Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের লোকজনের
Ambulance
Ambulance

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই মৃত্যু হল এক মুমূর্ষু রোগীর। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

সোমবার রাতে এক মুমূর্ষু রোগীকে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের লোকজন পরিচিত এক অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালককে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। রিপন সেখ নামে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক হাসপাতালে এসে রোগীকে গাড়িতে তোলেন। বের হওয়ার সময় হাসপাতালে থাকা অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। বাইরের কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) করে রোগী নিয়ে যাওয়া যাবে না। অ্যাম্বুল্যান্স চালক রিপন সেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই রোগীকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছি। তাই, ওরা আমাকে ডেকেছিল। এটা তো কোনও অপরাধ নয়। এদিন হাসপাতাল থেকে আমাকে রোগী নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর আমি পিছনের রাস্তা ধরে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে নিয়ে যাই। কিছুটা যাওয়ার পর কুলুর মোড়ে ওরা মাঝ রাস্তায় বুলেট রেখে আমাদের গাড়ি আটকায়। বাড়ির লোকজন কথা বলতে গেলে আরিফ সেখ, জিয়ারুল সেখ, সানি সেখ-এর নেতৃত্বে দলবল মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর কোনওরকমে সেখান থেকে কিছুটা যাওয়ার পর রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। ওই অবস্থায় ফের সালার হাসপাতালে আমরা ফিরে আসি। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

মৃতের ছেলে সাকিব আলি বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরির জন্য আমার মাকে অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে, আমাদের ওরা মারধর করে। সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর জন্য এই অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকরা দায়ী। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles