মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাক কাণ্ড! এরকম বিজ্ঞাপন আগে দেখেছেন বলে মনে হয় না। রীতিমতো ভিজিটিং কার্ড ছেপে হাফ মার্ডার না ফুল মার্ডারের সুপারি চেয়ে আবদেন জানানো হচ্ছে। এলাকায় পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিং এলাকায়। এরকম ভিজিটিং কার্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশেরও। তবে, স্বঘোষিত সুপারি কিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেনি পুলিশ। ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রাম থেকে স্বঘোষিত মস্তান মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে গ্রেফতার করা হয়।
ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Paraganas)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দু-তিন দিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এই ভিজিটিং কার্ডের খবর মিলছিল। পাশাপাশি সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এ সম্পর্কে পোস্টারও চোখে পড়ে অনেকের। পোস্টারে কার্ড ছাপিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রীতিমত নিজের ছবি, ফোন নম্বর দিয়ে মানুষ মারার জন্য 'সুপারি কিলিং'এর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। রেটও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাফ মার্ডার করলে ৫০ হাজার এবং ফুল মার্ডার করলে ১ লক্ষ টাকা। ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করে চলছে প্রচার। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্যানিং থানার বিশেষ তদন্তকারী দল সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে হানা দেয় ধর্মতলা গ্রামে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি দেশি বন্দুক ও দু রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ধৃতের বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিল এই মোরসেলিম। এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ভাগ্নে ওই যুবক। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেও ক্যানিং থানার পুলিশ এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু, সেই সময় নাবালক হওয়ার কারণে জামিন পেয়ে যায় মোরসেলিম।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই কার্যত এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই ভয় দেখাত এই অভিযুক্ত। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য সুপারি নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে। পুলিশি জেরায় নিজের অভিযোগ শিকার করেছে অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মানুষ মারার বিজ্ঞাপনের ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours