Tag: PM Modi

PM Modi

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। পাত্তা দেয়নি ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) আরোপের হুঁশিয়ারিকে। তার পরেও দিব্যি রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। নয়াদিল্লির এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের ওপর ফের একপ্রস্ত উল্লেখযোগ্য শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দিলেন ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্প। ‘বন্ধু’র প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

    ট্রাম্পের গলায় ভিন্ন সুর (Donald Trump)

    ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এখনও চূড়ান্ত হয়নি বাণিজ্যচুক্তি। চলছে দর কষাকষি। এমতাবস্থায় ভারতকে ‘বন্ধু দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে ব্যবসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। মঙ্গলবার ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। এদিন তিনি জানান, ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করে। কিন্তু আমরা ওদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি না।” এর পরেই মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ওপর আরও শুল্ক চাপাতে চলেছি।” তবে ভারতীয় পণ্যের ওপর কত পরিমাণ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা, এদিন তা স্পষ্ট করেননি ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র ‘নায়ক’ (US Tariffs)।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্ট

    ট্রুথ সোশ্যালে ফের একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারত যে শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশিরভাগটাই (Donald Trump) খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া যে ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াব।” গত বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার জন্য ভারতকে ‘জরিমানা’ও দিতে হবে বলে (US Tariffs) জানিয়েছিলেন মোদির ‘বন্ধু’।

  • Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) পদে থেকে রেকর্ড গড়লেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপিরই লালকৃষ্ণ আডবাণী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ২ হাজার ২৫৬ দিন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছেন শাহ। এ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ২ হাজার ২৫৮ দিন। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ১ হাজার ২১৮ দিন।

    রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক (Amit Shah)

    শাহের এই কৃতিত্ব ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাহসী এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে শাহের এই অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আডবাণীর প্রকৃত উত্তরসূরি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন অমিত শাহ। তার আগে ওই কেন্দ্রে ছ’বার জিতেছিলেন বিজেপিরই এলকে আডবাণী। শাহ জেতার পর একে দেখা হয়েছিল একটি আদর্শগত দায়িত্বের প্রজন্মগত হস্তান্তর হিসেবে। বস্তুত, আজ সেই রূপান্তরটি প্রতীকে ও বাস্তবে সম্পূর্ণ হয়েছে। অমিত শাহ শুধু আডবাণীর দৃষ্টিভঙ্গির উত্তরাধিকারই নেননি, বরং তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন নিখুঁতভাবে। তিনি এমন এক কাজ করেছেন, যা বহুদিন ধরে বিজেপির ইডিওলজিক্যাল পূর্বসূরি – জনসংঘ, আএসএস এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতো মহাপুরুষরা দাবি করে আসছিলেন।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এটি ছিল সেই ভাষণ, যা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ভাষণ হিসেবে উল্লিখিত হয়ে থাকবে। তিনি সংবিধানের ৩৭০(৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এক আদেশ হাতে নিয়ে, “সংবিধান (জম্মু ও কাশ্মীরে প্রয়োগ) আদেশ, ২০১৯” উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমেই ১৯৫৪ সালের সেই আদেশ বাতিল করা হয়, যা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিত। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীর রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে ছিল। রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা হাতে তুলে নিয়েছিল সংসদ। রাজ্যসভায় প্রস্তাবটি ১২৫ ভোটে গৃহীত হয়। পরে লোকসভায় প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ৩৭০টি ভোট, বিপক্ষে মাত্রই ৭০টি। প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এরপর শাহের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুযায়ী রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় —  জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভা-সহ) এবং লাদাখ (Amit Shah)।

    বদলেছে ভূস্বর্গ

    ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর (Home Minister) থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস-সংক্রান্ত মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের হতাহতের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সন্ত্রাসের প্রতি শাহের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দৃঢ় সীমান্ত পারাপার অভিযানে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে এবং নজিরবিহীন পর্যটকের আগমনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

    মাও দমনে শাহের অবদান

    দেশে মাওবাদী দমনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ২২৫ জনের। অমিত শাহের নেতৃত্বে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬০০-র নীচে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় এবং শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে ‘লাল করিডর’ এখন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি জেলার মধ্যে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী, মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। শাহি জমানায়ই যেমন নিকেশ করা গিয়েছে বেশ কিছু মাওবাদী চাঁইকে, তেমনই অস্ত্র ছেড়ে (Home Minister) সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন (Amit Shah) বহু মাওবাদী।

    তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ

    শাহি জমানায় ২০২৩ সালে আরও তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ হয় সংসদে। দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিক যুগের কলঙ্ক মুছতে পুরানো আইনগুলি বাতিল করে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি নয়া কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। যুগান্তকারী এই তিন আইন হল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর পরিবর্তে চালু হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এটি চালু হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির বদলে। ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের (Amit Shah)।

    পাশ সিএএ আইন

    অমিত শাহের জমানায়ই পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০১৯। এই আইন ভারতের রাজনৈতিক (Home Minister) ইতিহাসে অন্যতম সাহসী এবং সামাজিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ও বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হয়, যদিও মুসলমানদের এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে দাঁড়িয়ে শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের সভ্যতাগত কর্তব্য।” সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এছাড়া, তাঁর জমানায় তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা মুসলিম মহিলদের প্রতি হওয়া অন্যায় বন্ধ হয়।

  • JK Statehood Bill: মঙ্গলেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর?

    JK Statehood Bill: মঙ্গলেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর (JK Statehood Bill)! অন্তত এমনই জল্পনায় ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। জল্পনার কারণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সাক্ষাৎ। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে বেরনোর পরপরই সেখানে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনিও। তার আগে শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু নেতা এবং বিজেপি প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার এনডিএর সাংসদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডেকেছেন।

    জম্মু-কাশ্মীর পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা! (JK Statehood Bill)

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৩৭০ ধারা। রাত পোহালেই ৫ অগাস্ট, ওই ঘটনার বর্ষপূর্তি। তার আগে কেন্দ্রের এই তৎপরতার জেরে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার জল্পনা। জানা গিয়েছে, ৩ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অথচ, এই ধরনের বৈঠকের পর বিবৃতি প্রকাশ করে প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন তিনি। চলতি মাসের প্রথম দু’দিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান সৎ শর্মা এবং লাদাখের উপরাজ্যপাল কভিন্দর গুপ্তার সঙ্গে। সোমবার অল জম্মু-কাশ্মীর শিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান রেজা আনসারিও সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্র-শাসিত ভূস্বর্গের বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে শাহকে অবহিত করেন আনসারি (JK Statehood Bill)।

    কী বললেন প্রাক্তন সেনাকর্তা

    প্রাক্তন সেনাকর্তা তথা লেখক কানওয়াল জিৎ সিং ধিলোঁ বলেন, “৫ অগাস্ট কী ঘোষণা হতে পারে, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে যে শান্তি ফিরে এসেছে, তা অনেক মূল্যবান মানবজীবনের বিনিময়ে এসেছে। আমাদের কোনও হঠকারী সিদ্ধান্তে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নয়। এখন শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংহতিমূলক পর্যায় চলছে, তা স্থিতিশীল হতে দিন – আমরা যেন অস্থির হয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু না করি।” ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরতি টিক্কু সিং-ও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে পারে এমন গুঞ্জন জোরালোভাবে ছড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, গুজব চলছে যে কাশ্মীর ও জম্মুকে পৃথক করে দুটি আলাদা রাজ্যে পরিণত করা হতে পারে (PM Modi)। যদি এর যে কোনও একটি সত্যি হয়, তাহলে তার চেয়ে বড় বিপর্যয় আর কিছু হতে পারে না (JK Statehood Bill)।”

  • Shibu Soren: প্রয়াত শিবু সোরেন, গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির

    Shibu Soren: প্রয়াত শিবু সোরেন, গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেন (Shibu Soren)। ‘দিশম গুরুজি’র মৃত্যুতে অবসান হল ঝাড়ণ্ডের রাজনীতির এক অধ্যায়ের।

    অসুস্থ শিবু সোরেন (Shibu Soren)

    দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। মাসখানেক ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। সোমবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে রয়েছেন শিবুর ছেলে হেমন্ত সোরেন। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় ‘দিশম গুরুজি’ আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি রিক্ত হয়ে গেলাম।” আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিবু জন্মেছিলেন বিহারের রামগড় জেলায়। ১৯৭২ সালে তিনি তৈরি করেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। পৃথক রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার হয় এই দল। শেষমেশ ২০০০ সালে রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড। এর যাবতীয় ক্রেডিট ঝাড়খণ্ডবাসী দেন শিবুকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁরাই তাঁকে ভালোবেসে ডাকতেন ‘দিশম গুরুজি’ বলে। কেবল রাজনৈতিক নেতা নয়, জনজাতি স্বত্বাধিকারের অন্যতম পুরোধাও ছিলেন শিবু।

    প্রধানমন্ত্রীর শোক

    ১৯৮০ সালে দুমকা আসনে জিতে প্রথমবার লোকসভায় পা রাখেন শিবু। তারপর আরও সাতবার তিনি হয়েছিলেন লোকসভার সদস্য। রাজ্যসভার সদস্যও হয়েছিলেন দু’বার (Shibu Soren)। ২০০৫ সালে প্রথম ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন। যদিও আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে পদ খোয়াতে হয় মাত্র ৯ দিনেই। পরে ফের হন মুখ্যমন্ত্রী। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দুমকা কেন্দ্রে হেরে যান বিজেপি প্রার্থী নলীন সোরেনের কাছে। শিবুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “শ্রী শিবু সোরেনজি ছিলেন একজন প্রকৃত তৃণমূল স্তরের নেতা, যিনি মানুষের প্রতি অকুণ্ঠ নিষ্ঠা নিয়ে জনজীবনের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়েছেন। তিনি জনজাতি সম্প্রদায়, দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এমন নেতার প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেনজির সঙ্গে কথা হল, তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছি। ওম শান্তি।”

    শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, শ্রী শিবু সোরেনজির (Shibu Soren) মৃত্যু সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি উপজাতিদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন এবং তৈরি করেছিলেন ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) রাজ্য।”

  • PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি। স্থানীয়দের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে আমাদের।” শুক্রবার বারাণসীর সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে চলেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে ভারতকে একাধিকবার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা (PM Modi)

    তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া এবং ভারতের ব্যাপারে ভাবতেই চান না তিনি। মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যেতে পারে দুই দেশই। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এল ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সরকার দেশের সব চেয়ে ভালো করার স্বার্থে যা কিছু প্রয়োজনীয়, সব করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “তামাম বিশ্বে অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। সব দেশ তাদের নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যারা দেশের জন্য সব থেকে ভালোটা চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখতে চান, তা সে যে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, তাদের উচিত মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে স্বদেশি পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি (PM Modi)। স্থানীয়দের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে (Donald Trump)।”

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে কী বলা যেতে পারে? দেশবাসীর কাছে পরামর্শ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে কী বলা যেতে পারে? দেশবাসীর কাছে পরামর্শ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day speech 2025) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে ধরা দেবে সাধারণ ভারতবাসীর চিন্তাধারা। মোদির মুখে ফুটে উঠবে আম-জনতার কথা। ১৫ অগাস্ট  ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানালেন, তাঁরা যেন স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের জন্য তাঁদের মতামত, চিন্তা ও পরামর্শ জানান। তাঁদের মতামত ও চিন্তাই ১৫ অগাস্ট ভোরে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

    সাধারণের প্রতি আর্জি

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুক্রবার লেখেন— “স্বাধীনতা দিবস যত এগিয়ে আসছে, আমি আমার প্রিয় ভারতবাসীর মতামত শুনতে আগ্রহী! এবারের ভাষণে কী কী থিম বা ভাবনা উঠে আসা উচিত বলে মনে করেন? মাই গভ (MyGov)-এ অথবা নমো অ্যাপে (NaMo App) ওপেন ফোরামে শেয়ার করুন আপনার মূল্যবান মতামত…” । প্রতি বছরই এই বার্তা দিয়ে থাকেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী ভাষণের আগে সাধারণ মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাঁর কথায়, এটাই গণতন্ত্রের প্রাণ— অংশীদারিত্ব। ২০১৪ সালে চালু হওয়া মাই গভ (MyGov) প্ল্যাটফর্ম এবং নমো অ্যাপে (NaMo App)-এর মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ পান। এই মাধ্যমগুলোতে সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, নতুন চিন্তা এবং প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

    স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশ গঠনের বার্তা

    প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day speech 2025) ভাষণে বরাবরই উঠে আসে দেশের নানান প্রান্তের সাফল্যগাথা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যুব সমাজের কীর্তি এবং নীতিগত পরামর্শ। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী এমন ভাষণের দিকেই এগোচ্ছেন, যা ভবিষ্যতের ভারত গঠনের স্বপ্নকে সামনে রেখে প্রযুক্তি, ঐক্য এবং অগ্রগতির বার্তা বহন করবে। সেই ভাষণের জন্যই দেশের সাধারণ মানুষকে নিজের নিজের চিন্তাধারা ও পছন্দের বিষয় জানানোর আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই টুইটের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন, উন্নয়ন, প্রযুক্তি, যুবসমাজ, কৃষি, পরিবেশ, আত্মনির্ভর ভারত এরকম যেকোনও একটি বিষয় নিয়ে মতামত জানাতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।হ

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

  • PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারত যে কোনওরকম ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করবে না, সংসদে (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে তা ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বিকেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি, বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি সংঘর্ষবিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকেও নস্যাৎ করেলেন। এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই সময়েও রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে। কিন্তু সেই পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পাকিস্তান যদি মনে করে যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে অথবা সেই অস্ত্রভান্ডারের কারণে ভারত মেপে পা ফেলবে, তাহলে খুব বড় ভুল করছে ইসলামাবাদ। একথা মঙ্গলবার সংসদে ফের স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ‘‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা বুঝেছিল, বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে। পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। ২২ মে ২২ এপ্রিলের বদলা নেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে যাইনি, সেখানেও গেছি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিদের আড্ডা ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ ভাবতেও পারবে না, কোথায় গেছি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে। আমরা প্রমাণ করেছি যে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা চলবে না। তার সামনে ভারত মাথানত করবে না। পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।’’

    মেড-ইন-ইন্ডিয়া অস্ত্রেই ঘায়েল

    অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

    বিরোধীদের বার্তা

    এদিন লোকসভায় (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি। ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে। বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে।’’

    ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেননি

    ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে বলে পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমনই উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে আমরাও বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।’’

     

     

     

  • Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করতে চলেছে ‘প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ (Modi Government)। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক এ বিষয়ে খবর নিশ্চিত করেছে এবং তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল—দেশে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটানো, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং যেসব খাত বা সেক্টর নতুনভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম, তাদের বিশেষভাবে সহায়তা করা।

    ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি (Modi Government)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পটিকে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের সুবিধা ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সেগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

    প্রকল্পের দুই ভাগ সম্পর্কে জানুন (Modi Government)

    পার্ট A: এই অংশটি তাঁদের জন্য, যাঁরা প্রথমবারের মতো কোনও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। যাঁরা ইপিএফ (EPF) স্কিমে নতুনভাবে নাম নিবন্ধন করবেন, তাঁরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইপিএফ সুবিধা পাবেন। এই সুবিধাটি দুই কিস্তিতে প্রদান করা হবে—প্রথম কিস্তি ছয় মাস চাকরি করার পর, এবং দ্বিতীয় কিস্তি বারো মাস পূর্ণ হলে। তবে এই সুবিধা পেতে হলে কর্মীর মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকতে হবে।

    পার্ট B: এই অংশটি নিয়োগদাতাদের জন্য। প্রতি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের বিপরীতে সরকার নিয়োগকারীদেরকে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা (ইনসেন্টিভ) দেবে, যা টানা দুই বছর পর্যন্ত প্রদান করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন খাতে কর্মী নিয়োগ করবে, তাদের জন্য এই প্রণোদনার পরিমাণ তৃতীয় ও চতুর্থ বছরেও বাড়ানো হবে (Modi Government)।

  • PM Modi: ঝুলিতে ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান! জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের তালিকার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: ঝুলিতে ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান! জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের তালিকার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় সবার আগে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আবারও মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারে শীর্ষস্থান দখল করেছেন মোদি। ৭৫% অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়েছেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর থেকে অনেক পিছিয়ে। মাত্র ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়েছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লাভের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তিনিই ভারতের ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশি রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভ করেছেন।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে অনেক এগিয়ে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র ভারতের নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির সবচেয়ে বড় মুখ। যেখানে একের পর এক দেশ তাদের নেতৃত্বে আস্থা হারাচ্ছে, সেখানে মোদি এখন ভারতবাসীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত নেতা। তাঁর উন্নয়নমূলক কাজ, আন্তর্জাতিক কূটনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপ তাঁকে এনে দিয়েছে এই অসাধারণ জনপ্রিয়তা। মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

    কীভাবে পেলেন স্বীকৃতি

    চলতি বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। যেসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের ৭ দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। মর্নিং কনসাল্ট (Morning Consult) একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্ট কোম্পানি। এই সংস্থার সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন, গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এইভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত ভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি। মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং বা অনুমোদন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই।

    মোদির অনন্য নজির

    ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি মোট ২৮টি আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা (Top Civilian Awards) পেয়েছেন, যা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিশ্বব্যাপী প্রভাব স্বীকার করারই প্রতিফলন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও মনমোহন সিং—এই তিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকে মাত্র দুটি করে আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছিলেন। সেই তুলনায় মোদির আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এমন কোনও প্রধানমন্ত্রী আসেননি যাঁর এত ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রভাব পড়েছে। এই সম্মান শুধুমাত্র মোদির নয়, এটি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কূটনৈতিক স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাসী বিদেশনীতির প্রকাশ। আজকের ভারত বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে—আমাদের নীতিতে আমরা আপস করবো না। বিশ্ব সেটিকে সম্মান করছে, স্বীকারও করছে।”

    আন্তর্জাতিক সম্মানের তালিকা

    ২০১৬- সৌদি আরব মোদিকে তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান ‘কিং আবদুল-আজিজ শাহ’ সম্মানে ভূষিত করে। ওই বছরই আফগানিস্তানও মোদিকে ‘আমির আমানুল্লাহ খান পুরস্কার’-এ ভূষিত করে যা সেই দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান।

    ২০১৮ – প্যালেস্তাইনে গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য স্টেট অফ প্যালেস্তাইন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন মোদি।

    ২০১৯ – মলদ্বীপ সরকারও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘রুল অফ নিসান ইজাউদ্দিন’ সম্মানে ভূষিত করেছে। ওই বছরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে মোদি সেই দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ জায়েদ’-এ ভূষিত হন। বাহরিন সরকার মোদিকে ‘কিং হামাদ অর্ডার অফ দ্য রেনেসাঁ’ ও তাঁকে এই সম্মান জানিয়েছে।

    ২০২০ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই বছর মোদি পান ‘লিজিয়ন অফ মেরিট’ সম্মান।

    ২০২৩ – পাপুয়া নিউ গিনির সরকারের তরফেও তিনি পেয়েছেন গ্র্যান্ড কমপ্যানিয়ন অফ দ্য অর্ডার অফ লোগোহু সম্মান। এই সম্মাননা থেকে বাদ পড়েনি ইজিপ্টও। ২০২৩ সালে এই দেশ মোদিকে জানায় অর্ডার অফ দ্য নাইল সম্মান। এই বছর ফ্রান্সের তরফে মোদি পান ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনার’ সম্মান এবং গ্রিসের থেকে পান ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ অনার’ সম্মান।

    ২০২৪ – ভুটান সরকার নরেন্দ্র মোদিকে ভূষিত করে ‘অর্ডার অফ দ্য দ্রুক গ্যালপো’ সম্মানে। এই বছর আরও সম্মান পেয়েছেন মোদি। রাশিয়া জানিয়েছে ‘অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোসেল’ সম্মান, নাইজেরিয়া জানিয়েছে ‘গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য নাইজার’ সম্মান, ডোমিনিকা প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে ‘ডোমিনিকা অ্যাওয়ার্ড অফ অনার’ এবং গুয়ানা সরকারের থেকে মোদি পেয়েছেন ‘অর্ডার অফ এক্সিলেন্স’ সম্মান। সবশেষে বার্বাডোজে গিয়ে মোদি পান ‘অনারারি অর্ডার অফ দ্য ফ্রিডম অফ বার্বাডোজ’ সম্মান।

    ২০২৫ – এই বছর ঘানা বাদে আরও ৪ দেশ সম্মানিত করেছে মোদিকে। কুয়েতের ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য মুবারক আল কুবীর’ সম্মান, মরিশাসের ‘দ্য গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অ্যান্ড কি অফ দ্য ইন্ডিয়ান ওশেন’ সম্মান এবং শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে ‘দ্য মিত্র বিভূষণা’ সম্মান। ঘানার আগে সাইপ্রাসে গিয়েছিলেন মোদি। সেই দেশের সরকার তাঁকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ ম্যাকারিকস থ্রি’ সম্মানে ভূষিত করেছে। এছাড়াও ত্রিনিদাদ-টোবাগো, ব্রাজিল, নামিবিয়া মোদিকে তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেছেন।

    দেশবাসীকে উৎসর্গ

    প্রতিবারই নিজের সম্মান দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেই জানিয়েছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে এই সম্মান গ্রহণ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এই সম্মান-স্বীকৃতি ভারতের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি উৎসর্গ করেছেন মোদি।

LinkedIn
Share