মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধলতা নেওয়ার অভিযোগে কৃষকেরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মালদা (Malda) নালাগোলা রাজ্য সড়কের মোটর কালী মোড়ে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি। এই ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে সরব হয়েছেন এলাকার চাষিরা। দিন কতক আগে এই একই অভিযোগে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ি এবং বর্ধমানের চাষিদের। ধানের ওজনে কারচুপি করে, দামে কম দিয়ে কৃষকদের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ (Malda)
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্য ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগের কথা তুলে পথ অবরোধ করলেন করলেন কৃষকেরা। এদিন কৃষকেরা বেলা ২টোর সময় ধান বোঝায় ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি ১৫% ভেজা থাকার ফলে তাঁদের কাছ থেকে কেন ধলতা চাওয়া হচ্ছে? কিছুতেই ধলতা দেবেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। ধলতা দেওয়া মানেই হল, ধানের মূল ওজন থেকে অনেকটা পরিমাণ ধানের ওজন বাদ দেওয়া এবং মূল্যও কম দেওয়া। এরপর প্রতিবাদে প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলে সড়কে। খবর পেয়ে লালগোলা (Malda) আউট পোস্টের ওসি সিদ্ধার্থ রায়ের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।
কৃষকদের বক্তব্য
ধলতার প্রতিবাদে চাষি প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “সকাল ১০ থেকে আমরা ধান নিয়ে আমরা ক্রয় কেন্দ্রে বসে রয়েছি। কিন্তু সরকারি অফিসারার এসেছেন বেলা ২ টোর সময়। অথচ তাঁদের আসার সময় সকাল ১১ টায়। এরপর ধান মাপা হলে মসচার এসেছে ১৫.২ শতাংশ, তাই ধানের ওজন থেকে ৪ কেজি ধালতা হিসাবে বাদ দিয়ে দাম ধরা হচ্ছে। এখন সমস্যা হল যদি এভাবে চলে তাহলে কুইন্টাল প্রতি ওজন ৫ থেকে ৬ কেজি বাদ দেওয়া হবে। তাই এই ভাবে আমাদের ধানের দাম কম দিলে আমরা মানব না। তাই প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে মোটরকালী মোড়ে (Malda) সড়ক অবরোধ করলাম। সরকারি কোনও আধিকারিক আমাদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা করেননি। আমরা স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি ধানে কোনও চুরি মানবো না।” এছাড়াও ফজিরুল ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, “আগেও তো ধান বিক্রি করেছি, কিন্তু তখন ধলতা দিতে হয় নি। এবার আমরা ধলতা দেবো না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours