মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতার করতে বাড়ির দোরগোড়ায় পুলিশ। যদিও প্রিয় নেতাকে গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচাতে রবিবার সকাল থেকে লাহোরে জামান পার্কে ইমরানের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) পার্টির নেতা-কর্মী-সমর্থক। ঘন ঘন তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন, আগে আমাদের ধরো, তারপর নেতার কথা ভেবো। ঘটনার জেরে এদিন দিনভর উত্তেজনা তামাম পাকিস্তানে।
ইমরান খান (Imran Khan)...
পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যেসব উপহার দেন সেগুলি সরকারি ভান্ডার বা তোষাখানায় জমা দিতে হয়। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান ওই সব উপহার চড়া দরে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে পাক নির্বাচন কমিশন ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন পিটিআই সুপ্রিমো। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। তার পর থেকে এ পর্যন্ত এই মামলার যতবার শুনানি হয়েছে, সবগুলিতেই অনুপস্থিত থেকেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ফরমান নিয়ে ইসলামাবাদ পুলিশ জামান পার্কে ইমরানের দুয়ারে পৌঁছে যায়। ইসলামাবাদ পুলিশ ট্যুইট-বার্তায় জানিয়েছে, লাহোর পুলিশের সঙ্গে একযোগে অভিযানে নেমেছে তারা। তবে ইমরানের (Imran Khan) বাড়ির সদর দরজা পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। কারণ ইমরানের দলের নেতা ফওয়াদ চৌধুরীর ডাকে জামান পার্কের আশপাশে ভিড় করেছেন পিটিআই নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ ইমরানের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলেই রাস্তায় শুয়ে পড়ছেন তাঁর দলের সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার এক আধিকারিক ইমরানের বাড়ির ভিতরে ঢুকেছেন। কিন্তু তাঁকে যে ঘরে বসতে দেওয়া হয়েছে সেখানে ইমরানের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুুন: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের
ইসলামাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পথে যাঁরা বাধার সৃষ্টি করবেন, আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও পুলিশের হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে প্রতিবাদ করেই চলেছেন ইমরানের দলের নেতা-কর্মীরা। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহের দাবি, ইমরানের গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত আদালতের। এ ব্যাপারে সরকারের কিছুই করার নেই। পুলিশ যখন ইমরানকে (Imran Khan) ধরতে তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন, তখন ট্যুইট-বার্তায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলছেন, পাকিস্তান ‘বিকামস এ ব্যানানা রিপাবলিক’।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours