Howrah: ছিটকে পড়ে শিশুর হাত আটকে গেল চলমান সিঁড়িতে, ভয়াবহ ঘটনা শপিং মলে!

Howrah: শপিং মলে শিশুর হাত আটকে গেল চলমান সিঁড়িতে! তারপর?
tometo(1)
tometo(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল হাওড়ার (Howrah) একটি শপিং মল। বুধবার বাবা-মায়ের সঙ্গে হাওড়ার একটি শপিং মলে এসেছিল পাঁচ বছরের এক শিশু। শপিং মল থেকে চলমান সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় ছিটকে পড়ে যায় শিশুটি। এমন অবস্থায় তার হাত আটকে যায় সিঁড়িতে। যদিও শপিং মলের অন্য ক্রেতারা জানিয়েছেন, ওই শিশুটির হাতে ছিল একটি বেলুন। শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে এসকালেটর বা চলমান সিঁড়ি দিয়ে একতলায় নামছিল। সেই সময় শিশুর হাত থেকে উড়ে যায় বেলুনটি। সেটি আটকে যায় এসকালেটরের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিও সেই বেলুনটি নেওয়ার জন্য দৌড় দিতে থাকে। এরপর এসকালেটরে হাত ঢোকাতেই তার হাতটিও আটকে যায়।

ইঞ্জিনিয়াররা এসে বন্ধ করেন চলমান সিঁড়ির (Howrah) বিদ্যুৎ সংযোগ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন শপিং মলের নিরাপত্তা কর্মীরা। এরপর ইঞ্জিনিয়াররা চলমান সিঁড়ির  বিদ্যুৎ সংযোগ  বিচ্ছিন্ন করে সেটিকে বন্ধ করে দেন। কিন্তু তারপর নানাভাবে তার হাতটিকে টেনে বার করার চেষ্টা করলেও তা করা যায়নি। প্রায় দু'ঘণ্টা ওইভাবে আটকে থাকার পর চলমান সিঁড়ি খুলে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় শপিং মলে (Howrah) । সমস্ত ক্রেতাদের মল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

ঘটনায় পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শপিং মলে (Howrah) বহু মানুষ দাঁড়িয়ে যান। চলমান সিঁড়ি খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তার হাতে চোট লেগেছে। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সকে এসকর্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে যাঁরা শপিং করতে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শপিং করতে আসা এক ভদ্রমহিলা বলেন, ‘‘যেভাবে শিশুটির হাত আটকে যায়, সকলেই খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু দ্রুত পুলিশ এসে প্রথমে শপিং মল খালি করে দেয়। তারপর চলমান সিঁড়ি বন্ধ করে ছেলেটিকে উদ্ধার করে। ভগবানের কৃপায় বড় কোনও চোট লাগেনি। শুধুমাত্র দীর্ঘক্ষণ শিশুটিকে আটকে থাকতে হয়। সে নিজের হাত বার করতে না পেরে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। পরে পুলিশ কর্মী ও অন্যান্যরা তাকে বুঝিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। অবশেষে হাত বেরিয়ে এলে শিশুটি আনন্দে তার পরিবারের লোকেদের জড়িয়ে ধরে।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles