মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালজয়ী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৯২ বছর বয়সে চির ঘুমের দেশে চলে যান, যা গোটা ভারতবর্ষের কাছে মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে যাওয়ার থেকে কম ছিল না। আজও যা মেনে নিতে পারেন না ভক্তবৃন্দরা। দেবী সরস্বতীর বড় কন্যা হিসেবেই মানুষ তাঁকে মনে করতেন। সব কিছুর পিছনে তিনি অনেকবার বিতর্কের মাঝেও পড়েছিলেন। কখনও কর্মজীবনের পলিটিক্স, কখনও প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক, আবার অনেকের দাবি, তাঁর জন্য নাকি বহু গায়িকা তাঁর কেরিয়ারের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। তাই তাঁরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সাদামাটা জীবনযাপন করতেই অভ্যস্ত (Lata Mangeshkar)
যদিও লতা সব সময় নিজেকে বিতর্ক থেকে সরিয়ে রাখতেই পছন্দ করতেন। কখনও কোনও মিডিয়াতে তাঁকে মুখ খুলতেও দেখা যায়নি। লতা সাদামাটা জীবনযাপন করতেই অভ্যস্ত ছিলেন, করেননি বিয়ে। লতা মঙ্গেশকর অবিবাহিত হওয়ার পিছনেও ছিল নানান বিতর্ক, এমনকি অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি লাল টিপ পরতেন তা নিয়েও ছিল জল্পনা। সারাজীবন বিবাহ না করার এই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অনেক আগেই। ভাই-বোনদের স্নেহ দিয়ে ছোট থেকে বড় করে তোলার মধ্যেই তিনি তাঁর (Lata Mangeshkar) সারাটা জীবন অতিবাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এবার প্রসঙ্গ কপালে লাল টিপ কেন পরতেন?
কেন লতা অবিবাহিত হয়েও লাল টিপ পরতেন? (Lata Mangeshkar)
শোনা যায় একসময় BCCI প্রেসিডেন্ট রাজ সিং দুনগাপুরের সাথে তিনি প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। রাজ সিং ছিলেন লতার দাদা হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের ভালো বন্ধু। সেই সূত্রেই পরিচয় হয় লতার সাথে। ভালোবাসার সম্পর্ক তাঁদের মধ্যে অনেকটাই বেড়ে ওঠে আস্তে অস্তে। এমনকি রাজ সিং ভালোবেসে লতার নাম রাখেন মিঠু।পরবর্তীতে তাঁরা দুজন একে অপরকে বিয়ে করবেন বলেও স্থির করেন। কিন্তু রাজ সিং-এর বাবা এই সম্পর্ক মেনে নিতে নারাজ ছিলেন। যেহেতু লতা (Lata Mangeshkar) রাজ পরিবারের কন্যা ছিলেন না। তাই সেখানেই তাঁদের সম্পর্কের ইতি হয়। এরই মধ্যে শোনা যায়, তাঁরা দুজন গোপনে বিয়েও করেছিলেন। আর সেই সূত্রেই তিনি কপালে লাল টিপ পরতেন। কিন্তু এই বিষয়ে লতা কোনওদিন মুখ খোলেননি। তাঁর মতে, সংগীতের নামেই তিনি কপালে লাল টিপ পরতেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours