Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: এনিয়ে ২১টি দেশের! এবার মরিশাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi: এনিয়ে ২১টি দেশের! এবার মরিশাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ‘গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অ্যান্ড কি অফ দ্য ইন্ডিয়ান ওশান’ সম্মানে ভূষিত করল মরিশাস (Mauritius Highest National Award)। প্রসঙ্গত, এটাই হল মরিশাসের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। মঙ্গলবার, ১১ মার্চ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম এই সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগেও বিভিন্ন দেশে সফরে গিয়ে সেই সব দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এ নিয়ে ২১টি দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    এই সম্মান ভারত ও মরিশাসের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের, বললেন মোদি

    বর্তমানে মরিশাস সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই পোর্ট লুইসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি মোদি এবং রামগুলাম। সেখানেই সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সে সময় গোটা সভাঘর করতালিতে ফেটে পড়ে। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী রামগুলাম জানান, ১৯৯২ সালের ১২ মার্চ মরিশাস প্রজাতন্ত্রে পরিণত হওয়ার পর, পঞ্চম বিদেশি নাগরিক হিসেবে এই সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রথম যে বিদেশি নাগরিক হিসেবে এই সম্মান পেয়েছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। মরিশাসের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রদানের জন্য মরিশাসের জনগণ এবং সেই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিনীতভাবে এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। এই সম্মান ভারত ও মরিশাসের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের।’’

    ভোজপুরী ভাষায় প্রবাসীদের সম্বোধন, প্রশংসা করলেন মাখনার

    মরিশাসে এদিন প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে বড় অংশই ছিল বিহারের বাসিন্দা। তাই নিজের বক্তব্যের কিছুটা অংশ ভোজপুরি ভাষায় তিনি রাখেন। বিহারের জনপ্রিয় খাবার মাখনার প্রতি তাঁর ভালোবাসা ব্যক্ত করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘বিহারের প্রধান খাবার মাখনা, বিশ্বব্যাপী খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যখন বিশ্ব খাবারের তালিকা স্থান পাবে মাখনা।’’ মোদি যখন এমন বক্তব্য রাখেন তখন করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা হল। ভোজপুরি ভাষায় জনতার উদ্দেশে মোদি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনারা সবাই ভালো আছেন তো! আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে খুব আনন্দিত।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বিহারের সঙ্গে আপনাদের মানসিক সংযোগ বুঝতে পারি। বিশ্বের অন্যান্য অংশে যখন শিক্ষার আলো পৌঁছায় নি তখন একমাত্র বিহারের নালন্দাই বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠান ছিল। মরিশাসে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাই এখানে একটি মিনি ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছে।’’

  • PM Modi: দ্বীপরাষ্ট্রে গীত গবাই পরিবেশন, মরিশাসে স্বাগত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে

    PM Modi: দ্বীপরাষ্ট্রে গীত গবাই পরিবেশন, মরিশাসে স্বাগত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বীপরাষ্ট্রে গীত গবাই পরিবেশনার মাধ্যমে স্বাগত জানানো হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। মঙ্গলবার মরিশাসে (Mauritius) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে মহিলারা বিহারের ঐতিহ্যবাসী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা গীত গবাই পরিবেশন করে স্বাগত জানান। গীত গবাই হল একটি ঐতিহ্যবাহী ভোজপুরী সঙ্গীত পরিবেশনা। ভিন দেশে ‘দেশীয়’ অভ্যর্থনা পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী।

    মরিশাসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের উষ্ণ অভ্যর্থনা (PM Modi)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মরিশাসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি গভীরভাবে অভিভূত। তাঁদের ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি গভীর সংযোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ইতিহাস ও হৃদয়ের এই বন্ধন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকে আছে।” ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মরিশাসে স্মরণীয় সংবর্ধনা। এর মধ্যে অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ছিল গভীর সাংস্কৃতিক সংযোগ, যা ‘গীত গবাই’ পরিবেশনার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। মরিশাসের সংস্কৃতিতে ভোজপুরী ভাষার সমৃদ্ধি সত্যিই প্রশংসনীয়।”

    ভারত মাতার জয়ধ্বনি

    এদিন মরিশাসের হোটেলে পৌঁছানোর পর, ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। হোটেলের কর্মীরাও ভারত মাতার জয়ধ্বনি দেন। ভারতের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। ২০১৬ সালে গীত গবাই অন্তর্ভুক্ত হয় ইউনেস্কোর তালিকায়। স্বীকৃতি পায় এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্য। সঙ্গীতজ্ঞদের মতে, গীত গবাই জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে (PM Modi)। এটি দেবতাদের স্তব ও আহ্বানের মাধ্যমে শুরু হয়। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীনচন্দ্র রামগোলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে মালা পরিয়ে স্বাগত জানান।

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “মরিশাসে অবতরণ করলাম। আমার বন্ধু, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ডঃ নবীনচন্দ্র রামগোলামের এই বিশেষ স্বাগত জানানোয় আমি কৃতজ্ঞ। এই সফরটি আমার জন্য একজন মূল্যবান বন্ধুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের একটি দারুণ সুযোগ।” তিনি আরও লেখেন, “আজ, আমি প্রেসিডেন্ট ধরম গোখুল, প্রধানমন্ত্রী নবীনচন্দ্র রামগোলামের  সঙ্গে সাক্ষাৎ করব এবং সন্ধ্যায় একটি কমিউনিটি প্রোগ্রামে ভাষণ দেব।” এদিন রামগোলামের সঙ্গে ছিলেন মরিশাসের (Mauritius) উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধী দলনেতা, বিদেশমন্ত্রী, ক্যাবিনেট সচিব, গ্র্যান্ড পোর্ট ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন এবং আরও অনেকে (PM Modi)।

  • PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে মরিশাসে (Mauritius) পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Mauritius)। ১২ মার্চ মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন মোদি। মঙ্গলবার ভোরে মরিশাসের স্যার সিউওসাগুর রামগুলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম। মরিশাসে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। ভারত ও মরিশাসের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কারণে মোদির এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রামগুলাম এটিকে তাঁর দেশের জন্য বিশেষ সম্মান বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    মরিশাসে একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক। দুই দেশের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে। আর রয়েছে ভারত মহাসাগর। মরিশাস যেন ‘মিনি ইন্ডিয়া’। ১২ মার্চ সেদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবারই দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মোদি (PM Modi in Mauritius)। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম, উপপ্রধানমন্ত্রী, মুখ্য বিচারক, স্পিকার, বিরোধী দলনেতা-সহ মরিশাসের ২০০ জন পদাধিকারিক মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির মরিশাস সফর, তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, মরিশাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের আর্থিক সহায়তায় ২০টির বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদি। নরেন্দ্র মোদির এই মরিশাস সফরে ভারত ও মরিশাসের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উন্নয়নে অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং দু দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মতো একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    মোদির সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Mauritius) সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক বহু দিনের। তখনও তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও হননি। মরিশাস সফরে গিয়ে সবার মন জয় করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের সেই মরিশাস সফরের কথা এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, একশো বছরেরও বেশি আগে ভারতের বহু নাগরিক শ্রমিক হিসেবে মরিশাসে যান। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তুলসীদাসের রামায়ণ, হনুমান চালিশা। হিন্দি ভাষা মরিশাসের অন্যতম ভাষা হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালের ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মরিশাসের মোকাতে ছিলেন মোদি। সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল রামায়ণ কনফারেন্স’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোদি। ভারত ও মরিশাসকে এক সূত্রে বাঁধতে রামায়ণ কীভাবে সেতুর কাজ করেছে, ওই কনফারেন্সে তা তুলে ধরেছিলেন মোদি।

    ভারত-মরিশাস সম্পর্ক

    মরিশাসের সঙ্গে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের আত্মিক সম্পর্ক। দুদেশের সম্পর্কের সেতু রামায়ণ। আজও সেদেশে সমান জনপ্রিয় তুলসীদাসের রামায়ণ এবং হনুমান চালিশা। মরিশাসের অন্যতম প্রধান ভাষা হিন্দি। এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের জনসংখ্যা ১৩ লক্ষেরও বেশি। যা কিনা এই দ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। উল্লেখ্য ১৯৭৬ সাল থেকে মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট দুদেশের সংস্কৃতির প্রচারের জন্য একটি যৌথ মঞ্চ হিসেবে আজও কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সফরে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা কুটনীতিকদের। প্রসঙ্গত চিনা হুমকির কথা মাথায় রেখে ভারত মহাসাগরের বুকে মরিশাসে ভারত একটি বন্দরও গড়ে তুলেছে। সেখানকার পোর্ট লুইসে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়নও রাখবে নয়া দিল্লি।

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

    সিঙ্গাপুরের পর মরিশাস ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারও বটে। বর্তমানে মরিশাস-ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কর্পোরেশন, টেলিকমিউনিকেশনস কনসালটেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইন্ডিয়ান অয়েল (মরিশাস) লিমিটেড, মহানগর টেলিফোন (মরিশাস) লিমিটেড, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (মরিশাস) সহ ১১ টি ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে সেদেশে। উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মহাকাশ গবেষণা সহ একাধিক প্রকল্পে মরিশাসকে সহযোগিতা করছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং মরিশাস রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাউন্সিল যৌথ উপগ্রহ নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর একটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষরও করেছে। বর্তমানে মরিশাসে সাড়ে ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যায়ে ভারতের সহযোগিতায় গড়ে উঠছে মেট্রো এক্সপ্রেস প্রকল্প, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং তৈরি, নতুন হাসপাতাল সহ একাধিক প্রকল্প। কোভিডের সময়ও মরিশাসকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করেছিল ভারত।

  • ICC Champions Trophy: শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে অবসর জল্পনায় জল রোহিতের

    ICC Champions Trophy: শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে অবসর জল্পনায় জল রোহিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই খেলা ছাড়ছেন না, বিশেষ করে একদিনের ক্রিকেট। এটাই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। খেলতে পারেন ২০২৭ বিশ্বকাপেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) জিতে অবসরের জল্পনায় জল ঢাললেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সেরা ছেলেদের হাতেই রেখে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব, ম্যাচ শেষে শুভমন গিলকে পাশে নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা কিং কোহলির (Virat Kohli)। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারত। রোহিত শর্মারা জেতার পরেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা

    ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “একটা অসাধারণ খেলা। একটা অসাধারণ ফল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশে নিয়ে আসায় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গর্বিত। গোটা প্রতিযোগিতায় সকলে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। এই সাফল্যের জন্য দলের প্রত্যেককে অনেক শুভেচ্ছা।” প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্রিকেট প্রেমের কথা আগেও চোখে পড়েছে। এবারও রোহিতদের সাফল্য উচ্ছ্বসিত মোদি।

    ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) জয়ের কৃতিত্ব দলের সকলকে ভাগ করে দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য ভারতীয় দলকে হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা। ভারত একমাত্র দল যারা তিন বার এই প্রতিযোগিতা জিতল। এই ইতিহাস তৈরি করার জন্য দলের ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ। ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।” আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ (Jay Shah) টুইটারে দলের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “একটি অত্যন্ত দৃঢ়সংকল্পিত নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) দলের বিরুদ্ধে ভারতের অসাধারণ পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। পুরুষদের ক্রিকেটে পরপর দুটি আইসিসি ট্রফি জয়ের জন্য অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও অভিনন্দন, গত বছরের টি২০ বিশ্বকাপের পর।”

    আগ্রাসী ক্রিকেটই পছন্দ রোহিতের

    সঞ্চালক ইয়ান বিশপের প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বললেন, “দারুণ লাগছে জিততে পেরে। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই আমরা ভালো খেলেছি। ফাইনালেও জেতার অনুভূতিটা বাকিগুলোর থেকে আলাদা। যে ভাবে খেলেছি সেটা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে। আগ্রাসী ক্রিকেটই পছন্দ।” এদিন এক সময় টানা উইকেট পড়লেও যে ভাবে কেএল রাহুল শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ বার করে দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন রোহিত। একইসঙ্গে বোলার বরুণ চক্রবর্তীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। রোহিতের কথায়, “কেএলের মানসিকতা নিয়ে কী আর বলব। চাপে পড়লে কখনও সেটা দেখাতে ভালোবাসে না। আজ একাই ম্যাচটা শেষ করে এল। চাপের মুখে ঠিক যে শটটা খেলতে হবে সেটাই খেলে। বাকিদের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ করে দেয়। আজ যে রকম হার্দিককে খোলা মনে খেলতে দিল। আর, বরুণের মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার রয়েছে। এ ধরনের পিচে খেলতে গেলে ওর মতো বোলারদেরই দরকার।” কৃতজ্ঞতা জানালেন দুবাইয়ের দর্শকদেরও। রোহিত বললেন, “যাঁরা মাঠে এসে আমাদের সমর্থন করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এখানকার দর্শকরা বরাবরই অসাধারণ। দুবাই আমাদের ঘরের মাঠ নয়। কিন্তু সমর্থকদের জন্যই এটা ঘরের মাঠ হয়ে উঠেছিল।”

    চাপের মুখে খেলার জন্য মুখিয়ে তরুণরা

    মিনি বিশ্বকাপ জেতার পর বিরাট কোহলি বলেন, “এই জয়ের অনুভূতি অসাধারণ। আমরা অস্ট্রেলিয়া সফরের পর ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। একগুচ্ছ তরুণদের সঙ্গে খেলতে পেরে দারুণ লাগছে। ওরা ভালো ছন্দে রয়েছে। টিম ইন্ডিয়াকে সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছে। এতদিন ধরে খেলার পরও চাপের মুখে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকি। খেতাব জেতার জন্য পুরো টিম বিভিন্ন ম্যাচে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে। এই ধরণের টুর্নামেন্ট এলে দলের সকলে জেতার কথাই ভাবে। আমাদের দলগত প্রচেষ্টার ফলে এই ট্রফি জিতলাম।” দলে একগুচ্ছ তরুণ ক্রিকেটার, এরাই ভারতের ভবিষ্যত। বিরাট বললেন, “দলের তরুণদের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা বরাবর শেয়ার করি। কীভাবে এতগুলো বছর ধরে আমি খেলেছি, কোন পরিস্থিতিতে কী করি, সবই ওদের সঙ্গে শেয়ার করি।”

    অবসরের ভাবনা জাদেজার!

    রোহিত-কোহলি (Rohit-Kohli) ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আগে অবসরের জল্পনা চলছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়েও। দুবাইয়ে ১০ ওভার বল করেছেন জাডেজা। মাত্র ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টম লাথামকে আউট করেন জাডেজা। তার পরেই দেখা যায়, কোহলি গিয়ে জাডেজাকে জড়িয়ে ধরেছেন। দু’জনের মধ্যে কিছু কথা হয়। সেই দৃশ্য নজরে পড়ে দর্শকদের। তার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে খেলা চলাকালীন অশ্বিন ও স্মিথকেও জড়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। তারপরই তাঁরা অবসরের কথা জানান। তাই এদিন কোহলি-জাদেজা আলিঙ্গনেও বাড়ে জল্পনা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন জাদেজা। ভারতের টেস্ট দলে নিয়মিত খেলেন তিনি।

  • PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার মধ্য রাতে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।

    হাসপাতালে উপরাষ্ট্রপতি (PM Modi)

    রবিবার দুপুরে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে তিনি উপরাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিতে দিল্লি এইমস হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” উপরাষ্ট্রপতি চিকিৎসাধীন রয়েছেন এইমসের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান রাজীব নারাঙের তত্ত্বাবধানে। ইতিমধ্যেই তাঁর শরীরে নানাবিধ পরীক্ষা হয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট এলে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে (PM Modi)। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু ধনখড়ের

    এর আগেও একবার ধনখড়কে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। ম্যালেরিয়া হওয়ায় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেই সময় তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক হন ধনখড়। কর্মজীবন শুরু করেন আইনজীবী হিসেবে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজস্থানের হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করেছেন ধনখড়।

    ধনখড় ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর আগে তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ধনখড়ের। ঝুনঝুনু লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজনীতিতে চলে আসেন তিনি। পরের বছরই সংসদীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আজমের জেলার কিষানগড় অসনে জয়ী হন তিনি। পিভি নরসিংহের আমলে যোগ দেন কংগ্রেসে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পরেই হন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এই সময় বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে সংঘাত বাঁধে তাঁর। ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) আমলেই রাজভবন ও নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল (PM Modi)।

  • Indian Defence Ministry: রাশিয়ার সঙ্গে ২১,১৬১ কোটির প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের! ক্ষমতা বাড়বে টি-৭২ ট্যাঙ্কের

    Indian Defence Ministry: রাশিয়ার সঙ্গে ২১,১৬১ কোটির প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের! ক্ষমতা বাড়বে টি-৭২ ট্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russian Company) অস্ত্র রফতানিকারক সংস্থা রোসোবারোন এক্সপোর্টের সঙ্গে ২,১৬১ কোটি টাকার চুক্তি নয়াদিল্লির। গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian Defence Ministry) এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশকে ভারতে প্রথম চালু হয়েছিল টি-৭২ ট্যাঙ্ক, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান যুদ্ধ সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৭৮০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনযুক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ টি-৭২ ট্যাঙ্ক সক্রিয় রয়েছে। নতুন করে কেনা ১ হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন দিয়ে বর্তমান ট্যাঙ্কগুলির ইঞ্জিনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Indian Defence Ministry) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এতে ভারতীয় সেনার শক্তি আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এরফলে উদ্বেগ বাড়ল চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের।

    ইঞ্জিন তৈরি হবে চেন্নাইয়ে(Indian Defence Ministry)

    এই চুক্তির আওতায় রাশিয়ান সংস্থ রোসোবারোনএক্সপোর্ট থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্মার্ড ভেহিক্যালস নিগম লিমিটেডকে। এরফলে চেন্নাইয়ের আভাদিতে অবস্থিত হেভি ভেহিক্যাল কারখানাতে দেশীয়ভাবে এই ইঞ্জিনগুলি তৈরি হবে। মোদি সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে রাশিয়া ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সরবরাহ ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমেছে।

    সম্প্রতি কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যে, যুদ্ধ সরঞ্জামের স্বনির্ভরতার (Indian Defence Ministry) ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত যুদ্ধ সরঞ্জামের রফতানির দিক থেকেও ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। দশ বছর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করত ৬০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৯ ও ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করতে পারবে ৫০,০০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম।’’ অন্যদিকে তথ্য বলছে ২০২৪ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা খাত প্রতিবছর কুড়ি শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অস্ত্র, গোলাবারুদ, মহাকাশ সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক্স ও নৌ প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • International Womens Day: থিম ‘বিকশিত ভারত সঙ্গে নারী শক্তি’, আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন মোদি সরকারের

    International Womens Day: থিম ‘বিকশিত ভারত সঙ্গে নারী শক্তি’, আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Womens Day)। এই দিনটিতে নারীর অধিকার-ক্ষমতায়ন-সশক্তিকরণ নিয়ে সচেতনতামূলক নানা রকমের অনুষ্ঠান পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, রাজনৈতিক কার্যকলাপ এবং আর্থসামাজিক দিক থেকে নারীরা কতটা এগিয়েছে- তা এদিন উঠে আসে বিভিন্ন আলোচনাতে। সাধারণভাবে এই দিনটিতেই বিশ্বজুড়ে প্রচার করা হয় যে পুরুষদের সমানই হল নারীরা এবং কোনও রকমের লিঙ্গ বৈষম্য নেই এখানে। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালের নারী দিবসের আন্তর্জাতিক থিম রাখা হয়েছে Accelerate Action.

    ‘বিকশিত ভারত সঙ্গে নারী শক্তি’ (International Womens Day)

    প্রসঙ্গত, এবছরের নারী দিবসে (International Womens Day) কেন্দ্রের মোদি সরকারও নানারকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে জানা গিয়েছে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী সম্প্রতি একটি থিমের ঘোষণা করেছেন এই উপলক্ষ্যে এবং যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিকশিত ভারত সঙ্গে নারী শক্তি’। আসলে এই থিমের মাধ্যমেই প্রতিফলিত হচ্ছে যে আগামী দিনে মোদি সরকারের লক্ষ্য।

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠান (International Womens Day 2025)

    এই আবহে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক আন্তর্জাতিক স্তরে নারীদের (International Womens Day) সাফল্যকে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছে। ভাষাগত দিক থেকে নারী সাফল্য, সাংস্কৃতিক দিক থেকে নারী সাফল্য, অর্থনৈতিক দিক থেকে নারী সাফল্য, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের সাফল্য- এই সমস্ত কিছুকেই তুলে ধরা হচ্ছে। এই উপলক্ষে একটি হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করা হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে #SheBuildsBharat. প্রসঙ্গত, আজ ৮ মার্চ শনিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবন একটি অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতি অন্নপূর্ণা দেবী, প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি সাবিত্রী ঠাকুর সহ সম্মানিত অতিথিরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জানা যায়, পরবর্তীকালে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সেসময় নারী দিবস পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি।

  • PM Modi: ভারত-বার্বাডোজের মধ্যে গভীর সম্পর্ক, বিশেষ সম্মান পেয়ে কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: ভারত-বার্বাডোজের মধ্যে গভীর সম্পর্ক, বিশেষ সম্মান পেয়ে কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মুকুটে জুড়ল আরও একটি সাফল্যের পালক। বার্বাডোজের তরফে “অনারারি অর্ডার অব ফ্রিডম অব বার্বাডোজ” সম্মানে সম্মানিত করা হল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এই সম্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্বাডোজ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এই সম্মান প্রধানমন্ত্রী ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে উৎসর্গ করেছেন। এই সম্মান ভারত ও বার্বাডোজের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রকাশ বলে জানিয়েছেন মোদি।

    ভারতবাসীকে উৎসর্গ

    বার্বাডোজের প্রেসিডেন্টই এই সম্মান-উপহার তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে সম্মান গ্রহণে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, ভারতের প্রতিনিধি এই সম্মান গ্রহণ করেন। ব্রিজেটাউনে সরকারি অনুষ্ঠানেই বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট “অনারারি অর্ডার অব ফ্রিডম অব বার্বাডোজ” সম্মান প্রদান করেন। বিদেশ ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গারিটা এই সম্মান গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স (পুর্বে টুইটার) এ একটি পোস্টে বলেন, “এই পুরস্কার আমি ভারতবর্ষের ১৪০ কোটি মানুষ এবং ভারত ও বারবাডোজের মধ্যে গভীর সম্পর্ককে উৎসর্গ করছি।”

    কেন সম্মান মোদিকে

    কোভিডকালে কৌশলগত নেতৃত্ব এবং মূল্যবান সহায়তার জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পুরস্কার দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতীক। গত বছর গায়ানার জর্জটাউনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ভারত-ক্যারিকম শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক বৈঠকের সময়, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মটলি এই সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সহযোগিতার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন তিনি।

    কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করার সময়, মার্গেরিটা এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধিত্ব করা এবং তাঁর পক্ষ থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করা আমার জন্য এক বিরাট সম্মানের। এই স্বীকৃতি ভারত ও বার্বাডোজের মধ্যে গভীরতর সম্পর্কের পাশাপাশি সহযোগিতা ও উন্নয়নের প্রতি দুই দেশের যৌথ প্রতিশ্রুতি, বিশেষ করে সংকটের সময়ে, জোরদার করে তোলে।” কূটনৈতিক মহলের মতে, ১৯৬৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, ভারত ও বার্বাডোজ একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে, যা ধারাবাহিকভাবে সম্পৃক্ততা এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য।

  • Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসতেই হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। রানার ভারতে প্রত্যর্পণে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তাহাউর জানিয়েছিলেন, সে পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত মুসলিম হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। কিন্তু তাহাউর রানার সেই আশঙ্কাকে গুরুত্ব দেননি বিচারপতি। তাঁর প্রত্যর্পণের উপর কোনও স্থগিতাদেশ চাপায়নি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল।

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে রানার আর্জি

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ‘প্রত্যর্পণ স্থগিতের জরুরি আবেদন’ দাখিল করেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর প্রত্যর্পণের অর্থ হল আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রসংঘের নির্যাতন-বিরোধী কনভেনশন লঙ্ঘন করা। কারণ ভারতে তাঁকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাঁর আবেদনে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানি মুসলিম হিসেবে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের ঝুঁকি আরও বেশি।’ এছাড়া, তিনি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়ে উল্লেখ করা হয়, তাহাউর একাধিক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে জানান, তিনি একাধিক হার্ট অ্যাটাক, পার্কিনসনস ডিজিজ, ব্লাডার ক্যান্সারের আশঙ্কা, স্টেজ ৩ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, অ্যাজমা এবং কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জেলে বন্দি হওয়া তার জন্য ‘প্রকৃত অর্থে মৃত্যুদণ্ড’ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

    আবেদন খারিজ

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার এই আবেদন গ্রহণ করেনি এবং ভারতীয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রানা পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘যদি এই প্রত্যর্পণ স্থগিত করা না হয়, তাহলে মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার থাকবে না এবং আমি শিগগিরই মারা যাব।’ এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যায় সে। স্যান ফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই তাহাউর রানার রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এ বার আমল দিল না তার জরুরি ভিত্তিতে করা আবেদনেও। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন তিনি। শীঘ্রই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া

    উল্লেখ্য, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৭ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আবহে ভারতের অনুরোধে আমেরিকার প্রশাসন রানাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০১১ সালে শিকাগোর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল রানা। তার বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানার বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি। এই আবহে ২০২৩ সালের মে মাসে একটি মার্কিন আদালত পাক বংশোদ্ভূত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রানা আবেদন করেছিল। তারপর রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। তবে ২১ জানুয়ারি তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকার শীর্ষ আদালত।

    ভারতের দাবিতে সিলমোহর

    প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই সওয়াল করে আসছিল নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার এই নাগরিকই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ঘটনায় অন্যতম চক্রী। তাই ভারতের বিচারব্যবস্থার অধীনেই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। গত ১৬ ডিসেম্বর মার্কিন সলিসিটর জেনারেল এলিজাবেথ বি প্রিলগার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, যাতে শীর্ষ আদালত রানার আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে রানার আইনজীবী ২৩ ডিসেম্বর সরকারের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান, যাতে এই মামলায় রানার রিট পিটিশন গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালত রানার আবেদনের বিরুদ্ধেই রায় ঘোষণা করে দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরকালে রানার প্রত্যর্পণে অনুমোদন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘খুব শিগগিরই রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ এর পরেই শুরু হয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া। কিন্তু ফের মার্কিন শীর্ষ আদালতে শেষ চেষ্টা করেন রানা। তবে তাঁর সেই চেষ্টায়ও জল ঢালল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। যাঁদের মধ্যে ছ’জন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। হামলা চালিয়েছিল ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি।

  • PM Modi: ‘‘জঙ্গলের মাওবাদ শেষ, বিপদ বাড়াচ্ছে শহুরে নকশালরা’’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জঙ্গলের মাওবাদ শেষ, বিপদ বাড়াচ্ছে শহুরে নকশালরা’’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘জঙ্গল থেকে মাওবাদীদেরকে (Maoists) নির্মূল করা গিয়েছে। বিপদ বাড়াচ্ছে শহুরে নকশালরা এবং তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলিতে অনুপ্রবেশ করছেন’’। বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই ছদ্ম মাওবাদ বিপদকে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘‘ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে থেকে যে ধরনের ভাষা এবং শব্দ শহুরে ছদ্মবেশী মাওবাদীরা ব্যবহার করছেন, তাতে একটা কথাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে জঙ্গলের মাওবাদীদের সঙ্গে এদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘দেশে মাওবাদ সমস্যার সমাধান একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। আগে যেখানে মাওবাদ অধ্যুষিত জেলার সংখ্যা এই দেশে ১০০-র বেশি ছিল, বিগত এক দশক ধরে তা চব্বিশে নামানো গিয়েছে।’’

    উন্নয়নেই পিছু হঠেছে মাওবাদ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এর পুরো কৃতিত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে পরিকাঠামোর বৃদ্ধি এবং ভূমিস্তর পর্যন্ত উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার কারণেই এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। প্রসঙ্গত, শহুরে ছদ্মবেশী মাওবাদীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিতে গিয়ে সেখানকার নীতি নির্ধারক হয়ে পড়ছেন। যে রাজনৈতিক দলগুলি একসময় গান্ধীবাদী আদর্শকে ধারণ করে চলত, তারাই এখন মাওবাদীদের ন্যারেটিভ নিয়ে চলছে। এদের প্রভাব সর্বত্র এবং তা ভারতের উন্নতি এবং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’’

    দেশ ক্রমশ উন্নতির পথে রয়েছে

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরেও ভারত ছিল বিশ্বের একাদশতম অর্থনীতি। কিন্তু বিগত ১ দশকে ভারত হয়েছে পঞ্চম অর্থনীতি। এ দেশ ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০০৭ সালে ভারতের জিডিপি পৌঁছেছিল বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বর্তমানে প্রতি তিন মাসে ভারতে এই জিডিপি পৌঁছে যায়। এখানেই বোঝা যাচ্ছে দেশ ক্রমশ উন্নতির পথে রয়েছে।’’

    ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রতার সমস্যা থেকে মুক্ত করা গিয়েছে

    নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘‘২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রতার সমস্যা থেকে মুক্ত করা গিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পে উন্নতি নিয়েও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আমাদেরকে রাইফেল পর্যন্ত আমদানি করতে হত কিন্তু এখন আমরা যুদ্ধের সরঞ্জাম কুড়ি গুণ বেশি রফতানি করতে পারছি। আগের থেকে সোলার এনার্জি ক্ষেত্রেও আমাদের উৎপাদন বেড়েছে ৩০ গুণ। বিদেশে আমরা বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী অনেক বেশি বিক্রি করতে পারছি।’’

    সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার আয়োজিত সম্মেলনে হাজির ছিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এই কথাগুলি বলেন। নিজের বক্তব্যে তিনি খোঁচা দেন বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতে, ‘‘কংগ্রেস জনগণের আশা আকাঙ্খাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। এই কারণেই জনগণ কংগ্রেসের ওপর আর কোনওভাবেই ভরসা করে না।’’ তিনি জানান, তাঁর সরকার ক্ষমতা আসার পরে বিগত এক দশকে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। জনগণের ভরসা, আকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাস তাঁর সরকারের ওপর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্যে আরও বলেন, ‘‘আজকের ভারত অনেক বড় বড় চিন্তা করে। অনেক বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং তা অর্জন করে।’’

    দেশবাসীর নিরাপত্তায় সদা সজাগ তাঁর সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘দেশে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ক্ষেত্রে সরকার কঠোর পরিশ্রম করছে। সরকার সদা সজাগ রয়েছে, এই বিষয়ে। একটা সময় সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং সন্ত্রাসবাদীদের স্লিপারসেল এখন আর খবরে শিরোনামে আসে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘দেশের জনগণ কংগ্রেসের কাছে আর কিছুই আশা করে না। কিন্তু বিগত ১০ বছরে আমাদের কাছ থেকে তাঁরা অনেক কিছু আশা করেন।’’ তিনি আরও জানান, একটা সময় দেশবাসীর ধারণা ছিল এদেশ ডুবে যাবে। কিন্তু বর্তমানে ভারত লক্ষ্য রেখেছে নিজের সাফল্যের দিকে। এর পাশাপাশি ভারত বিশ্বজুড়ে আশার সঞ্চারও করতে পারছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

LinkedIn
Share