Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

Skoch_Award_for_Bengal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময় পর্ব থেকেই সারা বিশ্বে সবথেকে বেশি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে পড়াশুনার শিক্ষা ব্যবস্থায়। দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বন্ধ থাকায় শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ছুটি, পড়ুয়াদের পড়ার আগ্রহকে অনেকটাই কম করে দিয়েছে বলে, শিক্ষাবিদদের একাংশ দাবি করেছেন। এই প্রভাবকে কাটাতেই বীরভূমের স্কুল শিক্ষায় এক অভিনব মানবিক উদ্যোগের ছবি ধরা পড়েছে “আনন্দ পাঠ” দানে। জেলাশাসক বিধান রায় নিজের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিতে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এই উদ্যোগের ফলে এই বছর স্কচ পুরস্কার (Skoch Award for Bengal) পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”। এই পুরস্কারকে ঘিরে জেলাবাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা শাসকের হাতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কেন এই অভিনব উদ্যোগ(Skoch Award for Bengal)?

সমাজের পিছিয়ে থাকা শিশুদের লক্ষ করেই শিক্ষার আলো পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এই “আনন্দ পাঠে” শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছেন, বাবা-মা নেই  অথবা বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার সময় থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়াশুনার নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়াও রাজ্যের সীমাহীন স্কুল ছুটি, বিশেষ করে বাচ্চা-শিশুদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। এই কথাকে মাথায় রেখেই বীরভূম প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রদানের এক মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এই স্কচ সম্মানে (Skoch Award for Bengal) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

কীভাবে পড়াশুনা চলত আনন্দ পাঠ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় প্রাথমিকের স্কুলে পড়াশুনা করে, এমন বাচ্চাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানো হয়। ছড়ার ছলে, গল্পের ছলে, ছবি এঁকে বা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে, শিশুদের মনে পড়াশুনার আগ্রহকে চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়। বিষয় উপস্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনার আগ্রহকে বৃদ্ধি করার উপর নজর দেওয়া হয়। এছাড়াও পড়াশুনার বাইরের নান্দনিক বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ হয়েছে। একই ভাবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিশুদের পরিবারে যাতে একটা পড়াশুনার পরিবেশ বা বাতাবরণ তৈরি হয়, সেই ভাবনার উপরেও জোর দেওয়া হয়। আর এই পাঠকে সুনিশ্চিত করার কাজ করেছে “আনন্দ পাঠ”।  

মূলত একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক গ্রামে গ্রামে গিয়ে, সকালে ৭ টা থেকে ৯ টা  এবং বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত এই পড়াশুনার ক্লাস করান। এটা কোনও ক্লাসের পড়া নয়। পরোটাই শিশুদের মানসিক স্তরের উপর নির্ভর করে ক্লাস করানো হয়। এই অভিনব মানবিক উদ্যোগে স্কচ পুরস্কারে (Skoch Award for Bengal) সম্মানিত হওয়ায় খুশির আবহ বীরভূম জেলায়।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share