India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

modi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক (Pakistan) মদতে জঙ্গি হানা হয়েছিল পুলওয়ামায়। বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে তার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত (India)। বর্তমানে ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা (India Pakistan) প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে বা কাশ্মীরে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আগের মতো আর চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। পাকিস্তান যদি তাদের ভারত বিরোধী কৌশলের অঙ্গ হিসেবে সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বাধীন ভারত সেনা নামিয়েই তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের পূর্ববর্তী রক্ষণাত্মক অবস্থানের তুলনায় নতুন এই অবস্থান একেবারেই পৃথক বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার… 

কেন্দ্রের তখতে নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পর জম্মু-কাশ্মীর (India Pakistan) থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। তারপর থেকেই প্রায় শান্তি ফিরে এসেছে একদা অশান্তির ভূস্বর্গে। তবে মাঝে মধ্যেই কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের মদতেই বারবার হিংসার ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। পাকিস্তানের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর জবাব দিয়েছে ভারত।

আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে কঠোর জবাব দিতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের (India Pakistan) সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর জবাব দিলেই দুদেশের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা।

আরও পড়ুুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার জবাব দেয় ভারত। ওই দিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। রিপোর্টে অবশ্য এও লেখা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেই বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারেও সদিচ্ছা দেখিয়েছে দুই দেশ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share