Balurghat: “দলীয় প্রার্থীকে হারাতে জেলা নেতাদের আঁতাত”, বিস্ফোরক তৃণমূলের জেলা সভাপতি

Trinamool Congress: বালুরঘাটে ধরাশায়ী তৃণমূল, কাঠগড়ায় দলেরই নেতারা
Balurghat_(5)
Balurghat_(5)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র খেয়োখেয়ির জন্যই বালুরঘাট আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। কারণ, একজন পূর্ণমন্ত্রী, তিন বিধায়ক, জেলা পরিষদ ও তিনটি পুরসভা তৃণমূলের দখলে। তারপরেও সংগঠনের পূর্ণশক্তি ব্যবহার করতে না পারায় বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনে শাসকদলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। এমনই মত তৃণমূলের একাংশের।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের হার! (Balurghat)

বালুরঘাটে (Balurghat) তৃণমূলের হারের জন্য, সেই বহুচর্চিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাই উঠে আসছে বার বার। সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সংগঠনের হাল নিয়েও। সেটা অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু, যেভাবে এবার ভোটের আগে বারবার বিভিন্ন কমিটিতে বদল করা হয়েছে এবং সেই আকচাআকচি কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ভোটাররা। তার ফলই তৃণমূলকে ভুগতে হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলার ছয়টি বিধানসভার মধ্যে হরিরামপুর, কুমারগঞ্জ ও কুশমণ্ডি বিধানসভায় তৃণমূলের লিড ছিল ৩৭ হাজার ৮১৬। অন্যদিকে, বিজেপি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর ও তপন বিধানসভায় লিড পেয়েছে ৭৮ হাজার ২৫৮। জেলার নিরিখে তৃণমূলের থেকে ৪০ হাজার ৪৪২ ভোট বেশি পেয়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!

বামের ভোট রামে!

২০২১সালে তিনজন বিধায়ক পেয়েছে তৃণমূল। তারমধ্যে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বিপ্লব মিত্র। ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে বালুরঘাট (Balurghat) ও গঙ্গারামপুর পুরসভা নিজেদের দখলে ধরে রাখে শাসক দল। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য করে দখল করেছিল তারা। জেলার আটটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৫৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে রয়েছে। একচ্ছত্র আধিপত্যের পরও লোকসভায় খালি হাতে ফেরার পর প্রশ্নের মুখে জেলা নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল আবার নিজেদের সাংগঠনিক অক্ষমতা ঢাকতে বামের ভোট রামে যাওয়ার তত্ত্ব সামনে আনছে। ২০১৯ সালে লোকসভায় বামপ্রার্থী এক লক্ষ বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পেলেও এবার তারা ৫০ হাজারে নেমেছে। ফলে, সেই যুক্তিও ধোপে টেকে না।

তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব খাড়া করেছেন। তিনি বলেন , ২০২৩ সালের নভেম্বরে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই জেলা কমিটির একাংশ বিরোধিতা শুরু করেন। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই প্রার্থীকে হারাতে জেলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে অশুভ আঁতাত হয়েছে। আমরা বুঝতে পারলেও নির্বাচন চলায় ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আমাদের তিনটি পুরসভা, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি দখলে থাকলেও এই রেজাল্টে অবাক হয়েছি।

তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে

জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, নিজেদের সংগঠনের দুর্বলতাকেই সামনে আনছে তৃণমূল। নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে তাদের। পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে চুরি করে ভোটে জিতেছিল। সেজন্যই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জেলায় রাজ্য সরকার উন্নয়ন করেনি। মেডিক্যাল কলেজ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের।

তৃণমূলের ভোট গিয়েছে বিজেপিতে!

সিপিএম এরিয়া কমিটির সদস্য অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের ভোট কমেছে। কেন সেটা হয়েছে তার পর্যালোচনা করব। সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তৃণমূল যে তত্ত্ব সামনে আনছে, তা ভিত্তিহীন। উল্টে পুরসভা, শহরগুলিতে তৃণমূলের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে, সেটা নিশ্চিত।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles