Tag: rg kar

rg kar

  • RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হত? আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। গত শুনানিতেই রাজ্যের কাছে এনিয়ে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শুনানিতে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এগুলি হল- সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়?  তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কীভাবে যাচাই করা হত? ইত্যাদি। এনিয়ে এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ধৃতকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান হন পুলিশ সুপার। এছাড়া রাজ‍্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ‍্যাপেক্স কমিটি।

    উঠছে প্রশ্ন (RG Kar) 

    রাজ্যের জমা দেওয়া এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিয়োগের এত কমিটি, এত ধাপ থাকা সত্ত্বেও ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে নিয়োগ পেল? কারণ নিয়ম বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় থানারই বাসিন্দা হতেই হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব‍্যবহার করা হয় না। আরও নিয়ম হল, রাজ‍্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও কীভাবে নিয়োগ করা হল এমন একজন অপরাধীকে? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সুপ্রিম শুনানি (RG Kar) হল না আজ মঙ্গলবার

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হল না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতির। আর সেই কারণেই শুনানি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার। তবে, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে সিভিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হলফনামা (RG Kar)  জমা করেছে মঙ্গলবার। সেখানেই এই কথা উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আজ সুপ্রিম শুনানি, প্রশ্নের মুখে রাজ্য! আরজি কর মামলা বাংলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি

    RG Kar Incident: আজ সুপ্রিম শুনানি, প্রশ্নের মুখে রাজ্য! আরজি কর মামলা বাংলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানো প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার (RG Kar Incident) শুনানিতে সেই সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। সেই সঙ্গে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানির আগেই আরজি কর মামলা রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরের দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার

    গত ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই শুনানিতে রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগকে ‘রাজনৈতিক স্বজনপোষণের সুন্দর পন্থা’ আখ্যা দিয়ে ছ’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এক, কোন আইনের ক্ষমতাবলে পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে? দুই, কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়? তিন, তাঁদের যোগ্যতামান কী? চার, তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা প্রক্রিয়ায় যাচাই করা হয়? পাঁচ, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে? ছয়, তাঁদের বেতন কী ভাবে দেওয়া হয় ও তার জন্য কত অর্থ বরাদ্দ করা হয়? আজকের রাজ্য সরকারকে এই সব প্রশ্নেরই জবাব হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। তবে আগের শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, হাসপাতাল ও স্কুলের মতো সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা যাবে না।

    রাজ্যের বাইরে সরানো হোক মামলা (RG Kar Incident)

    অপরদিকে, আরজি কর কাণ্ডে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুলে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তার কথায়, তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট তাকে চুপ থাকতে বলেছে। সঞ্জয়ের এই দাবির প্রেক্ষিতে আরজি কর মামলা রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরের দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা অভয়ার বিচারের দাবিতে লড়ছেন সেই আইনজীবীদের কাছে আমার পরামর্শ মামলাটা (RG Kar Incident) পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যান। তাহলে সত্য উদ্ঘাটিত হবে। অভয়ার পরিবার শান্তি পাবে। অভয়ার আত্মা শান্তি পাবে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ, গোটা দেশের জনগণ যাঁরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসে’র পক্ষে লড়ে যাচ্ছেন তাঁরা প্রত্যেকেই খুশি হবেন। আমি অনুরোধ করব সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যান। কারণ এই পশ্চিমবঙ্গে ব্যাঙ্ক ফ্রডের আসামী যাঁকে ইডি ধরেছিল, তিনি ১৫ মাসই এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে কাটিয়েছেন। কালীঘাটের কাকুর ছবি আপনারা দেখিয়েছেন। তিনি ঘরের পোশাক পরে চা খাচ্ছেন, আরাম করছেন, টিভি দেখছেন। তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের আপনারা দেখেছেন। আপনারা দেখেছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেডিক্যাল রিপোর্টকে কীভাবে ম্যানুফ্যাকচার করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ সব চোর যাঁরা এখনও জেলে আছেন, তাঁরা যেদিন যা খেতে চান, সেই খাবার জেল কর্তৃপক্ষ পৌঁছে দেয়। এখানে জেলার, সুপার, ডাক্তার, সরকার, পুলিশ সব মিলেমিশে একাকার। এখানে বিচার (RG Kar Incident) হতে পারে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আজ আরজি কর কাণ্ডের চার্জ গঠন শিয়ালদা আদালতে, এর পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া

    RG Kar: আজ আরজি কর কাণ্ডের চার্জ গঠন শিয়ালদা আদালতে, এর পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে গত অক্টোবরেই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল চার্জশিটে। এর পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও রয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ৮৭ দিন পর, মামলার চার্জ গঠন হবে শিয়ালদা আদালতে। চার্জ গঠন সম্পন্ন হলেই শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    সিভিকই জড়িত (RG Kar) 

    গত ৭ অক্টোবর সিবিআই চার্জশিট জমা দিয়েছিল এই মামলায়। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই (RG Kar Hospital Incident) আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত। তার বহু প্রমাণ মিলেছে বলেও জানায় সিবিআই। বয়ান, ভিডিও এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় সিবিআই।

    সিভিকের বিরুদ্ধে ১১টি ‘প্রমাণ’ (RG Kar) 

    ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের (RG Kar)  বিরুদ্ধে চার্জশিটে সিবিআইয়ের দেওয়া ১১টি প্রমাণ হল—

    ১. সিসিটিভি ফুটেজে অনুযায়ী, গত ৯ অগাস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিলেন ধৃত সঞ্জয়। সেখানেই অপরাধ সংঘটিত হয়।

    ২. অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল ফোনের লোকেশন বলছে, সে ঘটনার সময় হাসপাতালেই ছিল। 

    ৩. ময়নাতদন্তের সময় নির্যাতিতার দেহ থেকে ধৃতের ডিএনএ মিলেছে।

    ৪. ধৃতের প্যান্ট এবং জুতো থেকে মৃতার রক্তের দাগ মিলেছে।

    ৫. ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছোট ছোট চুলগুলি, অভিযুক্তের চুলের সঙ্গে মিলে গিয়েছে (RG Kar Hospital Incident)।

    ৬. ঘটনাস্থল থেকে যে ব্লুটুথ ইয়ারফোন উদ্ধার হয়েছিল, তা ধৃতেরই। ধৃতের মোবাইলে কানেক্ট করে তা দেখাও হয়েছে। ঘটনার রাতে ধৃত যখন যাচ্ছিল তখন তার ব্লুটুথ ইয়ারফোন জড়ানো ছিল। কিন্তু সে ফেরার সময় ইয়ারফোন ছিল না। 

    ৭. ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষার করে জানা গিয়েছে, তার শরীরের ক্ষতগুলি ৮ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্টের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাও ওই সময়েই ঘটেছিল।

    ৮. অভিযুক্তের শরীরের যে ক্ষত নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল।

    ৯. অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, সে সঙ্গমে অক্ষম।

    ১০. সিএফএসএল কলকাতার রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতার অন্তর্বাসের সেলাই যে ভাবে ছিঁড়ে গিয়েছে, তা জোর জবরদস্তির ফল।

    ১১. সিএফএসএল কলকাতার রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা যে কুর্তি পরেছিলেন, সেই কুর্তিরও দু’পাশটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। এটাও জোরজবরদস্তির কারণেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ”, বললেন শুভেন্দু, মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত

    Junior Doctor: “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ”, বললেন শুভেন্দু, মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড ইস্যুতে চলা আন্দোলন নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ব্যর্থ বললেন তিনি। আর কেন তাঁদের (Junior Doctor) আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে, মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন সুকান্ত মজুমদার।

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ! (Junior Doctor)

    জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন ব্যর্থ হওয়া নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) মূলত দু’টি কারণ দর্শালেন। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে এবং নবান্নের বৈঠক। আর দ্বিতীয় হল, রাজ্যের প্রধান এবং একমাত্র বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা। এই দুই ভুলের ফল অনিকেত মাহাতোরা ভুগছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, “জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন তৃণমূলের তৈরি সংগঠন। থ্রেট কালচারে যুক্তদের নিয়ে এই সংগঠন তৈরি হয়েছে। এদের অনেকের ছবি সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসব আটকানো যায় না।” এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “শুরু থেকে বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই খুব ভালো। ওঁরা শিক্ষিত। কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে ডাক্তারি পড়তে বা চাকরিতে আসেননি। কিন্তু, বাম ও অতিবামদের প্ররোচনায় পা-দেওয়ার ফল ভুগছেন অনিকেত মাহাতোরা।”

    আরও পড়ুন: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

    মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে তোপ

    শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের প্রধান ও একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি। সেই বিরোধী দলকে সরিয়ে রেখে কোনও সরকার-বিরোধী আন্দোলন সফল হতে পারে না। শুভেন্দুর মতে, জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ও তার কোটি কোটি ভোটারদের দূরে রেখে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।” বিরোধী দলনেতার মতে, জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভুল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাড়ি এবং নবান্নে গিয়ে বৈঠক করা। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। যে মুহূর্তে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন, সেই মুহূর্তে মানুষ তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আরজি করকাণ্ডের জন্য দায়ী। তাঁর জন্যই পুরো ঘটনা ঘটেছে। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক করেছেন। সরকারের সঙ্গে অন্য ভাবেও বৈঠক করা যেত। সেটা মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে করতে পারতেন তাঁরা। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিবের হস্তক্ষেপ দাবি করতে পারতেন।”

    মমতাকে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে তুলনা

    অন্যদিকে, মতাকে থ্রেট কালচারের জনক বলে নিশানা করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “মমতা গেমপ্লেনের মতো খেলছেন। কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার মনে হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার মতো ডাক্তারবাবুরা (Junior Doctor) চোকার্স হয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: শনিবার রাতেই কলকাতায় শাহ, আজ সূচনা করবেন বিজেপি’র ‘সদস্যতা অভিযান’-এর

    Amit Shah: শনিবার রাতেই কলকাতায় শাহ, আজ সূচনা করবেন বিজেপি’র ‘সদস্যতা অভিযান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতেই কলকাতায় পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ রবিবার সকালে কল্যাণীতে বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এরপর দুপুরে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সারা দেশে বিজেপির সদস্যতা ১০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। বাংলাতে রবিবার সদস্যতার শুরু করতেই হাজির হয়েছেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক কারণেই পশ্চিমবঙ্গে সদস্যতা অভিযান দেরিতে শুরু হচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, সমস্ত কর্মসূচি শেষ করে রাজারহাটের হোটেলে ফিরে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন শাহ। এরপর ফের কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।

    রবিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছবে শাহের (Amit Shah) বিমান

    রবিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছবে শাহের (Amit Shah) বিমান। প্রসঙ্গত, গত বুধবার ২৪ অক্টোবর, রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল শাহের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে তাঁর সেই সফর স্থগিত হয়ে যায়। রাজ্য বিজেপি (WB Bjp) সেই সময় জানিয়েছিল, অমিত শাহের সফর বাতিল হয়নি। কিছু দিনের জন্য স্থগিত হয়েছে মাত্র।

    সাক্ষাৎ হতে পারে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে

    অন্যদিকে, শাহের (Amit Shah) সঙ্গে এদিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সাক্ষাৎ হতে পারেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কখন-কোথায় এই সাক্ষাৎ হবে , তা নিয়ে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। সম্প্রতি, অমিত শাহের সাক্ষাৎ চেয়ে তাঁকে ইমেইল করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তার পর বিজেপির (WB Bjp) শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে এগোতে থাকে। বরাবরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে, সিবিআইয়ের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মাকে। সেই আবহে আজ রবিবার যদি শাহের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়, আলোচনায় কী কী ইস্যু উঠে আসবে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

    বৃষ্টির জল জমে মাঠে, বাতিল আরামবাগের অনুষ্ঠান

    আরামবাগে সমবায় কর্মসূচিতে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার একটি অনুষ্ঠান ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Union Home Minister)। ঠিক হয়েছিল আরামবাগেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। এরপর আরামবাগ থেকে কলকাতায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু, বৃষ্টির কারণে আরামবাগের মাঠে জল জমে গিয়েছে। সেই মাঠে শাহের চপার নামতে পারবে না। তাই আরামবাগের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কল্যাণী থেকে সরাসরি কলকাতায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তারপর যোগ দেবেন সল্টলেকের ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে (ইজেডসিসি) দলীয় কর্মসূচিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু

    CBI: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন দফতরের অধ্যক্ষ দেবাশিস সোম এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুজাতা ঘোষ। সিবিআই তাঁদের তদন্তের আওতায় রেখেছে। এই মর্মে স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৯ অক্টোবর চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে নিজেদের বক্তব্য জানাল স্বাস্থ্য দফতর।

    দু‘জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত (CBI)

    সিবিআই (CBI) সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের ওই চিঠির পর স্বাস্থ্য দফতরে তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, ওই দু’জনের দুর্নীতির বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন অবগত নয়। তবে, সিবিআইয়ের চিঠির ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া যায় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’ তবে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতাল থেকে ওষুধ সরবরাহ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সামগ্রীর বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন চাওয়া হত স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। আবেদন অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর তা মঞ্জুর করত। ওই বিষয়টি সিবিআইকে বিশদে জানানো হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, দেবাশিস ও সুজাতাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ওই দু’জন দুর্নীতি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    রাজ্যের আইনজীবীর কী বক্তব্য ছিল?

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের চিকিৎসক খুন-ধর্ষণ এবং হাসপাতালের দুর্নীতির মামলার শুনানিতে চিকিৎসকদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, আরজি কর কলেজে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘সিবিআই (CBI) দুর্নীতির তদন্ত করছে। সে ক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের নাম পাঠালে রাজ্য বিবেচনা করবে।’’ এর পরেই দেবাশিস ও সুজাতার নাম উল্লেখ করে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে আগামী রবিবার সকালে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। ওই দিন দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও তাঁর মন্ত্রকের দু’টি অনুষ্ঠানও রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যেই তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের দেখা করাতে উদ্যোগী বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে ইমেল পাঠিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। মানসিক যন্ত্রণা ও অসহায়তার কথা জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। তার পরেই শাহের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, অমিত শাহ নিজেও মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী।

    নির্যাতিতা পরিবারের শাহি সাক্ষাতে উদ্যোগী বিজেপি (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, শাহ (Amit Shah) রাজ্য বিজেপির কয়েক জন শীর্ষনেতার সঙ্গে কথা বলে নির্যাতিতার পরিবারের (RG Kar) সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে বলেছিলেন। তার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির নেতারা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে তাঁরা শাহকে ইমেল পাঠিয়ে সাক্ষাতের সময় চাওয়ায় সেই পথ আরও সুগম হয়েছে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আর আরজি কর-কাণ্ডের পর যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের মা বাবার সাক্ষাৎ অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কোথায় সাক্ষাৎ?

    শাহের সফরসূচির মধ্যেই কলকাতার কোনও এক নিরাপদ জায়গায় শাহের (Amit Shah) সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকদের সাক্ষাৎ করাতে চান। প্রথমে শাহকে মৃতার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও শাহের সফরসূচির চূড়ান্ত রূপরেখা হাতে পাননি রাজ্য বিজেপি নেতারা। তাই আপাতত কলকাতাতেই অমিত শাহের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করানোর পক্ষপাতী তাঁরা। আগামী শনিবার, আরজি কর মেডিক্যালে মহাসমাবেশের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে নির্যাতিতার পরিবাবের সঙ্গে শাহের সাক্ষাৎ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এক রাজ্য নেতা বলেন, “আরজি করকাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলের অবস্থান কারও অজানা নয়। আর পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষী এবং স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি হওয়া ঘুঘুর বাসা ভাঙার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় অমিত শাহের (Amit Shah) মতো কোনও সর্বভারতীয় নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিচারের দাবিকে সমর্থন জানালে আমাদের আন্দোলন আরও দৃঢ় হবে। তাই কলকাতায় তাঁদের সাক্ষাতের চেষ্টা চলছে।”

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    শনিবার রাতে, কিংবা রবিবার সকালে কলকাতায় আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রাথমিক সফরসূচি অনেকটা এরকম। জানা গিয়েছে, রবিবার, ২৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় ইজেডসিসি- তে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। ১৩ অক্টোবর রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে, এই সব বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে মূলত রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। দলীয় বৈঠকের পর কল্যাণী, আরামবাগে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সূত্র মারফৎ খবর, রবিবার কল্যাণীতে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যাবেন অমিত শাহ। তারপরেই আরামবাগের সমবায় মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যাবেন অমিত শাহ। এর আগেও একাধিকবার এ শহরে এসেছেন অমিত শাহ। কখনও ভোটের প্রচার, কখনও সন্দেশখালি ইস্যুতে, কখনও দলীয় বৈঠকের জন্য। তবে এই বাংলায় আরজি কর কাণ্ডের পর, শাহের এ শহরে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ মমতার সরকার। দেশের শীর্ষে আদালতের শুনানিতে উঠে এসেছে সেই সকল অভিযোগের প্রসঙ্গ। হয়েছে সওয়াল-জবাব পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দুর্নীতির (Medical Scam) অন্যতম মাথা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে জমা পড়ল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। থ্রেট সিন্ডিকেটের অন্যতম মুখ হিসেবে এই দুই চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য ভবন (Health Bhavan)। সেই রিপোর্টই এবার এল প্রকাশ্যে। রিপোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে।

    বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কী উঠে এল তদন্তে? (Medical Scam)

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Medical Scam) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। কেন তিনি ৯ অগাস্ট আরজি করে গিয়েছিলেন, কী করছিলেন ঘটনাস্থলে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর বর্ধমান থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্যভবন। বদলির নোটিশ জারি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও বিক্ষোভ দেখান। এরপরই স্বাস্থ্যভবন সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিরূপাক্ষকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে একাধিক অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে মর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী দীন মহম্মদের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাগর দত্ত, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের খাতায় বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।

    রাতভর পার্টি না করলে মেয়েদের ফেল করে দেওয়ার হুমকি!

    আরজি কর হাসপাতালে (Medical Scam) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে বারবার উঠে এসেছে চিকিৎসক অভীক দে-র নাম। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পিজিটি। অভিযোগ ওঠে, তিনিই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা। তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্যভবন। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটিই চলতি মাসে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যালের ছাত্রীরা রাতভর পার্টি না-করলেই পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নাম করে মেডিক্যালের নবাগত ছাত্রদের থেকে তোলাবাজি চলত। আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনে সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র দোষী হিসেবে তুলে ধরতে ছাত্রদের ব্রেনওয়াশ করা হয়। এসএসকেএম-এর পিজিটি ছাত্র অভীক দে-র বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি।

    পাশাপাশি, অভীক দে যে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। গত ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিন আরজি করের ক্রাইম সিনে থাকার কথা অস্বীকার করেননি অভীক দে। ক্রাইম সিনে ‘লাল জামা’ পরিহিত অভীকের উপস্থিতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা আছে। অভীক স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের দলের সঙ্গে আরজি কর গিয়েছিলাম।’ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের দুনম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, অভীক দে যে সার্জারি বিভাগে এমএস করছিলেন, তা একদমই নিয়ম বহির্ভূত। কারণ তিনি থিসিস পেপার জমাই করেননি। এমনকী নিজের আইকার্ডও গ্রহণ করেননি। ৮ অগাস্ট থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেও তাঁকে দেখা যায়নি। তদন্ত কমিটিতেই এই সব তথ্য উঠে এসেছে।

    কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ

    কলেজের দার্জিলিং ক্যাম্পাসে (Medical Scam) অভীক দে-র বেআইনি উপস্থিতির কথা উঠে এসেছে কমিটির রিপোর্টে। সেই ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যেই নবাগত পড়ুয়াদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে অভীকের বিরুদ্ধে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের সরকারি জিনিস ব্যবহার ও সরকারি হলে কারও অনুমতি না-নিয়ে নিজের জন্মদিনও পালন করতেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংগৃহীত প্রমাণ এবং সে বিষয়ে অভীক দে-র বয়ানও রিপোর্টের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। অভীকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবনের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: দু’ঘণ্টা ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক, কী কী আলোচনা হল?

    Junior Doctor: দু’ঘণ্টা ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক, কী কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের সুবিচার সহ একাধিক দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার আন্দোলনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধি নবান্নের বৈঠকে হাজির হন। সেখানে টানা ২ ঘণ্টা আলোচনা চলে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পক্ষ থেকে সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে, এই বৈঠকের পর কতটা বরফ গলল, তা এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন? (Junior Doctor)

    কলেজস্তরে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ এলে কে খতিয়ে দেখবে? অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি নাকি টাস্ক ফোর্স? প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের। স্টেট টাস্ক ফোর্সের মতো কলেজেও কমিটি গড়ার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) । অনিকেত মাহাত  ‘থ্রেট কালচার’ প্রসঙ্গে জানান, অনেক অভিযুক্তের পরীক্ষার খাতা পরখ করা হলে দেখা যাবে, তিনি ১০ নম্বরও পাননি। অথচ পদক পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। হাউস স্টাফ হয়েছেন। মমতা পাল্টা বলেন, অনেকের বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ রয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্রী বলেন, টাস্ক ফোর্স কী কাজ করছে, তার সদস্য কত জন, তা নিয়ে কিছু আমরা জানি না। দেবাশিস হালদার জানান, টাস্ক ফোর্সে সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন। আন্দোলনকারী অনিকেত রাজ্য সরকারের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তিনি বলেন, “কলেজ ক্যাম্পাস সুস্থ জায়গা হতে হলে, সেখানে আমাদেরও থাকতে হবে। এক জন ছাত্র কলেজে প্রবেশের পর কী এমন ঘটছে যে সে পচা হয়ে উঠছে? সে কারণে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুস্থ, স্বাভাবিক করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    ‘থ্রেট কালচার’!

    বৈঠকে দেবাশিসের মুখে উঠল ‘থ্রেট কালচার’-এর প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে বিরুপাক্ষ এবং অভীকের নাম নিতেই থামিয়ে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, “উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়।”অনিকেত (Junior Doctor) মেডিক্যাল কলেজে যৌন হেনস্থার অভিযোগের কথা জানালেন। বললেন, “আরজি করের মতো দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না হয়, তা দেখা হোক। মেয়েদের নিরাপত্তার জায়গাটা দেখা হোক।” তাঁর দাবি, ‘থ্রেট কালচার’-এর পাশাপাশি যৌন হেনস্থাও চলে।

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    মমতা বলেন, “তোমরা সাধ্যমতো অনশন করেছো। ভালো করেছো। আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছি। রোজ খবর নিয়েছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট নিই।”মমতা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বললেন। তাঁর কথায়, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকার কাজ করবে কী করে?” বৈঠকের শেষের দিকে মমতা বলেন, “আমার কাছে একটি পরিবার আসার কথা। তাঁদেরও মেয়ে মারা গিয়েছে। আমায় যেতে হবে। আন্দোলন শুরু করলে শেষও করতে হবে। মানবাধিকার কমিশনের দাবিতে ২১ দিন ধর্না করেছিলাম। সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। গোপাল গান্ধী ব্যক্তিগত ভাবে আমায় ভালোবাসতেন বলে এসেছিলেন। তোমাদের (Junior Doctor) ভালোবাসি। আলোচনায় ফাঁক রাখা হয়নি। মন খুলে কথা বলেছো।”

    সাসপেনশন নিয়ে তদন্ত!

    মমতা সাসপেনশন নিয়ে জানালেন, “তদন্ত করা হবে। পক্ষপাতিত্ব চলবে না, আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি। সরকারকে না জানিয়ে ‘অ্যাকাডেমিক’ কাউন্সিল কী ভাবে তৈরি হল, কী ভাবে সাসপেন্ড করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মমতা জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের স্ট্রাইকের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জনগণের টাকা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। মমতা বলেন, “রং জানার দরকার নেই। পরিচয় জানার দরকার নেই। যদিও জানি সব। ৫৬৩ জন আন্দোলন চলার সময় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করে টাকা নিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল (Diamond Harbour Medical) কলেজে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। এদিন সকাল থেকে চলা অবস্থান বিক্ষোভে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মচারীরা সামিল হন।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Diamond Harbour Medical)

    মূলত, জুনিয়র ডাক্তারদের (Diamond Harbour Medical) দাবি, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। পাশাপাশি থ্রেট কালচার সহ ১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। অধ্যক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত এর সঠিক উত্তর দিচ্ছেন, ততক্ষণ এই অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকবে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে তালা মেরে দেওয়া হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। তবে, এই বিষয় নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের বেশ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা কোশ্চেন বিক্রি থেকে শুরু করে, টাকা নেওয়া ও জুনিয়রদের থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত। এরজন্য ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন তাঁদের হস্টেল ছেড়ে দেওয়ার শেষ দিন, যে কারণেই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে আমার দুর্নাম করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে।’’

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    আরজি করকাণ্ডে প্রতীকী অনশন

    সকাল থেকে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভের ফলেই ব্যাহত হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের রোগী পরিষেবা। আর সেই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে, মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, এসডিপিও শাকিব আহমেদ। একদিকে তাঁরা যেমন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন, ঠিক তেমনি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপি-র সঙ্গে কথা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করার পর অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং এর তালা খোলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান তুলে নেন। পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের অন্য একটি পক্ষ, আরজি করকাণ্ডের কলকাতায় অবস্থানরত চিকিৎসকদের সমবেদনা জানাতে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share