মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের শক্ত জমি আলগা হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি বিরোধীদের। শাসক দলের নেতাদের একাংশ সেটা জানেন। আর তাই ভোটের আগের দিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রামে টাকা, কাপড় বিলির অভিযোগ। আর তা ঘিরেই তুমুল হইচই বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের তাড়া খেয়ে চটি ফেলে মোটর সাইকেল নিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ। তৃণমূল নেতার ছুটে পালানো দেখে এলাকার লোকজনও নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)
বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। দলের পক্ষে ভোট করাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতা তথা পুরাতন গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। অভিযোগ, রবিবার বসন্তপুর গ্রামে ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করার কাজ করছিলেন তিনি। টাকা ও শাড়ি বিলি করছিলেন বলেও দাবি করে বিজেপি। এরপরই এলাকার লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। তিনি সেখান থেকে ছুটে পালান তৃণমূল নেতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোমনাথ। তিনি বলেন, জমিতে ধান কাটার লোকজনের জন্য আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপির কিছু ছেলে দল বেঁধে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। অভিযোগ করে আমি টাকা বিলি আর কাপড় বিলি করছে। যদি কাপড় বা টাকা বিলি করার একটা প্রমাণও দেখাতে পারে যা অভিযোগ করবে মেনে নেব। কিন্তু এর কোনও প্রমাণ নেই। বিজেপির ছেলেরা আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল আমাকে হেনস্থা করার। তাই হেনস্থা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?
মহম্মদবাজারের (Birbhum) মণ্ডল-৩-এর বিজেপি নেতা নেতা উত্তম দাস বলেন, "তৃণমূলের সোমনাথ ঘোষ তেঁতুলবেড়িয়া থেকে এসে কাপড়, টাকা বিলি করছিলেন। গ্রামবাসী আমাকে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা একেবারে ঘিরে নেন ওনাকে। এরপরই তিনি ছুটে একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে বের করে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours