Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে ভারতের এমন দৃষ্টিভঙ্গিই উপস্থাপন করব।” শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20) যোগ দিতে যাওয়ার আগে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তিনি তিনদিন সফরে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দেন। জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ষষ্ঠ আইবিএসএ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সম্মেলনে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এবং ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করব।” দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে যোগ দেব। এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের সময় বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করব।”

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সেখানে ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২–২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। এবার ২০তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হবে। কারণ এটিই হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম জি২০ সম্মেলন। ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-এর সদস্য হয়েছিল।” জি২০-এর সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কিয়ে (পূর্বতন তুরস্ক), ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন (PM Modi)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জি২০ সম্মেলন হবে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ। এ বছরের জি২০-এর থিম হল ‘সংহতি, সাম্য ও টেকসই উন্নয়ন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা নয়াদিল্লি এবং ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলির সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (G20)।” তিনি এও বলেন, “সহযোগী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার আলোচনা এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে নির্ধারিত ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্যও আমি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম।” এর আগে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল (PM Modi), সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই অধিবেশনগুলি হল, “সমন্বিত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—কাউকে পিছনে না রেখে: আমাদের অর্থনীতি গঠন, বাণিজ্যের ভূমিকা, উন্নয়নের অর্থায়ন এবং ঋণের বোঝা”, “একটি সহনশীল জি২০-এর অবদান: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর, খাদ্য ব্যবস্থা” এবং “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সুবিচারপূর্ণ ভবিষ্যৎ: গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”

    জি২০

    প্রসঙ্গত, জি২০-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। গ্রুপটির টানা চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সাউথে। ২০২২ সালে জি২০-এর সভাপতিত্ব করেছে ইন্দোনেশিয়া, তার পরের বছর ভারত, ২০২৪ সালে ব্রাজিল এবং চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির এই গ্রুপের স্থায়ী সদস্য হয় (PM Modi)।

    গ্লোবাল সাউথ

    উল্লেখ্য যে, বিদেশমন্ত্রকের সচিব সুধাকর দালেলার মতে, জি২০ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম, যেখানে আগের অধিবেশনগুলিতে দেশগুলি গ্লোবাল সাউথকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ে একটি ঐক্যমত্য ঘোষণা, পাইলট প্রকল্প এবং নয়া উদ্যোগ নিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি যে ব্রাজিলের সভাপতিত্বে এবং অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার নিজেদের সভাপতিত্বের জন্য নির্ধারিত চারটি ভার্টিক্যালের অধীনে এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বছরভর বিভিন্ন ট্র্যাকজুড়ে বেশ কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি যে গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এবং তুলে ধরা হচ্ছে (PM Modi)।”

  • Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে আমার মায়ের ওপর চালানো হত্যার চেষ্টা প্রতিরোধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।” এর পাশাপাশি তিনি ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং যে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর মায়ের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন। ওয়াজেদ থাকেন আমেরিকায়।

    ওয়াজেদের অভিযোগ (Sheikh Hasina)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আইনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, বিচারকদের বরখাস্ত করছে এবং শেখ হাসিনাকে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সব সময়ই আমাদের ভালো বন্ধু। সঙ্কটের সময়ে ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তিনি যদি বাংলাদেশ না ছাড়তেন, জঙ্গিরা তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।”

    হাসিনার প্রত্যর্পণ

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এহেন বার্তা এমন একটা সময়ে এল, যখন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। আদালতের এই রায়ে বাংলাদেশে যেমন খুশির হাওয়া দেখা গিয়েছে, তেমনি সঞ্চার করেছে ব্যাপক ক্ষোভেরও। বাংলাদেশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওয়াজেদের অভিযোগ, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ধাপে আইনি প্রক্রিয়াকে বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, “প্রত্যর্পণ ঘটতে হলে বিচার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা উচিত। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সরকার রয়েছে, তা অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং বেআইনি (PM Modi)। আমার মাকে দোষী সাব্যস্ত করতে তারা আইন সংশোধন করেছে, যাতে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা যায়। তাই এই আইনগুলিও বেআইনিভাবে সংশোধন করা হয়েছে। আমার মাকে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের (Sheikh Hasina) আইনজীবী নিয়োগ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তাঁর আইনজীবীদের আদালতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”

