Road Accident: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

metro(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল বেহালা। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম সৌরনীল সরকার। এই ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় গোটা এলাকায়। জনতার রোষে পুলিশের ভ্যান দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বেহালায়। সরকারি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। স্থানীয়দের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার রোডও বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ করে। অভিযোগ, দুর্ঘটনার (Road Accident) পর লরিচালককে ধরা গেলেও, পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। পরে, সকাল দশটা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা নামক জায়গা থেকে লরি চালককে গ্রেফতার করেছে হাওড়া ট্রাফিক পুলিশ।

জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ মাটি বোঝাই একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে। তার বাবা ছিটকে গিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খুদে পড়ুয়ার (Road Accident)। গুরুতর জখম তার বাবা সরোজ সরকারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। বর্তমানে, এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন পড়ুয়ার বাবা। এদিকে, এই দুর্ঘটনার পরই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় (Road Accident)। পথচলতি সাধারণ মানুষকে এই কারণে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এরপরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী ও পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে বলে খবর রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি

এদিন বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন যে পুলিশ নিজের কাজ করে না। ঘুষ খেতে ব্যস্ত। পুলিশ সচেষ্ট হলে এমন ঘটনা কি ঘটতে পারে? এদিন স্কুলের অভিভাবকদের মুখেও শোনা যায় ক্ষোভের সুর। তাঁরা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলতে থাকেন যে স্কুলের সামনে কোনও ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। দূরে যারা বসে থাকে তারা সবসময় ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে। অন্যদিকে বড়িশা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমার একটি ছেলেকে এইভাবে হারাতে হবে (Road Accident) আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। পুলিশ যদি সচেতন হতো, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share