Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

Barrackpore: বারাকপুরে সোনার দোকানে ঢুকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
Barrackpore_(7)
Barrackpore_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম আশিস কুমার ওরফে আসিফ নামে একজন পাটনায় এক অধ্যাপিকা সহ দুজনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল। সেই দুষ্কৃতী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনার পর তার নাগাল পায়নি পুলিশ।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?

২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পাটনার অভিজাত পাটলিপুত্র কলোনিতে এক আইএএস অফিসার টুকটুক ঘোষ এর বাংলোয় ডাকাতি করতে আসে আশিস কুমার সহ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন আইএএস অফিসারের বোন পাপিয়া ঘোষ। তিনি দিল্লি ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা ছিলেন। সেই সঙ্গে খুন হন তাঁর বৃদ্ধা পরিচারিকা মালতি দেবী। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে ৩৪ বার নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল ৫৩ বছরের পাপিয়াকে। তাঁর বাবা পাটনার আইএএস অফিসার উজ্জ্বল কুমার ঘোষও খুন হন ১৯৫৭ সালে। তার ঠিক ৫০ বছর পর নৃশংসতায় খুন হন তাঁর মেয়ে। বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। তাঁর শিক্ষা দফতরের কাজে অন্যতম সহায়িকা ছিলেন পাপিয়া। তাঁর দিদি টুকটুক ঘোষ তখন ছিলেন লোকসভার তৎকালীন স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ সচিব। দেশের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দেওয়া সেই খুনে ধরা পড়েছিল আশিস কুমার নামের এক দুষ্কৃতী। ২০০৮ সালে সেই খুনে সাজা হয় আশিসের। সাজা শেষ করে গত বছরই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সেই আশিসই নাম পাল্টে আসিফ নাম নিয়ে অপরাধ জগতে পা দেয়। বারাকপুরের (Barrackpore) স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে খুনের ঘটনায় এই আশিসের ওরফে আসিফের যোগ উঠে এসেছে তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে। আশিস ওরফে আসিফই বারাকপুরের (Barrackpore) ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এমনটাই উঠে এসেছে পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের হাতে।

অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীর সোনার দোকানে যে চারজন দুষ্কৃতী ঢুকেছিল, তারমধ্যে শফি খান, জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আসিফ সহ দুজন পলাতক। সূত্র অনুযায়ী, আসিফের মোবাইল টাওয়ারের শেষ লোকেশন ওড়িশায় পাওয়া গিয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শফি ২২ লক্ষ টাকা ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছিল। পরে, ছাড়া পেয়ে পরিবার নিয়ে সে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। কিন্তু সেখান থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে সে রহড়ার পাতুলিয়ার একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। ঘটনায় আর এক ধৃত শফির মামা জামশেদ আনসারিও একটি অপহরণের ঘটনায় বিহারের ভাগলপুর জেলে বন্দি ছিল। সেখানে আসিফের সঙ্গে তার আলাপ। জেল  থেকে বেরিয়ে ফের অপরাধ জগতে পা রাখে তারা।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles