মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এজন্য আটটি রাজ্যের ৯ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠিও লিখেছিলেন। এবার তারই জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের সিদ্ধান্ত, ন’টি রাজ্যে প্রেসমিট করে এর জবাব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করছিলেন দিল্লি, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বাংলা, কেরল এবং জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। বিজেপির কৌশল হল, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যাঁরা তদন্তে ভয় পান, তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া। বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দিল্লির সাংসদ বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। বাংলার ক্ষেত্রে এই কাজটিই করবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিহারের ক্ষেত্রে সঞ্জয় জয়সওয়াল, উত্তর প্রদেশের ব্রিজেশ পাঠক এবং তেলেঙ্গনার সঞ্জয় বান্দি।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি কংগ্রেস…
আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়াকে। তারপর রবিবার কেন্দ্রের (PM Modi) বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে আটটি রাজ্যের ন’ জন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, ভগবন্ত মান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও আলাদা করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি কংগ্রেসের কেউ। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুুন: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর
প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দেশে নির্লজ্জের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক কার্যালয়ও রয়েছে। নির্বাচনী মাঠের বাইরে এভাবে হিসেবনিকেশ করার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল হচ্ছে না। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি থেকে শুরু করে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে গ্রেফতারিও। আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির অজম খান, এনসিপির নবাব মালিক ও অনিল দেশমুখ, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনেই কাজ করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply