তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
স্যালাড হিসেবে, কিংবা স্যান্ডুইচে কয়েক টুকরো টম্যাটো (Tomato) ব্যবহার করা হয়। অথবা, যে কোনও নিরামিষ কিংবা আমিষ তরকারিতেও দেওয়া হয় টম্যাটো। আর নিয়মিত টম্যাটো খেলে উপকার অনেক! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত একটি টম্যাটো খেলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাই ভারী খাবারের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে কিংবা যে কোনও তরকারিতে টম্যাটো ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জেনে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো?
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (Tomato)
হৃদ সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের একাধিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এমনকি দেশ জুড়ে বেড়েছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। টম্যাটো হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং টম্যাটোয় শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত টম্যাটো খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়
টম্যাটো রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে (Tomato) থাকে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। তাই নিয়মিত টম্যাটো খেলে নানা ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। দেহে প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বিশেষ সাহায্য করে (Tomato)
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য টম্যাটো বিশেষ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে টম্যাটো খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস রুখতে নিয়মিত টম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
টম্যাটো অন্ত্রের জন্য ভালো। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টম্যাটো (Tomato) খেলে অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমতো হয়। এর জেরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়।
তবে, শিশু ও বয়স্কদের টম্যাটো খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টম্যাটো অনেক সময় হজম করতে সময় লাগে। বিশেষত হজমের সমস্যা থাকলে টম্যাটো নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। তাতে নানান সমস্যা বাড়তে পারে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিয়মিত টম্যাটো হজম করতে পারছে কিনা, সেদিকে নজর রেখেই মেনুতে টম্যাটো (Tomato) রাখা যাবে কিনা,তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours