মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) সরব হয়েছিলেন। তারপরই হাসপাতাল জুড়ে দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছিলেন সামসেদ আলি। কামারহাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুঁতবাগান এলাকার বাসিন্দা সামসেদ সাহেবের এটাই ছিল অপরাধ। আর সেই অপরাধের জন্যই তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালালো দালাল চক্রের লোকজন। হামলা চালানোর পাশাপাশি সামসেদ সাহেবের পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
গত দুদিন আগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দক্ষিণ দমদমের এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে দালাল চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, ৬০০০ টাকা দাবি করে মুকিম খান, জামশেদ আলিরা। জামশেদ হাসপাতালের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মূলত দালালচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিষয়টি পরে জানতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) হস্তক্ষেপ করেন। ওই রোগীকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানতে পেরেই মদন মিত্র হাসপাতালে এসে প্রকাশ্যে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরব হন। জামশেদ আলি, মুকিম খানের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বিধায়ক ঘুরে যাওয়ার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সামসেদ আলি সহ অন্যান্য কয়েকজন কর্মী সাগর দত্ত হাসপাতালে জামশেদ আলির ছবি দিয়ে পোস্টার লাগান। জামশেদ আলিকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্যই এই পোস্টারিং বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করা হয়। রবিবার রাতে সামসেদ আলির বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছুড়ে ভাঙচুর করে তারা। সামসেদ আলিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও পরে এলাকার লোকজন জড়ো হতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। সামসেদ আলির স্ত্রীর বক্তব্য, হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, এটাই আমার স্বামীর অপরাধ। দুষ্কৃতীরা বাড়ি বয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। আমার স্বামী বের হলে ওকে বোমা মেরে খুন করে দিত বলে আমাদের আশঙ্কা। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? (Madan Mitra)
তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, এনআরএস, এসএসকেএম হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল। আমরা প্রকাশ্যে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি পুলিশের কাছে, তবু পুলিশ এই দালাল চক্রের পান্ডাদের ধরার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই হাসপাতালে দালালি করেই প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা রোজগার করে দালালরা। এদের পিছনে কেউ রয়েছে। টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়। আমরা চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours