Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে ৩দিন আটকে ৪০ শ্রমিক, আজই উদ্ধারের সম্ভাবনা, জানাল প্রশাসন

কীভাবে উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের আটকে পড়া শ্রমিকদের?
Untitled_design(339)
Untitled_design(339)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) দেরাদুনের কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে ধস নামে। ৭০ ঘণ্টা ধরে সেখানে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। এখনও তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার কাজ খুব তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ। উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা ও দাদলাগাঁওয়ের মাঝে এই ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী টানেলে ধসের জেরে ৪০ জন শ্রমিক সেখানে আটকে পড়েন। জানা গিয়েছে, ১৬০ জনের উদ্ধারকারী দল সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করার সবরকম চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে বার বার উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। নতুন করে এলাকায় ধস নামায় উদ্ধারকর্মীরা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। নতুন ড্রিল মেশিন নিয়ে এসে ফের উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। সে রাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছে, একটি পাইপের মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার পৌঁছানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ওই ৪০ জন আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন একজন। এছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা থেকেও অনেকেই রয়েছেন সেখানে। 

শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে প্রশাসনের

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, টানেলে আটকে পড়া ৪০ জনকে যথাযথভাবে অক্সিজেনও সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে উদ্ধারকারী দলের সংযোগ রয়েছে। ওয়াকি টকিতে চলছে কথা। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সুস্থ ও অক্ষত রয়েছেন। ড্রিল করে একটি পাইপ ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই পাইপ দিয়েই শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতে পারবেন। মঙ্গলবার সেই পাইপ ঢোকানোর প্ল্যাটফর্ম (Uttarakhand) তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গেছিল। কিন্তু নতুন করে ধস নামায় সেই কাজ আটকে যায়। আবার নতুন করে ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু করতে হয়।

কীভাবে উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে শ্রমিকদের?

কাজ চলাকালীন একটি ২০ মিটারের পাথরের স্ল্যাব সুড়ঙ্গের রাস্তা বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন (Uttarakhand)। ৩ ফুট ব্যাসের অনেকগুলি পাইপ সুড়ঙ্গে ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে ঢোকানো হবে। তারপর পাইপগুলি একটার পরে একটা জুড়ে এরপর প্যাসেজ তৈরি করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরকাশীর জেলাশাসক অভিষেক রুহেলা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘সব ঠিক থাকলে বুধবারের মধ্যে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যাবে।’’ উত্তরাখণ্ডে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। ইদানীং প্রায় গোটা বছর ধরেই পাহাড়ে ধস নামতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে জোশীমঠে বিরাট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles