Train Accident: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

ট্রেন ছোটার পর হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে দেখা গেল আইআইটি পাশ রেলমন্ত্রীকে
rail(1)
rail(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার লড়াই শেষ। বালাসোরের রেল ট্র্যাকে গড়াল ট্রেনের চাকা। এমন একটি মুহূর্তে চোখে জল এল রেলমন্ত্রীর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই রেলপথ দিয়ে রবিবার রাতে ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। রাত দশটা চল্লিশ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালান রেলের আধিকারিকরা। এরপর রাত ১১:৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২:০৫ মিনিটে। দুর্ঘটনার রাত থেকেই রেলমন্ত্রী একের পর এক উচ্চপদস্থ বৈঠক করতে থাকেন। পরের দিন সকালেই হাজির হয়ে যান বালাসোরের ময়দানে। কামরার ভিতরে ঢুকে উদ্ধারকাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখা, লাইন মেরামতি সহ সব কিছুই করেছেন তিনি। টানা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) রয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন ছোটার পর হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে দেখা যায় আইআইটি পাশ রেলমন্ত্রীকে।

ট্রেন চালুর পর কী বললেন রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন কর্মীদের কাজে গতি বাড়ানোর জন্য। ৫১ ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন মেরামত করে আপ-ডাউন লাইনে তিনটি মাল গাড়ি চালানো হয়েছে। সোমবার সাতটি গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ এই সময় দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় রেলমন্ত্রীর চোখে জল দেখা যায়। এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘দায়িত্ব এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যেসব পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনদের খোঁজ পায়নি, তারা যাতে তাড়াতাড়ি তাদের খুঁজে পেতে পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’’ প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনায় (Train Accident) ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় রেলের তরফ থেকে। যদিও রবিবার ওড়িশা সরকার জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২৭৫‌। মৃতদেহ গণনার সময় একই দেহ একাধিকবার গোনার ফলে এই সংখ্যা ২৮৮ তে পৌঁছে যায়।

আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

শুক্রবার রাতেই পাল্টে যায় গোটা বালাসোর জেলার চিত্র

হাহাকার, আর্তনাদ, লাশের স্তূপে শুক্রবার রাতেই বদলে যায় সমগ্র বালাসোর জেলার চিত্র। জানা গিয়েছে, এখনও শতাধিক মৃতদেহ চিহ্নিত করা যায়নি এবং তাদের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই মৃতদেহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বরে। ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যে ছবি প্রকাশ করেছে। এই ছবি দেখে কেউ নিকটাত্মীয়দের শনাক্ত করতে পারলে ১৯২৯ হেল্প ডেস্ক নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছিল আস্ত একটা মর্গে।এছাড়াও ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল এই মৃতদেহগুলিকে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles