মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল মালদার তৃণমূল নেতা তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। প্রতারিত এক ব্যক্তি চাকরি না পেয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম দেবাশিস দেবনাথ। বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোয় কর্মরত তিনি। অভিযুক্ত হোমগার্ড দেবাশিসের বাড়ি ময়নাগুড়ির পানবাড়িতে এবং শ্বশুরবাড়ি কোচবিহার জেলার ঘোষকাডাঙা এলাকায়।
ঠিক কী অভিযোগ?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় দিনকয়েকআগে অভিযোগ দায়ের করেন কয়েক জন প্রতারিত যুবক। শুক্রবার অভিযোগকারীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগকারীরা কোন কোন মাধ্যমে হোমগার্ডকে টাকা দিয়েছিলেন, সে সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের বড় কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেকে প্রভাবশালী প্রমাণ করে দেবাশিস টাকা তুলত। গত আড়াই বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। মূলত, প্রতারিতরা টাকা দিয়ে এতদিন অপেক্ষা করছিলেন। চাকরি না হওয়ায় তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। এ দিন ময়নাগুড়ি থেকে দেবাশিসের স্ত্রী দীপা দেবনাথ বলেন, তাঁর স্বামীর এই সব ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিছু দিন ধরে তিনি বাড়ি আসছেন না এবং বাড়িতে বেশকিছু লোকজন যাওয়া-আসা করায় তাঁরও সন্দেহ হয়েছিল, কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে।
প্রতারিতরা কী বললেন?
প্রতারিতদের বক্তব্য, কেউ পাঁচ লক্ষ, কেউ আবার ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সুশান্ত, দেবাশিসকে আলাদাভাবে সকলেই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো তারা কথা রাখেনি। তাই, বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?
দু'জনকেই পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ' করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার চক্র জেলাজুড়ে রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। আর দেবাশিস আর সুশান্তের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবহালে বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours