তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
গরমের দাপট অব্যাহত। নাজেহাল বঙ্গবাসী। ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও ৪৫-৫০ ডিগ্রির মতো উত্তাপ অনুভব হচ্ছে। আর এই গরমের মোকাবিলা করতে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশি পরিমাণে জল (Drinking water) খেতে হবে। কিন্তু সকলের জন্যই কি এই পরামর্শ চলবে? কিছু এমন শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যাদের দেহে অতিরিক্ত জল বাড়তি বিপদ তৈরি করে। জেলে মেপে না খেলে হতে পারে নানান ক্ষতি।
এই গরমে অতিরিক্ত পানীয় কাদের জন্য বিপজ্জনক? (Drinking water)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হার্ট কিংবা কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের শরীরে অতিরিক্ত জল বাড়তি বিপদ তৈরি করে। এঁদের শরীরে দু'লিটারের বেশি জল ইনটেক বিপজ্জনক। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের পরিমাণে হেরফের হতে পারে। এর জেরে রক্ত সঞ্চালনের সময়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে অতিরিক্ত জল। যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের অতিরিক্ত পানীয় (Drinking water) কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। এর জেরে নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই গরমে কিডনি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রায় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ রোগীভর্তি বেড়েছে। হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যার পাশাপাশি রক্তের জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্যও বিপদ বাড়াচ্ছে এই ভয়ানক গরম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার জেরে রক্তের ঘনত্ব বাড়ছে। এর জেরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হচ্ছে। আবার, রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।
কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Drinking water)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমে সব বয়সীদের জন্য নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডায়েরিয়া থেকে অ্যাজমা রোগী, সকলের হয়রানি বাড়াচ্ছে অস্বস্তিকর এই আবহাওয়া। তবে, হৃদরোগ ও কিডনি রোগীদের জন্য বাড়তি বিপদ। তাই তাদের এই সময়ে দরকার বিশেষ যত্ন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তার জন্য দরকার চিকিৎসকের ঠিকমতো পরামর্শ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই রোগীর নিয়মিত ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করা হয়। যাতে এই গরমে তাঁদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে।
তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে। তাই যাদের কম জল খেতে হয়, তাদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই কতখানি জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো যাবে, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজন হলে তরমুজ, ডাবের মতো রসালো ফল কতটা খাওয়া যাবে, সে নিয়েও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই এই গরমে এক থেকে দেড় লিটার অতিরিক্ত জল (Drinking water) খাওয়া যেতে পারে। কারণ, রোগীর যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours