মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর কুমারকুরুপা রোডে রয়েছে ‘অনুগ্রহ’। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি ঠিকানা এই বাড়িই। কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। তার পরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। অনুগ্রহের শিকে ছিঁড়বে কার ভাগ্যে?
কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন...
কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। তার মধ্যে ১৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। ম্যাজিক সংখ্যা ১১৩। প্রত্যাশিতভাবেই ‘অনুগ্রহে’র অনুগ্রহ কে পাবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কর্নাটকে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন দুজন। একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়ার পাশে রয়েছেন কর্নাটক (Karnataka Assembly) কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতা এবং বিধায়ক। তবে দিল্লিতে এআইসিসির ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর তেমন প্রভাব নেই। শিবকুমারের রয়েছে সাংগঠনিক দক্ষতা। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও সুবিদিত। শিবকুমার যখন জেলে ছিলেন, তখন দিল্লি থেকে কর্নাটক উড়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং।
আরও পড়ুুন: কংগ্রেসের দখলে কর্নাটক, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
সিদ্দারামাইয়া ওবিসি জনগোষ্ঠীর নেতা। পুরানো মাইসুরু অঞ্চলের বরুণা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জিতেওছেন। জয়ী হয়েছেন শিবকুমারও। তিনি নিজের পুরানো কেন্দ্র বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকার কনকপুরায় হারিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী আর অশোককে। তাই মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে রয়েছেন দুই নেতাই। এমতাবস্থায় আজ, রবিবার বেঙ্গালুরুতে নব নির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন (Karnataka Assembly) হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হবে দলের হাইকমান্ডের হাতে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন যদি কার পাশে কতজন বিধায়ক রয়েছেন, সেই নিক্তিতে হয়, তাহলে ‘অনুগ্রহে’র শিকে ছিঁড়তে চলেছে সিদ্দারামাইয়ার কপালেই। আর মুখ্যমন্ত্রিত্বের মানদণ্ড যদি আনুগত্য হয়, তাহলে কর্নাটকের রশি যেতে পারে শিবকুমারের হাতে।
কন্নড় রাজনীতিতে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে শিবকুমারের ঠান্ডা লড়াই সুবিদিত। তাই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ওবিসি সম্প্রদায়ের নেতা সিদ্দারামাইয়-ই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে ৩জনকে।
সমস্যা মিটবে কি? প্রশ্ন সেটাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours