Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

Narendra_Modi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government) ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) প্রতিটি রাজ্যকে মূলধন বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ফান্ড দেবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ফান্ড ৫০ হাজার কোটি থেকে ৭০ হাজার কোটি পর্যন্ত হতে পর্যন্ত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এমন বরাদ্দ বৃদ্ধির লক্ষ্য হল, রাজ্যের প্রকল্পগুলিকে আরও জোরদার করা। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ফান্ডিং পুরোটাই সুদ মুক্ত হতে চলেছে এবং ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে এই ফান্ডিং (Infrastructure Growth) রাজ্যগুলিকে করা হবে।

বিহার, গুজরাত, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য এসেছে প্রকল্পের আওতায়

প্রসঙ্গত, ২০২৪ অর্থবর্ষে (Union Government) বিহার, গুজরাট, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য সুদ মুক্ত এই ঋণের প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এই স্কিমের আওতায় সুদ মুক্ত ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মেয়াদ হবে ৫০ বছর। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে সাহায্য প্রদানের (Infrastructure Growth) জন্য এই স্কিমের বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

করোনা পরবর্তীতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই চালু হয় এই প্রকল্প

জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের (Union Government) মধ্যে ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ আনুমানিক ৮৮ হাজার কোটি টাকা- আবাসন, নগর পরিকল্পনা, যুব সমাজের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি, পুরনো সরকারি যানবাহন বাতিল এবং সংস্কার এই সমস্ত কিছুর কাজ করা হবে। প্রসঙ্গত, সুদ ছাড়া ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ২০২১ সালেই। সে সময়তে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যই এমন কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার।

‘‘কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মতো আচরণ করা হচ্ছে না’’

অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় (Union Government) অর্থমন্ত্রী হাজির ছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মত আচরণ করা হয়নি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকারের ১০ বছরের শাসনের সময় রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হত এবং মোদি জমানায় যতটা বরাদ্দ করা হয়, তার পরিসংখ্যান তিনি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় উৎপাদক ও রফতানিকারক হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি মোবাইল, আধা-পরিবাহী, পুনর্নবীকরণ শক্তির সরঞ্জামসহ অন্যান্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সীতারামন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share