    হাসিনা-পুত্রের দাবি

    হাসিনা-পুত্রের দাবি, ট্রাইব্যুনালের গঠনই এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে পূর্বনির্ধারিত রায় নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, “বিচারের আগে আদালত থেকে সতেরোজন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। নিয়োগ করা হয়েছিল নতুন বিচারকদের। এঁদের মধ্যে আবার কয়েকজনের বিচারকের আসনে বসে কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। এঁরা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই সেখানে কোনওরকম যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। অথচ কাউকে প্রত্যর্পণ করতে যথাযথ প্রক্রিয়া থাকা বাধ্যতামূলক।”

    প্রসঙ্গত, ট্রাইবুনালকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (Sheikh Hasina) একটি প্রক্রিয়া বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাসিনা স্বয়ং-ও। তিনি বাংলাদেশছাড়া হওয়ার পর ক্ষমতার রশি যায় ইউনূসের হাতে। তারপর থেকে হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। সেই সব মামলার বিচার হয় ট্রাইব্যুনালে। হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত (PM Modi)।

  • Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumars Oath Ceremony)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিশিষ্ট নেতা। বিহার বিধানসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হবে ১৯ নভেম্বর। তার পরের দিনই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে হবে নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

    উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী (Nitish Kumar Oath Ceremony)

    নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই কারণে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ওই ময়দানে। জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও। সোমবার থেকেই ওই ময়দানে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাই-প্রোফাইল এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ময়দান। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি শপথ গ্রহণের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ স্তরের নেতা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জেপি নাড্ডা। তাঁদের উপস্থিতি বিহারে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থানই স্পষ্ট করে। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৮৯ কেন্দ্রের রাশ। তার পরেই রয়েছে নীতীশের দল। তারা পেয়েছে ৮৫টি আসন। যদিও বিজেপি এবং নীতীশের দল জেডিইউ প্রার্থী দিয়েছিল ১০১টি করে আসনে।

    আর কারা থাকবেন

    এর আগে ন’বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। টানা ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। এবার তিনি শপথ নিতে চলেছেন দশমবারের জন্য। এটি হবে বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল ও নজিরবিহীন মাইলফলক (Nitish Kumar Oath Ceremony)। ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি এবং এনডিএ পরিচালিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে (PM Modi) পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও।

    বম্ব স্কোয়াডের লোকজন

    সোমবার গান্ধী ময়দান ঘুরে দেখেন বম্ব স্কোয়াডের লোকজন। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি মাঠে বিছানো হয়েছে সবুজ কার্পেট। অতিথিদের বসার জন্য ১ হাজার ৫০০টি সোফার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মাঠ সাজানোর জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে লরি লরি ফুল (Nitish Kumar Oath Ceremony)। এদিকে, মঙ্গলবারই বিদায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন নীতীশ। বৈঠক শেষে তাঁরা চলে যান রাজভবনে। সেখানেই ১৯ নভেম্বর বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পেশ

    এদিন নীতীশের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরিও। রাজ্যের বিদায়ী জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৯ নভেম্বর থেকে বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে সেই প্রস্তাব অনুযায়ী সুপারিশও করেছেন।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী এদিন পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগ করবেন ১৯ নভেম্বর। সেদিনই রাজ্যপালের কাছে নয়া সরকার গঠনের দাবিও জানাবেন (Nitish Kumar Oath Ceremony)।

    জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন

    অতীতে বহু রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পাটনার এই গান্ধী ময়দান। তবে এনডিএ শিবিরের দাবি, অতীতের সেই সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে যাবে নীতীশের এবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ময়দানে প্রস্তুত করা হচ্ছে একটি জার্মান হ্যাঙ্গার। এই বিশাল হ্যাঙ্গারে এক সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন। হাজার তিরিশেক চেয়ারও রাখা হচ্ছে। পাটনার জেলাশাসক এসএম ত্যাগরাজন বলেন, “এটা স্পষ্ট যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এখানেই হবে। সেজন্য নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিক করে তোলার জন্য প্রস্তুতি প্রায় সারা (PM Modi)।”

    কী বলছে নীতীশের দল

    সরকার গড়ার লক্ষ্যে জেডিইউয়ের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঝা প্রথমে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে। রবিবার তিনি দেখা করেছিলেন নীতীশের সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই নয়া সরকার গঠন করা হবে। এনডিএর ইস্তেহারে আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Nitish Kumar Oath Ceremony)।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীতীশের দলের এক নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এটি একটি জমকালো অনুষ্ঠান হবে। সমাগম হতে পারে (PM Modi) বিপুল দর্শকের। আমাদের দল নয়া মন্ত্রিসভায় আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের প্রত্যাশা করছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় আমাদের দলের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র ১২ জন।”

  • India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) সঙ্গে নয়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই নয়াদিল্লি একগুচ্ছ নয়া চুক্তি ও উদ্যোগ চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    পুতিনের সফর (India Russia Relation)

    তিনি পুতিনের সফরকে কেন্দ্র করে ২৩তম বার্ষিক ভারত–রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মস্কোয় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “এই বিশেষ উপলক্ষটি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি জানান, উভয় পক্ষই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এগুলি আগামী দিনগুলিতে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। এই সব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও সুদৃঢ় করবে।” জানা গিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের আশপাশে ভারতে আসার কথা পুতিনের। এই সফরে তিনি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। গত বছর মোদি মস্কো সফর করেছিলেন বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে।

    বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই লক্ষ্যকে গঠনমূলকভাবে নেবে। সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই।” তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার একটি উপাদান হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অংশীদারিত্বের বিকাশ দুই দেশ এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ করে (India Russia Relation)।” দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করব। এই খোলামেলা আলোচনা বরাবরই আমাদের সম্পর্ককে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানের ঘটনাবলিও।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মস্কোয় জয়শঙ্করের এই সফরটি আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক একটি পদক্ষেপ, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতা আরও মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য ফলের সম্ভাবনা রয়েছে (S Jaishankar)।প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য ফি বছর একটি করে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত এই ধরনের ২২টি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এটি নয়াদিল্লির বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    ডোভাল-নিকোলাই বৈঠক

    এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবার পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন (India Russia Relation)। দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ও রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভ ভারতে পৌঁছেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (S Jaishankar) অজিত ডোভাল এবং ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” উল্লেখ্য যে, পাত্রুশেভের এই সফরটি এমন একটি দিনে হল, যেদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছেছেন।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত। গত অগাস্ট মাসেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। গিয়েছিলেন ডোভালও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন নয়াদিল্লির মোদি এবং মস্কোর পুতিন সরকার (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর রুষ্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে রাজি হয়নি ভারত। ডোভাল, জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর এবং (S Jaishankar) নরেন্দ্র মোদি-পুতিনের ফোনে কথা, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের সমালোচনা, পুতিনের ভারতে আসার সম্ভাবনা, এমন নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সেই সময় যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ইঙ্গিত ছিল। সেই সম্পর্কই আরও মজবুত হবে পুতিনের আসন্ন ভারত সফরে (India Russia Relation)।

  • Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন জাতপাতের রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছিল বিহারের রাজনীতি (Caste Politics)। তবে সেই এঁদো গলির সেই রাজনীতিকে ছাপিয়ে গিয়ে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বুঝিয়ে দিল, রাজ্যের উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন সুশাসন (Good Governance), যে সুশাসন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এই সুশাসনের ঝড়েই কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন।

    রাহুলের অস্ত্র ভোঁতা (Caste Politics)

    তার পরেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোটের অন্দরে। হারের দায় কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ‘ইন্ডি’ (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) জোটের নেতারা। রাজনীতির ময়দানে রাহুলকে প্রায় দেখাই যায় না বলে বিরোধীদের দাবি। বিহারে ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। তারপর আর তাঁর পাত্তা পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর, লাতিন আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে তিনি সেই সময় ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন।

    সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি

    কংগ্রেসের এই নেতা যখন বিদেশে দেশের গায়ে কালিমা লাগাতে ব্যস্ত (Caste Politics), তখন সপ্তাহের সাতদিনই চব্বিশ ঘণ্টা করে খেটে চলেছিলেন এনডিএর নেতা-কর্মীরা। এটি যদি বিহার ভোটে এনডিএর বিপুল জয়ের রুপোর কাঠি হয়, তবে সোনার কাঠিটি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসন। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৪টি জায়গায়। তিনি তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন জননায়ক কর্পূরী ঠাকুরের পৈতৃক গ্রাম সমস্তিপুর জেলা থেকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরীকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। এই জেলা থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে এনডিএর তরফে প্রধানমন্ত্রী বিহারবাসীকে এই বার্তা দেন যে, এনডিএ একটি পরিষ্কার, সৎ এবং প্রান্তিক মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল সরকার উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই গুণগুলি কর্পূরী ঠাকুরের সঙ্গে বেশ মেলে। তারই সুফল মিলেছে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, সমস্তিপুর-সহ প্রধানমন্ত্রী যেসব জায়গায় প্রচার করেছেন, সেই সব জায়গায় ভোটদানের হার ছিল চোখ ধাঁধানো।

    এক্স ফ্যাক্টর!

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর এই বিপুল জয়ে কাজ (Caste Politics) করেছে আরও একটি ফ্যাক্টর। সেটি হল, বিজেপি সঠিক নির্বাচনী ইস্যুগুলিকে চিহ্নিত করে তুলে ধরেছে জনগণের দরবারে (Good Governance)। গত দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব কল্যাণমূলক কর্মসূচি, যেগুলি নারী, প্রবীণ এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহায় হয়ে উঠেছিল, সেগুলি মোদির প্রতি জনগণের ভরসা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিহারের জঙ্গলরাজের সঙ্গে সুশাসনের (এনডিএ জমানায়) তুলনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই ব্যাপক প্রভাব ফেলে ইভিএমে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জমানা দেখা ভোটাররা তো বটেই, এনডিএর সুশাসন দেখা নতুন ভোটাররাও ভরসা করেছেন মোদির ওপর। তার জেরেই বিহারে জয়জয়কার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর।

    সুশাসনের ফিরিস্তি

    বস্তুত (Caste Politics), নির্বাচনী ময়দানে বিজেপি নেতাদের এই শানিত এবং দূরদর্শী আক্রমণের সামনে বিরোধীদের কার্যত অসহায় দেখিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব জনতা জনার্দনের এই আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে, জঙ্গলরাজ নয়, নয়া মহাগঠবন্ধনের সরকার রাজ্যবাসীকে উপহার দেবে সুশাসন (Good Governance)। বস্তুত, আরজেডি যে সুশাসন দিতে পারে, তা আদৌ বিশ্বাস করেননি ভোটাররা। আর তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে। বিজেপির একাধিক মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন প্রচারে বেরিয়ে এনডিএ জমানার সুশাসনের ফিরিস্তি দিয়েছেন, তখন জঙ্গলরাজের স্মৃতি ফিকে করে সুশাসনের আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মহাগঠবন্ধনের নেতারা। তেজস্বী নন, বিহারবাসী আস্থা রেখেছেন মোদির সুশাসনের ওপরই (Caste Politics)।

    সাংগঠনিক শক্তি

    সাংগঠনিক শক্তিও বিজেপির বিপুল জয়ের অন্যতম একটি স্তম্ভ। ভোটের আগে আগেও যখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দশা, তার ঢের আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়ে মহগঠবন্ধনকে মাত দিয়ে দেয় এনডিএ। ঘর গুছোতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলেছিলেন বিরোধীরা। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে এনডিএ বিহারবাসীর মনে এই বার্তা গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছিল যে, ‘হামারা সব এক হ্যায়’। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ (Good Governance) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন। দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছিলেন নির্বাচনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড। তৃণমূলস্তরে প্রচার পরিচালনার জন্য দেশজুড়ে ৯০০ জনেরও বেশি প্রবীণ নেতাকে মোতায়েন করা হয়েছিল মাস দুয়েক ধরে। স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতিটি ভোটারের  দুয়ারে। এসবের পাশাপাশি সংঘের প্রচ্ছন্ন সমর্থনের ফসলও কুড়িয়েছে বিজেপি।

    নির্বাচনী ফলের বার্তা

    বিহারের এই নির্বাচনী ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে বিহারে অবসান হয়েছে জাতপাতের রাজনীতির যুগ। যার জেরে আরজেডির গড় বলে খ্যাত রাঘোপুর আসনে জিততে নাকানিচোবানি খেতে হয় যাদবকুলোদ্ভূত তেজস্বীকে (Caste Politics)। এই যাদব বংশেরই তেজস্বীর দাদা তেজপ্রতাপও আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নিজে দল গড়েও ডুবেছেন স্বখাত সলিলে। এসবের একটাই অর্থ, জাতপাতের রাজনীতির পাঁকে আর না জড়িয়ে বিহারবাসী বেছে নিয়েছেন সুশাসন এবং উন্নয়নের রাজনীতি (Good Governance)।

    এই রাজনীতির জেরেই বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায়ও ফুটবে উন্নয়নের পদ্মফুল (Caste Politics)।

  • Narendra Modi: “গঙ্গা বিহার হয়েই বাংলায় যায়”, বিহার জয়ের পর বঙ্গবাসীকে আশ্বাস মোদির

    Narendra Modi: “গঙ্গা বিহার হয়েই বাংলায় যায়”, বিহার জয়ের পর বঙ্গবাসীকে আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা বিহার হয়েই বাংলায় যায়। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একছত্র আধিপত্যের পর এবার পশ্চিম বাংলা জয়ের পালা। শুক্রবার বিহারের জয় নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণেও উঠে এল পশ্চিমবাংলার কথা। বললেন, “আমি বলতে চাই, গঙ্গা কিন্তু বিহার থেকেই বাংলায় যায়। বিহার বাংলা জয়ের রাস্তা বানিয়ে দিয়েছে।” এখানেই না থেমে মোদি বলেন, “বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছি, আপনাদের সঙ্গে নিয়েই রাজ্য থেকে জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলব।” বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই এবার শুরু হয়ে গেল বাংলার ভোটের কাউন্টডাউন।

    বিহার জয়ে বার্তা মোদির

    বিহারে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। রাত পর্যন্ত প্রায় ৯০টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি, জেডিইউ ৮৪-র বেশি আসনে এগিয়ে। এনডিএ-র সরকার গঠন নিশ্চিত হওয়ার পরই বাংলায় নজর দেওয়ার ইঙ্গিত মোদির। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত হয়ে বিহারের মানুষকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিহারে আর কখনও জঙ্গলরাজ ফিরবে না। এই জয় বিহারের সেই মা-বোনদের জয়, যারা দিনের পর দিন জঙ্গলরাজ সহ্য করেছে। বিহার দেখাল মিথ্যার হার হয়, মানুষের বিশ্বাসের জয় হয়।” বক্তব্যের শেষে বিজেপির কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি বলেন, “কর্মীরাই দলের এই সাফল্যের কারণ।”

    বাংলা জয়ের হুঙ্কার

    আগামী বছরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটকে সামনে রেখে এবার হুঙ্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের এই ফলাফলে কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরী, অসম, পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ দেবে বলে জানান মোদি। এরপর পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “বাংলার ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করছি। আপনাদের সঙ্গে মিলে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও জঙ্গলরাজ সরিয়ে দেবে।” বিহার জয়ের পর এ বার তাঁর এবং তাঁর দলের লক্ষ্য যে বাংলা, তা বুঝিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, বাংলা জয়ের পথ প্রশস্ত করে দিল বিহার। এ-ও বললেন, ‘‘বিহার হয়েই গঙ্গা যায় বাংলায়!’’

    মোদির নিশানায় কংগ্রেস

    বিহারে বিরাট জয় পেয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরছে নীতীশ কুমার এবং বিজেপির জোট। নির্বাচনে ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০০-র বেশি আসনে জিততে চলেছে তারা। ধরাশায়ী হয়েছে লালু যাদব-তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট। ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিজয়োৎসবের কর্মসূচিতে ভাষণ দেন মোদি। বিহারে জয়ের পর মোদির নিশানায় যতটা না আরজেডি ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল কংগ্রেস। মোদির মন্তব্য, ‘‘জঙ্গলরাজ নিয়ে কিছু বললে আরজেডি-র চেয়ে কংগ্রেসের বেশি গায়ে লাগত।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এক সময়ে বিহারে ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে হিংসা হত। আগে বহু জায়গায় পুনর্নির্বাচন হত। আগে বিহারে মাওবাদীরাজও ছিল। নকশাল এলাকায় ৩টের পর আর ভোট করা যেত না। কিন্তু জঙ্গলরাজ সরতেই বিহার স্বাভাবিক হয়েছে। এবার বিহারের ভোটে কোনও হিংসা হয়নি।’’

    কংগ্রেস আর কখনও ফিরবে না

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, “উত্তর প্রদেশে চার দশক, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দশকেও কংগ্রেস ফেরেনি। গত তিন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তিন অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর ৬ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছে। একটাতেও ১০০ পার করতে পারেনি কংগ্রেস। বিহারে বিজেপির যত প্রার্থী জিতেছে, গত ৬টা ভোটেও কংগ্রেসের অত প্রার্থী জেতেনি। কংগ্রেসের রাজনীতির আধার হল নেগেটিভ পলিটিক্স। কখনও বলছে চৌকিদার চোর। কখনও সংসদের সময় নষ্ট করছে। সব প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করছে। মানুষকে জাতির নিরিখে ভাগ করা। কংগ্রেসের কাছে দেশের জন্য কোনও ইতিবাচক ভিশন নেই। কংগ্রেস একটা বোঝা হয়ে গিয়েছে।”

    কংগ্রেস থেকে সাবধান

    মোদি আরও বলেন, “আজ কংগ্রেস মুসলিম লিগ মাওবাদী কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। এটা এমএমসি। এই কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা এর উপরেই চলে। আজ কংগ্রেসের অন্দরেও আলাদা ভাগ তৈরি হচ্ছে, যারা নেতিবাচক রাজনীতিতে বিরক্ত। আমার আশঙ্কা, আগামিদিনে কংগ্রেসের একটা বড় বিভাজন তৈরি হবে। আর কংগ্রেসের যারা সহযোগী দল, তারাও বুঝতে পারছে কংগ্রেস নিজেদের নেতিবাচক রাজনীতিতে সবাইকে একসঙ্গে ডোবাচ্ছে।” আরজেডি প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “কংগ্রেস পরজীবী দল। এরা সহযোগীদের ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে জিততে চায়। কংগ্রেসের থেকে সাবধান থাকুন। আজ বিহারে আরজেডির শিক্ষা হয়েছে। বিহারের ভোটের সময় বলেছিলাম, আরজেডি আর কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব শীঘ্রই সামনে আসবে।”

    বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    বিহার নির্বাচনের ফল (Bihar Assembly Election Result 2025) ঘোষণা হতেই বাংলার রাজনৈতিক ময়দানও উত্তপ্ত। গেরুয়া শিবিরে উৎসবের আবহ-মোদির কুশপুতুল, ব্যানার নিয়ে কর্মীদের উচ্ছ্বাসের মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছেন, “একসময় অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গ এক ছিল। অঙ্গ (বিহার) জয় হল, কলিঙ্গ (ওড়িশা) জয় হয়েছে। এবার বঙ্গ দখল হবেই।” তারপরে মোদির বক্তব্যে বাংলার কথা উঠে আসায় পদ্ম শিবিরের কর্মীরা বাড়তি উৎসাহ পেয়েছে।

  • PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন। এখন সব দলের কর্তব্য হল তাদের কর্মীদের সক্রিয় করে ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার কাজে লাগানো”। শুক্রবার বিহারে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএর বিপুল জয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এসআইআর চালু হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে অ-বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের শাসক দল। গেল গেল রব তুলে আমজনতাকে খেপিয়েও দিয়েছিল কোনও কোনও রাজ্যের শাসক দল। বিহারে নির্বাচন হয়েছিল দু’দফায়।

    এমওয়াই সূত্র (PM Modi)

    উচ্চ ভোটদানের হারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণ একটি নয়া সূত্র দিয়েছেন – এমওয়াই (MY), মহিলা এবং যুবা।” এই ফর্মুলা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারের কিছু দল তোষণের জন্য এমওয়াই ফর্মুলা তৈরি করেছিল। কিন্তু আজকের এই জয় একটি নতুন, ইতিবাচক এমওয়াই ফর্মুলা দিয়েছে, আর সেটি হল মহিলা এবং যুবা। আজ বিহার দেশের সেই সব রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে যুবকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, এবং এর মধ্যে রয়েছে সকল ধর্ম ও সকল জাতির যুবসমাজ। তাদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের আশা এবং তাদের স্বপ্ন জঙ্গলরাজের লোকদের পুরানো সাম্প্রদায়িক এমওয়াই ফর্মুলাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

    মহাগঠবন্ধন পর্যুদস্ত

    আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনকে পর্যুদস্ত করে বিজেপি ৯০টি আসনে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ প্রায় ৮৪টি আসন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জনগণ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বিহার নির্বাচনে জঙ্গলরাজ এবং কাটা সরকার সম্পর্কে কথা বলতাম, তখন আরজেডি কোনও আপত্তি তুলত না। তবে এতে কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়েছিল। আজ আমি আবারও বলতে চাই যে কাটা সরকার আর কখনও বিহারে ফিরে আসবে না। বিহারের মানুষ বিকশিত বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আগে নকশাল-প্রভাবিত এলাকায় ভোটগ্রহণ বিকেল (BJP) ৩টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এখন মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছেন। রেকর্ড পরিমাণে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখায় আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”

  • Bihar Polls: বিহারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি! মগধভূমে ফের সিংহাসনে বসতে চলেছেন নীতীশ

    Bihar Polls: বিহারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি! মগধভূমে ফের সিংহাসনে বসতে চলেছেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনা শুরু হতেই বিহারে (Bihar Polls) উঠল গেরুয়া ঝড়। প্রথম রাউন্ডেই আপাতত ১৩০ আসনে এগিয়ে এনডিএ, মহাগঠবন্ধন জোট এগিয়ে ৬৫ আসনে। একক দল হিসেবেও সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বিজেপি সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিহারের ৪৬টি গণনাকেন্দ্রে চলছে ভোটগণনা। ২৪৩ আসনে লড়াই করা মোট ২,৬১৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজই। দুই দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে এবার বিহারে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার হল ১২২। বিহারের ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে যাচ্ছে এনডিএ।

    কে কত আসনে এগিয়ে

    আজ, ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার, ভোট গণনা এবং দুপুরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে উঠবে কার দখলে পাটনার মসনদ। ইতিমধ্যে ভোট গণনা যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ জোট। আগের বার ১২৫ আসনের থেকেও এবার অনেক বেশি আসন পেয়ে বিহারের (Bihar Polls) মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। এনডিএ-র মধ্যে বিজেপি ৬৫টি ও জেডিইউ ৬৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যের ৩৮টি জেলায় মোট ৪৬টি ভোট গণনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১২২ জন রিটার্নিং অফিসার ও অবসার্ভারের তরফ থেকে এই প্রথমবার বিহারের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি ওঠেনি। আরজেডি থেকে বহিষ্কারের পর আলাদা দল করে নির্বাচনে লড়ছেন লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব। গণনার শুরুতে সামান্য পিছিয়ে পড়লেও, ফের এগিয়ে গিয়েছেন তেজ প্রতাপ। রঘুপুর থেকে লড়ছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ভোট গণনার শুরুতে আপাতত এগিয়ে রয়েছেন তেজস্বী। মহাগঠবন্ধনে আরজেডি ৫৭টি আসনে এগিয়ে থাকলেও কংগ্রেস মাত্র ৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

    কীভাবে চলছে গণনা

    বিহারের (Bihar Polls) ভোট গণনা সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে এবং ৯টা থেকে ইভিএম গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গণনার সময়, প্রতিটি গণনা হলে ১৪+১ টেবিলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১৪টি টেবিলে ইভিএমের গণনা চলছে, আর একটি টেবিল সহকারী নির্বাচনী অফিসার পরিচালনা করছেন। প্রতিটি টেবিলে একজন কাউন্টিং সুপারভাইজার, একজন কাউন্টিং সহকারী এবং একজন মাইক্রো ওভসারভার রয়েছেন। ভোট গণনার ফলাফলের অফিসিয়াল তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিহারে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৫.০৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৮.৭৬ শতাংশ। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৯.৬২ শতাংশ বেশি। অতীতে কখনই এই হারে বিহারের মানুষ ভোট দেননি। এর আগে বিহারে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল ২০০০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, ৬২.৫৭ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪.৬০ শতাংশ ভোটার। ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। প্রায় ৭১.৬ শতাংশ।

  • Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) জঙ্গি হামলাই। বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এমনই (Centre) জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ জানিয়ে দিলেন, সোমবার দিল্লিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা আসলে ছিল ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলাই।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Delhi Blast)

    বুধবার দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুটে যান দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে তিনি দেখা করেন দিল্লি বিস্ফোরণে জখমদের সঙ্গে। এই হাসপাতালে এখনও অন্তত ২০ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এই হামলার নেপথ্যে জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।” হাসপাতাল থেকে ফিরেই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    বৈঠকে নীরবতা পালন

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকের শুরুতেই দু’মিনিট ধরে নীরবতা পালন করা হয়। দিল্লির বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এদিন পালন করা হয় নীরবতা। এরপর কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করা হয় এই হামলার। ঘটনাটিকে দেশ বিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত আক্রমণ বলেও উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেও উল্লেখ করা হয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা। যাঁরা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসাও করা হয়। ওই হামলার পরে পরেই ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠায় বিভিন্ন দেশ। সেজন্য ওই দেশগুলিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় কেন্দ্রের তরফে। অভিযুক্তদের ধরে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    সোমবার বিকেলে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় পার্কিংয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি। কাচ ভেঙে যায় অকুস্থলের আশপাশের বাড়ি এবং দোকানেরও। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিদেশ সফরে, ভুটানে। সেখান থেকে ফিরেই প্রথমে যান হাসপাতালে, তার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই (Delhi Blast) বৈঠক শেষে সোমবারের ওই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে উল্লেখ করল সরকার। দিল্লির ঘটনার নেপথ্যে যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে তাকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই দেগে দেওয়া হল (Centre)।

    বিস্ফোরণের আগে রেকি!

    এদিকে, ঘটনার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই এগিয়েছে তদন্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। তাদের জেরা করে অনেক নতুন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। বুধবারই হরিয়ানার একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত উমর নবির লাল রংয়ের চারচাকার একটি গাড়ি। এই উমরই বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া সাদা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির চালকের আসনে ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণের আগে আগে এই গাড়িটি কোথায় কোথায় ঘুরেছিল, সেদিকেও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, গাড়িটি এর আগে ঘুরেছিল দিল্লির দুই ব্যস্ততম এলাকা কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহার। দিল্লির এই দুই এলাকায় আসার আগে গাড়িটি হরিয়ানাতেই ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে পার্ক করা ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি। এর ঠিক পাশেই রাখা ছিল ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদের গাড়িও। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক মুজাম্মিল হলেও, রেজিস্ট্রেশন ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদের নামে। প্রশ্ন হল, তাহলে কি বিস্ফোরণের আগে রেকি করতেই রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছে (Delhi Blast) গাড়িটি? লালকেল্লা ছাড়াও রাজধানীর অন্য কোথাও কি আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা? যদিও দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে আত্মঘাতী হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি।

    উধাও হয়ে গিয়েছিল মহিলা চিকিৎসক

    লালকেল্লার বাইরে বিস্ফোরণের ঠিক আগে লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিন সিদ্দিকি নামে এক মহিলা চিকিৎসককে। তার গাড়িতেও মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Centre)। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহিন ও তার সঙ্গী মুজাম্মিলের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের। কানপুরের জেএসভিএম মেডিক্যাল কলেজে পড়াত শাহিন। ২০১৩ সালে আচমকাই উধাও হয়ে যায়। ২০২১ সালে তাকে বরখাস্ত করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দাদের ধারণা, সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় গায়েব হয়ে গিয়েছিল শাহিন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা শাখা জামাত-উল-মোমিনীনের ভারতের প্রধান করা হয় তাকে। সে কাজ করত মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের সঙ্গে শলা করে। লখনউয়ের যে বাড়িতে শাহিন থাকত, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই পারভেজ আনসারিকেও (Delhi Blast)। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজিদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে ফরিদাবাদের এই হাসপাতালের (Centre)। যদিও বুধবার ওই মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া নয়। ধৃত কিংবা আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই।

  • PM Modi: দেশ ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: দেশ ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ! দুদিনের ভুটান সফর শেষ করে বুধবার দেশে ফিরেই লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে (Delhi Blast) আহতদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এ দিন দুপুরে তিনি দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি একে একে আহতদের সঙ্গে দেখা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কারও পাশে থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন। কারও মাথায় হাত দিয়ে দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। কারও সঙ্গে বন্ধুর মতো কথা বলে আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে

    আজ, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে এই বিস্ফোরণের পিছনে যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মোদি মঙ্গলবারই ভুটানের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দোষীদের সাবধান করে দেন। বলেন, যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে। এর নেপথ্যে চক্রান্তকারী যারা রয়েছে তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সরকার

    প্রধানমন্ত্রী আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। এই ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করবে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিল্লির ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। পীড়িতদের কথা আমি বুঝতে পারছি। স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, সমস্ত দোষীদের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানো হবে।” আগেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট নির্দেশ দেন— এই হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে। দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। দোষীরা কেউই ছাড় পাবে না। এজেন্সিগুলি কঠোরতম পদক্ষেপ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)জানান, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা আছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোরতম শাস্তিই তাদের প্রাপ্য।

LinkedIn
Share