মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই জেলার হাসপাতাল। অপরিচ্ছন্নতার কারণে সেই হাসপাতালই যেন হয়ে উঠেছে ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর। এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমরিয়াল (জেএনএম) হাসপাতালের ঘটনা। রোজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী। অথচ হাসপাতালের মধ্যেই নোংরা, আবর্জনা এবং জমা জলের অপরিচ্ছন্নতায় সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল পাননি। ফলে সাংবাদিকদের সামনে বেহাল পরিস্থিতির কথা বলে সরব রোগীর পরিবার। আজ কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নদিয়ার হাঁসখালি গ্রামের আরও এক ১১ বছরের বালকের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারাগেছে বলে জানা গেছে।
কেমন অবস্থা হাসপাতালের (Nadia)?
হাসপাতালের (Nadia) ভিতরে ঢুকতেই গেলে দেখা যাবে, যত্রতত্র পড়ে আছে আবর্জনা ও জমা জল। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের। একদিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের, অন্যদিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে উদাসীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একাধিক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, গোটা হাসপাতাল চত্বর ভরে গেছে জলা জঙ্গলে। আর সেখান থেকেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। হাসপাতালের শৌচালয়গুলির এতটাই ভগ্নদশা যে ব্যবহারের যোগ্য নয়। দুর্গন্ধে ভিতরে প্রবেশ যায় না। যদিও রোগীরা ভর্তি থাকার কারণে অব্যবস্থার মধ্যেই হাসপাতালে রাত্রিবাস করতে হয় পরিবারদের। এখন দেখার হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে কী ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষে। নাকি এভাবেই অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হবে হাসপাতাল।
রোগীর পরিবারদের বক্তব্য
হরিণঘাটা (Nadia) থেকে স্বামীকে নিয়ে আসা এক রোগীর স্ত্রী পূর্ণিমা দাস বলেন, গতকাল ৩ টের সময় আমি আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার স্বামী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। রাত ৯ টার সময় ডাক্তার স্বামীকে দেখে গেছেন। এদিকে হাসপাতালের টয়লেট খুব নোংরা, ভিতরে ঢোকা যায় না। তিনি আরও বলেন, রোগীর আত্মীদের যেখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই প্রচুর ময়লা আর জল জমে রয়েছে। সংক্রমণের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। রোগী সুস্থ হবে কম, রোগী অসুস্থ হবে বেশি এই হাসপাতালে।
উল্লেখ্য গতকাল একই দিনে ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছে নদিয়ার দুই বাসিন্দার। এর মধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রানাঘাটের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর এক মহিলার। প্রত্যেকেরই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যে এই বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নদিয়া জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours