Peter Higgs: ‘ঈশ্বর কণা’র আবিষ্কারক নোবেলজয়ী পদার্থবিদ পিটার হিগস প্রয়াত ৯৪ বছর বয়সে

triyuginarayan_temple(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন পদার্থবিদ পিটার হিগস। প্রসঙ্গত, তিনিই ছিলেন প্রথম বিজ্ঞানী (Peter Higgs) যিনি বলেছিলেন, এক বিশেষ কণার কথা যা পদার্থকে ভর জোগায়। তাঁর এই তত্ত্বের জন্য পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারও। প্রসঙ্গত সৃষ্টির রহস্য সন্ধানে বিগ ব্যাং তত্ত্ব বিজ্ঞান জগতে আলোড়ন এনেছিল। এর পাশাপাশি সৃষ্টির রহস্য ব্যাখ্যা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল হিগস-বোসন কণা। যা ‘ঈশ্বর কণা’ নামেও পরিচিত। প্রসঙ্গত, এই ‘ঈশ্বর কণা’র সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামও।

৫ দশকের কাছাকাছি করেছেন অধ্যাপনা

প্রায় ৫ দশকেরও কাছাকাছি (Peter Higgs) সময় ধরে পিটার হিগস অধ্যাপনা করেন এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ”সোমবার ৮ এপ্রিলে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন প্রকৃত একজন প্রতিভাবান বিজ্ঞানী। যাঁর দূরদর্শিতা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে।”

১৯৬৪ সালেই ঈশ্বর কণার কতা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন হিগস

১৯৬৪ সালে ঈশ্বর কণা (Peter Higgs) অস্তিত্বের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন এই বিজ্ঞানী। যেকোনও কণাকে ভর জোগায় যে কণা, সেই কণাই হল ঈশ্বর কণা। আদতে মহাবিশ্বের সবকিছু যে কণার সুবাদে ভর পেয়েছে সেটাকেই ঈশ্বর কণা নামকরণ করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত প্রচার বিমুখ ছিলেন এই বিজ্ঞানী। এমনটাই জানা যায়। নোবেল জয়ের খবর চোখে জল আসে তার এবং শুধু বলেন, ‘‘কখনও কখনও জেনে ভালো লাগে যে আমি ঠিক ছিলাম।’’ 

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের বিবৃতি

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পিটার ম্যাথিসন বলেন, ‘‘হিগস একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব (Peter Higgs) এবং অসাধারণ বিজ্ঞানী। তাঁর দৃষ্টি এবং কল্পনা বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। হাজার হাজার বিজ্ঞানী তাঁর কাজে অনুপ্রাণিত হন। আগামী প্রজন্ম তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share