মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গুজরাট থেকে ৩ আইসিস জঙ্গিকে (ISIS) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুজরাট (Gujrat) এটিএস সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তিরা এক বছর ধরে তাদের রাডারে ছিল এবং অস্ত্র সরবরাহের প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের আটক করা হয়েছে। কাশ্মীরে পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সক্রিয় অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। এই বছরের শুরুতেই ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার আরও ৫ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
দু’টি পৃথক মডিউলের সদস্য (ISIS)
রবিবার আমেদাবাদ থেকে আইসিসের (ISIS) সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে যে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সারা দেশে জঙ্গি হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছে তারা। এটিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “জঙ্গিরা অস্ত্র বিনিময়ের জন্য গুজরাটে এসেছিল এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনাও করেছিল। আটক হওয়া তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি দু’টি পৃথক মডিউলের সদস্য। তাদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু কী এবং তারা কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা। বিশদ অনুসন্ধানের জন্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ!
এই বছরের শুরুতে গুজরাট (Gujrat) এটিএস ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার (AQIS) পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। যার মধ্যে বেঙ্গালুরুর এক মহিলাও ছিল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটি অনলাইন জঙ্গি মডিউল পরিচালনা করছিল সে। ধৃতদের নাম ফারদিন শেখ, সইফুল্লা কুরেশি, মহম্মদ ফাইক এবং জিশান আলি। গত ২২ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রধান অভিযুক্ত জিশান আলির কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং তাজা গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গুজরাট এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে নয়ডায় জিশান আলির বাসভবনে একটি অভিযানের সময় অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার বীরজিৎ সিংহ পারমারের নেতৃত্বে পুলিশ অফিসার নিখিল ব্রহ্মভট্ট এবং এআর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান চলে।
এই গোষ্ঠীর (ISIS) বিরুদ্ধে ‘গাজওয়া-ই-হিন্দে’র নামে হিংসাকে উস্কে দেওয়া, ভারতের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেওয়া এবং অমুসলিমদের লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারার অধীনে আইনি ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply