Khardah: তৃণমূল কাউন্সিলারকে মেরে পা ভাঙল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীরা, কেন জানেন?

খড়দায় তৃণমূল কাউন্সিলারকে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত দলের কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে
Khardah_(1)
Khardah_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামী মুখোপাধ্যায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে হাইমাস্ট লাগানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। প্রাক্তন কাউন্সিলর সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা যে জায়গায় হাইমাস্ট লাগাতে চাইছেন, বর্তমান কাউন্সিলার তা মানতে রাজি নন। এই নিয়ে এদিন দুপুরে গন্ডগোল বাঁধে। এদিন হাইমাস্ট লাগানোর জন্য কর্মীরা আসলে প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুগামীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলরের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরেই প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুগামীরা বর্তমান কাউন্সিলরের ভাইকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বর্তমান কাউন্সিলর। তাকে মারধোর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়। কাউন্সিলারের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, তৃণমূল কাউন্সিলার খড়দা (Khardah) থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামী মুখোপাধ্যায় বলেন, বিধায়ক আমার ওয়ার্ডের তিনটে হাইমাস্ট আলো লাগাতে দিয়েছিলেন। পুজোর আগে সেই আলো লাগানোর কথা। আমরা তিনটের জায়গাও পছন্দ করেছি। আজ সেই আলো লাগাতে গিয়ে গন্ডগোল বাধে। প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীরা আমার ভাইকে প্রথমে মারধর করে। আমি বাঁচাতে গেলে ওরা শ্লীলতাহানি করে। এরপর আমাকে বেধরক মারধর করে আমার পা ভেঙে দেয়। প্রাক্তন কাউন্সিলার একজন তোলাবাজ। আমার ওয়ার্ডেই তোলাবাজি বন্ধ করে দিয়েছি, এটাই আমার অপরাধ। সব থেকে আমি অবাক হয়েছি, ঘটনার পর খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারপার্সন নিলু সরকারকে আমি ফোনে অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁকে আমার কাছে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে একবারও দেখাও করলেন না। পা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছি অথচ পুরসভার চেয়ারপার্সন তিনি আমার বাড়ি আসার প্রয়োজন বোধ করলেন না। আমার প্রশ্ন তিনি কি তাহলে প্রাক্তন কাউন্সিলারের পক্ষে লোক? ওই সমস্ত বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ সকলকে জানিয়েছে।

প্রাক্তন কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

প্রাক্তন কাউন্সিলার সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কাউন্সিলারের আনা অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আসলে হাইমাস্ট আলো লাগানোর একটা জায়গা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। একটি ক্লাবের সঙ্গে হয়েছিল। ক্লাবের ছেলেরা মাঠের মধ্যে হাইমাস্ট লাগাতে চেয়েছিল, আর কাউন্সিলর রাস্তার পাশে লাগাতে চেয়েছিল। এই নিয়ে গন্ডগোল। সেখানে আমি ঘটনাস্থলে ছিলামই না। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles