মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) টাঙ্গন এবং পুনর্ভবা নদীর জল বিপদ সীমার উপরে বইছে। জেলা সেচ দফতর সূত্রে এই খবর জানা গেছে। টাঙ্গন নদীর জলে কুশমন্ডি এলাকার বেশ কিছু গ্রামের কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। জলে ভেঙে গেছে রাস্তা, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ পরিষেবা। জলমগ্ন এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অতি বর্ষণে সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত।
প্লাবিত গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur)
চারদিনের প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল কয়েকটি গ্রাম। ভেঙে গিয়েছে যাতায়াতের রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলে ব্লক প্রশাসন ও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলাজুড়ে ৬৬ টি শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুরে বাঁধে ফাটল দেখা যায়। সোমবার সকালে সেই বাঁধ ভেঙে যায় ৷ এর পরই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এলাকায় জলে ডুবে গেছে ধানক্ষেত এবং সবজি চাষের জমি৷
বন্ধ হাসপাতালের পরিষেবা
অধিক বর্ষণের ফলে হরিরামপুর (Dakshin Dinajpur) গ্রামীণ হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ। কিছু রোগীকে ছুটি দিয়ে বাকিদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের বহু ওষুধ জলে ভেসে গেছে। হরিরামপুর হাইস্কুলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর।
আত্রেয়ী নদীর জলে প্লাবিত এলাকা
এদিকে বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) আত্রেয়ী নদীর জলে বিভিন্ন নিচু এলাকায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। শহরের আত্রেয়ী কলোনি এলাকায় এদিন সকাল থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। বাড়িঘর জলমগ্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য
জলমগ্ন এলাকার স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) এক ব্যক্তি বলেন, “গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের সাবডিভিশনে কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে, এবং গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। আমরা খুবই কষ্টে রয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আশ্রয় দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
প্রশাসনের বক্তব্য
এই বিষয়ে জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গঙ্গারামপুর মহকুমাতে সবচেয়ে বেশি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জেলাতে মোট ৬৬ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, তাতে সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours