মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াংয়ের (Tawang) ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের। এর প্রধান কারণ, তাওয়াং জায়গাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। শুধু তাই নয়, ধর্মীয় গুরুত্বের জন্যও তাওয়াংয়ের বিশেষ কদর রয়েছে চিনে (China)। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে তাওয়াংকেই পাখির চোখ করেছে ড্রাগনের দেশ।
তাওয়াং...
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তাওয়াং। জায়গাটি ১৯৬২ সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে ভারত এবং চিন দুই দেশের কাছেই তাওয়াংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ৬২-র যুদ্ধে তাওয়াং দখল করার পর ম্যাকমোহন লাইনের ভিতরে পড়ে যাওয়ায় চিন এটি খালি করেছিল। পরে চিন ম্যাকমোহন লাইন মানতে অস্বীকার করে। তাই ফের তাওয়াং দখল করতে চাইছে চিন। তাওয়াং নিজের কবজায় নিয়ে এসে ড্রাগনের দেশ চাইছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশাপাশি তিব্বতকে পর্যবেক্ষণ করতে। এই তাওয়াংয়ের সঙ্গে তিব্বতের ধর্মীয় নেতা বতর্মান দালাই লামার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৫৯ সালে তিব্বত ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে কিছু দিন কাটিয়েছিলেন দালাই।
চিন থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের জন্য দুটি পয়েন্ট সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি তাওয়াং (Tawang), অন্যটি চাম্বা উপত্যকা। তাওয়াং রয়েছে চিন-ভুটান সংযোগস্থলে। আর চাম্বার অবস্থান নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। তাওয়াং দখল করতে পারলে চিন দাবি করবে, অরুণাচল প্রদেশ তাদেরই অংশ।
আরও পড়ুন: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি
এদিকে, তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষ পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, তাওয়াং সীমান্তের কাছে গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন। এর পাশাপাশি একটি রাস্তাও তৈরি করেছে চিনা সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, ৯ ডিসেম্বর তাওয়াংয়ের (Tawang) ইয়াঙ্গাটসে অঞ্চলে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিন সেনার। ওই এলাকায় থাকা ভারতীয় সেনা বাহিনীর ছাউনি সরাতে আসে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। তাদের হাতে ছিল কাঁটাযুক্ত লোহার লাঠি। ভারত বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। বেশ কিছুক্ষণ পরে পিছু হঠে চিনা সেনা। জানা গিয়েছে, পক্ষকাল ধরে এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল চিন সেনা। এ ব্যাপারে ভারত প্রথমেই সতর্ক হয়ে যাওয়ায় দ্রুত বদলে যায় পরিস্থিতি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours