Tag: PM Modi

PM Modi

  • Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ভারতীয় রেল (Bharat Bhutan Rail)। বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পর এবার ভুটানের সঙ্গে রেল সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অসমের কোকড়াঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ বসানোর যাবতীয় প্রকল্প রিপোর্ট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তুলে দিয়েছে ভারতীয় রেলবোর্ডের কাছে।

    প্রস্তাবিত প্রকল্প কাঠামো

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের কথা গুয়াহাটিতে ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গুয়াহাটিতে আয়োজিত বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো শীর্ষ সম্মেলন অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০-তে প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটির কথা ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী। প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটি অসমের কোকড়াঝাড় স্টেশনকে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে যুক্ত করবে। লাইন বসানোর জন্য আনুমানিক ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৩,৫০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে ৬টি নতুন স্টেশন নির্মাণ হবে। স্টেশনগুলি হল বালাজান, গারুভাসা, রুনিখাতা, শান্তিপুর, দাদাগিরি ও গেলেফু। সেইসঙ্গে পরিকাঠামো পরিকল্পনায় থাকছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু, ১টি রোড ওভার ব্রিজ ও ৩৯টি রোড আন্ডার ব্রিজ ও ১১ মিটার দৈর্ঘ্যের ০২টি ভায়াডাক্ট। ফাইনাল লোকেশন সমীক্ষা রিপোর্ট রেলবোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র দিকে এগোচ্ছে রেল

    প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু নতুন রেলওয়ে (Bharat Bhutan Rail) প্রকল্প গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’-র দিকে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই লাইনই অসম ও ভুটানকে যুক্ত করবে। দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য এই লাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ

    প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের ফাইনাল লোকেশন সার্ভে (এফএলএস) সফল ভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং পরবর্তী অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই রেললাইনটি উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারত-ভুটান সম্পর্ককে মজবুত করবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থাকেও উন্নত করবে, এবং এর মাধ্যমে ভুটানকে সর্বপ্রথম বার রেলওয়ে সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করা হবে, যা বাধাহীন পরিবহণে সহায়ক হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে, এই রেললাইন বড়োল্যান্ডের জন্য একটি বাণিজ্য ও ট্রানজিট হাব হিসাবে গড়ে উঠবে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসা ও জনসাধারণের সুবিধা হবে। সামগ্রিক ভাবে, এই অসম-ভুটান রেললাইন বড়োল্যান্ডের অর্থনীতিতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় রূপান্তর সাধন করবে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।

    প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’

    দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন ও বঞ্চিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নের গতি আনাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’। বাংলাদেশ ও মায়ানমার এই দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অ্য়াক্ট ইস্ট পলিসির কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ৷ কারণ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এই দুই দেশের মধ্যে দিয়ে যুক্ত করা যায়। যেহেতু এই দুই দেশে ঝামেলা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে ৷ তাই নয়াদিল্লির জন্য ভুটান, নেপাল, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন ৷ সেক্ষেত্রে এই প্রস্তাবিত রেলপথ ভারত-ভুটান সম্পর্ককেঅন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগ

    ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi Initiatives) ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে বৈঠকে এই রেললাইন নিয়ে আলোচনা হয়। এই রেললাইনের ৭০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভুটানের ভেতরে ৫৮ কিলোমিটার রেলপথ বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সারপাং-এর গেলেফু পর্যন্ত এই রেলপথ পাতা হবে। পরে, ২০২৪ সালে মার্চ মাসে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেসময় মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে এই রেলপথ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ তারপর দু’দেশের মধ্যে এই রেললাইন নিয়ে মৌ স্বাক্ষরও হয়েছিল।

    কোথা থেকে কোথায় রেলপথ

    ভুটানের (Bharat Bhutan Rail) সারপাং জেলার গেলেফুকে ভুটানের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হিসেবে ধরা হয় । এই রেলপথ তৈরি হলে ভুটানের আর্থ সামাজিক মান আরও উন্নত হবে ৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে । পর্যটন মানচিত্রে বিরাট জায়গা করে নেবে এই রেলপথ । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রেললাইন হিসেবে ভুটানের সামসি জেলা থেকে ভারতের সীমান্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে কোকরাঝাড় রেলপথ বানারহাট রেললাইনে মিশবে।

    ভারতের রেল নেটওয়ার্ক

    ভারতের রেল (Bharat Bhutan Rail) নেটওয়ার্ক হার মানিয়ে দেয় অনেক দেশকেই। শুধু দেশের অন্দরে নয়, আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কও রয়েছে ভারতের। বর্তমানে ভারতের বাইরে ট্রেনে চেপে আরও দুটি দেশে যাওয়া যায়- বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তবে এবার ভারতের গা ঘেঁষে থাকা ভুটানেও পৌঁছে যাওয়া যাবে ট্রেনে চেপেই। ভারত-ভুটান সরাসরি রেলপথ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ, তাতে আমজনতা, পর্যটকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও সহজ ও সম্প্রসারিত হবে। ভুটানের সঙ্গে আরও পোক্ত হবে ভারতের সম্পর্ক।

    প্রাথমিক পরিকল্পনা

    ভারতের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি সম্ভাব্য রুটের কথা ভাবা হয়েছিল। এগুলির মধ্য়ে অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত তিনটি রুটে ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা উঠে আসে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে একটি করে সম্ভাব্য রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। অন্যদিকে, অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলরুটগুলির মধ্য়ে অন্যতম ছিল কোকড়াঝাড়-গেলেফু। শেষ পর্যন্ত সেই রুটটিকেই বেছে নেয় রেল মন্ত্রক। এরপর, ভারত ও ভুটান – দুই দেশের সম্মতিক্রমে ২০২২ সাল থেকে এই রুটে সমীক্ষার কাজ শুরু করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। প্রায় দুই বছর ধরে ধাপে ধাপে সেই সমীক্ষার কাজ চলে। অবশেষে, ফাইনাল লোকেশন সার্ভের কাজ শেষ হয় গত নভেম্বর মাসে। এবার তৈরি হল প্রকল্প রিপোর্ট।

    ভারত-ভুটান এক ঘণ্টায়

    তথ্যাভিজ্ঞ মহলের হিসাব বলছে, সরাসরি রেলরুট চালু হলে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পৌঁছতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। তাছাড়া, এই রুটে দুই দেশের মধ্য়ে পণ্য পরিবহণও শুরু করা যাবে। তাতে পরিবহণ খরচ কমবে এবং সময় বাঁচবে। যার জেরে লাভবান হবে দুই পক্ষই।

    পর্যটনে জোয়ার

    ভুটান (Bharat Bhutan Rail) ভারতের ঠিক পাশেই অবস্থিত। ভারতীয়দের ছুটি কাটানোর অন্যতম ঠিকানা এই দেশ। হিমালয়ের কোলে থাকা সেই ভুটানে এবার যাওয়া যাবে ট্রেনে। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। অসমের কোকরাঝাড় জেলাকে ভুটানের গেলফু শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে রেল লাইন। একবার এই রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়ে গেলে, ভারত থেকে ভুটানে যাতায়াত করা মানুষের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে। এই রেল যোগাযোগ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতীয়দের ভুটান ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তবে রেলপথ নির্মাণের পরে, ভারতীয়দের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হয়ে উঠবে।

  • Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government) বড় সিদ্ধান্তে এবার কেদারনাথে (Kedarnath) যাওয়া আরও সহজ হল। মন্দির দর্শনের জন্য পাহাড়ি রাস্তায় আর ট্রেক করতে হবে না ভক্তদের। রোপওয়েতে চড়েই পৌঁছানো যাবে যাবেন কেদারনাথে। জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে এবার উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ের অনুমোদন দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে পথের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। এই রোপওয়ে তৈরি করতে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রাপথ মাত্র ৩৬ মিনিটেই পার করা সম্ভব হবে। আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে কেদারনাথ (Kedarnath)।

    প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন (Kedarnath)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের রোপওয়েটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে তৈরি ও চালানো হবে। অনুমান করা হচ্ছে রোপওয়েতে প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিশেষ করে প্রবীণ ভক্তদের জন্য এই রোপওয়ে খুব সুবিধাজনক হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১,৯৬৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। আপাতত সোনপ্রয়াগ থেকে ২১ কিমি পথ পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে হয় ভক্তদের। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত রয়েছে ৫ কিমি রাস্তা। অন্যদিকে, গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিমি ট্রেক করতে হয়। রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে এই পথ পাড়ি দেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।

    উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে

    শুধু কেদারনাথই নয়, একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে প্রকল্পের উন্নয়নেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্প চালু করতে মোট খরচ হবে ২,৭৩০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এটি হেমকুণ্ড সাহিবে আগত ভক্তদের এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে আগত পর্যটকদের পৌঁছতে সুবিধা করে দেবে।

  • PM Modi: নিজে হাতে খাওয়ালেন সিংহ শাবকদের, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: নিজে হাতে খাওয়ালেন সিংহ শাবকদের, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে গড়ে ওঠা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের জামনগরে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ‘বনতারা’ উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জিও প্ল্যাটফর্মের ডিরেক্টর অন বোর্ড অনন্ত আম্বানিকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো বনতারা ঘুরে দেখেন। শীল মাছ থেকে গোল্ডেন টাইগার, স্নো লেপার্ড এবং সার্কাস থেকে উদ্ধার করা চারটি স্নো টাইগারের সঙ্গে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি শিম্পাঞ্জি, ওরাং ওটানের সঙ্গে সময় কাটান মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে একটি এশিয়াটিক সিংহ শাবক, একটি শ্বেতসিংহ শাবক, একটি ক্লাউডেড লেপার্ড শাবক এবং একটি কারাকাল শাবককে নিজে হাতে খাওয়ান। এক পর একটি জিরাফ ও একটি একশৃঙ্গ গন্ডারের শাবককেও খাওয়ান।

    বনতারায় দেড় লক্ষের বেশি প্রাণী রয়েছে (PM Modi)

    গুজরাটের জামনগরে রিফাইনারি কমপ্লেক্সের রিলায়েন্স গ্রিন বেল্টে ৩,০০০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই বনতারা বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। প্রায় দেড় লক্ষের বেশি উদ্ধার হওয়া, বিপন্ন বন্যপ্রাণীর বাস এই বনতারা-য়। ২ হাজারের বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে এখানে। বন্যপ্রাণীদের যত্নে প্রতিনিয়ত অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে, হাতির জন্য একটি খোলা অভয়ারণ্য থেকে শুরু করে পাঁচটি চিতা শাবকের জন্মও হয়েছে এখানে। ভারত এবং বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার করা আহত এবং বিপন্ন পশু-পাখিদের চিকিৎসা, যত্ন এবং পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালন করা হয় বনতারায়। এই কেন্দ্রে একটি উন্নতমানের পশু হাসপাতাল রয়েছে। এই কেন্দ্রে এমন প্রাণী রয়েছে, যা বিশ্বে খুবই বিরল। যেমন দুমুখো সাপ, দুমুখো কচ্ছপ, টেপির, শিল মাছ, বিশাল ভোঁদড় এবং বঙ্গো হরিণ।

    বিদেশ থেকে আসছে আরও চিতা, রাখা হবে মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যে ও গুজরাটের বান্নি তৃণভূমিতে

    মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের পর এ বার ভারতে নতুন দু’টি ঘর পেতে চলেছে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা চিতা (Cheetah)। মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) রাজ্য গুজরাটের বান্নি তৃণভূমিতেও রাখা হবে তাদের। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের শাসনগিরে জাতীয় বন্যপ্রাণ পর্ষদ (এনবিডব্লিউএল)-এর বৈঠকে। সেখানেই হয় এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, এশীয় সিংহের এক মাত্র প্রাকৃতিক আবাসস্থল গির জাতীয় উদ্যান লাগোয়া শাসনগিরে। এনবিডব্লিউএলের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তবে আফ্রিকা থেকে কতগুলি চিতা এনে ওই দুই সংরক্ষিত এলাকায় ছাড়া হবে, সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই বৈঠকে গুজরাটে সিংহ সংরক্ষণের জন্য ৩০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে ভারত। রফতানির দিক থেকেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে নিজের জায়গা অনেকটাই মজবুত করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, অ্যাপল ফোনে ব্যবহৃত একাধিক সরঞ্জামের রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজের জায়গা মজবুত করেছে ভারত। বিশ্বের বাজারে ভালো ব্যবসা শুরু করেছে ভারতে নির্মিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম। এই সমস্ত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরবরাহ করছে চিন এবং ভিয়েতনামে। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে ভারতে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম (Global Electronics Supply Chain)। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির মানচিত্রে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে ভারত। অনেকে মনে করছেন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের এমন সরবরাহ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক যা আগে কখনও দেখা যায়নি এবং বিশ্বব্যাপী এই ভাবেই বাণিজ্যে ভারতের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অবশ্য একটাই কারণ তা হল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচি।

    মোদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে ভারতের বাণিজ্য নীতির

    ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই ধরনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন বিশ্ব বাণিজ্য নীতির আমূল পরিবর্তনের ফলে। যে ধরনের উদ্যোগ মোদি সরকার (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিয়েছে তার যথেষ্ট প্রশংসা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন উদ্যোগের ফলে ভারতবর্ষে ব্যবসার এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেখানে অ্যাপেল ফোনের সরবরাহ সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলি যেমন মাদার সন গ্রুপ, জাবিল গ্রুপ এবং টাটা ইলেকট্রনিক্স এক অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে। এই পরিবেশ নির্মাণ পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের নীতির কারণে। যার ফলে সহজ হয়েছে উৎপাদন বাণিজ্য। এর ফলেই ভারতবর্ষে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক শিল্পের এক বড়সড় ইকোসিস্টেম। ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে এমন ইকোসিস্টেম আগে কখনও দেখা যায়নি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতেই তা সম্ভব হয়েছে। অনুকূল বাণিজ্যের পরিবেশ পেয়ে এই সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে উৎপাদন করতে পারছে। সেই উৎপাদিত সরঞ্জাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। রফতানিকারক দেশ হিসেবে এভাবেই এগিয়ে চলেছে ভারত।

    কূটনৈতিক দিক থেকে কেন গুরুত্বপূর্ণ

    প্রসঙ্গত এই ধরনের রফতানিকারক দেশ হওয়াতে ভারতবর্ষের কূটনৈতিক দিক থেকেও একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এসেছে। তা হল বাণিজ্যে চিনের যে একাধিপত্য, সেটাও এবার কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে শুধু বিশ্বের অন্যান্য দেশেই যে ভারতের বাণিজ্য বিস্তৃত হবে তা নয়, অ্যাপলের সরঞ্জাম তৈরির মাধ্যমে এদেশেও অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের কর্মসংস্থানেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে এবং তা বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    ২০৩০ সালের মধ্যে রফতানি ব্যবসা হবে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

    প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে ভারতের এমন প্রবেশ এটাই প্রমাণ করে যে দেশ অর্থনীতিতে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। আপেলের সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি ভারত নজর দিয়েছে অন্যান্য ইলেকট্রনিক উৎপাদন সংস্থাগুলিতেও। এই সেক্টরগুলিতে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগও ব্যাপক পরিমাণে আসছে বলেই খবর। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ভারতবর্ষের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে রফতানিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ঢুকে পড়বে ভারত। আপাতত এই লক্ষ্যমাত্রা এগিয়ে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।

    বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ভারতবর্ষের এমন উন্নতি বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভারতবর্ষের এমন উদ্যোগ আসলে সামনে আনছে যে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন সংস্থাকারী দেশ হিসেবে ভারত ক্রমেই অন্যান্য যেকোনও দেশকে পিছনে ফেলতে চলেছে খুব শীঘ্রই। এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতি এক মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রতিবেদনের প্রথমেই বলা হয়েছে যে ভারত বর্তমানে রফতানি করছে অ্যাপল কোম্পানির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, দুটি দেশে এক, চিন এবং অপরটি হল ভিয়েতনাম। এই দুই দেশই আপেলের বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ভারতের এমন উদ্যোগ যথেষ্ঠ প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলবে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান- এই সব দেশকেও। এই দেশগুলিই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে ইলেকট্রনিক্সের বাজারকে কব্জা করে রয়েছে।

  • Amit Shah: ২০৪৭-এর মধ্যেই জোড়া লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, কী সেই দুই, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ২০৪৭-এর মধ্যেই জোড়া লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, কী সেই দুই, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির আগেই ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।” এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার, পুষ্টি নিশ্চিত করার এবং গ্রামীণ অঞ্চল, ভূমিহীন কৃষক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের উন্নয়নে দুগ্ধ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

    দুগ্ধ খাত দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “ভারতের কৃষি ব্যবস্থা মূলত ক্ষুদ্র কৃষকদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, “আমাদের দুগ্ধ খাত দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু একই সঙ্গে এটি গ্রামীণ এলাকা, ভূমিহীন কৃষক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখে। এটি আমাদের দেশের পুষ্টির দায়িত্বও পালন করে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের সামনে দুটি লক্ষ্য স্থির করেছেন – বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়া এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ উন্নত জাতি হওয়া। আমাদের দেশের কৃষি ব্যবস্থা একদিক থেকে ক্ষুদ্র কৃষকদের ওপর নির্ভরশীল।”

    আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে

    তিনি বলেন, “তাই দুগ্ধ ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই। খুব কম বিকল্পই আছে। এবং আমি বিশ্বাস করি এই সেমিনারটি দুগ্ধ খাতে সমস্ত সম্ভাবনা খুঁজতে একটি সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে সহায়ক হবে। গত দশ বছরে আমরা কৃষিতে সমৃদ্ধির পথে একটি (PM Modi) প্রতিশ্রুতিমূলক সূচনা করেছি। গ্রাম থেকে বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার সাহস বেড়েছে। নতুন নতুন পদ্ধতির উন্নয়ন হয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে দল হিসেবে সফল হওয়ার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খামার থেকে কারখানা পর্যন্ত পুরো শৃঙ্খলটি গ্রামীণ পরিমণ্ডলের মধ্যেই থাকা উচিত।”

    ‘মানুষের জন্য মুনাফা’

    তিনি (Amit Shah) বলেন, “‘মানুষের জন্য মুনাফা’ এই নীতিটি কেবলমাত্র সমবায়ের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে পারে। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে দুগ্ধ খাতে বৃত্তাকার অর্থনীতির ওপর একটি গাইড প্রকাশিত হয়। ছোট বায়োগ্যাস, বড় বায়োগ্যাস এবং সংকুচিত বায়োগ্যাস প্রকল্পগুলির জন্য এনডিডিবির আর্থিক সহায়তা স্কিম চালু করা হয়েছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি আমাদের মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী বৃত্তাকার অর্থনীতির ধারণায় কিছু যোগ করতে চাই, যাতে দুগ্ধ খাতে ১০০ শতাংশ সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা যায়। আমি এনডিডিবি এবং নাবার্ডকে অনুরোধ করছি যে তারা কিছু জেলা বা রাজ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে হয়তো ছ’মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু করুক।”

    গ্যাস উৎপাদনের মডেল

    শাহ বলেন, “বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাস উৎপাদনের মডেলগুলি পরীক্ষা করা উচিত। ২৫০টি জেলা দুধ উৎপাদক সমিতির মধ্যে এই ধরনের মডেল বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট কর্মসূচি স্থির করা উচিত। কোনও (PM Modi) জেলা যেখানে দুগ্ধ উৎপাদক সমিতি আছে, স্থানীয় কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করে গ্যাস উৎপাদন প্রকল্প ছাড়া থাকা উচিত নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি এনডিডিবি এবং নাবার্ডের দায়িত্ব— এনডিডিবিকে লজিস্টিকের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নাবার্ডকে তৈরি করতে হবে অর্থায়ন পরিকল্পনা।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “পশুপালকরা দুধ সরবরাহ করুক ব্যক্তিগত বা সমবায়ে। আমাদের নেটওয়ার্ক এখনও অসম্পূর্ণ। উচ্চ মানের বীজ দিয়ে শুরু করে বেশ কিছু মাত্রা যোগ করা দরকার।”

    পশুপালকদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিক

    তিনি বলেন, “গুজরাটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে এবং এটি সারা দেশে সম্প্রসারিত করা উচিত। দেশের অনেক অংশে অনুরূপ উন্নয়ন ঘটেছে। সুতরাং, ২৫০টি জেলা সমিতিরই উচিত একটি মডেল গ্রহণ করা। সমবায়গুলির উচিত সমবায় দুগ্ধ নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা পশুপালকদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিকটিও দেখভাল করা।” তিনি বলেন, “আমরা গুজরাটে ‘সমবায়ের মধ্যে সহযোগিতা’ ধারণা চালু করেছি, যাতে সমস্ত হিসাব সমবায় খাতে খোলা হয়। আজ, গুজরাটের ৯৩ শতাংশ সমবায় প্রতিষ্ঠান সমবায় ব্যাংকে তাদের হিসেব রাখে, যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম সুদের হারে তহবিল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থাও শক্তিশালী হয়েছে। আমি বুঝি যে, সমবায় খাতের পেশাদাররা কখনও কখনও সমবায় ব্যাংকের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু নিজেদের দূরে রাখার পরিবর্তে আমাদের একসঙ্গে কাজ করে এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এনডিডিবিকে নিশ্চিত (PM Modi) করতে হবে যাতে যন্ত্রপাতি উৎপাদনের প্রচেষ্টায় সমস্ত সমবায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে জেলা দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়নগুলি এই উদ্যোগগুলির অংশীদার হতে পারে। লাভ অবশ্যই ফিরে আসতে হবে সমবায় খাতে। যদিও এনডিডিবি-ই প্রধান অংশীদার থাকবে, তবুও জেলা দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়ন— যারা একই সঙ্গে ভোক্তাও— তাদেরও এই উদ্যোগগুলিতে একটি অংশ পাওয়া উচিত (Amit Shah)।”

  • Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দূরত্ব কমছে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah)! অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত এমনই। এর আগে প্রায়ই তিনি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেছিলেন বিজেপিকে। সেই তিনিই এখন বদলাচ্ছেন ভোল।

    ৩৭০ ধারা রদ (Omar Abdullah)

    ২০১৯ সালে ভূস্বর্গ থেকে বাতিল হয়ে যায় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওমর-ও। মুসলমান অধ্যুষিত উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্যও তিনি বিভিন্ন সময় দুষেছিলেন পদ্ম-পার্টিকে। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের আশা-আকাঙ্খা উপেক্ষা করারও। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সংকল্পপত্র’ (ইশতেহার) প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তাকে কটাক্ষ করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা বলেছিলেন, “এটি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংসের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।”

    ওমরের মুখে মোদি প্রশস্তি!

    তবে জম্মু-কাশ্মীরের (Omar Abdullah) মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতি ও কার্যকলাপ তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে লক্ষণীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাস পরেই ওমর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যখন ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনমার্গ টানেলের উদ্বোধন করেন, তখনও মোদি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল ওমরের মুখে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, নির্বাচন জয়ের পরপরই ওমর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকারের প্রয়োজন “কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা।” তিনি এও স্বীকার করেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করে সম্ভব নয়।”

    ওমরের বাবা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি, ফারুক আবদুল্লা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না।” ওমরের এই ‘বিজেপি-প্রীতি’ ভালো চোখে দেখছেন না জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা তথা বিধায়ক সাজ্জাদ লোন। ওমরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লোন বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময় সবই ছিল ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত এবং কীভাবে অন্য সবাই বিজেপির (PM Modi) সঙ্গে রয়েছে, সেই প্রশ্ন। আর এখন আদর্শগত মিল। কী বিশাল পতন (Omar Abdullah)!”

  • Chamoli Avalanche: চামোলিতে উদ্ধার কাজ শেষ করল সেনা, জীবিত উদ্ধার ৪৬, তুষারধসে মৃত ৮

    Chamoli Avalanche: চামোলিতে উদ্ধার কাজ শেষ করল সেনা, জীবিত উদ্ধার ৪৬, তুষারধসে মৃত ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে তুষারধসে (Chamoli Avalanche) আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ শেষ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বরফের নীচে আটকে পড়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি ৮ জন মৃত। রবিবার বিকেলে আরও চার শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার ফের উদ্ধারে নামেন সেনাবাহিনী-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। বরফের চাঁই তুলতেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। রবিবারই উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    উদ্ধার কাজে বাধা

    শুক্রবার চামোলি (Chamoli Avalanche) জেলায় বদ্রীনাথের কাছে মানা গ্রামে তুষারধসে মোট ৫৪ জন শ্রমিকের চাপা পড়ার খবর মেলে। তারপর থেকে রবিবার পর্যন্ত ৪৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। মারাত্মক তুষারপাত, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ধসের প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা। রবিবার সকালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পদে-পদে বাধা পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকারী দলকে। ভারতীয় সেনা, আইটিবিপি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিআরও এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ২০০-রও বেশি কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে জীবিত শ্রমিকদের উদ্ধার করেন।

    অক্লান্ত পরিশ্রম উদ্ধারকারীদের

    উত্তরাখণ্ডের চামোলি (Chamoli Avalanche) জেলার মানা গ্রামের কাছে কাজ চলছিল। দায়িত্বে ছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। তাদেরই একটি ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে বরফের নীচে চাপা পড়ে যায়। শনিবার সকালে পরিস্থিতি, উদ্ধারকাজের তৎপরতা ও আবহাওয়া সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর রবিবার রাতে উদ্ধারকাজ শেষের পরে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি উদ্ধারকারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয় আধুনিক প্রযুক্তি-ভিক্টিম লোকেটিং ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, দিল্লি থেকে আনা হয়েছে গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন ব়্যাডার এবং প্রশিক্ষিত অ্যাভালাঞ্চ রেসকিউ ডগ। ড্রোন, ইউএভি, এমআই ১৭ হেলিকপ্টার ও তিনটে চিতা হেলিকপ্টারও উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হয়। শুক্রবার সকাল থেকে চামোলির মানা গ্রামে তুষারধসের কারণে বদ্রীনাথ-জ্যোতির্মঠ জাতীয় সড়কের অন্তত ১৫-২০টি স্থানও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।

  • PM Modi: ‘‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভারতের অবদানে আমরা গর্বিত’’, বন্যপ্রাণী দিবসে গির সফরে মোদি

    PM Modi: ‘‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভারতের অবদানে আমরা গর্বিত’’, বন্যপ্রাণী দিবসে গির সফরে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস (World Wildlife Day)। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকূল সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেইমতো, ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আবহে সোমবার সকালেই গির অরণ্যে সফর করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ঘুরে দেখেন বন্যপ্রাণ। ক্যামেরা হাতে ছবিও তোলেন সিংহের।

    সকালেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন সকালেই অবশ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের সকালেই সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, “আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে আসুন আমরা পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং সংরক্ষণের সংকল্প গ্রহণ করি।” তিনি আরও বলেন, “আসুন আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য তাদের ভবিষ্যত রক্ষা করি! বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং রক্ষায় ভারতের অবদানের জন্য আমরা গর্বিত,” প্রধানমন্ত্রী বলেন।

    সকালে গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)

    বন্যপ্রাণী দিবস উদযাপন করতে সোমবার সকালে গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী মোদি। হাতে ক্যামেরা নিয়ে গাড়িতে চেপে সাফারি করতেও বেরিয়ে পড়েন তিনি। নিজের সমাজমাধ্যমে সাফারি-ভ্রমণের ছবির পাশাপাশি তাঁর তোলা কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সিংহ সদন থেকে কয়েক জন মন্ত্রী এবং বন বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে সোমবার সকালেই জঙ্গল সাফারিতে রওনা দেন মোদি। জানা গিয়েছে, সাফারির পর গির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সদর দফতর সাসান গিরে জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের সপ্তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাসানের মহিলা বনকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করার কথাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)।

    সোমবারই সোমনাথ মন্দির দর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী

    সোমবারই সোমনাথ মন্দির দর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে নিজের এক্স মাধ্যমে মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘দেশবাসীর সহযোগিতায় প্রয়াগরাজে একতার মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে। আমি সংকল্প করেছিলাম, মহাকুম্ভের শেষে আমি শ্রী সোমনাথের পুজো করব। আজ, সোমনাথ মন্দিরে প্রার্থনা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করেছি। এই মন্দিরটি আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং বীরত্বকে প্রতিফলিত করে।’’

  • PM Modi: মহাকুম্ভের পরে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন, সোমনাথ মন্দিরে প্রার্থনা মোদির

    PM Modi: মহাকুম্ভের পরে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন, সোমনাথ মন্দিরে প্রার্থনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ শেষ হওয়ার পরে নিজের ব্লগে ‘মনের কথা’ ও অভিজ্ঞতা লিখেছিলেন মোদি (PM Modi)। সেই লেখাতেই জানিয়েছিলেন, মহাকুম্ভে পুণ্যডুবের পরে যাবেন দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ সোমনাথ মন্দিরের দর্শনে। ঠিক যেমনটা বলেছিলেন, রবিবার তেমনটাই পালন করতে দেখা গেল দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।

    প্রধানমন্ত্রীর পরনে ছিল গেরুয়া পাঞ্জাবি

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পরনে ছিল গেরুয়া পাঞ্জাবি। ডান কাঁধে নেওয়া ওড়না। রবিবার, গুজরাটের (Gujarat) সোমনাথ মন্দিরে এই সাজেই পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে, গুজরাটে তিন দিনের সফর করবেন তিনি। মাঝে এক ফাঁকে সেরে নিলেন সোমনাথ মন্দির দর্শন। তবে মন্দির দর্শনের পাশাপাশি পুজো দেন তিনি।

    কী লিখলেন মোদি (PM Modi)

    সোমনাথ মন্দির দর্শনের পরে নিজের এক্স মাধ্যমে মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘দেশবাসীর সহযোগিতায় প্রয়াগরাজে একতার মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে। আমি সংকল্প করেছিলাম, মহাকুম্ভের শেষে আমি শ্রী সোমনাথের পুজো করব। আজ, সোমনাথ মন্দিরে প্রার্থনা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করেছি। এই মন্দিরটি আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং বীরত্বকে প্রতিফলিত করে।’’

    আজ সোমবারও রয়েছে একাধিক কর্মসূচি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের (Gujarat) জামনগর বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে নিজের রাজ্যের সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গুজরাটে অনন্ত আম্বানির তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ‘বনতারা’ সফরেও যান মোদি। তারপর সেখান থেকে পৌঁছে যান সোমনাথ মন্দির দর্শনে। পাশাপাশি, আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি।

    ৫ ফেব্রুয়ারি করেন পুণ্যস্নান

    প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুণ্যস্নান সারেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর পরনে ছিল গাঢ় গেরুয়া জ্যাকেট এবং কালো ট্র্যাকপ্যান্ট। রুদ্রাক্ষের মালাও ছিল তাঁর হাতে। কুম্ভস্নানের আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে নৌকাবিহারও করতে দেখা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।

  • PM Modi: “ভারতকে জানতে চায় বিশ্ব, খবর তৈরি করার প্রয়োজন নেই”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারতকে জানতে চায় বিশ্ব, খবর তৈরি করার প্রয়োজন নেই”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে জানতে চায় বিশ্ব। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ ভারতে আসতে আগ্রহী।” শনিবার এনএক্সটি কনক্লেভ ২০২৫-এ ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আজ ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে প্রতিদিন ইতিবাচক খবর তৈরি হয় – এটি আলাদা করে তৈরি করার কোনও প্রয়োজন নেই।” ভারতের বৃহৎ পরিসরের অনুষ্ঠানগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে আয়োজন করার ওপরও জোর দেন তিনি। মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিদিন নতুন নতুন খবর গড়া হচ্ছে। তাই ভারতের খবর তৈরি করার প্রয়োজন নেই (NXT Conclave 2025)।”

    বিশ্ব বিস্মিত (PM Modi)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল মহা শিবরাত্রি। এদিন প্রয়াগরাজের পূর্ণকুম্ভে অমৃতস্নান করেন কয়েক কোটি ভক্ত। সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কীভাবে কোটি কোটি মানুষ নদীর তীরে একটি অস্থায়ী শহরে একত্রিত হয়ে পবিত্র স্নান করেন, তা দেখে বিশ্ব বিস্মিত। এটি ভারতের সংগঠনের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় বহন করে।” প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি। শেষ হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে সব মিলিয়ে স্নান করেছেন ৬৬.২১ কোটি পুণ্যার্থী।

    এআই নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী প্রধানমন্ত্রীর

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অর্থনীতিতে ভারতের বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এআই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিল (PM Modi)। এটি ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখন পরবর্তী এআই সম্মেলন আয়োজক হিসেবে ভারতের পালা। এআইয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    তিনি বলেন, “ভারত এখন সেমিকন্ডাক্টর এবং এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরি করছে এবং এর সুপারফুড যেমন মাখানা এবং শ্রীঅন্ন (মিলেট), আয়ুষ পণ্য এবং যোগ সারা বিশ্বে গ্রহণ করা হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন প্রধান অটোমোবাইল উৎপাদক দেশ হিসেবেও উঠে এসেছে। এর প্রতিরক্ষা রফতানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত যেমন আছে, তাকে তেমনভাবেই উপস্থাপন করা উচিত, কোনও রং ছাড়াই (NXT Conclave 2025)। এর কোনও সাজসজ্জার প্রয়োজন নেই। এই দেশের প্রকৃত গল্পগুলো তামাম বিশ্বে পৌঁছানো উচিত (PM Modi)।”

LinkedIn
Share