মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনেই হয়েছেন বিডিও বদলি। বিডিওকে ফেয়ারওয়েল জানানোর জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজনও করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ, কর্মীর সংখ্যা কম ছিল না। সকলের সামনেই কেঁদে উঠলেন তৃণমূল বিধায়ক (MLA) সুকুমার দে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মীরা। প্রকাশ্যে এসেছে ভিডিও। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা নন্দকুমারে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
বিডিও হিসেবে শানু বক্সি বেশ কিছুদিন ধরেই নন্দকুমার বিডিও অফিসে ছিল। অন্যত্র বদলি হতেই কর্মীদের উদ্যোগে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক (MLA) হিসেবে সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সুকুমার দে। অনুষ্ঠানে সকলেই বিডিওকে নিয়ে কথা বলেন। বিধায়কও তাঁর গুণকীর্তন করেন। পরে, তিনি আচমকাই বিডিও-র পাশে বসেই কাঁদতে শুরু করেন। প্রকাশ্যে এভাবে বিধায়ককে কাঁদতে দেখে অনেকে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার মহিলা বিডিও শানু বক্সি এবং বিধায়কের দুর্নীতির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, বিডিও-র বদলির জন্য বিধায়ককে এভাবে কাঁদতে দেখে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই অবাক হয়েছেন।
বিডিও-র বদলিতে কান্না নিয়ে কী ব্যাখ্যা দিলেন বিধায়ক? (MLA)
প্রকাশ্যে কান্নার ভিডিও সামনে আসতেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বিধায়ক। যদিও এই বিষয়ে ব্যখ্যা দিয়ে সুকুমারবাবু বলেন, বিডিও-র আন্তরিকাতা, ভালবাসা সকলের মনেই দাগ কেটেছে। তাই আবেগতাড়িত হয়ে আমি আর চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। এর অন্য কোনও অর্থ খোঁজা ঠিক নয়।
কী বললেন বিডিও?
অন্যদিকে বিডিও শানু বক্সি বলেন, এখানে কাজ করার সময় কখনও অফিসে কাজ করছি বলে মনে করিনি। সবসময় বাড়ি বলে মনে করেছি। পরিবারে সঙ্গে যে ভাবে থাকি, সেভাবেই অফিসে থাকতাম। এদিন সকলের কাছে বিদায়ী সংবর্ধনা পেয়ে ভাল লাগছে।
বিরোধীরা কী বলছে?
যদিও ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলেও। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, ওরা তো দু'জনে মিলে দুর্নীতি করেছেন। এখন বিডিও চলে যাচ্ছেন। সঙ্গী চলে যাওয়ায় দুঃখেই কেঁদে ফেলেছেন বিধায়ক (MLA)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours