদ্য প্রকাশিত পাঠ্যক্রমে বিস্তারিতভাবে শিক্ষাবর্ষের সম্পূর্ণ কার্যক্রম (CBSE Syllabus) উল্লিখিত রয়েছে। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল বদল আনছে সিবিএসই। এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে এবং আরেকটি হবে এপ্রিলে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।

    বিস্তারিত জানবেন কোথা থেকে

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির (৯, ১০, ১১ এবং ১২) পাঠ্যক্রম ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বোর্ডের একাডেমিক ওয়েবসাইট cbseacademic.nic.in থেকে সিবিএসই নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম দেখে নিতে পারেন। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (NCF) ২০২৩-এর সুপারিশ অনুসারে স্কুলগুলিকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। এতে আরও বলা হয়েছে যে স্কুলগুলিকে শিক্ষাকে আরও আকর্ষক এবং অর্থবহ করার জন্য প্রোজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, রিসার্চ-চালিত পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি-সক্ষম শিক্ষার উপর জোর দেওয়া উচিত।

    দশম শ্রেণির সিলেবাসে কী কী বদল

    গ্রেডিং সিস্টেম: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে ৯ পয়েন্ট গ্রেডিং সিস্টেমের কথা। এর মাধ্যমে নম্বরকে সহজেই গ্রেডে রূপান্তর করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের, এর সঙ্গে বাধ্যতামূলক বিষয়ও রয়েছে। আর এর সঙ্গে ২০ নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য। এতে পাশ করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

    স্কিল-বেসড বিষয়: পড়ুয়ারা তিনটি স্কিল-বেসড বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারবেন– কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি অথবা হিন্দি যে কোনও একটি ভাষা বেছে নিতে হবে।

    কোর বিষয়: সিবিএসই জানিয়েছে, যদি কোনও ছাত্র-ছাত্রী একটি কোনও কোর বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, যেমন গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান কিংবা ভাষার কোনও পেপারে, কিন্তু কোনও স্কিল বিষয়ে বা ঐচ্ছিক বিষয়ে পাশ করে থাকেন, তাহলে যে বিষয়ে ফেল করেছে পড়ুয়া তার বদলে রেজাল্ট গণনার সময় পাশ করা বিষয়গুলি বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

    দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস

    ২০২৬ সালে যারা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেবেন, তাদেরকেও ৯ পয়েন্টের গ্রেডিং সিস্টেমে মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া চারটি নতুন স্কিল ইলেক্টিভ বিষয় যুক্ত হয়েছে পাঠ্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েট, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ট্রেনার, ডিজাইন থিঙ্কিং, ইনোভেশন। তবে ইনফরমেটিক্স প্র্যাক্টিসেস, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বিষয় বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা। দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে ৭টি প্রধান শিখন ক্ষেত্র রয়েছে- ভাষা, কলাবিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান, স্কিল বিষয়, জেনারেল স্টাডিজ, স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা।

    নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমল বদল এনেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এবার থেকে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। যার মধ্যে একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে আর অপরটি হবে এপ্রিলে। এই নিয়ম চালু হতে চলেছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই। তবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বছর একবার করেই আয়োজিত হবে। ২০২৬ সালে সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে। বোর্ড অনুমান করছে ২০২৬ সালে মোট ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিতে চলেছে।

    কেন এই পরিকল্পনা

    ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (NEP) ২০২০-র সুপারিশ মেনে, বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর ফলে প্রথমবার পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে, দ্বিতীয়বার সেই বিষয়ে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফের পরীক্ষায় বসা যাবে। প্রথম পরীক্ষার পরই হাতে মার্কশিট পাওয়া যাবে না। ডিজি লকার থেকে প্রাপ্ত নম্বর ব্যবহার করে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে চূড়ান্ত রেজাল্ট দ্বিতীয় পরীক্ষার পর প্রকাশিত হবে। যদি কোনও শিক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষার পর রেজাল্ট দেখে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তার দ্বিতীয় পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, চাইলে দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য ‘অপ্ট-আউট’ করার সুযোগও থাকছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন,  শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে এখন পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

     

     

     

     

  • AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত মণিপুরে (Manipur) জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু অশান্তি তাতেও থেমে নেই। এখনও পর্যন্ত ইম্ফল, চুরাচান্দপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’বা আফস্পার (AFSPA) (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। রবিবার, ৩০ মার্চ এই ঘোষণা করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্যদিকে, গত ১৬ মার্চ মণিপুরে নিঁখোজ হন ২০ বছর বয়সি যুবক লুওয়াংথেম মুকেশ। তাঁর সন্ধানে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ-স্তরের অনুসন্ধান কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৬ মার্চ ইম্ফল পশ্চিমের কেইশাম্পাত লেইমাজম লেইকাই থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ওই যুবকের সন্ধান দিলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে মণিপুর সরকার।

    ৫ জেলার ১৩ থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই আফস্পা

    গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি জেলার ১৩টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে আফস্পার (AFSPA)। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় নতুন করেও ওই আইন বলবৎ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ শেষেও মণিপুরে ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। সেসময় ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম-সহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে বাকি রাজ্যে এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে এবার ১৩টি থানা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে বলবৎ হল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ছ’মাসের জন্য সমগ্র মণিপুর রাজ্যকেই ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কার্যকরী হচ্ছে ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে

    ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই মণিপুরে ২৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই আবহেই এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন (AFSPA) জারি হয়। মণিপুরের দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা।

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্যের পরেই রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    এ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ

    তিনি এক্ষেত্রে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি খুবই পরিষ্কার। যে সমস্ত মাওবাদী (Chhattisgarh) উন্নয়নের পথকে বেছে নেবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করবে, তাদেরকে নতুনভাবে সমাজের স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের উদ্দেশে, যারা এখনও পর্যন্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করেনি। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীকে দেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।

    কী বলছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা?

    এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, সরকার সর্বদা বল প্রয়োগ করে মাওবাদী দমনে বিশ্বাস রাখছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই (সশস্ত্র) পথে আছে তারা সেই পথ ছেড়ে দিক। চলতি বছরে ১৩৩ জন মাওবাদীকে মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছত্তিশগড় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৮০০ থেকে ২৯০০ মাওবাদী (Maoists) হয় আত্মসমর্পণ করেছে, নয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা খতম করা হয়েছে।

LinkedIn
Share